মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ মোতায়েন
ধোলাইখাল এলাকায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় শনিবার (১৮ মে) বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ব্যাংকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকের ভল্টে টাকা থাকায় ভবনের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) সুরঞ্জনা সাহা বলেন, আগুন নেভানো হয়েছে। তবে ব্যাংকের ভল্টে টাকা থাকায় পুলিশ সদস্যরা ভবনের সামনে রয়েছেন। টাকার নিরাপত্তাসহ ব্যাংকের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পুলিশ সদস্যরা সেখানে পাহারায় রয়েছেন।  এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আগুনের সংবাদ পায় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপরিচালক (মিডিয়া) শাহজাহান সরদার। তিনি বলেন, ছয়তলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আমরা আগুন লাগার খবর পাই। তৎক্ষণাৎ সূত্রাপুর ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এ ছাড়াও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে আরও ২টি ইউনিট পরে যোগ দেয়। শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ৫ ইউনিট। তিনি আরও বলেন, এ ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। সেখানেও আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে। আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণে আসে ১১টা ৫৭ মিনিটে। এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
৭ ঘণ্টা আগে

আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী
খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  শুক্রবার (১৯ মে) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারে আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে।  তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাই। দেশটাকে স্বাবলম্বী করতে চাই। যুবসমাজ যেন চাকরির পেছনে না ছুটে ব্যবসা করতে পারে, সে জন্য বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। পেনশন স্কিমে যোগ দিলে আর ভাতার আশায় থাকতে হবে না দেশের মানুষকে।  এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, নতুন আরেকটি আধুনিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। আজকের শিশু-কিশোর যুবক তারাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের সৈনিক। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে দেশকে বাঁচাতে প্রত্যেককে দুই-তিনটা করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ৯টার পর টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেন তিনি। সেখানে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।  এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই শেখ হেলালসহ পরিবারের সদস্যরা।  
১০ মে, ২০২৪

নিরাপত্তা ক্যাম্পে আনসার সদস্যদের ‘স্ট্যান্ড বাণিজ্য’
ক্যাম্পের প্রবেশপথেই রাজ্জাক মিয়ার টং দোকান। সেই দোকান-সংলগ্ন ধূসর দেয়ালে লেখা আছে ‘শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তা সর্বত্র আমরা—বাংলাদেশ আনসার বাহিনী’। চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ মোজ্জাফর নগরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বিরোধপূর্ণ জায়গার নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে ক্যাম্পটি। এখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেই আনসার বাহিনীর কিছু সদস্য গাড়িস্ট্যান্ড বানিয়ে করছেন ব্যবসা। আরও রয়েছে রিকশার গ্যারেজ। এই গ্যারেজে রিকশার ব্যাটারি চার্জের জন্য অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। আশপাশে থাকা কিছু দোকানেও এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এখান থেকে মাসে আসে লাখ টাকার ওপরে। চসিক সূত্রে জানা গেছে, মোজ্জাফর নগর কোবে সিটি হাউজিং সোসাইটি এলাকায় রয়েছে চসিকের মালিকানাধীন প্রায় তিন একর জমি। ২০০৬ সালে এসব জমিতে ৫০টি প্লট বানিয়ে বিক্রি করে সংস্থাটি। এরপর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেই জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ বাধে। সে কারণে এতদিন প্লটগুলো মালিকদের বুঝিয়ে দিতে পারেনি চসিক। চলতি বছরের শুরুর দিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আপস হয় চসিকের। এতে চসিক নিজেদের মালিকানাধীন জমি