স্কুলে টিকটক করায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে স্কুল চলাকালীন হাতের ইশারায় ছাত্রীদের দেখিয়ে টিকটক করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের অপরাধে সিয়াম মিয়া নামে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ১০ মে সিয়ামকে মৌখিকভাবে বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। নির্দেশ দেওয়া হয়, স্কুল চলাকালীন যেন তাকে আশপাশে দেখা না যায়। যদিও এখনো চিঠির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়নি। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী সিয়াম মিয়া শিবপাশা ইউনিয়নের যশকেশরী গ্রামের মন্নান মিয়ার ছেলে। সে উপজেলার শিবপাশা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিয়ামের একটি টিকটক গত ২৮ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে টিকটক করছে সিয়াম। এ সময় তার পাশ দিয়ে কয়েকজন ছাত্রী সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে। সিয়াম হাতের মাধ্যমে তাদের ইঙ্গিত করে নারীদের নিয়ে একটি অশালীন মন্তব্যে ঠোঁট মেলায়। টিকটক ভিডিওটি ছড়িয়ে পরার পর সমালোচনার মুখে পড়ে সিয়াম। মন্তব্যের ঘরে অনেকেই তার বহিষ্কার দাবি করেন। গত ১০ মে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য সুমন চৌধুরী তার নিজ ফেসবুক আইডিতে ওই শিক্ষার্থী বহিষ্কারের বিষয় নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি উল্লেখ্য করেন, ‘শিবপাশা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে নবম শ্রেণির একজন ছাত্র টিকটক করে এবং সেটি যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সব সদস্যরা বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক টিকটককারী শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার অর্থাৎ ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে এবং স্কুল চলাকালীন সময়ে তাকে স্কুলের আশপাশে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থী সিয়াম ও তার অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ স্কুলের দাতা সদস্য সুমন চৌধুরী বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির সব সদস্য, শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তার অভিভাবকসহ এক বৈঠকে ওই শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও স্কুল চলাকালীন সময়ে ওই স্কুলের আশপাশে না আসার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তা রেজুলেশন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’ এ বিষয়ে শিবপাশা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, স্কুল পরিচালনা কমিটি ও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত তাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। লিখিতভাবে তাকে বহিষ্কার কারা হবে কি না সেটা পরবর্তীতে স্কুল কর্তৃপক্ষের সভায় সিদ্ধান্তের পর বলা যাবে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী সিয়ামের পরিবারের কারও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে বহিষ্কার করবে। ওই শিক্ষার্থীকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে স্কুলে না আসার জন্য। এখন পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে চিঠি দিয়ে জানানো হয়নি।
১৬ ঘণ্টা আগে

ইরাকে নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা
ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করে। খবর বাসসের। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ। ইরাকের সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপিকে এই কথা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সংগীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত হয়েছিলেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে ক্ষুণ্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সংবলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু সংবলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার অভিযান শুরু করে। টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

টিকটক নিষিদ্ধে আরও একধাপ এগোলো যুক্তরাষ্ট্র
জনপ্রিয় চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধে আরও একটি বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই বিলে বলা হয়েছে, টিকটক আগামী ৯ মাসের মধ্যে হয়ত তার মালিকানা হস্তান্তর করবে না হলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করা হবে। বিলটি এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তিনি স্বাক্ষর করলে এটি আইনে পরিণত হবে।  টিকটকের মালিকানা হস্তান্তর অথবা নিষিদ্ধের বিধান রেখে বিলটি পাস করেছে মার্কিন সিনেট। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ‘হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এ দ্বিতীয়বারের মতো চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াকে আইনে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালানো হলো। মার্কিন হাউজে বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৬০-৫৮। এতে উল্লিখিত একটি শর্তে টিকটকের মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্সকে এক বছরের মধ্যে কোম্পানি বিক্রি করে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে। না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সব অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে ফেলা হবে। তবে, এরপরও ব্যবহারকারীদের জন্য অন্যান্য উৎস থেকে অ্যাপে প্রবেশ করার সুযোগ আগের মতোই থাকবে।  মার্কিন আইনপ্রণেতারা দাবি করে আসছেন, চীনা মালিকানাধীন টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি করছে চীন সরকার। আর এই কারণেই তরুণদের মধ্যে টিকটকের জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই টিকটকের ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বাইটড্যান্সের অ্যাপটি বিক্রি করে দেওয়ার যে কোনো ধরনের প্রচেষ্টা আটকে দিতে পারেন চীনা কর্মকর্তারা।  মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইঙ্গিত দিয়েছেন, টিকটকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আইনি নথিপত্র তার ডেস্কে পৌঁছালেই তিনি এতে স্বাক্ষর করে দেবেন। বাইডেন বিলটিকে আইনে পরিণত করার নথিতে স্বাক্ষর করলে কোম্পানিটির জন্য নতুন ক্রেতা খুঁজতে বা বিষয়টি আদালতে চ্যালেঞ্জ জানাতে ১২ মাসের সময় পাবে বাইটড্যান্স। এদিকে, বিলটি পাস হলে কোম্পানি যে মামলা করবে, তা এক রকম নিশ্চিত। এর আগে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টাটি এসেছিল ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে। টিকটক বরাবরই বলে আসছে, তাদের কোম্পানি কখনো মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য শেয়ার করেনি এবং করবেও না।  গত মাসে ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে টিকটকের সিইও শউ জি চিউ জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি এ আইনের বিপক্ষে লড়ে যাবেন। এমনকি কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে প্ল্যাটফর্মে একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রচারণাও চালায় কোম্পানিটি, যেখানে এই আইনের বিপক্ষে স্থানীয় প্রতিনিধিদের অভিযোগ করার আহ্বান জানানো হয় ব্যবহারকারীদের।  যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও টিকটকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে৷ অ্যাপের লাইট সংস্করণের কারণে কম বয়সীদের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে টিকটক বন্ধের প্রস্তাব পাস
চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক স্থায়ীভাবে বন্ধের প্রস্তাব পাস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। খবর বার্তা সংস্থা এপির।  শনিবার (২০ এপ্রিল) মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের মাধ্যমে এই প্রস্তাব পাস হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি চীনভিত্তিক এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির শেয়ার এক বছরের মধ্যে বিক্রি না করে, তাহলে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফলে এখনই এই অ্যাপটি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না।  মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৬০টি। এর বিরোধিতা করেছেন ৫৪ জন। এই বিলটি আগামী সপ্তাহে সিনেটে উত্থাপন করা হতে পারে। সিনেটে পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রে একটি কোম্পানি বন্ধ করার মতো নজিরবিহীন ঘটনা ঘটবে।  প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরইমধ্যে জানিয়েছেন, সিনেটে পাস হওয়ার পরই তিনি এই বিলে সাক্ষর করবেন। এ মাসের শুরুতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনে টিকটক নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন বাইডেন। এদিন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব অগ্রাধিকারে আনেন। তার মধ্যে রিপাবলিকানরা ব্যাপক বিদেশি সহায়তা প্যাকেজ হিসেবে নিষেধাজ্ঞায় টিকটক প্রসঙ্গ আনেন।  এর আগে এই নিষেধাজ্ঞার একটি প্রক্রিয়া সিনেটে আটকে যায়। তখন টিকটকের শেয়ার বিক্রি করার জন্য ৬ মাসের একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে প্রতিনিধি পরিষদে মার্চে প্রস্তাব পাস হয়। তাতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় পক্ষই সমর্থন দেয়। তাতে চীনভিত্তিক টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স লিমিটেড নিয়ে ব্যাপক জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ তুলে ধরা হয়।   
২১ এপ্রিল, ২০২৪

যুক্তরাজ্যে টিকটক ট্রলের শিকার হয়ে আত্মহত্যার কথা ভাবছেন বাংলাদেশি নারীরা
যুক্তরাজ্য বসবাসরত বাংলাদেশি নারীরা ট্রলের শিকার হচ্ছেন। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে টিকটক। এসব ট্রলের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এমনকি অনেকে আত্মহত্যার কথাও ভাবছেন। বিবিসির অনুসন্ধানে এ ভয়ংকর চিত্র ওঠে এসেছে। সংবাদমাধ্যমটি মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, নারীদের নিপীড়ন ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পুলিশ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করছেন কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।  যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ারে বসবাস করেন সুলতানা (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, নারীবিদ্বেষ ও বাজে সম্পর্কের বিষয়ে আওয়াজ তুলতে তিনি টিকটক ব্যবহার করছিলেন। কিন্তু তিনি ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হন। মূলত ট্রলের শিকার হওয়া তার এক বন্ধুর পক্ষে কথা বলার পর তিনিও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।  এ ট্রল তাকে মানসিকভাবে কতটা বিপর্যস্ত করে তুলে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। আমি কান্না করেছি। আমি খেতে পারিনি। ঘুমাতে পারিনি। মনে হচ্ছিল, এখানে আর থাকতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাজে ছিলাম। এ সময় আমার কয়েকজন টিকটক ফলোয়ার আমাকে খুদে বার্তা পাঠান। তারা জিজ্ঞাসা করছিলেন, আমি সেই ভিডিওগুলো (ট্রল করে করা ভিডিও) দেখেছি কি না। সেই ভিডিও ও পোস্টগুলোতে লোকজন কমেন্ট করছিল। আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছিল। এ ধরনের নিপীড়ন দুই বছর ধরে চলে। এটা এমন এক অবস্থা যা তিনি কখনো ভুলতে পারব না।’ সুলতানা বলেন, ‘আমার মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। সুস্থ হতে থেরাপি নিয়েছি। ট্রলের ঘটনাগুলো আমার অসুস্থতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি তা আমাকে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের দিকে ঠেলে দেয়।’ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে টিকটক বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে রক্ষণশীল পরিবারের নারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি ব্যবহার করে নানা ইস্যুতে কথা বলেন।  ভুক্তভোগীরা বলেন, নারীদের এ মতামত প্রকাশ বাংলাদেশিদের অনেক পুরুষ পছন্দ করেন না। তারা নারীদের থামিয়ে দিতে চান। এ জন্যই ট্রলকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। সুলতানাসহ ভুক্তভোগী আরও কয়েকজন নারী বিবিসিকে জানান, হাসান সায়েদ নামের বাংলাদেশি এক ব্যক্তি ট্রলের হোতাদের একজন। তিনি ফ্রান্সের প্যারিসের একটি উপশহরে থাকেন। এ টিকটকারের হাজারো অনুসারী।  হাসান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেন। সেগুলো গ্রিন স্ক্রিনের সাহায্যে ট্রল ভিডিও তৈরি করেন। এরপর হাসান টিকটকে লাইভে এসে ভুক্তভোগী নারীদের চেহারা ও অন্যান্য বিষয়ে মজা করেন। তিনি নারীদের ধর্ষণ ও হত্যার হুমকিও দেন। হাসানের আরেক শিকার যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের এক নারী। তিনি জানান, টিকটক লাইভে তিনি নানা পণ্য বিক্রি করেন। এ লাইভে হাসান যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। হাসানকে পাত্তা না দেওয়ায় তাকে নিয়ে ভিডিও বানিয়ে ছড়িয়ে দেন অভিযুক্ত। ভিডিওতে ওই নারীকে ‘যৌনকর্মী’ হিসেবে প্রচার করে সম্মানহানির চেষ্টা করা হয়।  এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিবিসির পক্ষ থেকে ই-মেইল ও কল করা হয়। কিন্তু হাসান এতে কোনো সাড়া না দেওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিবিসি জানায়, এসব ট্রলের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা বিভিন্নভাবে প্রতিকার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কামরুল ইসলাম নামে ভুক্তভোগী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব বন্ধ করার আহ্বান জানান। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুলের পরিবার নিয়ে ট্রল শুরু করেন। এসব ভিডিও সরাতে কামরুল টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা তাকে সাফ জানিয়ে দেন, এসব তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করেনি। তাই ভিডিওগুলো সরানো হবে না। এ ছাড়া কামরুল পুলিশের কাছেও অভিযোগ করেন। এরপরও ট্রল না থামায় তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। দূতাবাস ফরাসি আইনজীবী ম্যাথিউ ক্রোইজেতের সঙ্গে কামরুলের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। কামরুলের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে প্যারিসের সরকারি কৌঁসুলির দপ্তরে অভিযোগ করেন এ আইনজীবী। কিন্তু এ মামলার কোনো রায় এখনো হয়নি। অভিযোগকারী কামরুল মুসলমান হওয়ায় মামলাটি আটকে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।  