৮৫ টাকার ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে ৫০০ টাকা!
৮৫ টাকার ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে কিনতে হচ্ছে ৫০০ টাকায়! ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন অনেকেই। চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য কাউন্টারে সাগরিকা ট্রেনের টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। এতে বাধ্য হয়ে এত বেশি দামে কালোবাজারিদের কাছ থেকে টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে কালীবাড়ি রেলস্টেশন ও বড়স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট নিয়ে যাত্রীদের হট্টগোল দেখে কালোবাজারিদের এ কার্যক্রমের সত্যতা পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলেন, কাউন্টারে টিকিট পাইনি। কী করব! তাই কালোবাজারিদের থেকে বেশি দাম দিয়ে ৮৫ টাকার টিকিট ৫শ টাকায় নিতে হচ্ছে। আর এ কাজে জড়িত রেলের টিকিট কাউন্টারের লোকজনই। তারাই ম্যানেজ হয়ে সব টিকিট বাইরে কালোবাজারিদের কাছে দিয়ে রাখছেন। এতে যাত্রীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ভুক্তভোগী যাত্রীরা আরও বলেন, অনেক আনসার সদস্যরাও উচ্চ দামে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, কালিবাড়ী রেলস্টেশনে সাগরিকা ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে মোহাম্মদ মিরাজ। তিনি নিজেই রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের লোক। অভিযোগ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, আমি চট্টগ্রামের ১২০টি টিকিট পাই। যাত্রী বেশি থাকায় দিতে পারেনি ঠিকমতো। কালোবাজারিদের মতো বেশি দামে বিক্রি করেনি। যদি ২০-৩০ টাকা বেশি দেয় কেউ সেই টাকাই নেই। আমরা বেতন কম পাই। কেউ খুশি মনে দিলে ওই টাকা নেই। এই কায়দায় চাঁদপুর বড়স্টেশনের কাউন্টারেও টিকিট বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। বড়স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মো. আকাশ বলেন, চট্টগ্রামের টিকিট আমাকে দেওয়া হয়েছে ১৩০টা। কিন্তু যাত্রী বেশি থাকায় ঠিকমতো টিকিট দিতে পারছি না। ৮৫ টাকার টিকিট ৪শ-৫শ টাকায় কেউ কেউ কালোবাজারে বিক্রি করছে শুনেছি। তবে তার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। চাঁদপুর রেলওয়ের সহকারী স্টেশন মাস্টার সোয়েবুল সিকদার বলেন, সাগরিকা ট্রেনটি বেসরকারিভাবে চলায় তারা নিজেরাই নিজেদের টিকিট বিক্রি করছে। স্থানীয় কিছু লোক এই কালোবাজারিতে জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যাচ্ছে। যাত্রীদের কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিক্রি করছে এ ধরনের কোনো লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। যদি কেউ এ ধরনের অভিযোগ দেয় তাহলে সেই অনুযায়ী কালোবাজারিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের চাঁদ দেখে ২ দিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে দুই দিনের টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ যদি চাঁদ দেখা যায় তাহলে সন্ধ্যার পর থেকে ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। আর যদি চাঁদ দেখা না যায় তাহলে ১০ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঈদের দিন সব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে দুই দিনের টিকিট বিক্রি করা হয়। তিনি বলেন, গত ছয় দিন ধরে যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারা নিরাপদে বাড়িতে ফিরেছেন। আজ এখন পর্যন্ত যেসব ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে তাতে কোনো বিলম্ব হয়নি। একটা ট্রেনে আধাঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে। মাসুদ সারওয়ার বলেন, আপনারা জানেন গতকাল (সোমবার) কিছু বিশেষ অঞ্চলের ট্রেনে ব্যাপক চাপ হয়েছিল। বিশেষ করে গার্মেন্টস শ্রমিকরা একসঙ্গে এসে উঠেছেন। আজ সকালে উত্তরাঞ্চলের একটাই ট্রেন ছিল, রংপুর এক্সপ্রেস। সেটাতেও অনেক চাপ ছিল। এ ছাড়া পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেসেও ব্যাপক চাপ লক্ষ্য করা গেছে। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনারা জানেন উৎসবমুখর পরিস্থিতির বাস্তবতায় যাত্রীদের ছাদ থেকে নামানো যায়নি।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

