মরা গরুর মাংস বিক্রি করছিলেন সোহেল
এবার মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সোহেলের বিরুদ্ধে। এতে র‍্যাবের হাতে আটক হন তিনি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের কমলপুর গাছতলা ঘাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আটকের ঘণ্টাখানেক পর অভিযুক্ত সোহেলকে উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আতাউর রহমানের মাধ্যমে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, ভৈরব গোস্ত হাউসের মালিক খোকন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে শহরের গাছতলা ঘাট বাজারে মরা গরু ও চোরাই গরুর মাংস বিক্রি করলেও থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। বুধবার সকালে র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা মাংস কিনতে এসে মরা গরুর মাংস সন্দেহে ভৈরব গোস্ত হাউসের কর্মচারী সোহেলকে আটক করে নিয়ে যায়। তখন মালিকসহ অন্য কর্মচারীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আরও জানান, অভিযুক্ত খোকন মিয়া গরু চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত। ফেরিঘাট বাজারে আগে তিনি মাংসের দোকানে চাকরি করতেন। গত দুই বছর ধরে গাছতলা ঘাট বাজারে নিজে ব্যবসা শুরু করেন। আনুমানিক তিন-চার মাস আগে গাছতলা ঘাটে মরা গরুর মাংস বিক্রি করায় সাধারণ ক্রেতা ও স্থানীয়রা খোকন মিয়াকে আটক করেন। আটকের পর স্থানীয় যুবক ও এক প্রভাবশালী নেতাকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাকে শেল্টার দেওয়ার কারণে এসব অপকর্ম করেও তিনি বীরদর্পে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, গাছতলা বাজারের ৮-১০টি মাংসের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে ভৈরব গোস্ত হাউসসহ আরও কয়েকটি মাংসের দোকানে এসব অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ভৈরব গোস্ত হাউসের মালিক খোকন মিয়া জানান, তার কর্মচারী সোহেল ও ছেলে রুবেল দোকানে ছিল। এ সময় র‍্যাব সদস্যরা মাংস কিনতে আসলে কর্মচারী সোহেলের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। এ ঘটনায় তার কর্মচারীকে র‍্যাব ধরে নিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর তার কর্মচারীকে র‍্যাব ছেড়ে দিয়েছে বলে জানান তিনি। তার দোকানে মরা গরু ও চোরাই গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসাতে হয়তো এসব অভিযোগ কেউ কেউ সামনে আনছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আতাউর রহমান জানান, তিনি ৮ বছর আগে অবসর নেন। এ ঘটনায় আটককৃত ব্যক্তিকে মুচলেকার মাধ্যমে তিনি ছাড়িয়ে নেন বলে স্বীকার করেন। এ বিষয়ে ঘটনার পর র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের ডিএডি মো. ইকবাল হোসেনের সঙ্গে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ভৈরব গোস্ত হাউসের নাম বলেন এবং একজন আটকের কথা স্বীকার করেন। ভৈরব পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নাছিমা বেগম জানান, ভৈরবে স্লট হাউস না থাকায় যত্রতত্রভাবে গরু জবাই করে বিক্রি করছে। প্রাণিসম্পদ অফিস পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানালে তিনি সিল দিয়ে ক্লিয়ারেন্স দেবেন। তারপরও মাংস সতেজ ও ভালো কি না সপ্তাহে দুই দিন বাজার তদারকি করেন তিনি। এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তরফদার বলেন, বিভিন্ন সময় মাংস বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। মাংস অব্যবস্থাপনার অভিযোগে র‍্যাব একজনকে আটক করেছে বলে শুনেছি। তিনি বলেন, ভৈরবে কোনো স্লটার হাউস নেই। তারপরও উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছে ছাত্রলীগ
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে ছাত্রলীগ। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দু’দিন পর্যন্ত এ মাংস বিক্রি কার্যক্রম চলবে। সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টা থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভনের নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তুকিমূল্যে এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। বাজারে গরুর মাংসের চড়া দাম থাকায় সাধারণ ক্রেতারা সকাল থেকেই শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বল্পমূল্যে মাংস কিনতে ভিড় করেন। এ সময় ৪৩০ জন ক্রেতার মাঝে ৫৫০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস এবং ১শ টাকায় ১ কেজি পোলাও চাল বিক্রি করা হয়। ক্রেতারা জানান, গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কিনতে পারেন না। সাধারণ মানুষ যখন ঊর্ধ্বমুখী বাজারে হিমশিম খাচ্ছে এমন সময় স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি। মাংস নিতে আসা সাবিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর সংসারে আয় কম। যে টাকা রোজগার হয় তা দিতে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। গরুর মাংসের দাম বেশি হওয়ায় তিন মাস ধরে কিনতে পারছি না। সামনে ঈদ এমন সময় কম দামে গরুর মাংসের খবর পেয়ে আমি এখানে এসে ৫৫০ টাকায় এক কেজি মাংস ও ১০০ টাকায় এক কেজি পোলার চাল কিনেছি। বৃদ্ধ শাহজাদা মিয়া বলেন, বাজারে তো ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি হয়। তা কিনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ছাত্রলীগের উদ্যোগে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে খবর পেয়ে আমিও এসে এক কেজি গরুর মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রমজানের প্রথম দিন থেকে আমরা ভর্তুকিতে পাঁচটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দুদিন ছাত্রলীগ গরুর মাংস বিক্রি করছি। প্রত্যেকে এক কেজি করে মাংস কিনতে পারছেন। আগামী দু’দিন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। প্রসঙ্গত, মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য রমজানের প্রথম দিন থেকে ভর্তুকিমূল্যে ছোলা, তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করে জেলা ছাত্রলীগ।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

১০ টাকায় মিলছে গরুর মাংস
শেরপুরে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য ‘আজকের তারুণ্য’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে শতাধিক নিম্নআয়ের ছিন্নমূল মানুষের কাছে মাত্র ১০ টাকা কেজিদরে গরুর মাংস ও শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রি করা হয়েছে। ‘সব দায়িত্ব রাষ্ট্রের নয়, কিছু দায়িত্ব আমার, কিছু আপনার, এ স্লোগানকে সামনে রেখে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে সংগঠনটি।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।  এ সময় অতিথি ছিলেন উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা উত্তরা স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক জুবায়ের বিপ্লব, রক্তদান সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক রফিক মজিদ ও শহিদুল ইসলাম হীরা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সহসভাপতি সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম সৌরভ। আজকের তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রবিউল ইসলাম রতন বলেন, আমরা আজকের তারুণ্যের সদস্যরা শেরপুরের ছিন্নমূল মানুষদের নিয়ে কাজ করি। এ ধারাবাহিকতায় আজ অসহায় নিম্নআয়ের মানুষদের কাছে ১০ টাকার বিনিময়ে গরুর মাংস ও শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রি করেছি। এতে করে তারা মনে করবে, নিজেদের রোজগার করা অর্থে গরুর মাংস কিনেছেন। তিনি বলেন, উদ্বোধনী দিনে ১০ টাকা দিয়ে দুই শতাধিক হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে গরুর মাংস ও শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রি করেছি। একেবারে বিনামূল্যে কোনো জিনিস নিলে প্রত্যেক মানুষের মনে কিছুটা হলেও লজ্জাবোধ কাজ করে। তাই প্রতীকী দামে মাত্র ১০ টাকায় গরুর মাংস ও শাড়ি-লুঙ্গি কিনতে পেরে অসহায় ও দরিদ্র এসব মানুষ অনেক খুশি। রবিউল ইসলাম রতন আরও বলেন, যেসব নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ বাজারের উচ্চমূল্যের কারণে গরুর মাংসসহ শাড়ি-লুঙ্গি কিনতে পারে না তাদের জন্য আজকের তারুণ্যের এই আয়োজন। এ কর্মসূচি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে। আজকের তারুণ্যের মত সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও সংগঠন যদি হতদরিদ্রের পাশে এসে দাঁডায় তাহলে সমাজে দারিদ্রতা ও অসহায়ত্ব অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

এবার গরুর মাংস বয়কটের ডাক
