ধাক্কা দিয়ে ৭০ লাখ টাকা ছিনতাই
মালিকের ব্যবসার টাকা নিয়ে রাজধানীর বাদামতলী থেকে তাঁতীবাজার যাচ্ছিলেন কর্মচারী মহিউদ্দীন। তার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে ছিল ব্যবসার ৭০ লাখ টাকা। ইসলামপুর রোডের নবরায়ন গলির মুখে পৌঁছালে মহিউদ্দীনকে ধাক্কা দেয় একজন। উল্টো কেন তাকে ধাক্কা দেওয়া হলো—এ নিয়ে মহিউদ্দীনকে জিজ্ঞেস করে ওই ব্যক্তি। দুঃখিত বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মহিউদ্দীন। কিন্তু ততক্ষণে ছয়-সাতজন ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে; ছিনিয়ে নেয় কাঁধে থাকা টাকাভর্তি ব্যাগ। এরপর গলি ধরে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে এ অভিনব কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওইদিনই ব্যবসায়ী আকিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর ছিনতাইকারীরা কেউ গ্রেপ্তার না হলেও তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মো. মাহবুব-উজ-জামান। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তিনি কালবেলাকে বলেন, কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই এতগুলো টাকা এক জায়গা থেকে অন্যত্র নেওয়া হচ্ছিল। পথে কর্মচারী মহিউদ্দীনকে মারধর করে টাকাগুলো ছিনিয়ে নিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছয়-সাতজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেপ্তার ও ছিনতাই হওয়া টাকাগুলো উদ্ধারে একাধিক টিম কাজ করছে। ব্যবসায়ী আকিদুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁতীবাজারে ‘মা বুলিয়ান অ্যান্ড সিলভার হাউস জুয়েলার্সে’র মালিক তিনি। বাদামতলীতে পার্টনারশিপে তার ফলের ব্যবসা রয়েছে। তার পার্টনাররা হলেন জিয়া ও রাকিব। আকিদুলের অনুপস্থিতিতে ম্যানেজার দিদারুল ইসলাম ব্যবসা পরিচালনা করেন। আকিদুল দোকানে আসেন, হিসাবনিকাশ করে আবার চলে যান। ম্যানেজারের নির্দেশে ব্যবসার টাকা আনা-নেওয়া করেন কর্মচারী মহিউদ্দীন। ঘটনার দিনও বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আকিদুলের ব্যবসায়িক পার্টনার জিয়ার অফিসে টাকা আনার জন্য যান মহিউদ্দীন। বাদামতলী ঢাকা ব্যাংকের পাশে খেজুর গলি মতলা এন্টারপ্রাইজের দ্বিতীয় তলায় জিয়ার অফিস। মহিউদ্দীনকে ৭০ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেন জিয়া। এরপর সঙ্গে থাকা স্কুল ব্যাগে ৭০ লাখ টাকা নিয়ে হেঁটে রওনা হন মহিউদ্দীন। আকিদুল জানান, ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে ইসলামপুর রোডের নবরায়ন গলির মুখে পৌঁছালে অজ্ঞাতপরিচয় এক দুষ্কৃতকারী প্রথমে মহিউদ্দীনকে ধাক্কা দিয়ে উল্টো সেই ব্যক্তি তাকে বলে যে ভাই ধাক্কা দিলেন কেন? তখন মহিউদ্দীনের সন্দেহ হয় এখানে কিছু একটা হতে পারে। এজন্য তিনি নিজে থেকে দুঃখিত বলে পাশ কেটে চলে আসার চেষ্টা করেন। ঠিক ওই মুহূর্তে আরও ছয়-সাতজন অতর্কিতভাবে তাকে মারধর করে তার ডান চোখের ওপর গুরুতর জখম করে। তার কাছে থাকা ব্যাগভর্তি ৭০ লাখ টাকা জোর করে ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীরা নবরায়ন গলি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মহিউদ্দীন স্থানীয়দের সহায়তা চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি বলে জানান আকিদুল। তিনি জানান, কারও কোনো সহায়তা না পেয়ে মহিউদ্দীন দৌঁড়ে বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যান এবং পুলিশকে বিস্তারিত জানান। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ বিভিন্ন জায়গার সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে। দোকান কর্মচারী মহিউদ্দীনের বরাতে আকিদুল জানান, দুষ্কৃতকারীদের বয়স অনুমান ২০-৫০ বছর। তারা পুরান ঢাকার ভাষাসহ বিভিন্ন এলাকার আঞ্চলিক ভাষায় গালাগালসহ কথাবার্তা বলছিল। তাদের দুই-তিনজনের মুখে দাড়ি ছিল। আবার কারও মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। টাকার ব্যাগ নিয়ে যে পালিয়ে যায়, তার মাথা টাক। দুজনের বয়স ৪০-৫০ বছর, অন্যদের বয়স ২০-৩০ বছর।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যাংক থেকে কৌশলে গ্রাহকদের টাকা ছিনতাই করেন তারা 
