চুয়েট বন্ধ ঘোষণা
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আগামী ৯ মে পর্যন্ত সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত ১৩৩তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সভা শেষে রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে ছাত্রদের এবং শুক্রবার সকাল নয়টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত সোমবার দুই সহপাঠীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও হল ছাড়ার সিদ্ধান্তে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর ও মূল ফটকে থাকা শাহ আমানত পরিবহনের দুটি বাসে আগুন দেন। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী ২০ শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা অবরোধ স্থগিত করেন। এতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর হল ছাড়ার বিষয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নিতে সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, ‘সব ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে ৯ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে শিক্ষার্থীরা শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে হলে অবস্থান করতে পারবেন। এর ব্যতিক্রম ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী সময়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’ গত সোমবার, ২২ এপ্রিল দুই সহপাঠীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কয়েক দফায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কও অবরোধ করে রাখেন। এর মধ্যেই গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও হল ছাড়ার সিদ্ধান্তে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।  এ অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী ২০ শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। এরপর হল ছাড়ার বিষয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নিতে সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় আগামী ৯মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

আন্দোলন থেকে সরছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের টানা চার দিনের আন্দোলনের পর এখন ‘শান্ত’ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। গতকাল শুক্রবার শিক্ষার্থীরা অবরোধ না করায় স্বাভাবিক ছিল কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের যান চলাচলও। এরই মধ্যে নতুন করে এসেছে সিদ্ধান্ত, আগামী ১১ মে পর্যন্ত স্থগিত থাকবে চুয়েটের ক্লাস-পরীক্ষা। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম। তবে এর আগে শিক্ষার্থীদের দ্রুত হল ত্যাগ করতে বলা হলেও এখন আর তাদের হল ছাড়তে হচ্ছে না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। অন্যদিকে, ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিতকে কেন্দ্র করে ভিন্ন কথা বলছেন আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেনি। আন্দোলন দমাতে এটি প্রশাসনের কূটকৌশল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, খুব দ্রুতই জানানো হবে সবাইকে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়েটে বসে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা। সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি ওইদিন বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের এবং গতকাল সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশনা আসার পর আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের কার্যালয়ের পাশাপাশি সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। পরে বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ২০ সদস্যের ছাত্রদের প্রতিনিধিদল। সভায় শিক্ষার্থীরা বলেন, নিরাপদ সড়ক, চুয়েট হাসপাতালকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করাসহ পেশ করা ১০ দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি চুয়েট এবং হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী কালবেলাকে বলেন, আমরা ১০ দফা আন্দোলন নিয়ে মাঠে নেমেছি। কিন্তু আন্দোলন যখনই কড়া হতে শুরু করে, তখনই ভিন্ন কূটকৌশল আঁটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হঠাৎ করেই আন্দোলন দমানোর জন্য শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। পাশাপাশি স্থগিত করা হয়েছে একাডেমিক কার্যক্রমও। পরে আমরা নিরুপায় হয়েই তখন একাডেমিক কার্যক্রমে ফেরার ইচ্ছা পোষণ করি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছে কথাটি ঠিক না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে গণমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। পরে তা জানিয়ে দেওয়া হবে সবাইকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজ (গতকাল) কোনো ধরনের বিক্ষোভ করেনি। তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে এক বৈঠকে শিক্ষার্থীরা বলেছে, তারা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে চায়। এ কারণে তারা বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাদের দাবির পর সিন্ডিকেট সভার আহ্বান করে। সিন্ডিকেট বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ক্লাস ও পরীক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এরপর ১২ মে সব কিছু চালু হবে পুরোদমেই। গত সোমবার বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট ছাত্র নিহত হন। আহত হন আরও এক ছাত্র। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন পুরকৌশল বিভাগের ২০২০ ব্যাচের ছাত্র শান্ত সাহা ও একই বিভাগের ২০২১ ব্যাচের তৌফিক হোসেন। দুর্ঘটনার পর থেকে নিরাপদ সড়কসহ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালককে গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধসহ আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বাসচাপায় চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, অতঃপর...