রোজার শুরুতেই মিষ্টি ও রসালো ফল তরমুজের মৌসুম শুরু হয়। সারা দিন রোজা রাখার পর রোজাদারদের ইফতারে ফলটির চাহিদা থাকে অনেক। আর সেই সুযোগ নিয়ে হুহু করে দাম বাড়িয়ে পিস থেকে কেজিতে তরমুজ বিক্রি শুরু করে বিক্রেতারা। ফলে বড় একটি তরমুজের দাম পড়ে ৬০০-৮০০ টাকা। চলতি রমজানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘তরমুজ বয়কটের’ ডাক দেয় সাধারণ মানুষ। ফলে অর্ধেক দামে তরমুজ বিক্রি করলেও ক্রেতা পাচ্ছে না বিক্রেতারা। তরমুজ বয়কটে এর দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধ হওয়ার পর এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ মানুষ। কারণ, রোজার শুরু থেকেই গরুর মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বাজার ঘুরে দেখা যায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায় । অন্যদিকে, গত ১৫ মার্চ গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা বেঁধে দেয় সরকার। তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ নেই মাংস ব্যবসায়ীদের। এবার এর বিরুদ্ধে সাধরণ জনগণ সোচ্চার হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজে নেটিজেনরা গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এ ছাড়া হাজারো বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের ফেসবুকের টাইমলাইনে কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করছেন। যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট তুলে ধরা হলো- ‘তরমুজের ভাব বেড়েছিল আমাদের আমজনতার বয়কটে তার দাম এখন হাতের নাগালে। এভাবে গরুর মাংসও খাওয়া বাদ দিন, বয়কট করুন ১ বা ২ বা ৩ মাস। দেখবেন, সেটাও হাতের নাগালে চলে আসবে। ক্রেতা না কিনলে দাম বাড়িয়ে কয়দিন কাটা গরুর মাংস রাখবে ফ্রিজে! কম দামে ক্রেতা না কিনলে কত দিন চড়া দাম হাকাবে! ক্রেতাই যদি না থাকে কিসের সিন্ডিকেট! আমরা সব চাইলেই পারি! লাগবে শুধু একতা! চলেন, তরমুজের পরে এবারে গরুর মাংসের দাম কমাই।’ ভাইরাল হওয়া আরেকটি পোস্ট হলো- ‘আমি গরুর মাংস কিনলাম। বলল, দেশের মানুষ ভাত পায় না, গরুর মাংস কেনে। গরুর মাংসের ম্যালা দাম, আসুন গরুর মাংস বয়কট করি।’ এদিকে গরুর মাংসের দাম বাড়া নিয়ে খামারিদের দোষ দিচ্ছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বড় খামারিদের কারসাজিতে বাজারে গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের এ বাজারে যারাই গরুর মাংস কম দামে বিক্রি করতে চাচ্ছেন, তাদের সামনে খামারিদের অসাধু চক্র বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একদিকে কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজার থেকে গরু উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে, অপরদিকে স্বল্পমূল্যের বিক্রেতাদের জীবনে হুমকি আর চাপ এসে হাজির হচ্ছে। খামারিদের এ সিন্ডিকেট ভাঙা গেলে ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস কিনতে পারত সাধারণ ক্রেতা। অনদিকে মাসে অন্তত দুএকবার হলেও গরুর মাংসের স্বাদ নিতে পারত মধ্যবিত্ত পরিবার। এ বিষয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসা ব্যবসায়ী খলিল গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশের অনুমতি দিলে মাংসের দাম কমে আসবে ৫০০ টাকায়। অন্তত ১০ দিন ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করলে গরুর মাংস ৫০০ টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
৩০ মার্চ, ২০২৪

ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করল যুবলীগ
আড়াই শতাধিক মানুষের কাছে ৬৮০ টাকা কেজিতে গরুর মাংসসহ ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করেছে রংপুর জেলা যুবলীগ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে নগরীর মুলাটোল পাকার মাথা (নজরুল চত্বর) এলাকায় এ আয়োজন করা হয়। এ সময় নগরীর মুলাটোল, গণেশপুর, কামারপাড়া, বাবুখাঁসহ আশপাশের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে আসা ক্রেতারা লাইন ধরে এসব পণ্য ক্রয় করেন। রংপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে আমরা মাসব্যাপী মানবিক কার্যক্রম শুরু করেছি, তারই অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম। তিনি বলেন, এর আগে শহরের বিভিন্ন স্থানে সেহরি ও ইফতার বিতরণ করেছি আমরা। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির জন্য যারা রোজায় মাংস খেতে পারেনি তারা আজ ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস কিনে নিয়ে গেছে। রংপুর জেলা যুবলীগের এ ধরনের কার্যক্রম আগামীতেও অব্যহত থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি লহ্মীন চন্দ্র দাস, সহ-সভাপতি নওশাদ আলম রাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সোহেল, রংপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য, আজিজুল ইসলাম মুরাদ, রাজিব হাসান সুমন যুবলীগ নেতা আদনান হোসেন প্রমুখ।
২৬ মার্চ, ২০২৪

এবার ময়মনসিংহে ভর্তুকি মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি শুরু
