বৃদ্ধা মাকে বেধড়ক পেটাল ছেলে ও তার বউ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে জমি লিখে না দেওয়ায় বৃদ্ধা মাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছেলে শাহ আলমের বিরুদ্ধে।  শুক্রবার (১০ মে) রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত শাহনাজ খাতুন (৬৭) কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত শাহনাজ খাতুন উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার শহিদুল ইসলাম এবং শাহনাজ খাতুন দম্পতির বড় ছেলে শাহ আলম সামান্য কথাকাটাকাটির জেরে বৃদ্ধ মায়ের কাছ থেকে তারই চলাফেরায় ব্যবহৃত হাতের লাঠি কেড়ে নিয়ে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যায়। স্থানীয়রা টের পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।  রোববার (১২ মে) সকালে শাহ আলমের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ঘর থেকে বের করে দিতে চায়। জমিজমা ও টাকা তার ছোট ছেলে ও তার মেয়েকে দিয়ে দিয়েছেন। আমার স্বামী ঋণ করে ঘর তৈরি করে দিয়েছে। সেই ঘর থেকে তারা এখন আমাদের বের করে দিতে চায়। এটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছে। গত শুক্রবার দুপুরে এ বিষয়গুলো নিয়ে আবারও কথাকাটাকাটি হয়। তখন আমার স্বামী তাকে ধাক্কা দেয় এবং আমার শ্বাশুড়িকে মারপিট করে। তবে আমি শ্বাশুড়িকে মারপিট করিনি। উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরহাদুল ইসলাম হ্যাপি বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাকে এখনো জানায়নি। আপনাদের মাধ্যমেই শুনলাম। আমি হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নেব। ঘটনা সত্য হলে এই ছেলে ও তার স্ত্রীর বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিথিলা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার বিকেলে জরুরি বিভাগে শাহনাজ খাতুনকে নিয়ে আসলে আমরা তার মাথায় ৪টা সেলাই দিই এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হয়। কামারখন্দ থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।  
১২ মে, ২০২৪

ছিনতাইয়ে যুবলীগ নেতার ছেলে
৮ এপ্রিল, বুধবার; বিকেল আনুমানিক ৪টা। ফুডপান্ডার খাবার পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন ডেলিভারি বয় জহিরুল ইসলাম। এমন সময় তার পথ আটকান এক যুবক। চাপাতি ঠেকিয়ে সঙ্গে যা আছে দিতে বলা হয়। জহিরুল অস্বীকৃতি জানালে শুরু হয় এলোপাতাড়ি কোপ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জহিরুল। লুটে নেয় সঙ্গে থাকা মোবাইল এবং পাওয়ার ব্যাংক। পাশেই অটো নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন স্থানীয় আদাবর থানা যুবলীগের সহসভাপতি বাচ্চু মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন। সর্বস্ব লুটে নিয়ে মেহেদি যাওয়ার পরেই অটোতে করে পালিয়ে যায় দুই ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হলে দুই ছিনতাইকারীকে ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার নবোদয় হাউজিংয়ের বি-ব্লক রোডের এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে কালবেলার হাতে। তাতে দেখা যায়, বাইসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন ফুডপান্ডার ডেলিভারি বয় জহিরুল। পরনে ছিল কালো রঙের একটি গেঞ্জি এবং মাথায় ক্যাপ। কিছুদূর গিয়ে একটি বাসার সামনে দাঁড়াতেই পেছন থেকে আসে মেহেদি নামে ওই যুবক। চাপাতি উঁচিয়ে সঙ্গে থাকা সবকিছু দিয়ে দিতে বলে জহিরুলকে। এর কয়েক সেকেন্ড পরই এলোপাতাড়ি কোপাতে দেখা যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মতিউর রহমান বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১১ মে, ২০২৪

মাছ বিক্রি করে এসে ছেলে দেখল বাবা নেই
বাবা-ছেলে মিলে মাছ ধরে তা বিক্রি করতে গিয়েছিল ছেলে। পরে ফিরে দেখে তার বাবা নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পরদিন জাল টানলে নদী থেকে তার বাবার মরদেহ পাওয়া যায়। শুক্রবার (১০ মে) সকালে নওগাঁর রাণীনগরে নদীর দহ (গভীরতম স্থান) থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আনছার আলী (৬৯)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে। পেশায় তিনি জেলে ছিলেন। মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২-৩ দিন ধরে জেলে আনছার ও তার ছেলে ছোট যমুনা নদীর আতাইকুলা এলাকায় দয়া পালের দহে মাছ ধরছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও বাবা-ছেলে মাছ ধরছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আনছারের ছেলে মাছ বিক্রির জন্য বেতগাড়ি বাজারে যান। আর আনছার দহেই ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আনছারের জন্য খাবার নিয়ে যায় তার ছেলে। এ সময় বাবাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে ওই দহের পানিতে জাল টানলে জেলে আনছারের মৃতদেহ পাওয়া যায়। রাণীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী মাসুদ বলেন, ওই জেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। নিহতের পরিবার দাবি করেছেন আনছার দীর্ঘদিন ধরে মৃগী রোগে ভুগছিলেন এবং নদীর দহের পানিতে ডুবে তিনি মারা গেছেন। তাই পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১০ মে, ২০২৪

