হিমালয়ঘেঁষা দেশের সর্বো উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়ায় হিমশীতল বাতাস আর কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। তবে অন্যান্য উপজেলার তুলনায় তেঁতুলিয়ায় শীতের প্রকোপ একটু বেশি।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৯ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরের হিম হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তর দিক থেকে হিমশীতল বাতাস বইতে শুরু করে৷ চারপাশে কুয়াশাছন্ন পরিবেশের সাথে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ৷ শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চা-পাথর, রিকশা-ভ্যান চালকসহ শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের। এ শীতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে বাড়ির আশপাশে এবং পথঘাটে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
এদিকে প্রচণ্ড শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। শীতের কারণে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। কারণ এ জেলার নিম্ন আয়ের মানুষরা বেশিরভাগ পাথর, চা শ্রমিক ও দিনমজুর। ফলে শীতে কাহিল তারাও। উপজেলার সদরের চা শ্রমিক আসাদুল হক বলেন, কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কমছে। হিমেল অনুভূতি আর বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না শীতের কারণে।
একই উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের পাথর শ্রমিক আব্দুস সামাদ বলেন, আমরা শীতের কারণে নদীতে নেমে কাজ করতে পারছি না। আমরাদের কেউ খোঁজ খবরও নেয় না। তাই এই সময়ে শীতবস্ত্র দিয়ে কেউ সহযোগিতা করলে আমরা উপকৃত হতাম৷
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ কালবেলাকে বলেন, আজ সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ৯ টায় ছিল ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন