চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) কোনো রকমের নিয়মনীতি না মেনে বেপরোয়া গতিতে চলে অটোরিকশা। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহনাজ তাসনিম নিঝুম। রিকশাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর থেকে টিএসসির দিকে বাক নেওয়ার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন। এতে তার হাতে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম হয়।
একসঙ্গে রিকশায় থাকা তার সহপাঠী মুমতাহিনা আনিতা বলেন, এসময় চালককে রিকশা থামাতে বললেও অতিরিক্ত গতির কারণে রিকশা থামাতে পারেননি চালক। বরং ছিটকে যাওয়া শিক্ষার্থীর হাতের ওপর দিয়েই রিকশা উঠিয়ে দেন। তারপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় চুয়েট মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায় তার সহপাঠীরা। মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার হাতে ৪টি সেলাই দিতে হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, বারবার রিকশার গতি কমাতে বললেও চালক শোনেননি। আমার হাতে ৪টি সেলাই দিতে হয়েছে। হাতের ওপর রিকশা তুলে দেওয়ায় হাত থেঁতলে যায়।
বেপরোয়া গতিতে রিকশা চালানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশহার ইনতেযাম তাহবির বলেন, ক্যাম্পাসে দিন দিন রিকশাগুলো আতঙ্ক তৈরি করছে। রিকশাচালকরা নিয়মের তোয়ক্কাই করে না। তারা যেভাবে গাড়ি চালায় তাতে যে কোনো সময় মারাত্মক অঘটন ঘটে যেতে পারে। তা ছাড়া এরা অতিরিক্ত ভাড়াও দাবি করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা শাখার প্রধান অধ্যাপক ড. আশুতোষ সাহা বলেন, চলতি বছরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রিকশা চালকদের জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রশাসন। এতে ভাড়া নির্ধারণসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ও জোরদার করা হয়। শিক্ষার্থী আহত হওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা নিশ্চিতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং আগামী রোববারের মধ্যে এসব চালকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন