পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ
লালমনিরহাট কালীগঞ্জে শিয়ালখোওয়া হাটে কোরবানির না আসতেই হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি বিক্রেতাদের কাছ থেকেও অবৈধভাবে টোল নেওয়া হচ্ছে। এতে হাটপ্রতি ১-২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইজারাদাররা। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৩০০ টাকা আবার কোনো ক্ষেত্রে গরু প্রতি সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা টোল আদায়ের নির্দেশনা রয়েছে। এতে ক্রেতা ৩০০ টাকা ও বিক্রেতা ১০০ টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু ইজারাদাররা প্রতি রশিদে ৭০০ টাকা আদায় করছেন। ৬০০ টাকার মধ্যে ক্রেতার কাছ থেকে ২০০, বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ ও হাটের চাঁদা হিসেবে ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী ছাগলের রসিদ হচ্ছে ৬০ টাকা আর হাটের ইজারাদাররা নিচ্ছে ছাগল প্রতি ২৮০ টাকা।  শনিবার (১৮ মে) কালীগঞ্জ উপজেলার শিয়ালখোওয়া হাটে সরেজমিন গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। গরু কিনতে আসা মো. খোকন মিয়া ও বুলবুল বলেন, আমাদের মূল্যবিহীন দুটি ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সেখানে টোল আদায়ের টাকার পরিমাণ নেই। শুধু ছাড়পত্রে (রসিদ) গরুর ক্রয়মূল্য লেখা রয়েছে।  গরু ব্যবসায়ী আমিনুল বলেন, অতিরিক্ত টোল ও রাস্তায় বিভিন্ন চাঁদা দিতে হয়। এতে গরু নিয়ে বিক্রি করে কোনো লাভ হয় না। তার পরেও আমাদের ব্যবসা করতে হচ্ছে। শিয়ালখোওয়া হাটের ইজারাদার হাজি মোহাম্মদ শাহ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকার নির্ধারিত ছাড়পত্রের ফি বাবদ ৩০০ টাকাই নেওয়া হচ্ছে। আর কেউ যদি টাকার পরিমাণ বেশি নিয়ে থাকে সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম কালীগঞ্জ উপজেলার শিয়ালখোওয়া হাটের একটি অভিযোগ পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে

পদ্মা সেতুতে দেড় হাজার কোটি টাকার টোল আদায়
পদ্মা সেতু চালুর পর গত ২২ মাসে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি টোল আদায়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। গত শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১ হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি টোল আদায় করা হয়েছে। সেতু বিভাগের তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৬ জুন সেতু চালুর পর এ পর্যন্ত সেতুর উভয় প্রান্ত দিয়ে যান পারাপার হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২টি। অন্যদিকে জাজিরা প্রান্ত থেকে যান পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি। বিষয়টি নিশ্চিত করে পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে আশানুরূপ টোল আদায় অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি দিন দিন টোল আদায়ের পরিমাণ আরও বাড়বে। ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে এটি। সেতু হওয়ার পর কোনোরকম ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই দক্ষিণের জেলাগুলোর মানুষ ঈদসহ যে কোনো প্রয়োজনে সহজেই রাজধানীর ঢাকায় আসা-যাওয়া করতে পারছেন।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

পদ্মা সেতুতে দেড় হাজার কোটি টাকার টোল আদায় 
যান চলাচল শুরুর পর থেকে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকার টোল আদায়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে পদ্মা সেতু। গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এ সেতুতে টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা। এ সময়ে সেতু দিয়ে মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি যান চলাচল করেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায়ের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সেতুতে টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা। এ সময়ে সেতু দিয়ে মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি যান চলাচল করেছে। তিনি জানান, এর মধ্যে মাওয়া দিয়ে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। আমিরুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, চলতি মাসের ৯ এপ্রিল পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ওই দিন দুই প্রান্ত দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি গাড়ি পারাপার হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ জেলা রাজধানী ঢাকা এবং বাকি অংশের সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত হয়। উদ্বোধনের দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরদিন ২৬ জুলাই সকাল ৬টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়। পদ্মা সেতুতে প্রথম দিনে ৫১ হাজার ৩১৬টি যান চলাচল করে। সেসব যানবাহন থেকে ওই দিন টোল আদায় করা হয়েছিল ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০০ টাকা।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