বুঝে নেয়। প্রায় ২ দশমিক ৮৪ একর জায়গায় বর্তমানে চলছে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ। ওই জমির পাশেই এক ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন খালি জায়গায় আনসার ক্যাম্পটি বাসনো হয়। বর্তমানে জায়গা দুটি ঘিরেই রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন আনসার ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) রেজাউল হক ও সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) সঞ্জয় কুমার। চসিকের মালিকানাধীন জায়গা পাহারা দেওয়ার কথা থাকলেও ওই ক্যাম্পের আনসার বাহিনীর মোট ১১ সদস্য দিনভর ব্যস্ত থাকেন অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্ট্যান্ডে ট্রাক ঢোকা-বেরুনোর হিসাব নিয়ে। আর রাতে ক্যাম্পের জন্য বরাদ্দ চারটি অস্ত্র ব্যবহার হয় স্ট্যান্ডে রাখা ট্রলি, ট্রাক, মিনি ট্রাক, পিকআপ, বাসসহ নানা ধরনের যানবাহনের নিরাপত্তায়। ক্যাম্প ঘিরে অবৈধ বাণিজ্যের বিষয়টি কালবেলার কাছে স্বীকার করেছেন আনসারের এক সদস্য। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে, ক্যাম্পের পিসির দায়িত্বে আছেন রেজাউল হক। তার নির্দেশেই সদস্যরা পালন করেন ট্রাক পাহারার ডিউটি। অন্তত দুই ডজন কোম্পানির গাড়ি এখানে রাখা হয়। প্রতিটি বড় ট্রাক (১০ চাকার) বিপরীতে ভাড়া নেওয়া হয় আড়াই হাজার টাকা। রোলারের বিপরীতে সাড়ে ৩ হাজার, কাভার্ডভ্যানের বিপরীতে ২ হাজার, এক্সক্যাভেটরের বিপরীতে ২ হাজার, বাসের বিপরীতে ৩ হাজার টাকা নেওয়া হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, ক্যাম্পের প্রবেশ মুখে রয়েছে একটি টং দোকান। ঢুকতেই দেখা গেল সারি সারি ট্রাক-লরি, বাস, এক্সক্যাভেটর। দুই দফা ঘুরে সেখানে অন্তত ৩০টি গাড়ির দেখা মেলে। ক্যাম্পের অদূরেই বসানো হয়েছে রিকশার গ্যারেজ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাতের বেলা ব্যাটারি রিকশা সেখানে এনে চার্জ দেওয়া হয়। পাশেই চসিকের প্রায় ২ দশমিক ৮৪ একর জমিতে চলছে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ। এ সময় পরিচয় গোপন করে কথা হয় ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা পিসি রেজাউল হক ও এপিসি সঞ্জয় কুমারের সঙ্গে। তারা দুজনই স্বীকার করেন এটা সিটি করপোরেশনের জায়গা। তারাই দেখাশোনা করেন। কথা প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, ‘এখানে আপনি গাড়ি রাখলে আপনার কোনো চিন্তা করতে হবে না। আপনি শুধু চিন্তা করবেন গাড়ি কখন ঢুকবে, কখন বের হবে। নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের সদস্যরা সারারাত অস্ত্র নিয়ে গাড়ি পাহারা দেবেন। এর চাইতে বেশি নিরাপত্তা আপনাকে কে দেবে। গাড়ির পার্টস চুরি হবে না। চোরের বাপও এখানে ঢুকতে পারবে না। এখন পাশে সিটি করপোরেশন দেয়াল করে দিচ্ছে। কাজ শেষ হলে সেখানেও গাড়ি রাখা যাবে।’ জানে না চসিক ও আনসার কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে চসিক সংশ্লিষ্টরা সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘সেখানে আনসার সদস্যরা গাড়ির স্ট্যান্ড করেছেন। পাশের জমিটি আরেকজনের। দুই জায়াগাতেই গাড়ি রাখছে। আমরা বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা কথা শুনছেন না। চট্টগ্রাম আনসার ব্যাটালিয়ন নর্থ জোনের অধিনায়ক নাজমুল হক নুর নবী কালবেলাকে বলেন, ‘এই অভিযোগটি আগে কেউ করেনি। এখন যেহেতু অভিযোগ পেয়েছি। অবশ্যই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ক্যাম্পে অস্ত্রের বরাদ্দ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি সশস্ত্র ক্যাম্প হলে অবশ্যই অস্ত্র দেওয়া হবে। আর নিরস্ত্র ক্যাম্প হলে সেখানে সদস্যদের লাঠি দেওয়া হয়। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এগুলো অবশ্যই আমাদের তালিকায় থাকবে। আর আনসারের দায়িত্ব তো এগুলো পাহারা দেওয়া নয়।’ পরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় পিসি রেজাউল হকের সঙ্গে। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, অস্ত্র ব্যবহার করে গাড়ি পাহারা এবং ব্যাটারি রিকশার গ্যারেজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশনের জায়গা দেখাশোনা করি। ওখানে পুরো জায়গার দায়িত্ব তো আমাদের নয়। যাই হোক আপনি আসেন। আমরা বসে কথা বলি।’
০৭ মে, ২০২৪

ফের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি ফখরুলের
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিক, ভিন্নমতের মানুষ ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে অবিলম্বে আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।  বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৩ মে) বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বাণীতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফের এ দাবি জানান। বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে সারা বিশ্বে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিপাদ্যটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ১৯৯১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’র (বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস) স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইউনেস্কোর মতে- অবাধ, মুক্তচিন্তা এবং মত প্রকাশের অধিকার হচ্ছে মানবাধিকারের অন্তর্নিহিত শক্তি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকসহ মুক্তচিন্তার মানুষদের ওপর চলছে নিষ্ঠুর আক্রমণ। সরকারবিরোধী কণ্ঠস্বরকে নিস্তব্ধ করার জন্যই একের পর এক কালো আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সাংবাদিক ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দিনের পর দিন কারাগারে অন্তরীণ রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদের জামিন পাওয়ার অধিকারকেও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করতেই স্বাধীন গণমাধ্যমের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে কতৃর্ত্ববাদী সরকার। কোনো স্বৈরশাসকই চিন্তা, মুদ্রণ ও লেখনীর স্বাধীনতা সহ্য করতে পারে না। বাংলাদেশেও এখন একদলীয় স্বৈরশাসনে মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে উৎপীড়নের খড়গ। এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হলেও আওয়ামী সরকার এই আইনকে সাংবাদিক, ভিন্নমতের মানুষ ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন করতে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে, যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে সত্য কথা বলতে না পারে। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।
০৩ মে, ২০২৪

হোয়াটসঅ্যাপে সাইবার নিরাপত্তায় ৫ সতর্কতা
বর্তমানে সারা বিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারে সহজ পদ্ধতি এবং উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সবার কাছেই অ্যাপটি জনপ্রিয়। ব্যবহারকারীদের সাইবার হামলা থেকে রক্ষার জন্য বেশকিছু নিরাপত্তা–সুবিধা রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। ডিজঅ্যাপিয়ার মেসেজ নির্ধারিত সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা মুছে দেওয়ার সুযোগ রেখেছে হোয়াটসঅ্যাপে। তথ্যর নিরাপত্তায় ‘ডিজঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’ নামের এ সুবিধা কাজে লাগানো যেতে পারে। এতে ব্যক্তিগত বা গুরুত্বপূর্ণ বার্তাগুলো প্রাপকের চ্যাট বক্সে নির্দিষ্ট সময় পর আর দেখা যায় না। চ্যাটলক হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাটলক–সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীরা আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে আদান-প্রদান করা তথ্য লক করে রাখতে পারেন। ফলে অন্য কেউ ফোন ব্যবহার করলেও সেই বার্তা বা ছবি দেখতে পারেন না। এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন এ সেবাটি চালু থাকলে পাঠানো বার্তা প্রাপক ছাড়া অন্য কেউ পড়তে পারেন না। ফলে আদান-প্রদান করা সব তথ্য নিরাপদ থাকে। এ সুবিধা চালুর জন্য অ্যাপের সেটিংসে প্রবেশ করে চ্যাটস নির্বাচনের পর চ্যাট ব্যাকআপ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ নির্বাচনের পর টার্ন অন অপশনে ক্লিক করে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ড মনে রাখার পাশাপাশি কোনো জায়গায় লিখে রাখতে হবে। কারণ, নিরাপত্তার স্বার্থে পাসওয়ার্ড উদ্ধারের জন্য কোনো সাহায্য করে না হোয়াটসঅ্যাপ। সংরক্ষণ করা তথ্য এনক্রিপশন সংরক্ষণ করা তথ্যও এনক্রিপশন করে রাখা যায় হোয়াটসঅ্যাপে। ফলে ব্যাকআপে থাকা তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করা সম্ভব। এ সুবিধা চালুর জন্য হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস থেকে চ্যাটস অপশনে যেতে হবে। এরপর চ্যাট ব্যাকআপ অপশন থেকে পাসওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ সুবিধা চালু করতে হবে। স্প্যাম কল প্রটেকশন স্প্যাম কলের মাধ্যমে প্রতারণার হাত থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করতে ‘সাইলেন্স আননোন কলারস’ সুবিধা রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। এ সুবিধায় অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করা হলেও ফোনে রিং বাজে না। ফলে একাধিকবার চেষ্টার পর সাড়া না পাওয়ায় অপরিচিত নম্বর থেকে আসা কলের সংখ্যা কমে যায়। সাইলেন্স আননোন কলারস সুবিধায় অপরিচিত নম্বর থেকে করা কলের রিং না বাজলেও সেগুলোর তথ্য দেখা যায়। ফলে প্রয়োজন হলে পরে সেই নম্বরে কল করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। সূত্র: নিউজ১৮ ডটকম
০১ মে, ২০২৪

কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যা করে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী
ইরানে ইসলাম রক্ষার নামে বেশ সরব দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এবার তাদেরই বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে। ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষার দোহাই দিয়ে গ্রেপ্তার এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যা করেছে তারা।  দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর ফাঁস হওয়া নথি পর্যালোচনা এবং নিজস্ব অনুসন্ধানের পর মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিবিসি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তবে এ বিষয়ে বিবিসির যোগাযোগের পরও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইরান। হত্যার শিকার নিকা শাকারামি (১৬) এক বিক্ষোভের পর নিখোঁজ হন। এক সপ্তাহের বেশি সময় পর মর্গে তার লাশ শনাক্ত করে পরিবার। সে সময় ইরান সরকারের পক্ষে দাবি করা হয়, বিক্ষোভের সঙ্গে নিকার মৃত্যুর ঘটনায় যোগসূত্র নেই। সে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু নিকার সঙ্গে ঘটেছে এক ভয়াবহ ঘটনা। তাকে গ্রেপ্তারের পর যৌন নির্যাতন করা হয়। এরপর তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য জড়িত। তারা হলেন- আরশ কালহর, সাদেগ মনজাজি ও বেহরুজ সাদেগি। আর ওই দলের নেতা ছিলেন মোর্তেজা জলিল। তিনি মূলত তথ্য গোপন করতে সহায়তা করেন।  এ সংক্রান্ত একটি শুনানি করে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। তারা দেশটিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত রাখতে বিভিন্ন দমনমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। সেই শুনানিতে জড়িতদের নাম এবং যেসব উচ্চপদস্থ কমান্ডার ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছেন তাদের নাম রয়েছে। এ নথি ফাঁস হয়েছে। যেভাবে গ্রেপ্তার হয় সেই ইরানি কিশোরী ২০২২ সালে ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে নিখোঁজ হন নিকা শাকারামি। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় তার একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা গেছে, তেহরানের লালেহ পার্ক এলাকায় সে একটি ডাস্টবিনের ওপর দাঁড়িয়ে হিজাবে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাকে ঘিরে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন। তাকে আয়াতুল্লা আলী খামেনিকে একনায়ক উল্লেখ করা হচ্ছিল। তারা বলছিলেন, ‘একনায়ক নিপাত যাক।’   নিরাপত্তা বাহিনী ধারণা করেছিল, নিকা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাই তাকে টার্গেট করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয় নিকা। এরপর সে এক আত্মীয়কে কল করে গ্রেপ্তার চেষ্টার বিষয়টি জানায়।  এর এক ঘণ্টার মধ্যে নিকাকে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ দল ‘টিম টুয়েলভ’ গ্রেপ্তার করে। কিন্তু বিষয়টি তারা গোপন রাখে। যেভাবে হত্যা করা হয় নিকাকে গ্রেপ্তারের পর নিকাকে একটি ফ্রিজার ভ্যানে তোলা হয়। ভ্যানটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো লোগো ছিল না। সামনের কেবিনে ছিলেন কমান্ডার। পেছনে হাত বাঁধা নিকার সঙ্গে ছিলেন তিন সদস্য। ফ্রিজার ভ্যানটি ছিল অন্ধকার।  নিকাকে সেই ভ্যানে শুইয়ে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ভয়ংকর এ অবস্থাতেও নিকা অনবরত স্লোগান দিচ্ছিল। এ সময় তার পাশে বসা এক সদস্য যৌন নির্যাতন শুরু করেন।  