খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠিত
বৈশাখী মেলা শুধু একটি সাধারণ মেলা নয়। এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ঐতিহ্যকে স্মরণে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শনিবার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দক্ষিণ বঙ্গের সব থেকে বড় মেলা ‘বৈশাখী উৎসব’ আয়োজিত হয়েছে।  দক্ষিণবঙ্গের সব থেকে বড় এ বৈশাখী মেলাতে দিনব্যাপী মানুষের ঢল নামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ খুলনা অঞ্চলের সাধারণ মানুষের উপস্থিতি মেলাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। দিনব্যাপী এ মেলাতে দর্শনার্থীদের জন্য প্রধান আকর্ষণ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে তৈরি ২৫টি স্টল। এসব স্টলে নানা রকমের খাবার, পিঠাপুলি, পোশাক, হস্তশিল্প, সাজ সরঞ্জাম, খেলনা, কাগজের তৈরি ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, রং-তুলির আঁকা নকশা, নানা রকমের পণ্যসামগ্রী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসসহ শরবত, ঠান্ডা পানীয়, লাচ্ছি, কুলফির ব্যবস্থা ছিল। এ ছাড়াও নাগরদোলা এবং রাতে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ক্লাবের অংশগ্রহণে কনসার্টের আয়োজন। সরেজমিনে দেখা যায়, মৃত্তিকা কুঠির, বাঙালিয়ানা, সৌন্দর্যে ঊর্ণিষা, খড়ের ঘরসহ বাহারি নামের স্টলগুলোর সৌন্দর্যে সকাল থেকেই খান জাহান হলের মাঠে লোকসমাগম বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠ জনসমাগমে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বয়সের মানুষেরা উৎসবে মেতে ওঠে।  অনুভূতি জানতে চাইলে মামুনুর রশীদ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, বৈশাখ আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িত। সময় পেয়েই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বাচ্চারা এখানে এসে অনেক খুশি। নাগরদোলায় উঠল, বিভিন্ন জিনিস কিনতে পেরেছি সবকিছু মিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে। করোনা মহামারির পরে দীর্থ ৪ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ আয়োজিত এ মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য জহুরুল তানভীর বলেন, ২০১৯ সালের পর আবারো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিলে আমরা বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছি, যেন আমাদের পুরোনো যেই পহেলা বৈশাখের একটা আমেজ থাকত সেই আমেজটার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই বাংলা সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে এসব উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করে থাকে। আমাদের এই উদযাপনে আমরা বিভিন্ন বাংলা সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
০৪ মে, ২০২৪

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়ল রং-বেরঙের ঘুড়ি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) হয়ে গেল ঘুড়ি উৎসব-১৪৩১। শুক্রবার (৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ‘নতুন দিনের নতুন ভোরে গাইব নতুন গান, জীর্ণতাকে দূরে ঠেলে জুড়াব আজ প্রাণ’ এই স্লোগানে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসবের প্রথম দিনে ঘুড়ি উৎসবের সঙ্গে ছিল আরও বিভিন্ন আয়োজন। আয়োজক সূত্রে জানা যায়, পুরোনো দিনের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে এই ঘুড়ি উৎসবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই তাদের এই আয়োজন। বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এ ঘুড়ি উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মেতে ওঠেন খুলনাবাসীরাও। বিভিন্ন আকার-আকৃতির রং-বেরঙের ঘুড়িতে ছেয়ে যায় আকাশ। তৈরি হয় মনোরম দৃশ্য। দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ মুখর হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে উৎসবের আমেজ। নাগরদোলার ক্যাঁচর ক্যাঁচর শব্দ মনে করিয়ে দেয় পুরোনো গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। দুই দিনব্যাপী আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে আগামীকাল থাকবে বৈশাখী মেলা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ডিসিপ্লিন থেকে নানা রকমের খাবার, পোশাক, হস্তশিল্প, সাজ সরঞ্জাম নিয়ে থাকবে দোকান। তীব্র গরমকে মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের শরবত এবং ঠান্ডা পানীয়, লাচ্ছি, কুলফির ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান আয়োজকরা। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠান ঘিরে থাকবে নাচ, গানসহ নানা আয়োজন।
০৩ মে, ২০২৪