মামলার হালনাগাদ তথ্য জানতে প্যারিসের কেন্দ্রীয় পুলিশ স্টেশন ও আদালতে যোগাযোগ করে বিবিসি। কিন্তু এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনো প্রতিউত্তর পাওয়া যায়নি।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশের ৭৫ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক
টিকটক প্ল্যাটফর্ম থেকে একসঙ্গে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৩টি ভিডিও সরানো হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আপলোড করা ৭৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক। কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করায় ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বাংলাদেশ থেকে আপলোড এসব ভিডিও সরানো হয়েছে বলে জানা গেছে। টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্টে বলা হয়েছে, একই সময়ে বিশ্বজুড়ে প্ল্যাটফর্মটি থেকে মোট ১৭ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৩টি ভিডিও সরানো হয়েছে, যা টিকটকে আপলোড করা মোট ভিডিওর প্রায় ১ শাতাংশ। এরমধ্যে ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৫৮৪টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৮০ লাখ ৩৮ হাজার ১০৬টি ভিডিও যাচাই-বাছাই করে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় রাখা হয়েছে। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে আপলোড দেওয়া যেসব ভিডিও সরানো হয়েছে, তার মধ্যে ৯৫.৩ শতাংশ ভিডিও এক দিনের মধ্যেই ডিলিট করা হয়েছে। এই প্রান্তিকে ভিডিও অপসারণের হার ছিল ৯৯.৫ শতাংশ। এ ছাড়াও ১৩ বছরের কম বয়সী প্ল্যাটফর্ম ইউজার হওয়ার সন্দেহে টিকটক অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে টিকটক। বিশ্বজুড়ে এমন অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে মোট ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫৫টি।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে টিকটক
জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। বিশ্বজুড়েই এর রয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। তবে সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে নানা সমালোচনা রয়েছে টিকটকের বিরুদ্ধে। এর জেরে অনেক দেশেই নিষিদ্ধ হয়েছে সংক্ষিপ্ত ভিডিও শেয়ারিং এই অ্যাপ। এরই ধারাবাহিকতায় এবার টিকটক নিষিদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হলো একটি বিল। গত বুধবার পাস হওয়া এই বিলের ফলে দেশটিতে নিষিদ্ধ হতে পারে অ্যাপটি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বিপুল ভোটে বিলটি পাস হয়। এখন দরকার সিনেটের অনুমোদন। পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকটকের ওপর চীনের প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা উদ্বিগ্ন। কারণ এটির মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স বেইজিংভিত্তিক। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়, কারণ প্রতিষ্ঠানটি চীনের কর্মকর্তাদের কাছে ব্যবহারকারীদের তথ্য সরবরাহ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিলটি উত্থাপনকারীদের মধ্যে অন্যতম রিপাবলিকান সদস্য মাইক গ্যালেগার। তিনি বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রণ করে কিংবা তাদের মালিকানাধীন এমন কোনো প্রভাবশালী সংবাদ প্ল্যাটফর্মের বিষয়ে ঝুঁকি নেবে না আমেরিকা। এদিকে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাসের কিছুক্ষণ পর এক ভিডিও বার্তায় বাইটড্যান্সের শীর্ষ নির্বাহী শৌ জি চিউ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে—তা দেশটির অর্থনীতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। টিকটক নিষিদ্ধের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এক বিবৃতিতে বলেন, টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে—এমন কোনো প্রমাণ দেশটির সরকার দেখাতে পারেনি। তার পরও এই অ্যাপটি নিষিদ্ধের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ওয়াশিংটন। গেল জানুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি তদন্তে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক এবং চীনের বাইটড্যান্সের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে ডাটা শেয়ার করার সিস্টেমটি ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ছিল। এর ফলে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্যও অরক্ষিত হয় পড়েছিল। ২০২১ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। ২০২২ সালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও একই আদেশ দেওয়া হয়। সেই পথেই এবার সাধারণ পর্যায়ে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধের পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন।
১৫ মার্চ, ২০২৪

নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে টিকটক
জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। বিশ্বজুড়েই এর রয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। তবে সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে নানা সমালোচনা রয়েছে টিকটকের বিরুদ্ধে। এর জেরে অনেক দেশেই নিষিদ্ধ হয়েছে সংক্ষিপ্ত ভিডিও শেয়ারিং এই অ্যাপ। এরই ধারাবাহিকতায় এবার টিকটক নিষিদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হলো একটি বিল। বুধবার (১৩ মার্চ) পাস হওয়া এই বিলের ফলে দেশটিতে নিষিদ্ধ হতে পারে অ্যাপটি।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বিপুল ভোটে বিলটি পাস হয়। এখন দরকার সিনেটের অনুমোদন। পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকটকের ওপর চীনের প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা উদ্বিগ্ন। কারণ এটির মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স বেইজিংভিত্তিক। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়, কারণ প্রতিষ্ঠানটি চীনের কর্মকর্তাদের কাছে ব্যবহারকারীদের তথ্য সরবরাহ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিলটি উত্থাপনকারীদের মধ্যে অন্যতম রিপাবলিকান সদস্য মাইক গ্যালেগার। তিনি বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রণ করে কিংবা তাদের মালিকানাধীন এমন কোনো প্রভাবশালী সংবাদ প্ল্যাটফরমের বিষয়ে ঝুঁকি নেবে না আমেরিকা।  এদিকে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাসের কিছুক্ষণ পর এক ভিডিওবার্তায় বাইটড্যান্সের শীর্ষ নির্বাহী শৌ জি চিউ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে— তা দেশটির অর্থনীতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। টিকটক নিষিদ্ধের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এক বিবৃতিতে বলেন, টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে— এমন কোনো প্রমাণ দেশটির সরকার দেখাতে পারেনি। তারপরও এই অ্যাপটি নিষিদ্ধের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ওয়াশিংটন। গেল জানুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি তদন্তে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক এবং চীনের বাইটড্যান্সের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে ডাটা শেয়ার করার সিস্টেমটি ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ছিল। এর ফলে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্যও অরক্ষিত হয় পড়েছিল।  ২০২১ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। ২০২২ সালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও একই আদেশ দেওয়া হয়। সেই পথেই এবার সাধারণ পর্যায়ে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধের পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন।
১৪ মার্চ, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধে বিল পাশ
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক নিষিদ্ধ বিল পাশ হয়েছে। যার মালিকানা ছিল চীন।  বুধবার (১৩ মার্চ) মার্কিন কংক্রেসে অ্যাপটি সিষিদ্ধ করার পক্ষে ৩৫২ এবং বিপক্ষে ৬৫ ভোটের মাধ্যমে বিলটি পাশ হয়। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত ওয়াশিংটনে দ্বিদলীয় ঐক্যের বিরল মুহূর্তে পাশ হয় এটি। আইনটি পাশ হওয়ার মাধ্যমে এ ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপের জন্য একটি বড় ধাক্কা। চীনের মালিকানায় থাকা অ্যাপসটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। যা ‍যুক্তরাষ্ট্রকে ভাবিয়ে তুলেছে। তবে বিলটি সিনেটে পাশ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তি এ অ্যাপের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ‍যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭০ মিলিয়ন নাগরিক এ অ্যাপসটি ব্যাবহার করতো।  