চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন জিমনেসিয়াম। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবরে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ১৫ জুন তা শেষ হয়। মেয়াদ শেষের ১৫ দিন আগে নির্মাণকাজ শেষ হলেও জিমেনসিয়াম চালু করার কোনো উদ্যোগের দেখা পাওয়া যায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দেড় বছর ধরে অলস পড়ে আছে নির্মিত ভবনটি।
জিমনেসিয়ামটি কবে নাগাদ চালু হতে পারে তা জানতে চাইলে চুয়েটের প্রধান প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকৌশল দপ্তরের জায়গা থেকে নির্মাণকাজ শেষ। কিন্তু সেটা চালু করার জন্য আগে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। সেগুলো কেনার পরই জিমনেসিয়ামটি চালু করা সম্ভব হবে।’
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কবে কেনা হবে সেই বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়েটের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তারেকুল আলম বলেন, ‘জিমনেসিয়ামের যন্ত্রপাতির টাকা আমরা নির্মাণকাজের বাজেটের সঙ্গেই প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু সরকার কর্তৃক কম টাকা অনুমোদিত হওয়ায় সবদিক বিবেচনা করে আমরা যন্ত্রপাতি কেনার টাকা সেখান থেকে বাদ দেই। এখন আমরা জিমনেসিয়ামের যন্ত্রপাতির টাকা অন্যান্য রাজস্ব বাজেট থেকে নেওয়ার ব্যবস্থা করব। আমাদের কাছে এ কাজের জন্য টেন্ডারও জমা পড়েছে। সবকিছু যাচাইবাছাই করে শিগগিরই যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা আশা রাখছি আগামী ৬-৭ মাসের মধ্যে জিমনেসিয়ামেরটি চালু করা সম্ভব হবে।’
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিফ সাদমান তানিম জানান, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি জিমনেসিয়াম থাকা বিভিন্ন কারণে অপরিহার্য। প্রথমত, এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শারীরিক সুস্থতার প্রচার করে, তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতায় অবদান রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, একাগ্রতা উন্নত করে এবং একাডেমিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়। আর চুয়েট ক্যাম্পাসে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জিমনেশিয়াম থাকার পরেও এর কোনো কার্যক্রম নেয়। অবিলম্বে এটি খোলা ছাত্রদের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখ্য যে শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা আর খেলাধুলার জন্যে নির্মিত এ জিমনেসিয়ামটির বাজেট ছিল ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আধুনিক শরীরচর্চার যন্ত্রপাতি ছাড়াও ইনডোর বিভিন্ন গেমসের ব্যবস্থা থাকার কথা রয়েছে চুয়েটের নবনির্মিত জিমনেসিয়ামটিতে।
মন্তব্য করুন