বাগেরহাটের শরণখোলায় অভিযান চালিয়ে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে আপন দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ডালিম ও আলামীন। তাদের অপর ভাই হালিম পালিয়ে গেছে। আটক দুজনকে শরণখোলা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে সকালে মরা গরুর মাংস প্রকাশ্যে বিক্রি করছিল অসাধু চক্র। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে প্রশাসনকে খবর দেয়।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ড্রামে ভর্তি প্রায় এক মণ মাংস, মাথা, চামড়া ও নাড়িভুড়ি জব্দ করা হয়।
উপজেলা সদর রায়েন্দা পাঁচ রাস্তা মোড়ের প্রশাসন মার্কেটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছিল এই মরা গরুর মাংস। রমজান মাসে মরা গরুর মাংস বিক্রির খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর বিচার দাবি করেন সবাই।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ রাস্তা প্রশাসন মার্কেটে মাংস ব্যবসা করছে। এরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মরা, অসুস্থ গরু-ছাগল কম দামে কিনে তা জবাই করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় তারা মরা-রোগা পশুর মাংস বিক্রি করছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।
ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রকাশ্যে মরা গরুর মাংস বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। বেশকিছু মাংস বিক্রিও করেছে তারা। অভিযান টের পেয়ে চক্রটি মাংস ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ লুকানোর চেষ্টা করছিল। এক পর্যায়ে মার্কেট থেকে কিছুটা দূরে বান্দাঘাটা স্লুইস গেট এলাকা থেকে চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা গেলেও একজন পালিয়ে গেছে।
ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, মৃত পশুর মাংস বিক্রি জঘন্য অপরাধ। এটা খাওয়া মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অসাধু এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে আটক ডালিম ও আলামীন জানান, তারা এই মরা গরুর মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত না। তারা তিন ভাই সবাই আলাদা আলাদাভাবে মাংসের ব্যবসা করেন। এই মাংস তাদের অপর ভাই হালিমের। সে মাংস ফেলে পালিয়ে গেছে।
শরণখোলা থানার ডিউটি অফিসার এসআই তাইজুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযানে আটক দুই ব্যক্তি এবং তাদের সঙ্গে থাকা গরুর মাংস ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থানা হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন