টয়লেট ব্যবহার করে টাকা দিতে হবে অনলাইনে 
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার শিয়ালদার বিভিন্ন রেলস্টেশন দিয়ে যারা যাতায়াত করেন, তারা স্টেশনের শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক সময় সমস্যায় পড়েন। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেকে টয়লেট ব্যবহার করার পর খুচরা না থাকায় টাকা দিতে পারেন না। সে সমস্যা এড়াতে স্টেশনের যে স্থানে ইউজ টয়লেট থাকবে তার বাইরে কিউআর কোড থাকবে। যাত্রীরা নির্দিষ্ট শৌচালয়ে যাওয়ার পরে তাদের আর খুচরা টাকা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কিউ আর কোড দিয়েই সেখানে খুচরা টাকা দেওয়া যাবে। নির্দিষ্ট কোড স্ক্যান করে প্রয়োজনীয় টাকা দেওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে নগদবিহীন লেনদেনের কথা। কিন্তু স্টেশনের শৌচাগারে এই কিউআর কোডের বিশেষ ব্যবস্থা ছিল না। রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, শৌচালয় প্রবেশ করলে কিউআর কোড দেখা যাবে। সে কোড স্ক্যান করলেই যাত্রীরা টাকা দিতে পারবেন। এখন আর খুচরা টাকা না থাকলেও সমস্যা হবে না। নতুন এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় এখন কেউ আর অভিযোগ করতে পারবেন না যে খুচরা টাকা না থাকায় তার কাছে বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে। অথবা লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা পরিশোধের ঝামেলায়ও পড়তে হবে না। এদিকে যাত্রীরা এ কোড স্ক্যান করে টিকিটও কাটতে পারেন। তাহলে ট্রেনের টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

১ টাকা বাঁচাতে ওপিজির সময় ব্যবহার হচ্ছে টয়লেট পেপার
মাত্র ১ টাকা বাঁচাতে দন্ত রোগীদের অর্থোপ্যান্টোমোগ্রাম (ওপিজি) করার সময় পলির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে টয়লেট পেপার। এমনটা হচ্ছে রাজধানীর প্রখ্যাত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে। এতে চিকিৎসা নিতে এসে রোগী পূর্ববর্তী রোগীর লালার মাধ্যমে নান ধরনের সংক্রমিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু পলি সংকটের অজুহাত দেখিয়ে হাসপাতালটির এক্স-রে বিভাগে এটি হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানানোর পর এক সপ্তাহের বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু এখনো হাসপাতালে ওপিজির সময় টয়লেট পেপার ব্যবহার করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দাঁতের চিকিৎসা নিতে রাজধানীর গুলশান থেকে হলি ফ্যামিলিতে আসেন এক শিক্ষক। চিকিৎসক রোগীর দাঁত দেখে মুখের ভেতর ওপিজি করার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগে যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি দেখেন একটি টয়লেট পেপার থেকে কিছু অংশ ছিড়ে এক্স-রে মেশিনের মেলামাইনের বাইট প্লেটে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বাইট প্লেটটি রোগীর মুখে ঢুকাতে গেলে রোগী বাধা দেন। তিনি এক্স-রে অপারেটর নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চান কেন এখানে টয়লেট পেপার লাগানো হয়েছে। তখন অপারেটর জানান, এখানে মূলত হাইজেনিক পলি ব্যবহার করার নিয়ম। তা না করে টয়লেট পেপার ব্যবহার করছেন কেন জানতে চাইলে নজরুল বলেন, এ বিষয়ে হাসপাতালের সুপারভাইজার মফিজুল ইসলাম ভালো বলতে পারবেন। পরে রোগী সুপারভাইজারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ মুহূর্তে বাজারে পলি নেই। হাসপাতালের পরিচালক হুমায়নের নির্দেশেই এটি হচ্ছে। বিষয়টি ওই রোগী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এস এম হুমায়ুন কবীরকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, এমনটি হওয়ার নয়। খোঁজ নিয়ে শিগগির এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু গতকাল রোববার দুপুরেও হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, এখনো রোগীদের মুখে টয়লেট পেপার ঢুকিয়ে ওপিজি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মার্কস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাজী হোসেন মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত পলি আছে। একটি পলির দাম ১ থেকে দেড় টাকা। এক বক্সে ১ হাজারের মতো থাকে। এখানে কোনোভাবেই টয়লেট পেপার, ফেসিয়াল টিস্যু বা ন্যাপকিন টিস্যু ব্যবহারে সুযোগ নেই। এতে করে লালার মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি ও সি, এপস্টাইন বার ভাইরাস, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস, সিএমভি ভাইরাস, ইবোলাসহ আরও ভয়ানক রোগে রোগী সংক্রমিত হতে পারে। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মইনুল আহসান বাপ্পি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। এ বিষয়ে জেনে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
১২ মার্চ, ২০২৪

কুয়াকাটায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের জমি দখল করে টয়লেট
