মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা
ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মার্চ-এপ্রিল এই ২ মাস ইলিশের অভয়াশ্রমে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। ২৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ এলাকায় সব ধরনের জাল ফেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে অভয়াশ্রমগুলোয় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারীদের ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভোলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা।   জাটকা সংরক্ষণে ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার এই দুই মাস মাছ শিকার বন্ধে জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। গঠন করা হয়েছে মনিটরিং টাস্কফোর্স, করা হয়েছে মাইকিং, লিফলেট বিতরনসহ প্রত্যেক উপজেলার নদীর পাড়ে অভয়াশ্রম এলাকায় মতবিনিময় সভা। এ নিষেধাজ্ঞায় ভোলা জেলার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৫ জন নিবন্ধিত জেলের ৮৯ হাজার ৬শ পরিবারের জন্য ৭ হাজার ১৬৮ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  এদিকে নিষিদ্ধ সময় সরকারিভাবে দেওয়া জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে প্রতি বছরেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের সত্যতা পেলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিনের পর দিন অনিয়ম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ জেলেদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করে। এ অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নিষেধাজ্ঞা চলমান সময়ে সরকারিভাবে বরাদ্দের চাল পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় থাকেন সাধারণ জেলেরা। বেকারত্বের এই ২ মাসে পরিবার নিয়ে কীভাবে দিন কাটবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ সবার কপালে।    ভোলার ইলিশা মাছ ঘাটের জেলে মো. আলাউদ্দিন ও তুলাতলির জেলে আকবর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব লিখে কী হবে? আপনারা লিখে যাচ্ছেন, চুরি তো বন্ধ হয় না। যদি প্রশাসন চুপ থাকে, তাতে লাভ হচ্ছে কী। অপরদিকে দৌলতখান মাছ ঘাটের জেলে মো. সফিজল বলেন, জেলেদের চেয়ে স্থানীয় নেতা, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের লোকেরা চাল বেশি নিয়ে যায়। প্রকৃত জেলেরা পায় না। প্রতি বছরের মতো এবারও যেন অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে না হয় সেই আঁকুতি জেলে পরিবারগুলোর।  এ বিষয় ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডের জেলেদের তালিকা যাচাই করে জেলে নয় এমন লোককে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে প্রকৃত জেলেদের তালিকার জন্য মেম্বারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলেদের প্রকৃত তালিকা থাকলেই জেলে পুণর্বাসন প্রকল্প সফল করা সম্ভব। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, চাল বিতরণ নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলেরা যেন সঠিকভাবে চাল পায় সে জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলেদের তালিকায় স্বচ্ছতা আনার কাজও করা হচ্ছে।  তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে অভয়াশ্রমগুলোতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। জেলে পুনর্বাসন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ভোলা জেলার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৫ জন জেলেকে মাসে ৪০ কেজি করে ২ মাসে ৮০ কেজি হারে মোট ৭ হাজার ১৬৮ টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফের ৭ ডিগ্রির ঘরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, কুয়াশাবিহীন কনকনে শীত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কয়েক দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ফের কনকনে শীতে জবুথবু এ অঞ্চলের মানুষ। এরই মধ্যে অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা আরও কমলো। জেলার তেঁতুলিয়ায় এখন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি ধরনের কুয়াশাও পড়ছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  এদিকে দিনে রোদের দেখা মিললেও তাতে খুব একটা তাপ নেই। বিকেলের পর থেকে উত্তরের হিমেল বাতাসের তীব্রতা আরও বাড়ে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীত উপেক্ষা করে সকালেই বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীরা কাজে যাচ্ছেন। নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। তবে এতে তাদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ফের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাতভর প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভব হয়েছে। এ অঞ্চলে দিনের তুলনায় রাতে শীত অনুভূত হয় বেশি।  এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ রোগী। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বলেন, গত কয়েক দিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যায় কুয়াশা না থাকায় হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে, যা সামনের দিনে কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উত্তরের জেলায় ঝলমলে রোদেও কনকনে শীত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় আবহাওয়া অফিস জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ভোরেও তেমন কুয়াশা ছিল না। সকালেই দেখা মেলে সূর্যের। এ ঝলমলে রোদেও উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।  জেলার তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  এদিকে সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা আরও বাড়ে। ছিন্নমূল ও গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।  পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বলেন, আজ শনিবার সকাল ৯টায় এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায় । সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফের শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে তেঁতুলিয়া
ফের মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কাঁপছে জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। চার দিন পর আবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে। উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে, যা বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছির ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। অন্যদিকে সন্ধ্যার পর থেকেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীত ও ফের শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।     পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বলেন, আবারও হঠাৎ করে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা কমে গেছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে । 
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া
জেঁকে বসেছে শীত। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরের জনপদ। রাত থেকে পড়ছে কুয়াশা, সেই সঙ্গে রয়েছে হিমেল হাওয়া। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা।  দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজকে বয়ে চলেছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা কমে ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে, যা চলতি শীত মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যেবক্ষক মো. রোকনুজ্জামান বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।   সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের ভোগান্তিতে পড়েছেন পঞ্চগড়ের খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। এর সঙ্গে বয়ে চলা উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন সড়কে ধীরগতিতে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। কিছু কিছু যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তবে ঘন কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি ঢাকা পড়লেও জীবিকার তাগিদে সাতসকালেই বের হয় শ্রমজীবী মানুষ। ঘন কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে বিঘ্নিত হয়েছে যানবাহন চলাচল। এদিকে উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও ঘন কুয়াশার দাপটে উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ।  তবে দুদিন ধরে বয়ে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে, তীব্র শীত আর কুয়াশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রতিনিয়তই সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকের তাপমাত্রা অনুযায়ী তেঁতুলিয়ায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে। 
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে তেঁতুলিয়া
হিমালয়ের হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শুরুতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরের হিমেল বাতাসে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বিকেল থেকেই উত্তর দিক থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ। শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চা-পাথর, রিকশা-ভ্যান চালকসহ শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অসহনীয় অব্যাহত এ শীতে শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বলেন, কনকনে হিম বাতাসে আর ঘন কুয়াশায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ৯টায় ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।    
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