খুবিতে ‘বি’ ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৯৪.৯৩ শতাংশ
গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটে মানবিক বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।   শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫ হাজার ৩০৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ৩৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিতির হার ছিল ৯৪.৯৩ শতাংশ। এদিকে পরীক্ষা চলাকালে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবন ও আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের পরীক্ষার হল এবং কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করেন। সেখানে পরীক্ষার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, পরীক্ষার ফোকাল পারসন ও চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, বিভিন্ন ডিসিপ্লিন প্রধানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার (১০ মে) ‘সি’ ইউনিটের (ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শুধুমাত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। ‘সি’ ইউনিটে এ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ২ হাজার ১০৯ জন।
০৩ মে, ২০২৪

এশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই) -এর গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে টানা দ্বিতীয়বার স্থান পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ১২০১-১৫০০তম এবং এশিয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে ৫০১-৬০০তম অবস্থানে রয়েছে। টাইমস হায়ার এডুকেশন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এবারের প্রকাশিত গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। শিক্ষাদান, গবেষণার পরিবেশ, গবেষণার মান, শিল্প এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি মোট ৫টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে করা গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অর্জন করছে যথাক্রমে ১৭%, ৯.৫%, ৪৬.৯%, ১৭.১%, ৪৩.৭%। এ ছাড়াও কর্মী প্রতি শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩.৯%, ছাত্র ও ছাত্রীর অনুপাত ৫৭:৪৩, শিক্ষার্থী (FTE) ৬৯৯৭, ISR প্রকাশনার অনুপাত ২৭%। ২০২১ সালের ২৫ মে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্ব দেন। পরে দ্য অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের তৎকালীন পরিচালকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেন। যে কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা, আর্থিক, অবকাঠামো ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত প্রদান ও সন্নিবেশিত করে। যার ফলশ্রুতিতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশনের গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান করে নেয় এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের প্রাক্তন পরিচালক ও র‌্যাঙ্কিং কমিটির তৎকালীন আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. মুরসালিন বিল্লাহ বলেন, বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুবই মনোযোগী, উদ্যোগী এবং আন্তরিক। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়া আমাদের জন্য গর্বের। আমি আশা করি, পরবর্তীতে এই র‌্যাঙ্কিংয়ে আমরা আরো ভালো অবস্থানে যাব। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, টাইমস হায়ার এডুকেশন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‌্যাংঙ্কিয়ে স্থান পাওয়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা, প্রকাশনা, অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে অতিদ্রুত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, পরপর দু’বার গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়া সকলের জন্য গর্বের। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ভালো করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ইম্প্যাক্ট খুবই ভালো। বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি এশিয়ার র‌্যাঙ্কিংয়েও আমরা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে যাচ্ছি। এই অগ্রযাত্রার কৃতিত্ব সকলের। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ জ্ঞান সৃজন ও বিতরণ। আর এটা সম্ভব গবেষণার মাধ্যমে। এজন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়য়ে রিসার্চ ফোকাসড ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের গবেষণায় আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে। পাশাপাশি যুগোপযোগী গবেষণা ও ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন বৃদ্ধি করতে হবে যাতে সমাজ, দেশ ও জাতি উপকৃত হয়। তিনি বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের এই অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