শেষ দিনে ট্রেনের টিকিট পেতে তিন কোটি হিট 
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শেষ হলো সাত দিনব্যাপী ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। শনিবার (৩০ মার্চ) শতভাগ অনলাইনে টিকিট পেতে সর্বোচ্চ বেগ পেতে হয়েছে যাত্রীদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে টিকিট না পাওয়ার কষ্ট শেয়ার করেছেন অনেকেই।   এ দিন সোনার হরিণ খ্যাত ট্রেনের টিকিট পেতে অনলাইনে সর্বোচ্চ হিট করেছেন প্রায় তিন কোটি যাত্রী। সহজ ডটকমের প্রধান টেকনিশয়াল সন্দীপ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি কালবেলাকে বলেন, সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অনলাইনে এক কোটি ৩২ লাখ মানুষ হিট করেছেন। দুপুর ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত আধাঘণ্টায় হিট পড়েছে এক কোটি ৭৬ লাখ। সব মিলিয়ে মোট হিটের সংখ্যা দুই কোটি ৯৯ লাখ। জানা গেছে, শেষ দিনে কোটা বাদে ঢাকা থেকে অনলাইটে টিকিট সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৪৬৬। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ২৯ হাজার ৫৪৯টি। সারা দেশে অনলাইনে টিকিট সংখ্যা ছিল এক লাখ ৫০ হাজার ৭০২। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৯০টি।   সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদা কম থাকায় স্বল্প দূরত্বের টিকিট অবিক্রিত রয়ে গেছে। এসব টিকিট অনলাইনে যে কোনো সময় যাত্রীরা কাটতে পারবেন। রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি ট্রেনে ২৫ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট যাত্রা শুরুর আগে দেওয়া হবে। মূলত তিন এপ্রিল থেকে রেলপথে ঈদযাত্রা শুরু হবে। যা চলবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিক্রি হবে অপ্রিম ফিরতি টিকিট। ৩ এপ্রিল পাওয়া যাবে ১৩ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট। পর্যায়ক্রমে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাবে। প্রতিবছর অগ্রিম টিকেট ৫ দিন আগ পর্যন্ত দেওয়া হলেও এবার বিক্রি হবে ৭ দিনের। একজন সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট নিতে পারবেন। অগ্রিম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট (https://eticket.railway.gov.bd/) ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকেট বিক্রি করা হয়। এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৫০০।
৩০ মার্চ, ২০২৪

আজ পাওয়া যাচ্ছে ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চলছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হয়েছে আগামী ৮ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। আজ সকালে থেকে বিক্রি হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট এবং দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বহির্গামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি। জানা গেছে, আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। ২৪ মার্চ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ওই দিন ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে। ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ এবং ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৭ মার্চের টিকিট। ঈদের আগে আগামীকাল ৩০ মার্চ বিক্রি করা হবে ৯ এপ্রিলের টিকিট। এ ছাড়া ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
২৯ মার্চ, ২০২৪

৩২ হাজার ট্রেনের টিকিট পেতে দেড় কোটির বেশি হিট