‘আমার ছেলে কই, আমি আছি আমার ছেলে তো নেই’
‘আমার ছেলে কই, আমি আছি আমার ছেলে তো নেই’ এভাবেই বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন নিহত বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের মা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে মানিকগঞ্জে আসিমের বাসায় এ দৃশ্য দেখা যায়। নিহত আসিম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তার বাবা আমান উল্লাহ একজন চিকিৎসক। তার মা নিলুফা খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। তারা গত ৩ বছর ধরে শহরের গোল্ডেন টাওয়ারে নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকেন। চাকরির কারণে আসিম তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন। তাদের ছয় বছরের একটি কন্যা ও এক বছরের ছেলে রয়েছে। আসিমের মানিকগঞ্জের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ‘একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বিলাপ করছেন মা। বলছেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন ফোন করে আমাকে খাবারের কথা মনে করে দেয়। কিন্তু আজ এখন পর্যন্ত কোনো ফোন করেনি। কখন আসবে আসিমের ফোন। বাড়িতে এত লোক কেন। আমার ছেলে কই, আমি আছি আমার ছেলে তো নেই।’ আসিমের খালাত ভাই মশিউর রহমান জানান, আসিম ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করেন। তিনি ২০১১ সালে বিমানবাহিনীতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড় ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমান বিধ্বস্তের আগে নিরাপদেই প্যারাসুট দিয়ে নেমে পড়েন পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ। কিন্তু সাহসী এই বীরকে বাঁচানো যায়নি। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এ সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে আসেন।
০৯ মে, ২০২৪

ছেলে কথা না রাখায় অভিমানে বাবা-মায়ের বিষপান
নাটোরের গুরুদাসপুরে এনজিওর ঋণ ও সুদ কারবারিদের চাপে ছেলের ওপর অভিমান করে বাবা-মা এক সঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  গুরুতর আহত দুজন হলেন- বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল গ্রামের বাসিন্দা মো. আলম শেখ (৬০) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০)।  আলম শেখের মেয়ে আলপনা আক্তার কালবেলাকে বলেন, দেড় বছর আগে বাড়ির ভিটাসহ দেড় বিঘা জমি তার ভাই সবুজ হোসেনের নামে লিখে দেন বাবা আলম শেখ। শর্ত ছিল ৩টি এনজিও ও সুদ কারবারিদের কাছ থেকে নেওয়া ৫ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধ করবেন সবুজ। কিন্তু তিনি ঋণের টাকা শোধ করেননি। উল্টো সবুজের স্ত্রী বাবা-মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৬ মে) কিস্তির টাকার জন্য এনজিও কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে চাপ দেন। পারিবারিক কলহ আর ঋণের চাপে আজ সকালে ঘরে এক সঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছেলে সবুজ হোসেন বলেন, ৬৬ শতাংশ জমি বাবার কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ টাকায় কিনেছি। এখনও আমার আয়েই তাদের ভরণপোষণ চলে। এনজিওর ২ লাখ ও সুদের ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পাওনাদারদের চাপে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তারা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক স্নিগ্ধা আক্তার জানান, জমিতে ব্যবহার করা কীটনাশক পান করে হাসপাতালে এসেছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে স্বামী-স্ত্রীকে। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নাজমা বেগমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

টানা তিনবার লন্ডনের মেয়র হয়ে বাসচালকের ছেলের চমক
টানা তিনবার লন্ডনের মেয়র হয়েছেন সাদিক খান। এ জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করেছেন তিনি। সাদিক খান লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন। ২০১৬ সালে প্রথম মেয়র হয়েছিলেন তিনি। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের খবর হলো সাদিক খানের বাবা ছিলেন একজন বাসচালক। তিনি পাকিস্তানি বংশোউদ্ভূত।  রোববার (০৫ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরাধ দমন ও বিশুদ্ধ বায়ুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনে ৪৩ দশমকি ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সাদিক খান। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৩২ দশমকি ৭ শতাংশ ভোট। তিনি নির্বাচনী ১৪টি এলাকার মধ্যে ৯টিতেই বিজয়ী হয়েছেন।  বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর শুক্রবার থেকে ভোটগণনা করা হয়। শনিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায় সাদিক খান পেয়েছেন ১০ লাখ ৮৮ হাজার ২২৫ ভোট। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছেন ৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৮ ভোট।  সাদিক খান ১৯৭০ সালের ৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের দুই বছর আগে বাবা মা পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। বাবা ছিলেন পেশায় বাসচালক আর মা দর্জির কাজ করতেন।  সাত ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম।  আলোচিত এ রাজনীতিবীদ ইউনিভার্সিটি অব নর্থ লন্ডন থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। অল্প বয়সেই লেবার পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি।  মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রথম জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৪ সালে লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থ বারার কাউন্সিলর হয়েছিলেন তিনি। ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন  এবং টুটিং আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।  সাদিক খান ২০০৮ সালে গর্ডন ব্রাউন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে স্থানীয় সরকারের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি এবং পরে যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ ছাড়া বিরোধী দল থেকে তিনি বিচারবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী, ছায়া অর্থমন্ত্রী ও লন্ডনবিষয়ক ছায়া মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। এরপর ২০১৬ সালে লন্ডনের মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।  আলোচিত এ রাজনীতিবীদের খেলাধুলা নিয়েও আগ্রহ রয়েছে। ফুটবল ক্রিকেট এবং বক্সিং তার পছন্দের খেলা। ২০১৪ সালে তিনি লন্ডন ম্যারাথনের অংশ নেন। এছাড়া ২০১৮ সালের টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় জায়গা করে নেন তিনি। 
০৫ মে, ২০২৪

জ্যামিতির কম্পাস দিয়ে শিক্ষক বাবাকে মেরেই ফেলল ছেলে
জ্যামিতি বক্সের কম্পাসের আঘাতেই জীবন গেল স্কুল শিক্ষক মজিবুর রহমান পান্নার। কম্পাস দিয়ে কলেজ পড়ুয়া ছেলে মারুফ আহম্মেদ রাব্বি এলোপাতাড়ি বুকে আঘাত করায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বাবার দ্বিতীয় বিয়ে এবং মায়ের ওপর হওয়া অত্যাচার মেনে নিতে না পেরে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি। ছেলের হাতে বাবার এমেন মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার পূর্ব ভালুকার কোনাপাড়া এলাকায়। নিহত মজিবুর রহমান পান্না ওই এলাকার মৃত সালামত শেখের ছেলে। তিনি স্থানীয় মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর অভিযুক্ত রাব্বি, মজিবুর রহমান পান্নার প্রথম স্ত্রীর সন্তান। স্থানীয়রা জানান, মজিবুর রহমান পান্না দ্বিতীয় বিয়ে করায় অনেক দিন থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরেও সেখানে যাতায়াত থাকায় ক্ষুব্ধ ছেলে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বাবাকে আঘাত করে। ভালুকা ইউ‌নিয়ন প‌রিষদের চেয়ারম‌্যান মো. শিহাব আমিন খান বলেন, এ ঘটনাটি হয়তো তার পারিবারিক কোনো কলহের কারণে ঘটেছে। তারা যেন সঠিক বিচার পায় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করছি। এদিকে ছেলের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় হত্যা দায়ের করেছেন মা রোকেয়া আক্তার। ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, ঘটনার পরপরই ছেলে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সে একটি জ্যামিতি বক্সের কম্পাস দিয়ে তার পিতাকে আঘাত করে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামি তার দোষ স্বীকার করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, পারিবারিক কলহ যে হত্যা পর্যন্ত পৌছাবে তা কেউই ভাবতে পারেননি। প্রতিদিনের মতো বিষয়টি ঝগড়াঝাটি পর্যন্তই থাকবে বলে মনে করেছিল প্রতিবেশিরা।
০৪ মে, ২০২৪

সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে বাবাকে পিটিয়ে মারল ছেলে