পদ্মা সেতুতে দেড় হাজার কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক
পদ্মা সেতুতে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। সেতু চালু হওয়ার পর থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত ১ হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯শ টাকা টোল আদায় হয়েছে।  এ পর্যন্ত সেতুর উভয় প্রান্ত দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২টি। অপরদিকে জাজিরা প্রান্ত থেকে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি। বিষয়টি নিশ্চিত করে পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, পদ্মা সেতু দিয়ে আশানুরূপ টোল আদায় অব্যাহত রয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেতু। সেতু চালু হওয়ার পর প্রথম দিন ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন সেতু ব্যবহার করেছিল। সেদিন টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা। সেতুতে যান চলাচল চালুর দ্বিতীয় দিন (২৭ জুন) ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

টোল আদায় নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫
হবিগঞ্জের মাধবপুরে পৌরসভায় টোল আদায় নিয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা নিয়ে সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মাধবপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলররা স্থানীয় গাবতলী সিএনজি স্টেশনে পৌরকর আদায় করে। এ সময় কর আদায়ের বৈধতার বিতর্কে সিএনজি অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তখন পৌরসভার প্রায় ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছে। এ সময় সিএনজি অটোরিকশাচালকদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন আহত হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী পৌরসভার পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। ওই ঘটনায় পৌরসভার তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। সাংবাদ সম্মেলনে মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক বলেন, টোল তুলতে আইনে কোনো বাধা নেই। ওইদিন চালকরা বহিরাগত লোকজন দিয়ে আমার পৌরসভার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এরা বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। ওই সময় সিএনজি অটোরিকশাচালকদের রাস্তায় প্রতিবাদ ও মিছিল করতে দেখা যায়। তাদের দাবি, কোনো হামলা করেননি বরং পৌরসভার লোকজনই তাদের ওপর হামলা করেছে। সিএনজি অটোরিকশাচালকদের শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম লিটন জানান, পৌরসভা বেআইনিভাবে আদালতের রায় অমান্য করে চাঁদা আদায় করতে চাইছে। টার্মিনাল ব্যতীত সড়ক কিংবা মহাসড়কে চাঁদা আদায় করতে আদালত নিষেধ করেছে। আমাদের ওপর পৌরসভার যে হামলা হয়েছে আমরা এর বিচার চাই। টোল আদায়ের সম্পূর্ণ বেআইনি। বারবার মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালকে আমরা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি উল্টো পৌরসভার পক্ষ হয়ে আমাদের মামলা ও হামলার হুমকি প্রদান করেন। মাধবপুর পৌরসভার সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে মহাসড়কের কথা বলা হয়েছে বাস্তবে পৌর এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা থেকে কর আদায় করতে কোনো বাধা নেই। আমাদের লোকজনের ওপর হামলার বিষয়ে আমরা সর্বসম্মতিক্রমে পরে থানায় অভিযোগ দেব। মাধবপুর থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম রকিব জানান, সংঘর্ষের ঘটনা তাৎক্ষণিক পুলিশ উপস্থিত হয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। সিএনজি অটোরিকশাচালকরা দুপুরেও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এদিকে এলাকার সচেতন মহল, টোল আদায় নিয়ে ক্রমাগত সংঘর্ষ ও বিতর্ক বন্ধ করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত টার্মিনালের ব্যাখ্যা আসলে কী। কোন কোন ক্ষেত্রে পৌরসভা টোল আদায় করতে পারে। এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট পরিষ্কার বিধিমালা ও নির্দেশনা দেওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

পদ্মা সেতুতে ৫ দিনে টোল আদায় সাড়ে ১৪ কোটি ছাড়াল
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার যাতায়াতের সহজ প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতু। এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত গত ৫ দিনে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় করা হয়েছে ১৪ কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা। সেতু বিভাগের তথ্যমতে, এবার ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা। গত বছরের তুলনায় এই বছর যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২১৫টি। তবে বেড়েছে টোলের পরিমাণ। গত বছরের তুলনায় বাড়তি টোল আদায় হয়েছে ৫০ হাজার ১৫০ টাকা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে গত পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। অন্যদিকে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫ দিনে যথাক্রমে ৯ এপ্রিল ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ১০ এপ্রিল ৮ হাজার ৫১০টি, ১১ এপ্রিল ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ এপ্রিল ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৩ এপ্রিল ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা। গত বছরের তুলনায় যানবাহন ও টোল আদায়ের পরিমাণ কম হলেও এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকার টোল আদায়ের রেকর্ড হয়। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, এবার ঈদযাত্রায় ৯ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিনে ১৪ কোটি টাকার উপরে টোল আদায় হয়েছে। তবে গত বছরের ঈদুল ফিতরের চেয়ে এবার ঈদযাত্রায় যানবাহন যাতায়াত করেছে কম। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন বহুল কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সেতু হওয়ার পর কোনো রকম ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই দক্ষিণের মানুষ ঈদসহ যে কোনো প্রয়োজনে সহজেই রাজধানীতে আসা-যাওয়া করতে পারছেন। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে ২৩ জেলার মানুষের।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের ছুটিতে পদ্মা সেতুর টোল আদায় ১৪ কোটি
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলা গুলোর যাতায়াতের সহজতর প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতু। এবার ঈদের ছুটিতে গত ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিনে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৩ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় করা হয়েছে ১৪ কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা। সেতু বিভাগ তথ্য মতে, এবার ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে টোল আদায়ের পরিমাণও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা। গত বছরের তুলনায় এই বছর যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। টোলের পরিমাণও কমেছে গত বছরের তুলনায় ৫০ হাজার ১৫০ টাকা।  সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়। এতে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। অন্যদিকে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫ দিনে যথাক্রমে ৯ এপ্রিল ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ১০ এপ্রিল ৮ হাজার ৫১০টি, ১১ এপ্রিল ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ এপ্রিল ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৩ এপ্রিল ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, এবার ঈদযাত্রায় ৯ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিনে ১৪ কোটি টাকার উপরে টোল আদায় হয়েছে। তবে গত বছরের ঈদুল ফিতরের চেয়ে এবার ঈদযাত্রায় যানবাহন যাতায়াত করেছে কম। তাই গতবারের তুলনায় প্রায় ১ লাখ টাকার মতো কম টোল আদায় হয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সেতু হওয়ার পর কোনো যানজট ছাড়াই দক্ষিণের জেলাগুলোর মানুষ ঈদসহ যে কোনো প্রয়োজনে সহজেই রাজধানীর ঢাকায় আসা যাওয়া করতে পারছেন। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে ২৩ জেলার মানুষের।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