ঈদযাত্রায় ট্রেনের সাত এপ্রিলের টিকেট নিতে অনলাইনে হিট করেছেন এক কোটি ৫৭ লাখের বেশি গ্রাহক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রেনের টিকেট বিক্রির জন্য অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কমের প্রধান টেকনেশিয়ান সনদিপ দেবনাথ। তিনি বলেন, ঢাকায় টিকিট বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৫৯১। সারা দেশে অনলাইনে টিকেট ছিল এক লাখ ৬২ হাজার ৬৪৮টি। এরমধ্যে ঢাকায় বিক্রি হয়েছে ২৭ হাজার ৯০০ টিকেট। প্রায় চার হাজার টিকেট অবিক্রিত রয়েছে। সারা দেশে বিক্রি হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৫২ টিকেট। প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার টিকেট অবিক্রিত। তিনি জানান, গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে অনলাইনে হিট করেছেন সাড়ে ৮২ লাখ মানুষ। দুপুর দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে হিট হয়েছে ৭৪ লাখ ৫০ হাজার। এরমধ্যে ঢাকার দূরের জেলাসমূহের টিকেটের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। অনলাইনে টিকেট বিক্রির ৫ম দিনে সবচেয়ে বেশি হিট ছিল বুধবার। ঈদযাত্রায় সাত দিনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শেষ হবে ৩০ মার্চ। শেষ দিনে দেওয়া হবে ৯ এপ্রিলের টিকেট। প্রতিবছর অগ্রিম টিকেট ৫ দিন আগ পর্যন্ত দেওয়া হলেও এবার বিক্রি হবে ৭ দিনের। একজন সর্বোচ্চ ৪ টিকিট নিতে পারবে। অগ্রিম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট (https://eticket.railway.gov.bd/) ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি করা হয় ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি করা হয় ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি করা হয় ২৭ মার্চ, ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় আজ ২৮ মার্চ। আগামী ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।
২৮ মার্চ, ২০২৪

৭ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চলছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হয়েছে আগামী ৭ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট।  আজ সকালে থেকে বিক্রি হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট এবং দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বহির্গামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি। জানা গেছে, আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। ২৪ মার্চ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ওই দিন ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে। ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ এবং ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৭ মার্চের টিকিট। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
২৮ মার্চ, ২০২৪

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে চাচা-ভাতিজা সিন্ডিকেট
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। টিকিট বিক্রি ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে সহজ ডটকম নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা রেলওয়ে কর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে টিকিটের কারসাজি করছে। রাজধানীসহ দেশব্যাপী রয়েছে কালোবাজারিদের সিন্ডিকেট। আর এ সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে চাচা মিজান ঢালী ও ভাতিজা সোহেল ঢালী। মিজান সহজের পিওন আর তার ভাতিজা সোহেল অফিস সহকারী। চাচা-ভাতিজার এ সিন্ডিকেটে সহজের সার্ভার অপারেটর, স্টেশন রিপ্রেজেন্টেটিভ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। সঙ্গে আছেন রেলওয়ের কাউন্টারম্যানসহ অসাধু কর্মকর্তারা। গত ২১ মার্চ রাতে চাচা-ভাতিজা সিন্ডিকেটের মিজান, সোহেল, সার্ভার অপারেটর নিউটনসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৩। তাদের কমলাপুর ও সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, শাহজালাল হোসেন, রাসেল, জয়নাল আবেদীন ও সবুর হাওলাদার। ঈদের তিন হাজার অগ্রিম টিকিট নিজেদের সংগ্রহে নিয়ে কালোবাজারের বিক্রির পরিকল্পনা ছিল এ সিন্ডিকেটের। র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ তিন হাজার টিকিট পরবর্তী সময়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি দামে কালোবাজারে বিক্রি করত তারা। এ সিন্ডিকেটের কারণেই ট্রেনের টিকিট পেতে ভোগান্তিতে পড়ে জনগণ। র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন কালবেলাকে বলেন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের সিন্ডিকেটে সহজ ও রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন জড়িত। তবে কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ করে চাচা মিজান ও ভাতিজা সোহেল। সার্ভার অপারেটর নিউটনসহ অন্যরা কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকেন। সহজের সার্ভারে দায়িত্ব পালনের সময় এ কারসাজি করা হয়। অন্যায়ভাবে কালোবাজারিদের সুবিধা দেওয়ার জন্য বুকিং দেখায়। সুবিধামতো সময়ে খুলে দিয়ে মিজান-সোহেলকে জানান। তখন তারা কাউন্টারম্যানসহ নিজেরা নামে-বেনামে অনলাইন থেকে টিকিটগুলো কিনে নেন। এ কাজে বিভিন্নজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা জাতীয় পরিচয়পত্রগুলো ব্যবহার করেন তারা। এর আগে গতকাল শুক্রবার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন খন্দকার মঈন। তিনি জানান, মিজান ও সোহেলের নেতৃত্বে এ চক্রটি অনেকদিন ধরে রেলওয়ের প্রায় সব ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। মিজান দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের টিকিট বুকিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত। এ কারসাজির সঙ্গে সহজের কমলাপুর রেলস্টেশন সার্ভার রুমের সার্ভার অপারেটর নিউটন বিশ্বাস, স্টেশন রিপ্রেজেন্টেটিভ সবুর হাওলাদারসহ এবং পলাতক আব্দুল মোত্তালিব, আশিকুর রহমানসহ আরও কয়েকজন জড়িত। র‌্যাব জানিয়েছে, সোহেল মিজানের ভাতিজা। মিজানের সুপারিশে সিএনএস বিডিতে চাকরি পান সোহেল। পরবর্তী সময়ে সহজ চুক্তিবদ্ধ হলে সেখানে কমলাপুর শাখায় অফিস সহকারী হিসেবে তার চাকরি বহাল থাকে। চাকরিতে যোগদানের পর চাচার কালোবাজারি চক্রে যুক্ত হন সোহেল, হয়ে ওঠেন মিজানের অন্যতম সহযোগী। সোহেল কাউন্টারে টিকিট বুকিংয়ের দায়িত্বে থাকা কাউন্টারম্যানদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং কাউন্টারম্যানদের যোগসাজশে বিভিন্ন টিকিট কালোবাজারি করে আসছিলেন। সারা দেশেই এ চাচা-ভাতিজার সিন্ডিকেট সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা সিন্ডিকেট মেম্বাররা মিজানের কাছে টিকিটের চাহিদা পাঠান। পরবর্তী সময়ে চাহিদা অনুযায়ী মিজান ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে অধিক দামে বিক্রি করতেন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‌্যাব জানিয়েছে, কালোবাজারে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে উপার্জিত টাকা দুভাগে ভাগ হয়। টাকার ৫০ ভাগ পান সহজ ও রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারম্যানরা, বাকি ৫০ ভাগ পান চাচা-ভাতিজা (মিজান ও সোহেল)। গত ছয় মাসে সিন্ডিকেট মেম্বারদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ৯৭ লাখ টাকার ট্রানজেকশন পেয়েছেন র‌্যাব কর্মকর্তারা। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে সহজের লোকজন জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দীপ দেবনাথ কালবেলাকে বলেন, গুটিকয়েক কর্মীর দায়ভার প্রতিষ্ঠান নেবে না। যারা এ কালোবাজারিতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র‌্যাব যে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে, সে সময় সহজের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। আমরাও চাই ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি মুক্ত হোক।
২৩ মার্চ, ২০২৪

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি, চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৯
সামেন ঈদুল ফিতর। এর আগই ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের অন্যতম মূলহোতা সহজডটকমের অফিস সহকারীসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।  র‌্যাব-৩ এর দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে রাজধানীর কমলাপুর ও সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের থেকে অবৈধভাবে সংগ্রহ ও মজুতকৃত ট্রেনের টিকিট জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে শুক্রবার (২২ মার্চ) কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