০২ মে, ২০২৪

২৮ পদে শিক্ষকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী নেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
একাধিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠান ১৭ ক্যাটাগরির পদে তৃতীয় থেকে ১৯তম গ্রেডে শিক্ষকসহ মোট ২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদনের পর তা ডাউনলোড করে সরাসরি বা ডাকযোগে পাঠাতে হবে। প্রতিষ্ঠানের নাম : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চাকরির ধরন : স্থায়ী প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়স : নির্ধারিত নয় কর্মস্থল : খুলনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি বিভাগে ৯ জন অধ্যাপক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনে একজন; ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনে দুজন; মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ডিসিপ্লিনে দুজন; গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনে একজন এবং শিক্ষা ডিসিপ্লিনে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তৃতীয় গ্রেডের এই পদের বেতন স্কেল ৫৬,৫০০ থেকে ৭৪,৪০০ টাকা। সহযোগী অধ্যাপক পদে ইনস্টিটিউট ফর ইনটিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস অ্যান্ড কোস্টাল ইকোসিস্টেমে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চতুর্থ গ্রেডের এই পদের বেতন স্কেল ৫০,০০০ থেকে ৭১,২০০ টাকা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি বিভাগে সাতজন প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্থাপত্য ডিসিপ্লিনে চারজন; ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনে দুজন ও রসায়ন ডিসিপ্লিন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নবম গ্রেডের এই পদের বেতন স্কেল ২২,০০০ থেকে ৫৩,০৬০ টাকা। ষষ্ঠ গ্রেডে একজন নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদের বেতন স্কেল ৩৫,৫০০ থেকে ৬৭,০১০ টাকা। নবম গ্রেডে তিনজন সেকশন অফিসার ও একজন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদের বেতন স্কেল ২২,০০০ থেকে ৫৩,০৬০ টাকা। এ ছাড়া উপসহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। দশম গ্রেডের এই পদের বেতন স্কেল ১৬,০০০ থেকে ৩৮,৬৪০ টাকা। ১৩তম গ্রেডে একজন পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর ও একজন এক্সরে টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়া হবে। এই দুই পদের বেতন স্কেল ১১,০০০ থেকে ২৬,৫৯০ টাকা। ১৫তম গ্রেডে দুজন ড্রাইভার (হেভি/মিডিয়াম) নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদের বেতন স্কেল ৯,৭০০ থেকে ২৩,৪৯০ টাকা এবং ১৯তম গ্রেডে একজন ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদের বেতন স্কেল ৮,৫০০ থেকে ২০,৪৭০ টাকা। আবেদনপত্র সংগ্রহ : আগ্রহীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। আবেদনের ঠিকানা : রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা। আবেদন ফি : ১-১২ নং পদের জন্য ৬০০ টাকা, ১৩ নং পদের জন্য ৫০০ টাকা, ১৪-১৫ নং পদের জন্য ২০০ টাকা, ১৬-১৭ নং পদের জন্য ১০০ টাকা অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (রকেট) মাধ্যমে জমা দিতে হবে। আবেদনের শেষ সময় : ২৩ মে ২০২৪ অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
০২ মে, ২০২৪

রেকর্ড দাবদাহে পুড়ছে খুলনা অঞ্চল
রেকর্ড দাবদাহে পুড়ছে খুলনা অঞ্চল। এর মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে যশোর জেলা।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। শুধু যশোরই নয়, দাবদাহে পুড়ছে গোটা খুলনা বিভাগ। দিন দিন বাড়ছে তাপমাত্রা। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও খুলনার কয়রায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া, জলাশয় ভরাট করা ও গাছপালা কেটে স্থাপনা গড়ে তোলাই প্রধানত গরম বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এ ছাড়া লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। তিনি জানান, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি খুলনার কয়রায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং কয়রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে গত ১৩ এপ্রিল থেকে দাবদাহ চলছে। টানা দাবদাহে বিপাকে পড়েছে মানুষ। অসহ্য গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। টানা দাবদাহে নেই বৃষ্টির দেখা। ফলে বিপাকে পড়েছে মানুষ ও প্রাণীকুল। নাভিশ্বাস নেমে এসেছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া গরমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক স্থানে নলকূপ ও পাম্পে ঠিকমতো পানি উঠছে না। খুলনার শিববাড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ইজিবাইক চালক রফিক মিয়া বলেন, অসহ্য গরম। এমন গরম কখনো পড়েনি। তবুও খেয়ে পড়ে বাঁচতে হবে। গরমের দিকে তাকালে পেট চলবে না। খালিশপুরের রিকশাচালক আব্দুর রহিম বলেন, পেট বাঁচাতে হলে কাজে নামতে হয়। ঘরে স্ত্রী, তিন সন্তান রয়েছে। তাদের লেখাপড়া, খাবার জোগাড়, বাড়ি ভাড়া ম্যানেজ করতে হিমশিম খেতে হয়। ঝড় বৃষ্টি, রোদ উপেক্ষা করেই কাজে নামতে হয়। এদিকে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে না যেতে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। করা হচ্ছে মাইকিং। এ ছাড়া গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাপপ্রবাহের জন্য খুলনা সিভিল সার্জনের সঙ্গে পরামর্শক্রমে খুলনা জেলাবাসীকে নিম্নোক্ত নির্দেশনা পালনে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো- বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া প্রখর রোদে বাইরে বের না হওয়া। আর ঘরের বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে। পানিশূন্যতা পরিহার করতে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা ও বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা। ভাজা পোড়া খাবার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর বারবার মুছতে হবে। শ্বাসকষ্টের রোগী ও শিশুদের বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিদ্যমান প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ/মৎস্য/প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। বাস শ্রমিকসহ অন্যান্য শ্রমিকরা যেন বেশিক্ষণ তীব্র রোদে না থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

নানান সমস্যায় জর্জরিত খুবির বঙ্গমাতা হল, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আবাসিক ছাত্রীহল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নানা সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যান্টিন সমস্যা, অনিরাপদ খাবার পানি, পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংকটসহ নানা অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা জানান, চারটি আবাসিক হলে সেহরি ও ক্যান্টিনের ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নেই ক্যান্টিনের ব্যবস্থা। ফলে রমজান মাসে শেষ রাতে সেহরিতে বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই হলে নামে মাত্র রয়েছে ক্যান্টিন, সেখানে নেই শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা। রমজান মাস ছাড়া সকালে শুধুমাত্র রুটি ও ডালভাজি বিক্রি করা হয়। তবে এখন রমজান মাসে শুধুমাত্র দুই-তিন ধরনের ইফতারি পাওয়া যায়, সেটিও প্রয়োজনের তুলনায় অল্প। কর্মী রয়েছে মাত্র একজন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর রোডে গিয়ে ইফতারি কিনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।  এছাড়াও ছয় তলা বিশিষ্ট দুটি সুউচ্চ ভবন থাকলেও রয়েছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংকট। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীরা অভিযোগ জানালেও হয়নি সুরাহা। নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা, মাঝে মাঝেই পাওয়া যায় পোকা এবং ড্রেনের গন্ধ। এছাড়াও রয়েছে কুকুরের উপদ্রব। প্রায় প্রতিদিনই হলের ৫-৬ তলা পর্যন্ত কুকুর উঠে যায়। প্রায়ই কুকুর আতঙ্কে থাকেন শিক্ষার্থীরা।  এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা খাওয়ার। মিলের খাবারের মান কোনোকিছু করেই খুব একটা ভালো হচ্ছে না। তার চেয়ে বড় সমস্যা ক্যান্টিন সিস্টেম না থাকা। এতে মিল দিতে না পারলে খাবার কিনতে দুই বেলা বাইরে যেতে হয়। আর রোজার সময় সমস্যা তো অনেক বেশি, একবেলার খাবার দেয় ৪টায় আর একবেলার ৮টায়। যারা রোজা রাখে তারা এই ৪টার খাবার দিয়ে কী করবে? আর যারা অন্য ধর্মাবলম্বী তারাও-বা ৪টার সময় খাবার দিয়ে কী করবে? আর রাত ৮টায় দেওয়া খাবার ভোর রাত পর্যন্ত ভালো থাকে না। এভাবে রোজা রাখতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। সম্পূর্ণ রোজা এভাবে গেলে অনেকই অসুস্থ হয়ে পড়বে।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সালমা বেগম বলেন, হলের মেয়েরা ক্যান্টিনে খাবার না খাওয়ায় ক্যান্টিন চলে না এবং আইটেম বাড়ানো যায় না। হলে যখন কাজ চলে তখন খোলা রাখতে হয়েছিল সে সময় হলের ভেতরে কুকুর ঢুকে পড়ে তবে পরে তাদের বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়েরা সেই কুকুরগুলোকে খাবার দেয়, খাবারের লোভে ভেতরে চলে আসে। কুকুর এর ব্যাপারে হলের কর্মচারীদের কড়াকড়ি নির্দেশনা দেওয়া আছে। কর্মচারী সঙ্কট নিরসনের জন্য জন্য ইতোমধ্যে দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, খুব শিগগিরই তারা যোগদান করবে। আর পানিতে যে গন্ধ পাওয়া যায় এই গন্ধ দূর করার জন্য প্লাস্টিকের ট্যাংকের পরিবর্তে স্টিলের স্থাপন করা হবে। 