টোল ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারল না ফায়ার সার্ভিস
আগুন নেভাতে টোল ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারলেন না ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সময়মতো ঘটনাস্থলে না পৌঁছানোয় আগুনে পুড়ে যায় প্রাইভেটকারটি।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসতে আসতে মাত্র ২৫ মিনিটেই পুড়ে যায় গাড়িটি। জানা গেছে, আগুন নেভাতে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগার কথা পাঁচ মিনিট। কিন্তু রাস্তায় সময় লেগেছে প্রায় ২০ মিনিট। এর মধ্যে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, টোল ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা এনে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট। ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, দ্রুততম সময়ে ফায়ার ফাইটারদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি টোলমুক্ত রাখা উচিত। টোল কোনোভাবেই নেওয়া উচিত নয়।  তিনি বলেন, ইমার্জেন্সি মানে ইমার্জেন্সি। কেউ বাধা দিলে ন্যূনতম এক বছরের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। উড়ালসড়কের শেষ অংশে বা মাঝামাঝি ফায়ার স্টেশনের জন্য ব্যবস্থা নিলে ভালো হবে। বিভিন্ন দেশে এ ব্যবস্থা রয়েছে।  নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ বলেন, বড় বড় ফ্লাইওভার করলে হবে না। গাড়ির পাশাপাশি ডিজিটাল করতে হবে টোল কার্যক্রমকেও। তা না হলে এক্সপ্রেস ওয়ের গতি শেষে টোল প্লাজায় হারাবে।   তিনি বলেন, সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের অবাধ সেবা নিশ্চিতে কার্যক্রম ডিজিটাল করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ফায়ার সার্ভিসসহ যথাসময়ে জরুরি সেবা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের আরও যুগোপযোগী উদ্যোগ নেওয়া দরকার। প্রসঙ্গত, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কিছু সরকারি গাড়ির বিনামূল্যে পাস থাকলেও নেই জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের পাস। তাই উড়ালসড়ক কিংবা সেতুতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টোলমুক্ত রাখার দাবি উঠেছে। 
১২ এপ্রিল, ২০২৪

পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড
পদ্মা সেতু দিয়ে এবারের ঈদযাত্রায় এক দিনে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি যান পারাপারে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। এরমধ্যে মাওয়া প্রান্ত থেকে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত থেকে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে নগদ টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। বাকিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের যান পারাপারে টোল রয়েছে ৭০ হাজার ৮৫০ টাকা।  আর চলন্ত অবস্থায় ইটিসিএস পদ্ধতিতে টোল জমা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এটি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ টোল আদায় বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, এর আগের সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড হয়েছে গত বছরের ২৭ জুন। ওই সময় ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপারে ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়। আর এর আগের সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড ছিল ২০২২ সালের ৮ জুলাই। সেদিন মোট ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছিল এবং ৩১ হাজার ৭২৩টি গাড়ি পারাপার করেছিল পদ্মা সেতুতে। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুন যানবাহন পারাপারের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। সেদিন পদ্মা সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৩১৬ যানবাহন পাড়ি দেয়। এ পর্যন্ত পদ্মা সেতু দিয়ে এটিই সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপারের রেকর্ড। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মিনিটের জন্য সেতুতে যান পারাপার বন্ধ হয়নি। নির্বিঘ্নে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৪ জেলার মানুষ যাতায়াত করতে পারছে। এদিকে পদ্মা সেতু দিয়ে এই পর্যন্ত মোট টোল আদায় হয়েছে ১৪৫৩ কোটি ১৪ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা। আর গাড়ি পার হয় ১ কোটি ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬২টি।  ঈদে ঘরমুখো মানুষের এবার আরও নতুন মাত্রা ছিল ঈদযাত্রায় ট্রেনে করে প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দেওয়া।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টোল আদায় সাড়ে তিন কোটি টাকা
স্বজন-পরিজনদের সঙ্গে ঈদ উৎসব উদযাপনে নাড়ির টানে হাজার হাজার মানুষ ঘরে ফিরছে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে দিগুণ বেড়েছে যানবাহনের চাপ। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সেতুর ওপর দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে দিগুণেরও বেশি গাড়ি চলাচল করেছে। টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি টাকারও বেশি।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পার হয়েছে ৪৩ হাজার ৪২৭টি যানবাহন। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২৭ হাজার ২৩২ ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে ১৬ হাজার ১৯৫টি গাড়ি চলাচল করেছে। মোট টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি তিন লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ টাকা। এর মধ্যে পূর্ব টোলপ্লাজায় ১ কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা ও পশ্চিম টোলপ্লাজায় আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৯শ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক পাভেল এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিকের তুলনায় দিগুণেরও গাড়ি পারাপার হয়েছে। আজকেও প্রচুর যানবাহন পার হচ্ছে। 
০৯ এপ্রিল, ২০২৪
X