২২ মার্চ, ২০২৪

ট্রেনের টিকিট নিয়ে প্রতারণার শিকার, সারারাত রাস্তায় ৯ পর্যটক
কক্সবাজার থেকে ফিরতে অন্যের সহযোগিতায় ট্রেনের টিকিট কেটে প্রতারণার শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভুক্তভোগী ৯ পর্যটক বাড়ি ফিরতে না পেরে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। ওই পর্যটকরা গাজীপুরের টঙ্গীর বাসিন্দা বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী পর্যটকরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে ট্রেনে তারা কক্সবাজারে আসেন। ভ্রমণের সময় রেলের নিরাপত্তায় থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। তার কাছে ফিরতি ট্রেনের টিকিট পাওয়ার সহযোগিতা চাইলে তিনি টিকিটের ব্যবস্থা করে দেন। রোববার রাত ১১টার দিকে রেলস্টেশনে আসেন তারা। তারা ভেবেছিলেন রাত ১২টায় ট্রেন। কিন্তু ট্রেন আসেনি। পরে জানতে পারেন কক্সবাজার থেকে রাত ১২টায় কোনো ট্রেন ছাড়ে না। ফলে রাতভর স্টেশনে কাটাতে হয়েছে তাদের। মোহাম্মদ লালচান বাদশা নামের এক পর্যটক অভিযোগ করে বলেন, ৬৯৫ টাকার টিকিট ১২৫০ টাকা নিয়েছে বায়েজিদ। টিকিটে তারিখ উল্লেখ থাকলেও সময়ের জায়গাটা অস্পষ্ট ছিল। বায়েজিদ আমাদের রাত ১২টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে আসতে বলেন। এসে দেখি ট্রেন নেই। ওই ব্যক্তিকে আনসার সদস্য বলে দাবি করেন তিনি। আরেক পর্যটক রিয়াদ হাসান রাসেল বলেন, ট্রেনে ফিরব বলে হাতে থাকা টাকা দিয়ে অনেক পণ্য ক্রয় করেছি। তা ছাড়া টাকা ব্যবস্থা করতে পারলেও এত রাতে ঢাকা ফেরার গাড়িও পাওয়া যায় না। তাই ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কষ্ট পেতে হয়েছে আমাদের। অভিযুক্ত বায়েজিদও নিজেকে আনসার সদস্য দাবি করেন। তিনি বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) থেকে টিকিট নিয়ে তাদের দিয়েছি। ট্রেনটি রাতে নয়, দিনের সাড়ে ১২টায় ছাড়ে। পর্যটকরা সময় বোঝেনি, এতে আমার অপরাধ কি? টিকিটের অতিরিক্ত দামে নেওয়ার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের রেল মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের একটি ট্রেন দুপুর সাড়ে ১২টায়, আরেকটি রাত ৮টায় ছাড়ে। রাত ১২টায় কোনো ট্রেন নেই।  তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারি করার সুযোগ নেই। যদি কেউ অসাধু উপায়ে এ রকম করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  সহকারী রেলস্টেশন মাস্টার আতিকুর রহমান বলেন, এটি পর্যটকদের অজ্ঞতা। তারা কার কাছ থেকে টিকিট নিচ্ছেন, কক্সবাজার থেকে কতটি ট্রেন ছাড়ে, তার সময় কখন; এসব জানা দরকার। যার কারণে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা। তিনি আরও বলেন, রেলস্টেশনে কোনো আনসার সদস্য কাজ করে না। শুধু আরএনবি সদস্য রয়েছেন। তারপরও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

হাঁকডাক করে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করছিলেন তিনি, অতঃপর...
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের টিকিট বিক্রির সময় আমীন মিয়া (৩২) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছে আন্তঃনগর ট্রেনের ১৫টি আসনের ছয়টি টিকিট পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে,  আমীন টিকিট কালোবাজারি। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে থানা পুলিশ ফাঁড়ির এক অভিযানে তাকে আটক করা হয়। আটক হওয়া আমীন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউটের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমীন মিয়া সকাল ৯টার দিকে হাঁকডাক করে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছিলেন। এ সময় তাকে আটক করা হয়। কালোবাজারিতে টিকিট বিক্রির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আগেও একটি মামলা হয়। এখন আরেকটি নতুন মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X