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘাতক শাহ আমানত বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতের নাম তাজুল ইসলাম (৪৮)। তার বাড়ি চন্দ্রঘোনা আধুরপাড়া গ্রামে।  চালককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হলে, এতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা খালিদ বিন শামস আরিয়ান বলেন, আমাদের সব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। তৌফিক ও শান্ত ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। বাস মালিক সমিতি মাত্র দুই লাখ টাকা করে দিবে বলেছে যা নিতান্তই লজ্জাজনক। শাহ আমানত ও এবি ট্রাভেলসকে এদের কাপ্তাই সড়কে রুট পারমিট বাতিল করতে হবে। এছাড়াও চুয়েট অ্যাম্বুলেন্স ও বাসের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিও মেনে নেওয়া হয়নি। চারটি অ্যাম্বুলেন্স ও পাঁচটি বাসের বদলে একটি করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যা হতাশাজনক। তিনি আরও জানান, সাধারণ জনগণ ও পণ্যবাহী ট্রাক এ রাস্তায় চলাচল করে। সেসব দিক বিবেচনা করে আজ রাতের মধ্যেই আমরা এ রাস্তা ছেড়ে দিতে চাই। তাই, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আবারও আন্দোলনে নেমেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে আমরা পুনরায় আলোচনা করব এবং ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তে আসার ব্যবস্থা করব। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘাতক বাস চালককে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তাকে এবং বাসের হেল্পারকে আসামি করে সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা দায়ের করে। পরে এ মামলায় চালককে আইনি প্রক্রিয়া শেষে কারাগারে পাঠানো হবে। এদিকে এ ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল ৯ দফা দাবির কথা বলা হলেও তার সাথে আরও এক দফা দাবি যোগ করেন তারা। আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে এমন দাবিতে সুমন দে নামে চুয়েটের এক শিক্ষকেরও অপসারণ দাবিও করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দেওয়া দশ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী। দ্রুতগতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। নিহত শান্ত সাহা নরসিংদী সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে এবং তৌফিক হোসেন নোয়াখালী সদর উপজেলার সুধারাম থানার নিউ কলেজ রোডের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু। তিনি চুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল চুয়েট
সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ এবং ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্স কিংবা বিদেশগামী যাত্রীবাহী যানও যেতে দিচ্ছে না অবরোধকারীরা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন চাকরিজীবীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে চুয়েট ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সে সময় শত শত শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি সড়কে এ বিক্ষোভ চলছে। এ কারণে কাপ্তাই সড়কে আটকে পড়ে শত শত যানবাহন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— পলাতক চালক ও সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, ক্যাম্পাসে আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দেওয়া, রাস্তার মাথা এলাকা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক করা, প্রতিটি বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স নিয়মিত যাচাই করা, ছাত্রকল্যাণ পরিষদকে জবাবদিহির আওতায় আনা এবং ছাত্র প্রতিনিধিদল গঠন করা, নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া। এসব দাবি লিখিতভাবে মানার অঙ্গীকারের আগ পর্যন্ত চুয়েটের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলেও ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাজা এবং দুপুর ৩টায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে, সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজসংলগ্ন এলাকায় বাসচাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী বেসরকারি একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন। বাসের ফিটনেস ছিল না: দুই শিক্ষার্থীকে চুয়েট চাপা দেওয়া শাহ আমানত নামে বাসের ফিটনেস ছিল না। এ বছর ফেব্রুয়ারিতেই সে মেয়াদ শেষ হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি। বিআরটিএ সূত্রে আরও জানা যায়, বাসটি উজ্জ্বল নন্দী নামে এক ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশন করা। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২ ফেব্রুয়ারি আর ফিটনেস মেয়াদ ৮ ফেব্রুয়ারি। তবে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাসটির রুট পারমিটের মেয়াদ। অন্যদিকে দুর্ঘটনাকবলিত বাইকটিও ছিল রেজিস্ট্রেশনবিহীন। তিন আরোহীর মধ্যে ২ জনেরই হেলমেট ছিল না। অভিযানে নেমেছে বিআরটিএ: দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। গতকাল চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের চারটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি। রাঙ্গুনিয়ায় লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোয় ৩টি মামলা এবং ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কুয়াইশ রাস্তার মাথা এলাকায় বিভিন্ন কারণে ১৬টি মামলা করা হয়। সঙ্গে জরিমানা করা হয় সাড়ে ৩৬ হাজার টাকা। অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৬টি মামলায় ১৩ হাজার এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়কে ১২টি মামলায় সাড়ে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রাঙ্গুনিয়ায় বিআরটিএ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইন। তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

জ্ঞান ফেরেনি মায়ের, ছেলের কবরের পাশে পায়চারি করছেন বাবা
রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ছাত্র তৌফিক হোসেনের শোকে বিহ্বল তাদের পুরো বাড়ি। কেউই কথা বলেছে না। পুরো বাড়িতে চলছে হাহাকার। দরজা বন্ধ করে কাঁদছেন মা। বাবা বারবার ছেলের কররের পাশে গিয়ে ঘুরে আসছেন নীরবে। শত চেষ্টা করেও একটু কথা বলেতে পারেননি ছেলের মায়ের সঙ্গে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নোয়াখালীর সুধারামের নিউ কলেজ রোড দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চুয়েট ছাত্র তৌফিক হোসেনদের বাড়িতে গিয়ে এমন অবস্থা দেখা যায়। আগের দিন সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তৌফিকসহ নিহত হন চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী। তৌফিকের মা বারবার বলছেন, দুর্ঘটনার পর পরই তাকে ফোন করে তৌফিক। সে বলেছে- মা, আমি গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েছি রাস্তায়। আমার বন্ধুরা গাড়ির নিচে পড়ে গেছে। মা, লোকজন আমাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। তুমি আর আব্বা রওনা দাও। রওনা দেওয়ার পরেও ছেলের সঙ্গে কথা হয় মায়ের, মা তুমি তাড়াতড়ি আসো। পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করেনি ছেলেটা। হাসপাতালে গিয়ে বাবা-মা দেখতে পান ছেলের নিথর দেহ।  বাবা প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, ছেলে যেতে চায়নি বাড়ি থেকে। তার শরীরে জ্বর ছিল। কিন্তু ক্লাস করতেই হবে তাই বাবার কাছে আবদার ছিল নিজেদের গাড়িতে করে চট্টগ্রাম পৌঁছে দেওয়ার জন্য। বাবা দেরি না করে পরদিনই গাড়িতে করে চুয়েটে নামিয়ে দিয়ে আসেন ছেলেকে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

নিরাপদ সড়কের দাবিতে উত্তাল চুয়েট
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চুয়েট ক্যাম্পাসের সামনে গাছ ফেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধে কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়াও টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালীন সাত দফা দাবি উত্থাপন করে শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম (ক্লাস ও পরীক্ষা) বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। দাবিসমূহ হলো, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মামলার মাধ্যমে তৌফিক ও শান্ত হত্যার বিচার, ক্ষতিপূরণ ও শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে আহত চুয়েট ছাত্র হিমুর সকল চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে; চট্টগ্রাম কাপ্তাই মহাসড়কে শাহ আমানত ও এবি ট্র্যাভেলসসহ সকল লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করতে হবে; চুয়েটে বাস পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে হবে এবং আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ অক্সিজেন সিলিন্ডার সমৃদ্ধ চুয়েট অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে; চুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ সব দাবি লিখিতভাবে আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং আন্দোলন চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের পাশাপাশি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাজা আদায় করা হয়। এবং দুপুর ৩টায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে শিক্ষার্থীদের। উল্লেখ্য, সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর সংবাদে চুয়েট শিক্ষার্থীরা শাহ আমানতের তিনটি বাস ভাঙচুর এবং ১টি বাসে আগুন দেন। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

আবারও নরওয়েতে চুয়েট শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ
নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ পাচ্ছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আবেদনের শেষ সময় চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল। চুয়েট ও এগডার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলাবোরেশানে পরিচালিত চলমান কেয়ার প্রকল্পের আওতায় এবার দ্বিতীয় মেয়াদে শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। গত ২৭ মার্চ চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত ২টি বিজ্ঞপ্তিতে দুই বছর মেয়াদী মাস্টার্স ইন রিনিউবেল এনার্জি প্রোগ্রাম এবং পাঁচ মাস মেয়াদি গবেষণা/কোর্স ওয়ার্কের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়।  বিশ্ববিদ্যালয়ের  যন্ত্রকৌশল বিভাগ এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন অথবা ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে স্নাতক তত্ত্বীয় কোর্স এবং ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্নকৃত শিক্ষার্থীরা ২ বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামে শিক্ষাবৃত্তির জন্য  আবেদন করতে পারবেন।  এ ছাড়াও  নরওয়েতে এক সেমিস্টার অধ্যয়নের নিমিত্তে (সম্ভাব্য সময় আগস্ট-ডিসেম্বর ২০২৪) চুয়েট এর যন্ত্রকৌশল বিভাগ, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত পিএইচডি/মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষার্থীরা পাঁচ মাসের গবেষণা /কোর্স ওয়ার্কের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন সংযুক্ত ছক মোতাবেক আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, ই-মেইলঃ [email protected] বরাবর পাঠানোর জন্য বলা হয়। আবেদন পত্রের বিষয় Thesis/Course Work-NAME-DEPARTMENT/INSTITUTE এই Format এ একটা Single PDF File এ জমা দিতে বলা হয়েছে। এ শিক্ষাবৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থী বিনা খরচে পড়ার পাশাপাশি প্রতি মাসে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে ১২৬০০ নরওয়েজিনার ক্রোনার প্রাপ্ত হবেন।  প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম জানান, ‘দুই বছর মেয়াদি কোর্সের জন্য ২-৩ জনকে নির্বাচন করা হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ মাস্টার্স কোর্স নরওয়েতেই সম্পন্ন করবেন। আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে সিজিপিএ ৪ স্কেলে ন্যূনতম ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে।’ তিনি জানান, ‘শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের সিজিপিএ, ইন্টারভিউ পারফরমেন্স ইত্যাদি বিবেচনা করা হবে। পাঁচ মাস মেয়াদি (এক সেমিস্টার) মাস্টার্স কোর্সে ৪-৫ জন শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। এ ক্ষেত্রে মাস্টার্সের অবশিষ্ট ৩ সেমিস্টার চুয়েটে সম্পন্ন করবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা চূড়ান্তভাবে ২৪ এপ্রিল এগডার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
২৮ মার্চ, ২০২৪

নির্মাণের দেড় বছর পরেও চালু হয়নি চুয়েট জিমনেসিয়াম
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন জিমনেসিয়াম। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবরে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ১৫ জুন তা শেষ হয়। মেয়াদ শেষের ১৫ দিন আগে নির্মাণকাজ শেষ হলেও জিমেনসিয়াম চালু করার কোনো উদ্যোগের দেখা পাওয়া যায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দেড় বছর ধরে অলস পড়ে আছে নির্মিত ভবনটি। জিমনেসিয়ামটি কবে নাগাদ চালু হতে পারে তা জানতে চাইলে চুয়েটের প্রধান প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকৌশল দপ্তরের জায়গা থেকে নির্মাণকাজ শেষ। কিন্তু সেটা চালু করার জন্য আগে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। সেগুলো কেনার পরই জিমনেসিয়ামটি চালু করা সম্ভব হবে।’ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কবে কেনা হবে সেই বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়েটের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তারেকুল আলম বলেন, ‘জিমনেসিয়ামের যন্ত্রপাতির টাকা আমরা নির্মাণকাজের বাজেটের সঙ্গেই প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু সরকার কর্তৃক কম টাকা অনুমোদিত হওয়ায় সবদিক বিবেচনা করে আমরা যন্ত্রপাতি কেনার টাকা সেখান থেকে বাদ দেই। এখন আমরা জিমনেসিয়ামের যন্ত্রপাতির টাকা অন্যান্য রাজস্ব বাজেট থেকে নেওয়ার ব্যবস্থা করব। আমাদের কাছে এ কাজের জন্য টেন্ডারও জমা পড়েছে। সবকিছু যাচাইবাছাই করে শিগগিরই যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা আশা রাখছি আগামী ৬-৭ মাসের মধ্যে জিমনেসিয়ামেরটি চালু করা সম্ভব হবে।’ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিফ সাদমান তানিম জানান, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি জিমনেসিয়াম থাকা বিভিন্ন কারণে অপরিহার্য। প্রথমত, এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শারীরিক সুস্থতার প্রচার করে, তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতায় অবদান রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, একাগ্রতা উন্নত করে এবং একাডেমিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়। আর চুয়েট ক্যাম্পাসে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জিমনেশিয়াম থাকার পরেও এর কোনো কার্যক্রম নেয়। অবিলম্বে এটি খোলা ছাত্রদের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ উল্লেখ্য যে শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা আর খেলাধুলার জন্যে নির্মিত এ জিমনেসিয়ামটির বাজেট ছিল ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আধুনিক শরীরচর্চার যন্ত্রপাতি ছাড়াও ইনডোর বিভিন্ন গেমসের ব্যবস্থা থাকার কথা রয়েছে চুয়েটের নবনির্মিত জিমনেসিয়ামটিতে।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচিত করতে চাই : চুয়েট উপাচার্য
দেশের উন্নতি অগ্রগতির পথে যেসব অপশক্তি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আমরা তাদের ধিক্কার জানাই। ১৯৭১ সালে ছাত্রসমাজ যেভাবে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল আমাদেরও এভাবে অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। আমরা আগামী নির্বাচনে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে আবারও প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচিত করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে এবং সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) শাখার কর্মিসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। সভায় অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আবু সাঈদ কনক, এনামুল হক তানান, জাকারিয়া দস্তগীর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুসান্না আল গালিব, সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান, কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক সাফওয়ান চৌধুরী ও উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজিবুল বাশার। কর্মিসভায় নেতাকর্মীরা চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন এবং শাখার কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য নানা দিকনির্দেশনা দেন।  কর্মিসভায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা অক্টোবর মাসের মধ্যে চুয়েট ছাত্রলীগের নতুন কমিটি প্রদান এবং চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষপদ প্রত্যাশী ২১ ছাত্রনেতার জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণের বিষয় নিশ্চিত করেন।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩

চুয়েট ক্যাম্পাসে বেপরোয়া গতির অটোরিকশায় দুর্ঘটনা বাড়ছে
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) কোনো রকমের নিয়মনীতি না মেনে বেপরোয়া গতিতে চলে অটোরিকশা। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহনাজ তাসনিম নিঝুম। রিকশাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর থেকে টিএসসির দিকে বাক নেওয়ার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন। এতে তার হাতে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম হয়। একসঙ্গে রিকশায় থাকা তার সহপাঠী মুমতাহিনা আনিতা বলেন, এসময় চালককে রিকশা থামাতে বললেও অতিরিক্ত গতির কারণে রিকশা থামাতে পারেননি চালক। বরং ছিটকে যাওয়া শিক্ষার্থীর হাতের ওপর দিয়েই রিকশা উঠিয়ে দেন। তারপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় চুয়েট মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায় তার সহপাঠীরা। মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার হাতে ৪টি সেলাই দিতে হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, বারবার রিকশার গতি কমাতে বললেও চালক শোনেননি। আমার হাতে ৪টি সেলাই দিতে হয়েছে। হাতের ওপর রিকশা তুলে দেওয়ায় হাত থেঁতলে যায়। বেপরোয়া গতিতে রিকশা চালানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশহার ইনতেযাম তাহবির বলেন, ক্যাম্পাসে দিন দিন রিকশাগুলো আতঙ্ক তৈরি করছে। রিকশাচালকরা নিয়মের তোয়ক্কাই করে না। তারা যেভাবে গাড়ি চালায় তাতে যে কোনো সময় মারাত্মক অঘটন ঘটে যেতে পারে। তা ছাড়া এরা অতিরিক্ত ভাড়াও দাবি করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা শাখার প্রধান অধ্যাপক ড. আশুতোষ সাহা বলেন, চলতি বছরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রিকশা চালকদের জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রশাসন। এতে ভাড়া নির্ধারণসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ও জোরদার করা হয়। শিক্ষার্থী আহত হওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা নিশ্চিতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং আগামী রোববারের মধ্যে এসব চালকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X