কুয়াকাটায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের জমি দখল করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ। গত রোববার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এদিকে বৌদ্ধ বিহারে টয়লেট নির্মাণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের বিচার দাবি জানিয়েছেন দেশের ৪৪ বিশিষ্ট নাগরিক। কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিহারাধ্যক্ষ ইন্দ্রবংশ ভান্তে স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, কুয়াকাটার কেরানীপাড়া সংলগ্ন এস এ ৫৩০নং খতিয়ানের ৫৩৭৪নং দাগে ২ দশমিক ৪৪ একর জমি ১৯৪৭ সালের ৭ নভেম্বর রেজিস্ট্রিকৃত ০৯নং চুক্তিপত্র দলিলের মাধ্যমে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের জন্য কেরানীপাড়ার মগগনের পক্ষে পাড়া মাদবর নোলাউ মগ বরাবর হস্তান্তর করে। মূলত দলিল মূল্যে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ ওই জমির মালিক। কিন্তু এস এ ৫৩৭৪নং দাগের পূর্ব অংশে রাখাইন মার্কেট সংলগ্ন জমিতে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র পাবলিক টয়লেট নির্মাণের কাজ শুরু করেন। শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ ওই কাজ বন্ধে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ দেখিয়ে নির্মাণকাজে আপত্তি জানায়। সরেজমিন দেখা গেছে, গত ২৪ শনিবার রাতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পাবলিক টয়লেটের ছাদ ঢালাই কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভা এলাকায় অঢেল জমি থাকা সত্ত্বেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন। জানতে চাইলে বিহারে অধ্যয়নরত ছাত্র উচাচি বলেন, আমরা এর প্রতিকার চাই। রাখাইন নারী নেত্রী লুমা রাখাইন বলেন, আমরা এর প্রতিকার চাই। সুষ্ঠু সমাধান চাই। আমাদের জমিতে কোনো স্থাপনা করতে দেব না। এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার কালবেলাকে বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত কাজ নয়। এটা পর্যটকদের জরুরি কাজ সারার জন্য। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও জানেন। কয়েকদিন আগে সিপিপির একটি প্রোগ্রাম হয়েছিল কুয়াকাটায়। তখন টয়লেট এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়েছিল যে, তাৎক্ষণিক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম কালবেলাকে বলেন, শনিবার রাতে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে বসতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কোথায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বিচার দাবি ৪৪ বিশিষ্টজনের: কুয়াকাটা বৌদ্ধ বিহারের জমিতে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৪৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। গত মঙ্গলবার এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের জমিতে পাবলিক টয়লেট নির্মাণকাজের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে বৌদ্ধ বিহারের জমির পরিবর্তে অন্য স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থানান্তর করার জোর দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমন অসাংবিধানিক নিপীড়নমূলক ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব সম্পন্ন কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বৌদ্ধ বিহারের মতো পবিত্র স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থাপন কখনো সমর্থনযোগ্য নয়। এ কাজটি ধর্মীয় উসকানি বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ধর্মের অবমাননার শামিল। পৌরসভা এলাকায় অনেক জমি থাকা সত্ত্বেও বৌদ্ধ বিহারের মতো পবিত্র স্থানে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা সংখ্যালঘু রাখাইন সম্প্রদায়কে তাদের উচ্ছেদের চেষ্টার সুস্পষ্ট নামান্তর। কেন বৌদ্ধ বিহারের দেয়াল ভেঙে এবং উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের চেষ্টা করা হলো তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানায়। বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে রয়েছেনÑ সুলতানা কামাল, খুশী কবির, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, রাশেদা কে চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ড. পারভীন হাসান, শিরিন হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৪৮ ঘণ্টায় ৩১ মৃত্যু / হাসপাতালপ্রধানকে দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করালেন এমপি
হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর সংখ্যার বৃদ্ধির কারণে হাসপাতালপ্রধানকে শাস্তি পেতে হয়েছে এমন নজির খুব একটা দেখা যায় না। তবে এবার এমনটাই ঘটল। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩১ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালপ্রধানকে সাজা দিয়েছেন স্থানীয় এক এমপি।  ভারতের মহারাষ্ট্রে সরকারি হাসপাতালে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩১ জন রোগীর মৃত্যু হয়। সেখানে মৃত্যুর মিছিল দেখে হাসপাতাল পরিদর্শনে যান স্থানীয় এমপি। সেখানে গিয়ে আবিষ্কার করেন হাসপাতালের টয়লেটও খুবই নোংরা অবস্থায় রয়েছে।     এমন পরিস্থিতি দেখে সেই হাসপাতালের প্রধানকে ডেকে আনেন এমপি হেমন্ত পাতিল। এরপর যা করেন তা অবাক করার মতো ঘটনা। তিনি হাসপাতালপ্রধানকে নির্দেশ দেন সেই নোংরা টয়লেট পরিষ্কার করার। কথামতো সেটা পরিষ্কার করেন হাসপাতালপ্রধান। এসময় এমপি নিজে পাইপ দিয়ে পানি দেন সেখানে।    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন দল শিব সেনার এমপি হেমন্ত পাতিল রাজ্যের শঙ্করাও চৌহান সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। সেখানে নোংরা টয়লেটটি তার চোখে পড়ে। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালটির প্রধান (ডিন) শ্যামরাও ওয়াকোদেকে ডেকে পাঠান তিনি। এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কঠোর ব্যবস্থা নেন তিনি।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের ডিন শ্যামরাও ঝাড়ু দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করছেন। আর এমপি পাইপ দিয়ে পানি ছিটাচ্ছেন। এদিকে হাসপাতালের নানা সমস্যাও উঠে এসেছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও ওষুধ নেই। আর এসব সংকটের কারণে রোগীরা চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছেন।  তবে শ্যামরাও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি হাসপাতালে সবকিছু পর্যাপ্ত আছে। এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে কারণ যারা চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন তারা আগে থেকেই মরণাপন্ন ছিলেন। 
০৪ অক্টোবর, ২০২৩

হাসপাতালের ডিনকে দিয়েই নোংরা টয়লেট পরিষ্কার করালেন এমপি
মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় এক সরকারি হাসপাতালে ৩১ রোগীর মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসে সরকার। তড়িঘড়ি করে ওই হাসপাতালে যান ক্ষমতাসীন দলের এক সংসদ সদস্য (এমপি)। পর্যবেক্ষণ করেন সেখানকার সবশেষ পরিস্থিতি। একপর্যায়ে নোংরা টয়লেট দেখতে পেয়ে হাসপাতালের ডিনকে দিয়েই তা পরিষ্কার করান এমপি।      আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেদের একটি সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। গতকাল সোমবার নান্দেদের শঙ্কররাও চ্যাবন সরকারি হাসপাতালে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ২৪ রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর মঙ্গলবার আরও সাতজন মারা যায়। এ নিয়ে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়। এরপরই এ বিষয়ে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে। একই সঙ্গে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের দিকে সমালোচনার তোপ দাগেন বিরোধীরা। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা (শিন্দে দল), বিজেপি ও জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সমন্বয়ে গঠিত জোট সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ওই হাসপাতালে যান ক্ষমতাসীন শিবসেনার (শিন্দে দল) এমপি হেমন্ত পাটিল। হাসপাতালের অবস্থা পর্যবেক্ষণের একপর্যায়ে নোংরা টয়লেট দেখতে পেয়ে ডিন শ্যামরাও ওয়াকোডেকে দিয়ে তা পরিষ্কার করান। এ ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ডিন শ্যামরাও ব্রাশ দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করছেন। আর এমপি হেমন্ত দাঁড়িয়ে থেকে পাইপ থেকে টয়লেটে ছিটাচ্ছেন। হাসপাতাল ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীরা যেসব অভিযোগ এনেছেন সেসব প্রত্যাখ্যান করে এমপি হেমন্ত বলেছেন, হাসপাতালে ওষুধ বা ডাক্তারের কোনো অভাব নেই। রোগীদের যথাযথ সেবা দেওয়া হয়েছিল। তবে কোনো চিকিৎসাই তাদের কাজে আসেনি।
০৩ অক্টোবর, ২০২৩

পেট্রোল পাম্পে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের নির্দেশ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এবং বিপণিবিতানে পাবলিক টয়লেট স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে একটি হোটেলে গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। ঢাকার পাবলিক স্যানিটেশন বিষয়ে দক্ষিণ এশীয় অংশীজনকে নিয়ে এ গোলটেবিলের আয়োজন করে ওয়াটারএইড, অ্যাডমিনিস্টেটিভ স্টাফ কলেজ অব ইন্ডিয়া (এএসসিআই), বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং কিম্বারলি-ক্লার্ক।  আতিক বলেন, শহরে নাগরিকদের চাহিদার তুলনায় পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা খুবই কম। এতে চলতি পথে নারীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন। ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় অনেক সিএনজি স্টেশন এবং পেট্রোল পাম্প রয়েছে। প্রতিটি পাম্প এবং স্টেশনে একটি করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করতে হবে। সেখানে নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হবে। তিনি বলেন, পেট্রোল পাম্প এবং সিএনজি স্টেশনে পাবলিক টয়লেট সংশ্লিষ্ট মালিকরা নিজ খরচে নির্মাণ করবেন। যে পাম্পে পাবলিক টয়লেট থাকবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আরও ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আকবর হোসেন, ওয়াটারএইড আঞ্চলিক পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) ডা. খায়রুল ইসলাম, কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, সেন্টার ফর আরবান গভর্নেন্স, এনভায়রনমেন্ট, এনার্জি, অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক ভি শ্রীনিবাস চারি, এএসসিআই সহযোগী অধ্যাপক ড. এম স্নেহলতা প্রমুখ। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