রমজান উপলক্ষে এবার নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১টায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা মো. ইউসুফ আলী। এর আগে রমজান উপলক্ষে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস ও ডিমের ডজন ১০০ টাকায় বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন। সিটি করপোরেশন জানায়, সপ্তাহে দু-দিন সোম ও মঙ্গলবার টাউন হল মাঠের সামনে গরুর মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। একজন ব্যক্তি এক কেজি মাংস কিনতে পারবেন। সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকতা মো. ইউসুফ আলী কালবেলাকে বলেন, রমজান উপলক্ষে নিম্নআয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে গরুর মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চাহিদা থাকলে ঈদ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রথম দিনে ২৭২ জন ব্যক্তির কাছে গরুর মাংস বিক্রি করা হয়েছে। একজন ব্যক্তি এক কেজি মাংস কিনতে পারবেন। মাংস নিতে আসা ক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, এখানে আমাদের চোখের সামনে গরু জবাই করা হয়। আর সেই গরুর মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা। কম দামে বিক্রি করায় আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের জন্য অনেক উপকার হলো। রাবেয়া আক্তার নামে এক নারী বলেন, আমরা মাসেও এক কেজি গরুর মাংস কিনতে সাহস পাই না। আজকে কেজিতে ২০০ টাকা কম পেয়েছি। এই কার্যক্রম রমজান মাসজুড়ে অব্যাহত রাখার দাবি জানাই।
২৫ মার্চ, ২০২৪

মরা গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে দুই ভাই আটক
বাগেরহাটের শরণখোলায় অভিযান চালিয়ে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে আপন দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে।   রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। আটক ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ডালিম ও আলামীন। তাদের অপর ভাই হালিম পালিয়ে গেছে। আটক দুজনকে শরণখোলা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে সকালে মরা গরুর মাংস প্রকাশ্যে বিক্রি করছিল অসাধু চক্র। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে প্রশাসনকে খবর দেয়। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ড্রামে ভর্তি প্রায় এক মণ মাংস, মাথা, চামড়া ও নাড়িভুড়ি জব্দ করা হয়। উপজেলা সদর রায়েন্দা পাঁচ রাস্তা মোড়ের প্রশাসন মার্কেটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছিল এই মরা গরুর মাংস। রমজান মাসে মরা গরুর মাংস বিক্রির খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর বিচার দাবি করেন সবাই। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ রাস্তা প্রশাসন মার্কেটে মাংস ব্যবসা করছে। এরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মরা, অসুস্থ গরু-ছাগল কম দামে কিনে তা জবাই করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় তারা মরা-রোগা পশুর মাংস বিক্রি করছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী। ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রকাশ্যে মরা গরুর মাংস বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। বেশকিছু মাংস বিক্রিও করেছে তারা। অভিযান টের পেয়ে চক্রটি মাংস ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ লুকানোর চেষ্টা করছিল। এক পর্যায়ে মার্কেট থেকে কিছুটা দূরে বান্দাঘাটা স্লুইস গেট এলাকা থেকে চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা গেলেও একজন পালিয়ে গেছে।  ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, মৃত পশুর মাংস বিক্রি জঘন্য অপরাধ। এটা খাওয়া মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অসাধু এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আটক ডালিম ও আলামীন জানান, তারা এই মরা গরুর মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত না। তারা তিন ভাই সবাই আলাদা আলাদাভাবে মাংসের ব্যবসা করেন। এই মাংস তাদের অপর ভাই হালিমের। সে মাংস ফেলে পালিয়ে গেছে।   শরণখোলা থানার ডিউটি অফিসার এসআই তাইজুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযানে আটক দুই ব্যক্তি এবং তাদের সঙ্গে থাকা গরুর মাংস ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থানা হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

আবারও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল মাংস ব্যবসায়ী খলিল
