নাটোরের গুরুদাসপুরে এনজিওর ঋণ ও সুদ কারবারিদের চাপে ছেলের ওপর অভিমান করে বাবা-মা এক সঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত দুজন হলেন- বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল গ্রামের বাসিন্দা মো. আলম শেখ (৬০) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০)।
আলম শেখের মেয়ে আলপনা আক্তার কালবেলাকে বলেন, দেড় বছর আগে বাড়ির ভিটাসহ দেড় বিঘা জমি তার ভাই সবুজ হোসেনের নামে লিখে দেন বাবা আলম শেখ। শর্ত ছিল ৩টি এনজিও ও সুদ কারবারিদের কাছ থেকে নেওয়া ৫ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধ করবেন সবুজ। কিন্তু তিনি ঋণের টাকা শোধ করেননি। উল্টো সবুজের স্ত্রী বাবা-মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৬ মে) কিস্তির টাকার জন্য এনজিও কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে চাপ দেন। পারিবারিক কলহ আর ঋণের চাপে আজ সকালে ঘরে এক সঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছেলে সবুজ হোসেন বলেন, ৬৬ শতাংশ জমি বাবার কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ টাকায় কিনেছি। এখনও আমার আয়েই তাদের ভরণপোষণ চলে। এনজিওর ২ লাখ ও সুদের ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পাওনাদারদের চাপে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক স্নিগ্ধা আক্তার জানান, জমিতে ব্যবহার করা কীটনাশক পান করে হাসপাতালে এসেছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে স্বামী-স্ত্রীকে। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নাজমা বেগমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন