নোয়াখালী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অভিযানে ৮০০ টাকার গরুর মাংস ৬৬৫ টাকা

নোয়াখালী জেলা শহরের পৌর বাজারে অভিযান। ছবি : কালবেলা
নোয়াখালী জেলা শহরের পৌর বাজারে অভিযান। ছবি : কালবেলা

নোয়াখালী জেলা শহরের পৌর বাজারে ৮০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছিলেন মাংস বিক্রেতারা। এ সময় নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে ওই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি করায় আগামী এক সপ্তাহ ৬৬৫ টাকা কেজি প্রতি গরুর মাংস বিক্রির বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে জেলা শহরের পৌর বাজারে অভিযানে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) আহসান হাফিজ এ দাম বেঁধে দেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর ৯টি উপজেলায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এ সময় নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে জরিমানাও করা হচ্ছে। অভিযানের খবরে প্রায় জায়গায় দ্রব্যমূল্যের দাম কমতে শুরু করে। তবে অভিযান শেষে ফের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

জেলা শহরের পৌর বাজারে অভিযানে গিয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ ব্যবসায়ীদের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য বিক্রির আহ্বান জানান।

এ ছাড়াও তিনি সকল ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। কোনো ব্যবসায়ী বাজারে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করলে ক্রেতাদের সেই বিষয়টি নোয়াখালী জেলা প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান।

অভিযানে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পৌর বাজারের নিয়মিত ক্রেতা নুরুল আলম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আসলেই দাম কম পাই। চলে গেলে যেই লাউ সেই কদু। যেন চোর-পুলিশ খেলা। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।

পৌর বাজারের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের সব পণ্য অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। বড় বড় কোম্পানি সিন্ডিকেট করছে আর দোকানি ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা চাই সবাই সহনীয় পর্যায়ে আসুক।

পৌর বাজারের গোশত বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছেন। আমরা গরুর গোশত ৮০০ টাকায় বিক্রি করি। আমাদের এদিকে গরু পাওয়া যায় কম। উত্তরবঙ্গের গরু এখানে আসতে আসতে দাম বেশি হয়ে যায়।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) আহসান হাফিজ বলেন, বেশিরভাগ দোকানেই মূল্য তালিকা নেই। যে কারণে পণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মাংসের দোকানদারদের এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। তারা যদি সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি না করে তাহলে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, যেভাবে দেখা যাবে 

তিন যুবকের কোমরে মিলল আট কোটি টাকার স্বর্ণ

হাসপাতালে খালেদা জিয়া

ইসির রোডম্যাপে দেশ নির্বাচনের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল : সমমনা জোট

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ শাবির ৮৫ শিক্ষকের

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা চুয়েটের

আল আরাফা ব্যাংকের চাকরিচ্যুত ৩ কর্মকর্তা রিমান্ডে, কারাগারে ৮

দাবি আদায় হয়নি, নতুন ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

রমনা বিভাগের ডিসিকে নিয়ে অপপ্রচার

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণায় এবি পার্টির প্রতিক্রিয়া 

১০

বাস্তবায়ন হয়নি ৩৫ বছর আগের খুবি ক্যাম্পাসের মহাপরিকল্পনা

১১

ঋতুপর্ণার বাবা কখনোই চাননি মেয়ে নায়িকা হোক

১২

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ

১৩

ফোনের চার্জার যে কারণে সাদা বা কালো রঙের হয়

১৪

পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল

১৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম ফিলাপ ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি

১৬

গুম করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন

১৭

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল, দুই ট্রাফিক পুলিশ ক্লোজড

১৮

গাজায় যুদ্ধবিরতি কেন হচ্ছে না, জানাল মিশর

১৯

ডাকসু নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার বক্তব্য

২০
X