দেশে চলমান অনিয়ন্ত্রিত গরুর মাংসের বাজার নিয়ে বহুদিন ধরে চলছে অস্থিরতা। এরমধ্যে রমজানে ৫৯৫ টাকাতেই গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেন আলোচিত ব্যবসায়ী খলিল। দশ রোজা না পেরুতেই হঠাৎ করে কেজিতে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকায় বিক্রি শুরু করতেই ক্রেতাদের মাঝে শুরু হয় নানা প্রতিক্রিয়া। এর মধ্যেই দাম কমিয়ে আবারও পূর্বের মূল্য ৫৯৫ টাকাতেই গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল।  রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে ‘সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খলিল। তিনি জানান, প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস কিনতে পারবেন ভোক্তারা। তিনি বলেন, লাভ-লোকসান বুঝি না। ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করব। আমি কথা দিয়েছিলাম সেটা রাখব। প্রতিদিন ২০টি করে গরু জবাই হবে বিকেল পর্যন্ত। এ সময় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন, মিরপুরের মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বলসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের গরুর মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, যতদিন সাধ্য ছিল তিনিও ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করেছেন। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়েছেন। লোকসান যাতে না হয় তাই ৬৩৫ টাকা মাংসের দর নির্ধারণ করেছেন। যতদিন পারবেন এ দামেই বিক্রি করবেন। একই সম্মেলনে উপস্থিত পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন বলেন, তিনি ৫৭০ টাকায় মিক্সড মাংস বিক্রি করছিলেন। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করবেন। আর ঝুলানো মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করবেন যা আগে ছিল ৬০০ টাকা। এর আগে, দশ রোজা না পেরুতেই গরুর মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয় আলোচিত এই গরুর মাংস ব্যবসায়ী খলিল। কেজিতে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকা করা হয়। সে সময় তিনি জানান, নানামুখী চাপে আছেন তিনি। খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করে পোষাতে পারছেন না। এতে লোকসান হচ্ছে। আরও বলেন, ক্রেতাদের ভিড় হওয়ায় বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

নোয়াখালীতে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের ভিড়
নোয়াখালীর সেনবাগে ৭০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে। কিছুটা কম দামে মাংস কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পাইলট স্কুলের সামনে অস্থায়ী দোকানে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।  জানা গেছে, প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে ৭০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস, এক ডজন ডিম ১০৫ টাকায় ও ৮০ টাকা লিটারে গরুর দুধ বিক্রির কার্যক্রম হাতে নেয় সেনবাগ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।  এসময় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ, সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল, সেনবাগ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ তারেক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. জুয়েল চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাজারের থেকে কম দামে ডিম, দুধ ও গরুর মাংস কিনতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নামের এক ক্রেতা বলেন, গোশত ব্যবসায়ীদের যে সিন্ডিকেট তা ভাঙ্গার লক্ষ্যে প্রশাসনের যে উদ্যোগ তাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আশাকরি এভাবে অব্যাহত থাকলে সারা বাংলাদেশে গোশত বিক্রির সিন্ডিকেট ভাঙ্গবে। নিম্ন আয় ও স্বল্প আয়ের মানুষ প্রাণিজ জাতীয় খাদ্য কিনতে পারবে। মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করতে পারবে। জাকির হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, সারাদেশে ন্যায্য মূল্যে গোশত বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু  নোয়াখালীতে সিন্ডিকেট শক্তিশালী। আমরা চাই প্রশাসনের এভাবে অব্যহত রাখুক। তাহলে সিন্ডিকেট ভাঙবে এবং আমরা উপকৃত হবো।     মাংস বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, প্রশাসন বলেছেন ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করতে, আমি নিজের খামার থেকে গরু দিয়েছি। মানুষ মাংস, ডিম দুধ কিনতে পেরে খুশী। তবে আমাদের এই ব্যবসা টা মরে গেছে। আমি প্রতিদিন ৮-১০ টা গরু বিক্রি করতাম এখন সেই অবস্থা নাই।  সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং মাংসের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ এক কেজি মাংস কিনতে পারবেন; এক ডজন ডিম ও এক লিটার দুধ কিনতে পারবে। আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।  সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি এবং সরকারি নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি না করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। তবে আমরা গরু মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলাম না। তাই উদ্যোগ নিয়ে সুস্থ ও সবল গরুর মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি করছি। এ ছাড়াও দুধ ও ডিম সুলভ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এই সুলভ মূল্যের প্রভাব বাজারে ইতমধ্যে পড়েছে। যারা ৮৫০ টাকা বিক্রি করতো এখন তারাও ৭০০ টাকা বিক্রি করবে। এতে করে ভোক্তারা উপকৃত হবে।  জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক স্যারের পরামর্শে আমাদের উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে কেবল সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য।  নিরাপদ প্রাণী পুষ্টি মানুষের চাহিদার বাইরে চলে যাচ্ছে তাই মানুষ উদ্বুদ্ধ করতে এমন উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে ঢাকার ২৫ টি পয়েন্টে বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে  জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন উপজেলার বড় বাজার গুলোতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে।  জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর যাচাইয়ে নিয়মিত জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এসময় নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে জরিমানাও করা হচ্ছে। জেলা শহরে আমরা সরকারি নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। এসব উদ্যোগ বাজার নিয়ন্ত্রণ আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। 
২৩ মার্চ, ২০২৪

অভিযানে ৮০০ টাকার গরুর মাংস ৬৬৫ টাকা
নোয়াখালী জেলা শহরের পৌর বাজারে ৮০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছিলেন মাংস বিক্রেতারা। এ সময় নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে ওই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি করায় আগামী এক সপ্তাহ ৬৬৫ টাকা কেজি প্রতি গরুর মাংস বিক্রির বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে জেলা শহরের পৌর বাজারে অভিযানে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) আহসান হাফিজ এ দাম বেঁধে দেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর ৯টি উপজেলায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এ সময় নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে জরিমানাও করা হচ্ছে। অভিযানের খবরে প্রায় জায়গায় দ্রব্যমূল্যের দাম কমতে শুরু করে। তবে অভিযান শেষে ফের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা শহরের পৌর বাজারে অভিযানে গিয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ ব্যবসায়ীদের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য বিক্রির আহ্বান জানান। এ ছাড়াও তিনি সকল ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। কোনো ব্যবসায়ী বাজারে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করলে ক্রেতাদের সেই বিষয়টি নোয়াখালী জেলা প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান। অভিযানে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পৌর বাজারের নিয়মিত ক্রেতা নুরুল আলম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আসলেই দাম কম পাই। চলে গেলে যেই লাউ সেই কদু। যেন চোর-পুলিশ খেলা। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। পৌর বাজারের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের সব পণ্য অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। বড় বড় কোম্পানি সিন্ডিকেট করছে আর দোকানি ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা চাই সবাই সহনীয় পর্যায়ে আসুক। পৌর বাজারের গোশত বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছেন। আমরা গরুর গোশত ৮০০ টাকায় বিক্রি করি। আমাদের এদিকে গরু পাওয়া যায় কম। উত্তরবঙ্গের গরু এখানে আসতে আসতে দাম বেশি হয়ে যায়।  জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) আহসান হাফিজ বলেন, বেশিরভাগ দোকানেই মূল্য তালিকা নেই। যে কারণে পণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মাংসের দোকানদারদের এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। তারা যদি সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি না করে তাহলে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
২৩ মার্চ, ২০২৪
X