৩১ মার্চ, ২০২৪

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়স্কোপের নেতৃত্বে অয়ন ও শুভ 
‘ধারালো বিবেক আর শাণিত চোখে জীবন দেখি ও দেখাই’ মূলমন্ত্র ধারণ করে কাজ করে যাওয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বায়স্কোপ’ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী কমিটি ২০২৪-এর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলা ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের আফরোজ মালিক অয়ন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওই ডিসিপ্লিনের দ্বিতীয় বর্ষের শুভ মুন্ডা। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার উঠান প্রাঙ্গনে এই সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও কাউন্সিল অধিবেশন আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড.তানভীর দুলাল। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের প্রস্তাবিত কার্যকারী কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে নাট্য সম্পাদক পদে অর্পিতা ভদ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী নূর হাসান শাহরিয়ার, অর্থ সম্পাদক পদে মরিয়ম আক্তার মেঘলা, দপ্তর সম্পাদক পদে হিমেল মন্ডল এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে তাপস দাশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, শিক্ষা ও সেমিনার সম্পাদক পদে শান্তি বিশ্বাস, আবৃত্তি সম্পাদক পদে স্বার্ণা দাশ, সঙ্গীত সম্পাদক পদে ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী তেমিয় চাকমা। এছাড়াও নির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন কাঁকন কুমার সানা, রেশমি চাকমা , নুসরাত জাহান মল্লিকা, অর্ণব বিশ্বাস প্রান্ত, পুষ্পা চাকমা ও তারক বিশ্বাস এবং জয় সরকার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড.তানভীর দুলাল বলেন , বায়স্কোপ তাদের গতানুগতিক কাজের পাশাপাশি সুস্থ ধারার সংস্কৃতি বিকাশে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি। প্রসঙ্গত, সংগঠনটি ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক, গান, আবৃত্তি, শিক্ষা ও সেমিনার এই চারটি বিভাগে কাজ করে যাচ্ছে।
৩০ মার্চ, ২০২৪

ঝিনাইদহে এনজিওর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, ভুক্তভোগী সংস্থাটিরই কর্মীরা
ঝিনাইদহে ‘সোসিও ইকোনমিক হেলথ এডুকেশন অর্গানাইজেশন (সিও)’ নামে একটি এনজিওর হয়রানির প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন এর কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সিও অফিসে আটকে নির্যাতন এবং মিথ্যা চেকের মামলা দিয়ে হয়রানি,  চাকরির সময় জমা নেওয়া শিক্ষা সনদ ফেরত না দেওয়া, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও জমা দেন। নির্যাতিতদের মধ্যে ফরিদপুরের সদর শাখার সাবেক ম্যানেজার গাইবান্ধা জেলার সুই গ্রামের এ.বি.এম. মাহবুবুর রশিদ, ঝিনাইদহ সদর শাখার সাবেক ম্যানেজার খুলনার মাসুদা পারভীন, সদর শাখার সাবেক ম্যানেজার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার লক্ষিননগর গ্রামের মো. আজিজুল আলম, শৈলকুপার বাসিন্দা হিসাব রক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন ও যশোরের ঝিকরগাছা শাখার সাবেক ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মেহেরপুরের আমদাহ গ্রামের মো. আমিরুল ইসলামসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা  মানববন্ধনে অংশ নেন। তারা জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দেওয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, চাকরিতে যোগদানের সময় ব্যাংক চেক রেখে পরবর্তীতে টাকার অঙ্ক বসিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া, পিএফ ফান্ডের টাকা পরিশোধ না করা, যোগদানের সময় জমা নেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ফেরত না দেওয়া, চাকরিতে যোগদানের সময় প্রশিক্ষণ বাবদ ৫ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে কোনো প্রশিক্ষণ না করানো, জামানত ফেরত না দেওয়া, চাকরিকালীন কর্মরত ব্রাঞ্চে ঋণ আদায়ের ঘাটতি সেই ব্রাঞ্চের কর্মরতদের নামে ঋণ দেখিয়ে সমন্বয় করা, সদস্য ভর্তি ফি হিসেবে অফেরতযোগ্য ৫০ টাকা করে রসিদ ছাড়া আদায়, ঋণ আবেদনের সঙ্গে অফেরতযোগ্য ১৩০ টাকা করে রসিদ ছাড়া আদায়, কোনো ব্রাঞ্চে আয়কর না দেওয়াসহ অনেক অনিয়ম করেছে এনজিওটি।   ভুক্তভোগী   এ.বি.এম মাহবুবুর রসিদ বলেন, ‘আমি চাকরি ছাড়ার সময় অডিট রিপোর্টে আমার কোনো আর্থিক অনিয়ম ছিল না। চাকরি ছাড়তে চাইলে ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট আমাকে অফিসে ডেকে এনে রাত ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে রাজি হলে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে দেখি চাকরিতে  যোগদানের সময় জমা রাখা  ব্যাংক চেকে ২৯ লাখ টাকা অনিয়মের অভিযোগ এনে মামলা  করা হয়েছে । আমার পরিবারের সদস্য ও জামিনদারকেও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাকরিতে যোগদানের সময় জমা রাখা জামানত, সার্টিফিকেট কিছুই ফেরত দেয়নি।’ মেহেরপুরের আমদহ গ্রামের আমিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘সিও এনজিও’র মালিক সামুছলের প্রধান ব্যবসা খোলা চেকের মামলা। তার কাছে জমা রাখা কর্মীদের খোলা চেকে ইচ্ছামতো টাকার অঙ্ক বসিয়ে গত বছর আড়াই শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সিও এনজিওর এই রমরমা ব্যবসায় শত শত কর্মী ও ঋণ গ্রহীতা পথে বসেছেন। অনেকে দেউলিয়া হয়েছেন, ভেঙে গেছে সংসার।’ তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে আমার নামে মিথ্যা মামলা করে সিও। আদালতে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। কিন্তু আমার সার্টিফিকেট, জানামতের টাকা ফেরত দেয়নি সিও।’  মাসুদা পারভীন বলেন, ‘চাকরিতে যোগদানের সময় আমার নিজ নামের ৩টি ও স্বামীর নামে ১টি ব্যাংক  চেক,  আমার মূল সার্টিফিকেট তাদের কাছে রেখে দিয়েছে। আমার নামে ৬৩ লাখ ১০ হাজার আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে হয়রানি করছে।’ মো. আজিজুল আলম বলেন, ‘আমি বারোবাজার শাখায় কর্মরত ছিলাম। চাকরিতে যোগদানের সময় আমার নিজ নামের ৩টি  ব্যাংক চেক ও জামিনদারের নামের ২টি  ব্যাংক চেক জমা রাখি। আমি নিজ ইচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নিলে পরে আমার জমা রাখা  ব্যাংক চেকে টাকার অঙ্ক বসিয়ে আমার নামে ঝিনাইদহ আদালতে সাড়ে ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে। আমি চাকরি করা পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, চাকরিতে যোগদানের সময় আমার কাছ থেকে ৩টি ও আমার জামিনদারের ২টি  ব্যাংক চেক জমা রাখে। আমি ১০ বছর চাকরি করেছি। আমার পিএফ ফান্ডে ৭ লাখ টাকা জমা হয়। চাকরি ছাড়ার পরে আমার পিএফ ফান্ডের টাকা পরিশোধ করতে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। সেই টাকা না দিয়ে উলটো আমার নামে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করেছে।  এ ছাড়া যশোরের রবিউল, কুষ্টিয়ার শওকত আলী, একই জেলার গৌরাঙ্গ কুমার, কালীগঞ্জের আশিক, পাবনার সুবর্ণা খাতুন, সোহেল রানা, সাইফুল ইসলাম, শৈলকুপার মাহমুদ ও মহেশপুরের রুপা খাতুনসহ সহস্রাধিক ব্যক্তির নামে সিও এনজিও মিথ্যা চেকের মামলা করে হয়রানি করছে বলে তাদের অভিযোগ। এ বিষয়ে সিও এনজিওর নির্বাহী পরিচালক সামছুল আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। আমি কারো কাছ থেকে খোলা চেক গ্রহণ করি না। তিনি বলেন, যারা কর্মসূচি পালন করছেন তারা সবাই অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামি। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিষয়টির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২১ মার্চ, ২০২৪

কয়রা ছাড়লেন সুই‌ডেনের রাজকন্যা
সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টা ৪৫ মি‌নি‌টে তি‌নি ক‌পোতাক্ষ মহা‌বিদ‌্যালয় মাঠ থে‌কে হে‌লিকপ্টারে করে রওনা দেন।  এর আগে সকাল ৮টায় সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া ম‌হেশ্বরীপুর ইউ‌নিয়‌নের গিলাবাড়ি এলাকার নয়নী মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ ক‌রেন। প‌রে উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় লোকজনের জীবনমান পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি ঘুরে ঘুরে এ অঞ্চলে লিঙ্গ সমতা পরিস্থিতি, মহারাজপুর ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তর কার্যক্রম প‌রিদর্শন এবং মদিনাবাদ স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের উদ্বোধন ক‌রেন। পাশাপা‌শি ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের অনুভূতি শুনে‌ছেন এবং জীবন-জীবিকা কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নেন। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয় অতিথি কয়রায় আগমন উপল‌ক্ষ্যে বি‌ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১ হাজার ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি, র‍্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা নজরদারিসহ সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
১৯ মার্চ, ২০২৪
X