দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলা গুলোর যাতায়াতের সহজতর প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতু। এবার ঈদের ছুটিতে গত ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিনে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৩ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় করা হয়েছে ১৪ কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা।
সেতু বিভাগ তথ্য মতে, এবার ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে টোল আদায়ের পরিমাণও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা। গত বছরের তুলনায় এই বছর যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। টোলের পরিমাণও কমেছে গত বছরের তুলনায় ৫০ হাজার ১৫০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়। এতে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা।
অন্যদিকে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫ দিনে যথাক্রমে ৯ এপ্রিল ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ১০ এপ্রিল ৮ হাজার ৫১০টি, ১১ এপ্রিল ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ এপ্রিল ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৩ এপ্রিল ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, এবার ঈদযাত্রায় ৯ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিনে ১৪ কোটি টাকার উপরে টোল আদায় হয়েছে। তবে গত বছরের ঈদুল ফিতরের চেয়ে এবার ঈদযাত্রায় যানবাহন যাতায়াত করেছে কম। তাই গতবারের তুলনায় প্রায় ১ লাখ টাকার মতো কম টোল আদায় হয়েছে।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
সেতু হওয়ার পর কোনো যানজট ছাড়াই দক্ষিণের জেলাগুলোর মানুষ ঈদসহ যে কোনো প্রয়োজনে সহজেই রাজধানীর ঢাকায় আসা যাওয়া করতে পারছেন। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে ২৩ জেলার মানুষের।
মন্তব্য করুন