মৃদু শৈত্যপ্রবাহেই কাবু তেঁতুলিয়াবাসী
উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিম বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হচ্ছে। দেখা মিলছে না সূর্যের। এ পরিস্থিতিতে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রির নিচে।  আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘণ্টা আগে একই ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।  জানা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয় হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশা। এতে অনুভূত হতে থাকে কনকনে শীত। দিনভর উত্তরের হিমেল বাতাস থাকায় ছড়াতে পারেনি সূর্যের তীব্রতা। এতে কমে যায় দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান। উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা থাকায় শীতে কাবু হয়ে পড়ছে উত্তরের এই জনপদের মানুষ। জেঁকে বসেছে শীত। শীতের দাপট বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। কনকনে শীত অনুভূত হওয়ায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে খেটে খাওয়া মানুষের। সকালে ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে বের হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।  হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার কারণে স্থবিরতা দেখা দেয় জনজীবনে। তবে জীবিকার তাগিদে সকালে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন রিকশা-ভ্যানচালক ও কৃষি শ্রমিকরা। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশা-ভ্যানে উঠতে চায় না। তাই কনকনে শীতের কারণে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে এসব শ্রমজীবী মানুষের। এদিকে হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস ও তীব্র ঠান্ডার কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে বহির্বিভাগে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ জানান, আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। জানুয়ারি মাসজুড়ে এই এলাকায় একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানান তিনি। 
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

তেঁতুলিয়ায় সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।  রোববার (৭ জানুয়ারি) উপজেলার ৩৭টি কেন্দ্রে সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। ভোট হবে কাগজের ব্যালটে। এ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোটের দিন অর্থাৎ আজ ভোর ৪টার সময় ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।  নির্বাচনী শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে তৎপর রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি ও আনসারসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনকালীন সব ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়। ভোটের পরিবেশ সুরক্ষায় মাঠে দায়িত্বপালন করছে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।  নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তেঁতুলিয়া উপজেলায় ১ লাখ ৩ হাজার ৬৪ জন ভোটার রয়েছে। পঞ্চগড়-১ আসন (তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী ও পঞ্চগড় সদর) ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৮ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৪ জন, হিজড়া ভোটার ১ জন। এ আসনটিতে ভোটকেন্দ্র ১৫৬টি, অস্থায়ী কক্ষ ৯৯টি, স্থায়ী কক্ষ ৯১৭টি। মোট কক্ষ ১ হাজার ১৬টি। এর আগে, গতকাল শনিবার দুপুরে প্রতিটি কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার ও পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ল, হঠাৎ কমতে পারে
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে শৈত্যপ্রবাহ বেশি অনুভূত হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা আজ একটু বেড়ে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি। এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।  পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বলেন, তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আজ সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ৯ টায় ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এদিকে উত্তরের হিমেল হওয়ায় শীতের  তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সকাল ও রাতভর তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের দৈনন্দিন আয় কমে গেছে।  পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে বাড়ির আশপাশে এবং পথঘাটে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

হিম বাতাস আর কনকনে শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া
হিমালয়ঘেঁষা দেশের সর্বো উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়ায় হিমশীতল বাতাস আর কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। তবে অন্যান্য উপজেলার তুলনায় তেঁতুলিয়ায় শীতের প্রকোপ একটু বেশি।    মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৯ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।   সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরের হিম হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তর দিক থেকে হিমশীতল বাতাস বইতে শুরু করে৷ চারপাশে কুয়াশাছন্ন পরিবেশের সাথে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ৷ শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চা-পাথর, রিকশা-ভ্যান চালকসহ শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের। এ শীতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে বাড়ির আশপাশে এবং পথঘাটে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।   এদিকে প্রচণ্ড শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। শীতের কারণে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। কারণ এ জেলার নিম্ন আয়ের মানুষরা বেশিরভাগ পাথর, চা শ্রমিক ও দিনমজুর। ফলে শীতে কাহিল তারাও।    উপজেলার সদরের চা শ্রমিক আসাদুল হক বলেন, কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কমছে। হিমেল অনুভূতি আর বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না শীতের কারণে।    একই উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের পাথর শ্রমিক আব্দুস সামাদ বলেন, আমরা শীতের কারণে নদীতে নেমে কাজ করতে পারছি না। আমরাদের কেউ খোঁজ খবরও নেয় না। তাই এই সময়ে শীতবস্ত্র দিয়ে কেউ সহযোগিতা করলে আমরা উপকৃত হতাম৷      পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ কালবেলাকে বলেন, আজ সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ৯ টায় ছিল ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।  
০২ জানুয়ারি, ২০২৪
X