হোয়াট হাউজ বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অফিসিয়ালি স্বাক্ষর করলে বিদেশী প্রতিপক্ষ নিয়ন্ত্রিত অ্যাপ্লিকেশন আইন থেকে আমেরিকান নাগরিকদের রক্ষা করা যাবে। বিলটি টিকটক বিক্রি করতে বাইটড্যান্সকে প্রায় ছয় মাস সময় দেবে। সেই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটির মালিকানা যদি বাইটড্যান্স ছেড়ে না দেয় তবে অ্যাপল এবং গুগলের মতো অ্যাপ স্টোরগুলোয় নিষিদ্ধ হবে টিকটক। এটি প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হিসাবে এবং অন্যান্য বিষয়গুলোকে মনোনীত করার ক্ষমতা দেয়। যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ দেশকে নিয়ন্ত্রণ করার হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত। টিকটকের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের পুনরুত্থাপিত প্রচারণটি কোম্পানির জন্য বিস্ময়কর ছিল। ‍দি ওয়াল্ড স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকটক কর্তৃপক্ষ আশা করছিলেন, বাইডেনের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের অংশ হিসেবে প্রচারণার। বিলটি পাসের ব্যাপারে আইনপ্রণেতারা যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকটক। কারণ, চীনা সরকার বাইটড্যান্সের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা আইন ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ ব্যবহারিকদের তথ্য পেয়ে যেতে পারে। এই বিল পাসের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা রাখছে রাজনৈতিক দলগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একসময় প্ল্যাটফর্মটিকে নিষিদ্ধ করার প্রবক্তা ছিলেন। তবে তিনি সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। অন্যদিকে, তরুণ প্রগতিশীলদের চাপের মুখে পড়ছে ডেমোক্রেটিক পার্টি। অন্যদিকে, টিকটকের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং বেইজিং বিল পাসের প্রচেষ্টা সম্পর্কে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগকে ‘গুন্ডামি’ বলে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়ে গেছে টিকটক। এই বিলকে প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারকারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারের ওপর আক্রমণ বলে অভিহিত করছে টিকটক কর্তৃপক্ষ। কল-টু-অ্যাকশন নামের প্রচারাভিযান চালু করে এর ব্যবহারকারীদের বিলটির বিরোধিতা করতে ওয়াশিংটনে প্রতিনিধিদের ফোন করার আহ্বান জানান হয়েছে। কংগ্রেস সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি অফিস জানিয়েছে, সারা দিন ধরেই আসছে ব্যবহারকারীদের ফোন।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

টিকটক নিয়ে বিরোধ, বোনের গুলিতে বোন নিহত
পারিবারিক বিরোধের জেরে সংঘর্ষ অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। তবে এবার সামনে এসেছে বিচিত্র ঘটনা। টিকটকের জন্য ভিডিও বানানো নিয়ে বিরোধে জড়িয়েছেন দুই বোন। এরপর একে অন্যকে গুলি করে হত্যা করেছেন। অবিশ্বাস্য এমন এক ঘটনা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।  রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম এআরাইয়ের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, টিকটক ভিডিও নিয়ে ১৪ বছর বয়সী বোনের সঙ্গে অপর বোনের বিরোধ হয়েছিল। এর জেরে একে গুলি চালিয়ে অন্যজনকে হত্যা করেছেন অপর বোন। আর নৃশংস এ ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের গুজরাট জেলার সারাই আলমগীর জেলায়।  বিবাদে জড়ানো ওই দুই বোনের নাম সাবা আফজাল ও মারিয়া আফজাল। সামাজিকমাধ্যম টিকটকে ভিডিও বানানোর জন্য তাদের মাঝে ঝগড়া হয়েছিল। এরপর সাবা তার বোন মারিয়ার ওপর গুলি চালিয়ে দেন।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সাদ্দার পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।    পাকিস্তানের টিকটকের ভিডিওর জন্য প্রাণহানি নতুন নয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশটিতে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় তিন কিশোর নিহত হয়েছিলেন।  ওই তিন কিশোর মোটরসাইকেলে টিকটক ভিডিও বানাচ্ছিলেন। এ সময়  বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সাথে সংঘর্ষে তারা নিহত হন।  সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, দেশটিতে অনৈতিকতার অভিযোগে ধর্মীয় আলেমরা বেশ কয়েকবার টিকটক নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। এরপর আংশিকভাবে বেশ কয়েকবার পাকিস্তানে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এর আগে ২০২১ সালে দেশটির টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ পাঁচ মাস টিকটক বন্ধ করে দেন। ওই সময়ে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে টিকটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে অনৈতিকতার বিস্তার ঠেকানোর নিশ্চয়তার ভিত্তিতে আবার এ মাধ্যম খুলে দেওয়া হয়।  
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
X