২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপস্থিতি অনেক কম। শুধু স্বাগতিক ভারতের ম্যাচগুলোতে গ্যালারি ভর্তি থাকে। প্রতিযোগিতায় টানা ৪ ম্যাচ জেতা রোহিত শর্মারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে আগামী ২৯ অক্টোবর। লখনৌর একানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় সেই ম্যাচের টিকিট নিয়ে শুরু হয়েছে হাহাকার। এরই সুযোগে একটি টিকিটের দাম কালোবাজারে উঠেছে ৬৬ হাজার টাকা পর্যন্ত।
২০১৯ বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। আর এই কারণেই ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিটের চাহিদা অনেক বেশি। কোহলি-স্টোকসদের লড়াই দেখতে ম্যাচের এক সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে টিকিটের জন্য হাহাকার। এই সুযোগে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ হাজার রুপিতে যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় (৬৬ হাজার ২১৮ টাকা)। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারত পুলিশের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবৈধভাবে চড়া দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। অপরিচিত কোনো ব্যক্তির কাছে নয়, নিজেদের পরিচিত লোকজনের কাছেই টিকিট কেনাবেচা করছেন কালোবাজারীরা।
একানা স্টেডিয়ামের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের টিকিটের দাম ৪৯৯ রুপি। উত্তর দিকের করপোরেট বক্সের টিকিটের দাম ৪ হাজার রুপি। কিন্তু কালোবাজারে এ দুটি গ্যালারির টিকিটের দাম ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার রুপিতে কিনছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কালোবাজার থেকে ইংল্যান্ড-ভারত ম্যাচের টিকিট কেনা এক সমর্থক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণার পর থেকেই আমি সব জায়গায় ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিটের খোঁজ করেছি। অফিশিয়াল টিকিট বুকিং ওয়েবসাইটে দেখায় ‘টিকিট দ্রুতই আসবে’। বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আমাকে পাবলিক গ্যালারির টিকিট সাধা হয়েছে, যার দাম ২১ হাজার রুপি। দুটি টিকিট নিয়েছি, আমার এবং আমার স্ত্রীর জন্য।’
উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ ডিরেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের পুলিশ বিভাগের বিশেষ এজেন্সি ছাড়াও লখনো পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টের ওপর নজর রেখেছে। একানা স্টেডিয়ামের ম্যাচগুলোর টিকিট যেন কালোবাজারে বিক্রি করতে না পারে, সে জন্যই আমরা এই নজরদারি রাখছি।’
মন্তব্য করুন