২১ জুলাই, ২০২৩

পেট্রলপাম্প-শপিংমলে পাবলিক টয়লেট স্থাপনের নির্দেশ মেয়র আতিকের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রত্যেকটি পেট্রলপাম্প ও শপিংমলে পাব্লিক টয়লেট রাখা বাধ্যতামূলক। আর তা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই। টয়লেট রাখতে হবে এবং তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও রাখতে হবে। এটা আমার আদেশ। যদি তা অমান্য হয় তাহলে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশান লেকশোর হোটেলে ওয়াটারএইড আয়োজিত ঢাকায় পাবলিক স্যানিটেশন বিষয়ে ‘সাউথ এশিয়ান এক্সচেঞ্জ অন পাবলিক স্যানিটেশন' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সকল নাগরিকদের ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনো অভিযোগ ও মন্তব্য প্রদানের আহ্বান জানান মেয়র। ওয়াটারএইড, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফ কলেজ অব ইন্ডিয়া (এএসসিআই), বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং কিম্বারলি ক্লার্কের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত সম্মানিত অতিথিরা ও অংশীজনরা পাবলিক স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতনতা নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ও ভাবনা তুলে ধরেন; পাশাপাশি, মতবিনিময়কালে তারা কোন বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও পাকিস্তানে স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বহুদিন ধরেই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এসব দেশে স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন সমস্যা নিয়ে সরকার, সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে; তবে, স্থানস্বল্পতা ও অপর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি দ্রুত নগরায়ণ এ-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ধারাবাহিকভাবে প্রতিকূলতা তৈরি করছে, ফলে পাবলিক স্যানিটেশন নিয়ে সংকট ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উল্লিখিত বিষয়ে আলোকপাত করে ওয়াটারএইডের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয় ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফ কলেজ অব ইন্ডিয়া এই গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে আঞ্চলিক পর্যায়ে গণশৌচাগার নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের এই খাতের প্রতিনিধিরা এবং বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা সিটি করপোরেশন ও কাঠমান্ডু মেট্রোপলিটান সিটি অফিসের প্রতিনিধিরাসহ অন্যান্য বক্তা নিজেদের মধ্যে মতামত, ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। গোলটেবিল আলোচনা ও প্রদর্শনীতে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন প্রধান অতিথি আতিকুল ইসলাম, মাননীয় মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন; মো. আকবর হোসেন, উপসচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাংলাদেশ : ডা. মো. খায়রুল ইসলাম, আঞ্চলিক পরিচালক, দক্ষিণ এশিয়া, ওয়াটারএইড; হাসিন জাহান, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ; প্রফেসর ভি. শ্রীনিবাস চারি, পরিচালক, সেন্টার ফর আরবান গভর্নেন্স, এনভায়রনমেন্ট, এনার্জি, অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট; ড. এম স্নেহলতা, সহযোগী অধ্যাপক, এএসসিআইসহ আরও অনেকে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এই গোল টেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন। এ ছাড়াও আয়োজনে প্রদর্শনীর মাধ্যমে পাবলিক স্যানিটেশনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক বিভিন্ন উদ্ভাবন উপস্থাপন করা হয়। প্রদর্শনীতে ওএন্ডএম মডেলস (বাংলাদেশ), সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ (বাংলাদেশ), সোশ্যাল অডিট (ভারত), ইনোভেশন প্রজেক্টস (ভারত), এবং বাস ট্যুর অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন (নেপাল) তুলে ধরে হয়। এ সময় প্রতিনিধি এবং অংশীজনরা পাবলিক টয়লেট, কার্যক্রম এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর ওপর বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন।
২০ জুলাই, ২০২৩
X