হাত বাঁধা সত্ত্বেও নিকা বাধা দেন। তাকে সরিয়ে দিতে প্রবল চেষ্টা করেন। হয়তো ওই সদস্যকে লাথিও দেন নিকা। এরপর বাকি দুজনও এ ঘৃণ্য কাজে যোগ দেন। কিন্তু নিকার বাধায় ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে হত্যা করেন তারা।  বিবিসি দাবি করেছে, শুধু ফাঁস হওয়া নথির সারাংশ তারা প্রকাশ করেনি বরং নিজস্ব সূত্রের সাহায্যে বিশদ অনুসন্ধানের পর তা প্রকাশ্যে এনেছে। বিক্ষোভকারী নিকা শাকারামির নিখোঁজ হওয়া এবং তার মৃত্যুর খবরটি ইরানে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। ইরানে নিজেদের স্বাধীনতা চেয়ে আন্দোলনরত নারীদের কাছে নিকা শাকারামির ছবিটি লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে। দ্য উইমেন, লাইফ, ফ্রিডম মুভমেন্ট নামের এ আন্দোলন শুরু হয়েছিল মূলত ২২ বছর বয়সী তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। জাতিসংঘের একটি সত্য অনুসন্ধান মিশনের তদন্তে দেখা গেছে, পুলিশি হেফাজতে আঘাতের কারণে মাসা মারা যান। যথাযথভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। এবার নিকার মৃত্যুর ঘটনা ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর আরও একটি ঘৃণ্য কাজ সামনে আনল।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

নিরাপত্তা চেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন কিছু শিক্ষার্থী। এরপর বিকেলে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলনে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মতো সংগঠনের ইন্ধন রয়েছে বলে গত ৩০ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও ছাত্রলীগপন্থি পাঁচ শিক্ষার্থী। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাকেই ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার ও সামাজিকভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। তারা বলেন, ২০২৩ সালে সুনামগঞ্জে আটককৃত ২৪ বুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যে মামলা হয়, আমরা একটি মানববন্ধনের মাধ্যমে দোষীদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করি। যারা মানববন্ধনে ছিল তাদের হল বা ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ব্যাচ ও যার যার নিজ নিজ ব্যাচের ছাত্রদের মাধ্যমে ডেকে জবাবদিহি চাওয়া হয়। রাতে একসঙ্গে কাচ্চি খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে সবার সামনে অপরাধী বানিয়ে আমাদের ওপর যে ‘মব জাস্টিস’ শুরু করে তা এর আগে উপাচার্যকে জানিয়েছিলাম। তিনি আমাদের আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত কোনো তদন্ত রিপোর্ট বা দোষীদের শাস্তি দেয়নি। এসব কারণে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। নতুন নতুন পদ্ধতিতে তারা আমাদের নিপীড়ন ও হেনস্তা করে যাচ্ছে। তাই এসবের তদন্ত ও ক্যাম্পাসে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

জাতিসংঘে ইসরায়েলে হামলার কারণ জানাল ইরান
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো হামলা চালিয়েছে ইরান। জাতিসংঘকে দেশটিতে হামলা কারণ জানিয়েছে সংস্থায় ইরানের নিয়োজিত দূত আমির সায়্যিদ ইরাভানি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রোববার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইরানের দূত বলেন, স্বাভাবিকভাবেই সব দেশের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। ইরান এ হামলার মাধ্যমে সেই আত্মরক্ষার অধিকারই রক্ষা করেছে।  ইরানের দূত সায়্যিদ ইরাভানি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি এমন মন্তব্য করেন।  হামলার ঘটনা উল্লেখ করে ইরাভানি আরও বলেন, তেহরানের পাল্টা জবাব দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। ইরান কোনো ধরনের উত্তেজনা বা যুদ্ধ চায় না। তবে যে কোনো হুমকি বা হামলার জবাবের কথা জানান  তিনি।  ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলে হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান জানান, তেহরান যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে হামলার বিষয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা ৭২ ঘণ্টা আগে জানিয়েছিল। বার্তায় ইসরায়েলে ইরানের হামলা সীমিত ও আত্মরক্ষামূলক হবে বলেও জানানো হয়। ইরানের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলেও বিষয়টি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, ইরানের এমন দাবি সত্য নয়। তারা ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে চেয়েছিল। তুরস্কের পররাষ্টরমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার আগে তারা ওয়াশিংটন ও তেহরানের উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছিল। হামলার প্রতিক্রিয়া যেন আনুপাতিক থাকে সে জন্য আঙ্কারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে একে আপরের বার্তা পরস্পরের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এদিকে ইরান ও ইয়েমেন থেকে ছোড়া অন্তত ৮৬ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেন্টকম জানিয়েছে, ধ্বংসের তালিকায় অন্তত ৬টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এ ছাড়া ৮০টির বেশি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এগুলো ইরান এবং ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলকে নিশানা করা হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে সেন্টকম জানিয়েছে, ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের উৎক্ষেপণকারী যানসহ একটি ব্যালেস্টিক মিসাইল ও ৭টি ড্রোন উড্ডয়নের আগেই ধ্বংস করা হয়েছে। অন্যদিকে  ইসরায়েলকে সমর্থনকারী দেশগুলোকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি বলেন, যদি কোনো দেশ তাদের আকাশসীমা ইসরায়েলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তাহলে আমরা তাদের চূড়ান্ত মোকাবিলা করব। এক্সে হিব্রু ভাষায় এক পোস্টে তিনি বলেন, যদি কোনো দেশ ইরানের ওপর (সম্ভাব্য) আক্রমণের জন্য ইসরায়েলের জন্য তার মাটি বা আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেয়, তাহলে তারা আমাদের পক্ষ থেকে নিষ্পত্তিমূলক প্রতিক্রিয়া পাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ব্যাপক হারে ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করা হয়েছে; তা সত্ত্বেও ইরানের উদ্দেশ্য ছিল ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটানো। আর এক্ষেত্রে ইরান সফল হলে এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে অনিয়ন্ত্রিত সংঘাতে প্ররোচনা দিত। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করে তেহরান। ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ পর্যন্ত বেধে যেতে পারে বলে সতর্ক করছেন তারা। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।  
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলে ইরানের হামলা : জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক
টানা কয়েকদিনের উত্তেজনার পর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটির হামলার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়ে বৈঠকের আহ্বান জানায় দেশটি। এ ছাড়া একইসাথে তারা ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাবনা জানিয়েছে।   শনিবার রাতে প্রকাশিত সিডিউলে দেখা গেছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের এ প্রস্তাব নিয়ে রোববার বিকেল ৪টায় বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।  রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘে নিয়োজিত ইসরায়েলের অ্যাম্বাসেডর গিলাদ এরডান শনিবার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে জরুরি বৈঠকের আনুরোধ জানিয়ে চিঠি  দিয়েছেন।  এরডান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানান, ইরানের হামলা বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি। আমি আশা করি, কাউন্সিল ইরানের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সব উপায় ব্যবহার করবে। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এক সিনিয়র কমান্ডারসহ ৭ সদস্য নিহত হন। এরপর হামলার জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। ইরানের এ হুঁশিয়ারির পর মার্কিন কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে জানান, ইসরায়েলের হামলা চালাতে ইরান শতাধিক ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এমন আশঙ্কার মধ্যে শনিবার গভীর রাতে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে প্রথম হামলায় ঠিক কতগুলো ড্রোন ছোড়া হয়েছে তা জানা যায়নি। এদিকে ইরানের হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় জর্ডান। এছাড়া এ সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ইসরায়েলগামী দুটি বিমান ও থাইল্যান্ড থেকে ইসরায়েলগামী আরও দুটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪
X