মৌলভীবাজারে ব্যাংক থেকে কৌশলে গ্রাহকদের টাকা ছিনতাই করা একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা গ্রাহকদের টার্গেট করে ব্যাংকে প্রবেশ করত। তারপর নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিত। তাদের কৌশল এতটাই নিখুঁত ছিল যে, কেউ বুঝে উঠতে পারতেন না। ঈদকে কেন্দ্র করে বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকে কর্মব্যস্ত। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই চক্র ছিনিয়ে নিত গ্রাহকের অর্থ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজার শহরের সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসিতে প্রবাস থেকে আসা টাকা তুলতে যান ব্যবসায়ী তানভীর হাবিব চৌধুরী রুমেল। নগদ দুই লাখ টাকা তুলে তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাকে এক হাজার টাকার নোট দেওয়ার জন্য বলেন। ব্যাংক কর্মকর্তা এক হাজার টাকার বান্ডিল দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে ৫০০ টাকা নোটের বান্ডিল প্রদান করেন। তখন কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি রুমেলকে বলেন, তিনি এক হাজার টাকার বান্ডিলে এক্সচেঞ্জ করে দেবেন। টাকা হাতে নেওয়ার পরই রুমেল কিছু সময়ের জন্য নিস্তেজ অনুভব করেন। তখন ওই চক্র নগদ ৮১ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে তিনি মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।  পিবিআই জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. সাদ্দাম ব্যাপারী (৩৫) মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা। ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মামুন মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন তিনি। গত ৯ এপ্রিল রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন কবরস্থান এলাকা থেকে তাকে এবং অপর আসামি খোকন ফকিরকে (৪৫) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঝালকুড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন যে, ২৭ এপ্রিল ঢাকা মেট্রো-গ-১৫-০৪৩৩ গাড়ি দিয়ে মৌলভীবাজার গিয়ে সেন্ট্রাল রোডস্থ ডাচ বাংলা ব্যাংকে প্রতারণা করে ৮১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে আবার ওই গাড়িযোগে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।  বাদী টাকা উত্তোলনের পর ব্যাংকের ক্যাশ শাখা থেকে ৫শ টাকার বান্ডিলের নোটের পরিবর্তে ১ হাজার টাকা নোটের বান্ডিল চাইলে পাশে থাকা প্রতারক চক্রের একজন বাদীকে বলেন, উক্ত আসামি খোকন ফকির এর নিকট ভাংতি টাকা রয়েছে। তিনি চাইলে খোকন ফকিরের নিকট থেকে ভাংতি টাকা নিতে পারবেন। এ সময় খোকন ফকিরসহ অন্যান্য আসামিরা বাদীকে ব্যাংকের ভিতরে বেঞ্চে বসিয়ে খোকন ফকির বাদীর নিকট থেকে ১ হাজার টাকা নোটের একটি বান্ডিল গ্রহণ করেন। খোকন ফকির বাদীকে ৩৮টি ৫শ টাকার নোট দিয়ে গণনা করতে বলেন এবং অন্যান্য আসামিরা সুকৌশলে বাদীর চতুর্দিকে ঘোরাফেরা করে বাদীর সঙ্গে কথা বলে বাদীকে ব্যস্ত রাখে, যেন প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে না পারেন। বাদী টাকা গণনা শুরু করলে আসামিরা দ্রুত ব্যাংক থেকে বের হয়ে গাড়ি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আসামি সাদ্দাম ব্যাপারী গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যায়। সাদ্দাম ব্যাপারীর নিকট থেকে গত ৯ এপ্রিল গাড়িটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন কবরস্থান রোডের মোড় থেকে উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে এই মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। প্রাথমিক তদন্তে অত্র মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিরা প্রতারক চক্রের সদস্য বলে জানা যায়। আসামিদের বিরুদ্ধে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।  পিবিআই মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, একটি বেসরকারি ব্যাংকের নিরাপদ ব্যাস্টনির ভিতরে অবস্থান করে প্রতারক চক্র অভিনব কায়দায় অপরাধ সংঘটিত করেছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত তদন্ত দ্বারা প্রযুক্তিনির্ভর তদন্তের জন্য পিবিআই মৌলভীবাজার মামলাটি অধিগ্রহণ করেছে। 
১০ এপ্রিল, ২০২৪

রায়পুরায় নগদের দুই কর্মীকে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই
নরসিংদীর রায়পুরায় নগদের দুই কর্মীকে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার নরসিংদী-রায়পুরা সড়কের হাসনাবাদ ১০ নম্বর রেল ব্রিজের কাছে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন নগদের নরসিংদী শাখার ক্যাশিয়ার মো. শাহিন মিয়া (২৫) ও সুপারভাইজার দেলোয়ার হোসেন (৫০)। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, নগদের দুই কর্মী নরসিংদী থেকে মোটরসাইকেলে রায়পুরা যাচ্ছিলেন। আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ ১০ নম্বর রেল ব্রিজের কাছে দুর্বৃত্তরা তাদের পথরোধ করে। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা নগদের দুই কর্মীকে গুলি করে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। দেলোয়ারের পেটে ও শাহিনের হাতে গুলি লাগে। পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

প্রকাশ্যে দুজনকে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই
নরসিংদীর রায়পুরায় নগদের দুই কর্মীকে প্রকাশ্যেই গুলি করে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার আমীরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ বাজারের ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন, পলাশ উপজেলার চরনগরদী এলাকার রশিদ পাঠানের ছেলে নগদের সুপারপাইজার দেলোয়ার হোসেন (৫০) ও একই উপজেলার ইছাখালি এলাকার মৃত আমির চাঁন মিয়ার ছেলে নগদের মাঠ কর্মীর শাহিন মিয়া (২৫)।  নগদের নরসিংদী ব্রাঞ্চের ডিস্ট্রিবিউটর শহিদ মিয়া ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগদের নরসিংদী ব্রাঞ্চ থেকে রায়পুরা ব্রাঞ্চে টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন দেলোয়ার ও শাহীন। পথিমধ্যে তারা হাসনাবাদ বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে পৌঁছলে ২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাদের  মোটরসাইকেল রোধ করে। পরে দেলোয়ার পেটে ও শাহীনের হাতে গুলি করে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।  নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুসরাত শারমীন জানান, দুজনকেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যাংকের ভেতর থেকেই গ্রাহকের টাকা ছিনতাই
মৌলভীবাজারে ব্যাংকের ভেতর থেকেই গ্রাহকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) শহরের সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসিতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বুধবার সকালে ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসিতে প্রবাস থেকে আসা টাকা তুলতে যান ব্যবসায়ী তানভীর হাবিব চৌধুরী (রুমেল)। নগদ দুই লাখ টাকা তুলে তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাকে এক হাজার টাকার নোট দেওয়ার জন্য বলেন। ব্যাংক কর্মকর্তা ১ হাজার টাকার বান্ডিল দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে ৫০০ টাকার বান্ডিল দেন।  কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অজ্ঞাত এক ব্যক্তি রুমেলকে ১ হাজার টাকার বান্ডিল এক্সচেঞ্জ করে দেবেন বলে জানান। তখন রুমেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি গুনতে থাকেন। পরে টাকা হাতে নেওয়ার পরই রুমেল কিছু সময়ের জন্য অজ্ঞান অনুভব করেন। তখন ওই চক্র তার টাকা নিয়ে যায়।  রুমেল বলেন, ওই ব্যক্তির হাতে থাকা টাকার বান্ডিল আমাকে গুনতে দিয়ে আমাকে একটি চেয়ারে নিয়ে বসান। আমি টাকা হাতে নেওয়ার পরই নিস্তেজ অনুভব করি। আমি ৫ মিনিট পরে একটু স্বাভাবিক হলে গুনে দেখি তারা আমার কাছ থেকে ৮১ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। পরে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, তারা ১১টা ৭ মিনিটে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ থেকে ওই চক্রের ছবি শনাক্ত করা হয়েছে।  ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসির মৌলভীবাজার শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদের বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে একজন গ্রাহকের সঙ্গে কয়েকজন লোক গল্প করে বিদায় নিয়ে চলে গেছে। এরপর তিনি বুঝতে পারেন ওনার টাকা নিয়ে চলে গেছে। তিনি পুলিশে অভিযোগ করেছেন। মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি কে এম নজরুল বলেন, থানায় একজন ব্যাংক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। 
২৮ মার্চ, ২০২৪

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, টাকা ছিনতাই
