খুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নানান সমস্যায় জর্জরিত খুবির বঙ্গমাতা হল, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। ছবি : কালবেলা
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। ছবি : কালবেলা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আবাসিক ছাত্রীহল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নানা সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যান্টিন সমস্যা, অনিরাপদ খাবার পানি, পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংকটসহ নানা অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীরা জানান, চারটি আবাসিক হলে সেহরি ও ক্যান্টিনের ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নেই ক্যান্টিনের ব্যবস্থা। ফলে রমজান মাসে শেষ রাতে সেহরিতে বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই হলে নামে মাত্র রয়েছে ক্যান্টিন, সেখানে নেই শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা। রমজান মাস ছাড়া সকালে শুধুমাত্র রুটি ও ডালভাজি বিক্রি করা হয়। তবে এখন রমজান মাসে শুধুমাত্র দুই-তিন ধরনের ইফতারি পাওয়া যায়, সেটিও প্রয়োজনের তুলনায় অল্প। কর্মী রয়েছে মাত্র একজন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর রোডে গিয়ে ইফতারি কিনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এছাড়াও ছয় তলা বিশিষ্ট দুটি সুউচ্চ ভবন থাকলেও রয়েছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংকট। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীরা অভিযোগ জানালেও হয়নি সুরাহা। নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা, মাঝে মাঝেই পাওয়া যায় পোকা এবং ড্রেনের গন্ধ। এছাড়াও রয়েছে কুকুরের উপদ্রব। প্রায় প্রতিদিনই হলের ৫-৬ তলা পর্যন্ত কুকুর উঠে যায়। প্রায়ই কুকুর আতঙ্কে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা খাওয়ার। মিলের খাবারের মান কোনোকিছু করেই খুব একটা ভালো হচ্ছে না। তার চেয়ে বড় সমস্যা ক্যান্টিন সিস্টেম না থাকা। এতে মিল দিতে না পারলে খাবার কিনতে দুই বেলা বাইরে যেতে হয়। আর রোজার সময় সমস্যা তো অনেক বেশি, একবেলার খাবার দেয় ৪টায় আর একবেলার ৮টায়। যারা রোজা রাখে তারা এই ৪টার খাবার দিয়ে কী করবে? আর যারা অন্য ধর্মাবলম্বী তারাও-বা ৪টার সময় খাবার দিয়ে কী করবে? আর রাত ৮টায় দেওয়া খাবার ভোর রাত পর্যন্ত ভালো থাকে না। এভাবে রোজা রাখতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। সম্পূর্ণ রোজা এভাবে গেলে অনেকই অসুস্থ হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সালমা বেগম বলেন, হলের মেয়েরা ক্যান্টিনে খাবার না খাওয়ায় ক্যান্টিন চলে না এবং আইটেম বাড়ানো যায় না। হলে যখন কাজ চলে তখন খোলা রাখতে হয়েছিল সে সময় হলের ভেতরে কুকুর ঢুকে পড়ে তবে পরে তাদের বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়েরা সেই কুকুরগুলোকে খাবার দেয়, খাবারের লোভে ভেতরে চলে আসে। কুকুর এর ব্যাপারে হলের কর্মচারীদের কড়াকড়ি নির্দেশনা দেওয়া আছে। কর্মচারী সঙ্কট নিরসনের জন্য জন্য ইতোমধ্যে দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, খুব শিগগিরই তারা যোগদান করবে। আর পানিতে যে গন্ধ পাওয়া যায় এই গন্ধ দূর করার জন্য প্লাস্টিকের ট্যাংকের পরিবর্তে স্টিলের স্থাপন করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সবশেষ বিহারে ছিলেন এমপি আনার

‘অভিবাসী কর্মীদের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার’

ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিখোঁজ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

স্বামীর মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু

তবুও প্রার্থী হলেন সেই নাছিমা মুকাই 

গাজীপুরে কারখানার ১০ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যু

রাজশাহীতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ বিঘার পানের বরজ

বিয়েবাড়ি থেকে কনের পিতাকে তুলে নিয়ে টাকা দাবি

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর , এলাকায় উত্তেজনা

ঈশ্বরদীতে ফেনসিডিলসহ রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সিপাহি আটক

১০

এমপি আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ

১১

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ কোটিপতি প্রার্থী : টিআইবি

১২

রাইসির জন্য দোয়ার আহ্বান

১৩

‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুদৃঢ় হয়েছে’ 

১৪

প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা সিটির কাছেই থাকল

১৫

বাংলাদেশকে লক্কড়ঝক্কড় দেশে পরিণত করেছে আ.লীগ : প্রিন্স

১৬

২০৩০ সালে সাড়ে ৫২ লাখ যাত্রী বহন করবে মেট্রোরেল  

১৭

পেনিনসুলা স্টিলের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

১৮

ইরানের প্রেসিডেন্টের সন্ধানে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, সাহায্য করতে চায় ইরাক

১৯

সাঈদ খোকনের বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলবেন না মেয়র তাপস

২০
X