এই দৃশ্য দেখে যে কারও গা শিউরে উঠবে। বেঞ্চে বসে থাকা বয়স্ক বাবার ওপর নির্দয়, পাশান ছেলে ঝাঁপিয়ে পড়ে; চোর পেটানোর মতো বাবাকে ইচ্ছেমতো কিলঘুষি মারতে থাকে। যে সন্তানকে কোলেপিঠে করে বড় করা সেই সন্তানের এমন হিংস্রতায় নির্বাক বাবা। একটু বাধাও দেননি তিনি। টানা এক মিনিট ধরে কিলঘুষি দিয়েও গায়ের জ্বালা মেটেনি সন্তানের। তাইতে দৌড়ে গিয়ে আবারও বাবার বুকে লাথি মেরে বসেন। আদরের সন্তানের দ্বারা বাবার ওপর এমন নির্যাতনের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এতে দেখা যায়, ক্ষিপ্ত সন্তানকে ঠেকিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন একজন। এ সময় বেঞ্চে বসে থাকা নির্যাতনের শিকার বাবা ধীরে ধীরে ঢুলে পড়েন বেঞ্চের ওপর। এই দৃশ্য দেখে দৌড়ে আসেন দুজন। ধরে বসানোর চেষ্টা করেন তাকে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এর কয়েক দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ঘটনা ভারতের তামিল নাড়ুর পেরামবালুর। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, গেল ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার সন্তান সন্তোষের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন বাবা। জানা গেছে, বিপুল সম্পদের মালিক ছিলেন, ৬৫ বছর বয়সী কুলন্ধাইভেলু নামের ওই ব্যক্তি। নিজ মালিকানায় ছিল কোম্পানিও। অবশেষে এই সম্পদই কাল হয় তার। সম্পদের ভাগাভাগি নিয়ে বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ছেলে। রোমহর্ষক এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় প্রথমে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তবে তা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে বৃদ্ধের মৃত্যুর পর আবার সন্তোষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধা বাবার ঋণ পরিশোধে কিডনি বিক্রি করতে চান ছেলে
পিতার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে নিজের একটি কিডনি স্বেচ্ছায় বিক্রি করতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র  দিনমজুর ছেলে। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল গ্রামের বাসিন্দা মো. নাসির তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এ পোস্টটি করেন। ঘটনার বিস্তারিত জানতে নাসিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালবেলাকে জানান, আমার দিনমজুর পিতা মো. নুরুল ইসলাম ছিলেন রনাঙ্গন কাঁপানো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার গেজেট নাম্বার-৩৪৯৩। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অনেক পদক পেয়েছেন তিনি। তিনি গৌরনদী সোনালী ব্যাংক থেকে সরকারি ভাতাও উত্তোলন করতেন। মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে আমার পিতার বাবার অর্থাৎ আমার দাদার নাম ভুলবসত আমজেদ আলী হাওলাদারের পরিবর্তে মৃত মোসলেম উদ্দিন মুন্সী লেখা হয়। ২০১৮ সালে ভুল সংশোধনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে আমার পিতা আবেদন করেন। তার জীবদ্দশায় ভুল সংশোধন করে যেতে পারেননি। এরই মধ্যে ২০২০ সালে তিনি মারা যান। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। পিতা নুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর সমাজসেবা অফিসে এমআইএস সংশোধন করতে গিয়ে দেখি আমার পিতার ছবির জায়গায় অন্য একজনের ছবি। এতে আমার সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ছবির ওই ব্যক্তি মুলাদী উপজেলার মধ্য গাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে গৌরনদীর সরিকল নিজাম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক। তার নাম নুরুল ইসলাম এবং তার বাবার নাম মৃত মোসলে উদ্দিন। এরপর এমআইএস ফরম সংশোধনের জন্য ২০২১ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আমি লিখিত আবেদন করি।  আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি নিয়ে শুনানির জন্য আমাকে এবং মুলাদীর নুরুল ইসলামকে তার অফিস কক্ষে হাজির হতে বলেন। পরবর্তীতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস। ওই শুনানিতে মুলাদীর নুরুল ইসলাম ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হন। একপর্যায়ে সে (মুলাদীর নুরুল ইসলাম) ইউএনও’র কাছে মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু মুলাদীর ওই নুরুল ইসলাম প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে স্থানীয় কিছু অসৎ মুক্তিযোদ্ধার যোগসাজশে ফের পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন করেন। সম্প্রতি উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধার ছেলে নাসির অভিযোগ করে বলেন, মুলাদীর নুরুল ইসলামের বাড়ি মুলাদী উপজেলায়। নিয়ম অনুযায়ী, তার গেজেট হবে মুলাদীতে। কিন্তু ওই নুরুল ইসলাম মুলাদীতে গেজেট না করে আমার পিতার নামের সঙ্গে তার নামের মিল থাকায় বিভিন্ন জালজালিয়াতির মাধ্যমে আমার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পিতার গেজেট দিয়ে সে  নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আসছে।  তিনি আরও বলেন, আমার পিতা মৃত্যুর আগে সোনালী ব্যাংক গৌরনদী শাখা থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ উত্তোলণ করেন। ব্যাংক দুই লাখ তেতাল্লিশ হাজার টাকা আমার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পিতার কাছে পাওনা রয়েছে। ওই ঋণের জামিনদার ছিলাম আমি। সে হিসেবে ব্যাংক থেকে আমার নামে নোটিশ দিয়েছে। সময়মতো টাকা দিতে না পারলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। মুলাদীর ওই নুরুল ইসলামের কারণে আমার পিতার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তিনবছর যাবত বন্ধ। এ নিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন অফিসে দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। বর্তমানে স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে মানববেতর জীবনযাপন করছি। আমার এমন কোনো সম্পদ নেই যা দিয়ে পিতার ঋণ পরিশাধ করব। তাই স্বেচ্ছায় একটি কিডনি বিক্রির জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন, আবুল কাসেম ও মতিউর রহমানসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধারা জানান, সরিকলের মৃত নুরুল ইসলাম একজন প্রকৃত ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার মৃত্যুর পর মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম সরিকলের মৃত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের গেজেট ব্যবহার করে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আসছে। এ জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ ভাতা স্থগিত রয়েছে। ফলে মৃত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের ছেলে নাসির মানববেতর জীবনযাপন করছে। মৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার যাতে ভাতা উত্তোলন করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তারা। সরিকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন মোল্লা বলেন, নাসিরের পিতা নুরুল ইসলাম একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দীর্ঘদিন থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ থাকায় অসহায় ওই পরিবারটি চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন। কখনো শুনিনি নিজাম উদ্দিন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক মুলাদীর বাসিন্দা নুরুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এখন তিনি কীভাবে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করছেন তা জানা নেই। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক ও মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম নিজেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে গেজেটে ৩৪৯৩ নম্বরটি তার বলে দাবি করেছেন। গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু আবদুল্লাহ খান জানান, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। নাসিরকে যাতে ব্যাংক থেকে চাপ প্রয়োগ করা না হয় এজন্য ম্যানেজারকে বলে দেওয়া হয়েছে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

অভিষেকেই বাবার মুখোমুখি ছেলে
বাংলাদেশের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই তাকে গুরু মানেন। দেশসেরা এই কোচ একাডেমি, বিপিএল, ডিপিএলে নিয়মিত কোচিং করান। দেশের অনেক ক্রিকেটার গড়ার এই কারিগর সালাউদ্দিনের ছেলেও আবার ক্রিকেটার। সালাউদ্দিনের ছেলে নুহায়েল সানদিদ আবার বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বিরল এক ক্রিকেটার। বাঁ-হাতি লেগ স্পিনার বা চায়নাম্যান বোলার তিনি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অভিষেক হলো তার। সেই অভিষেকও আবার তার বাবার দলের বিপক্ষেই হলো। প্রতিপক্ষ দলের হলেও সালাউদ্দিন নিজেই ছেলের মাথায় প্রিমিয়ার লিগ অভিষেকের ক্যাপ তুলে দিয়েছেন। এবারের ডিপিএলে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের দল প্রাইম ব্যাংকের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। অন্য দিকে সানদিদ গাজী টায়ার্স একাডেমির খেলোয়াড়। গাজী টায়ার্সের হয়েই অভিষেক হলো দেশের প্রেক্ষিতে বিরল এই বাঁ-হাতি লেগ স্পিনারের। বাংলাদেশ ক্রিকেটেও বাবা-ছেলের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না।  সানদিদ অবশ্য ক্রিকেটে নতুন নন। এর আগেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন। গাজী টায়ার্সও এবারই প্রথম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে জায়গা পেয়েছে। সানদিদ তার দলের হয়ে প্রথম বিভাগে খেলে আলোও কেড়েছেন। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে এক ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। 
১৮ এপ্রিল, ২০২৪
X