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বাইন্না পুকুর পাড় এলাকায় এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার কাছে থাকা ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে চন্দনাইশ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।  আহত আবু ছাদেক মোহাম্মদ শিবলু উপজেলার চন্দনাইশ পৌরসভার মিজ্জির দোকান এলাকার আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। পেশায় তিনি এলপিজি গ্যাসের ডিলার।  অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা শেখ ফরিদ অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহত ব্যবসায়ীকে দেখার পর দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ভুক্তভোগী শিবলু জানান, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে বাইন্না পুকুর পাড় এলাকায় ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। পরে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে আমার কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমি জীবন বাঁচাতে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। তারা আমাকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে দাবি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আকুতি জানান শিবলু।
২৮ মার্চ, ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনে দুপুরে ৩৬ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দিনে দুপুরে এক ব্যবসায়ীর প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ব্যবসায়ীক কাজে নিজ বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে জমা দেওয়ার উদ্দেশে রিকশায় করে ব্যাংকে যাচ্ছিলেন তিনি। পথিমধ্যেই ঘটে এ বিপত্তি। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে দিন দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফজলুল হক শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় পরিবার নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। ঢাকায় ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করেন। স্থানীয়রা জানান, বাড়ি থেকে বের হওয়ার ১শ গজ অতিক্রম করার পর আগে থেকে উৎপেতে থাকা একটি কালো রঙের হায়েস মাইক্রোবাস থেকে পুলিশের পোষাক পরে দুই ব্যক্তি নেমে এসে তার রিকশাটির গতিরোধ করেন। এক পর্যায়ে তাকে টেনে হিচরে ব্যাগে ইয়াবা আছে বলে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যান তারা। আমরা ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও পুলিশি পোষাক থাকায় ঝামেলা হতে পারে ভেবে এগিয়ে যাইনি। পরে জানতে পারি তারা আসলে পুলিশ ছিলেন না। দিন-দুপুরেই এমন ঘটনা মানা যায় না। শহরের পূর্বপাইক পাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দিন দুপুরে এমন ঘটনায় আমরা অবাক হয়েছি। আমরা সাধারণ মানুষ। বুঝবো কী করে- তারা পুলিশ, না ছিনতাইকারী। দিনদুপুরে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? এদিকে ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ী ফজলুল হক জানান, তাকে উঠিয়ে নেওয়া কালো হায়েস মাইক্রোবাসটি চালকসহ চারজন ছিল। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে তারা ইয়াবা আছে বলে ঝাপটে ধরে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়। পরে মারধর করে কাছে থাকা ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে শহরের পীরবাড়ি এলাকায় মাইক্রোবাস থেকে আহত অবস্তায় তাকে নামিয়ে দেয়। তিনি জানান, ছিনতাইকারীদের মধ্যে পুলিশের পোষাক পরা ছিল দুইজন। একজন ছিল ছদ্মবেশে।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশাকরি অপরাধীদের দ্রুত আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২৮ মার্চ, ২০২৪

নোয়াখালীতে গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম, ২ লাখ টাকা ছিনতাই
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কামরুল হাসান আদিল (৩৪) নামের এক গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা শিবপুর বাজারের ৫০ গজ উত্তরে রাস্তার পাশে এ ঘটনা ঘটে।  এ সময় ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা গরু বিক্রির ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা সিরাজুল ইসলাম চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও সাত থেকে আটজনকে বিবাদী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।  স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কামরুল হাসান আদিল বিভিন্ন হাটবাজারে ও গ্রামে গরু বেচাকেনার কাজ করেন। গত ১৬ মার্চ আদিলের সঙ্গে একই গ্রামের জুয়েলের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও ঝগড়া হয়। ওই সময় এলাকার লোকজন তাদের উভয়কে শান্ত করার চেষ্টা করে এবং পরে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গরু কেনার জন্য আদিল শিবপুর বাজারের উদ্দেশ্য রওনা হলে শিবপুর গ্রামের মো. জুয়েল (২৪), মোহাম্মদ মনির (১৯), জয়নাল আবেদীন ফারুক (৩৫) ও পার্শ্ববর্তী উত্তর শাকতলা গ্রামের তানজিদ (২০) সহ অজ্ঞাতনামা বহিরাগত ৭-৮ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গরু ব্যবসায়ী আদিলের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। একপর্যায়ে জুয়েল, তানজিল গরু ব্যবসায়ীকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এ সময় আদিল প্রতিকার চাইলে তারা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গরু ব্যবসায়ীর মাথার উপরিভাগে গুরুতর জখম করে। মো. মনির ও তানজিল তাদের হাতে থাকা হকস্টিক দিয়ে আঘাত করলে আদিলের বাম হাতে জখম হয়। একপর্যায়ে গরু ব্যবসায়ী কামরুল হাসান আদিল জখম অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে গবাদি পশু কেনার জন্য সঙ্গে থাকা ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। তার চিৎকারে মো. জুয়েলসহ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী কালবেলাকে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

পিস্তল ঠেকিয়ে ডিম বিক্রেতার ১১ লাখ টাকা ছিনতাই
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দিনে-দুপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে ডিম ব্যবসায়ী সুলতান মিয়ার ১১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার বিকেলে কাপাসিয়া-কিশোরগঞ্জ সড়কের লতাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই অজ্ঞাতদের আসামি করে কাপাসিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সুলতান মিয়ার বাবা আড়তদার মিজানুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া থানার ওসি আবু বকর মিয়া। ছিনতাইয়ের শিকার সুলতান মিয়ার বাবা বীরউজলী বাজারের ডিম আড়তদার মিজানুর রহমান গতকাল সকালে কালবেলাকে বলেন, রোববার দুপুরে আমার ছেলে সুলতান মিয়া ও আড়তের ম্যানেজার জুয়েল রানা ইসলামী ব্যাংক কাপাসিয়া বাজার শাখা থেকে ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬০ টাকা উত্তোলন করে। টাকা নিয়ে তারা একটি মোটরসাইকেলে করে কাপাসিয়া বীরউজলী আড়তে যাচ্ছিল। পথে মহসড়কের লাতাপাতা বাজার আগে ঢালুতে এলে মাস্ক ও হেলমেট পরা তিন-চারজন সন্ত্রাসী বিদ্যুতের খুঁটিতে রশি বেঁধে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। পরে পিস্তল ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগটি নিয়ে চলে যায়। ভুক্তভোগী সুলতান মিয়া বলেন, ‘আমি কথা বলতে পারছি না। আরও কিছু জানার থাকলে আমার বাবার সঙ্গে কথা বলেন।’
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক গরু ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা।   রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় পিএবি সড়কের বরুমচড়া রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ফজল কাদের উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের দক্ষিণ তৈলারদ্বীপ গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের মৃত গুরা মিয়ার পুত্র। সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ ও থানার ওসি সোহেল আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  ভুক্তভোগী ফজলুল কাদের বলেন, তৈলারদ্বীপ এলাকায় আমার গরুর ফার্ম রয়েছে। সিরাজগঞ্জ থেকে গরু আনতে ১৫ লাখ টাকা পাঠানোর জন্য সকালে ব্যাংকে যাওয়ার জন্য সরকার হাট থেকে একটি সিএনজিতে ওঠি। ওই সিএনজিতে আগে থেকেই দুজন লোক বসা ছিল। পিএবি সড়কের রাস্তার মাথার গ্যাস পাম্পের কাছে আসার পর গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা আমাকে ছুরি মেরে রক্তাক্ত করে ১৫ লাখ টাকা ও ব্যাংকের চেক বই ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আমার চিৎকারে স্থানীয়রা আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমদ বলেন, টাকা ছিনতাইয়ের খবর শুনে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগসহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্বৃত্তদের আটকসহ টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। 
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩
X