১৩৯ উপজেলায় কত শতাংশ ভোট পড়েছে, জানাল ইসি
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। বৃহস্পতিবার (৯ মে) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।  নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট কাস্টিং ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। ইভিএমে ভোট পড়েছে ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আর ব্যালটে ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ।  কমিশনার বলেন, হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি, ধানকাটা ও একটি বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না আসায় ভোট পড়ার হার কম হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয় যা শেষ হয় বিকেল ৪টায়।  প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সারা দেশে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে ভোটার প্রায় ৩ কোটি ১৪ লাখ। ভোটকেন্দ্র ছিল প্রায় ১২ হাজার। ভোটকক্ষ প্রায় ৭৮ হাজার। প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন করে নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত ছিল।  দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। সর্বশেষ ২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট হয় পাঁচ ধাপে।
০৯ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / এমপিদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা : রাশেদা সুলতানা
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো দলীয় প্রভাব খাটানোর তথ্য প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংসদ সদস্যরা এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন, ভোট দিতে পারবেন কিন্তু কোনো প্রচার করতে পারবেন না। এমপি-মন্ত্রীদের জনসভার একইমঞ্চে প্রার্থী উপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফরের সভাপতিত্বে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।  নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখবেন, আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তবে তথ্য গোপনের কোনো অভিযোগ নির্বাচন কমিশন পাননি। ভোটারদের উপস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সচেতনতামূলক প্রচারসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মতবিনিময় সভায় লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হক, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামসহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং নারী ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

নির্বাচন দেখতে রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন দেখতে যাবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগামী ১২ মার্চের দিকে সুবিধাজনক দিনে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে তার যাত্রা শুরুর কথা রয়েছে। এ সফরে সঙ্গে থাকবেন তার একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) ইসির উপসচিব মো. শাহ আলম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান হিসাব ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন। চিঠিতে জানানো হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও তার একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এবং নির্বাচনী সার্বভৌমত্ব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাশিয়ান ফেডারেশন সফর করবেন। আগামী ১৪ থেকে ১৮ মার্চ সিইসিসহ তার একান্ত সচিব কিছু শর্তসাপেক্ষে রাশিয়া সফর করবেন। এতে আরও জানানো হয়, আগামী ১২ মার্চের দিকে সুবিধাজনক দিনে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে তারা যাত্রা শুরু করবেন এবং ১৯ মার্চ  ঢাকায় ফিরবেন। এই সফরের সময়কাল, ভ্রমণ এবং ট্রানজিটের জন্য ব্যয় করা সময়কে দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করা হবে। তারা তাদের বেতন-ভাতা স্থানীয় মুদ্রায় নেবেন এবং এর কোনো অংশ বৈদেশিক মুদ্রায় নেওয়া যাবে না। সফরের সময় তারা ২ জন অংশগ্রহণকারী ৫ রাতের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা এবং স্থানীয় আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন। তবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে। এটি একটি সরকারি সফর।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

টাঙ্গাইলে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন ভারতের সিনিয়র ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে টাঙ্গাইল-২ আসনের (গোপালপুর-ভূঞাপুর) নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসছেন ভারতের ইলেকশন কমিশনের সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার ধর্মেন্দ্র শর্মা। তিনি ভারতের নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলনেতা হিসাসবে বাংলাদেশ সফর করবেন।  তার সঙ্গে থাকছেন ভারতের ইলেকশন কমিশনার ডিরেক্টর জেনারল মি. নারায়না বালা সুব্রামানিয়ান এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মি. মোহাম্মদ উমর।  গত ৩ জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব শেখ মো. ফয়সাল মোস্তফা আমিনের স্বাক্ষরিত অফিসিয়াল পত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেন।  স্বাগতিক কর্মকর্তা এবং পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মো. শাহ আলম খোকন জানান, ভারতের সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার ধর্মেন্দ্র শর্মা যাবেন টাঙ্গাইল জেলায়। আর মি. নারায়নবালা সুব্রামানিয়ান চাঁদপুর ও লক্ষীপুর জেলা এবং মি. মোহাম্মদ উমর পরিদর্শন করবেন খুলনা ও যশোর জেলার নির্বাচনী এলাকায়।  বাংলাদেশ সফরকালে ধর্মেন্দ্র শর্মা টাঙ্গাইল-২ আসনের (গোপালপুর-ভূঞাপুর) নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে ঢাকায় ফিরবেন। 
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

সুষ্ঠু ভোট না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত : নির্বাচন কমিশনার
সুষ্ঠু ভোট না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফেনী-৩ আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে বিশেষ আইনশৃংখলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি আনিছুর রহমান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক আসছে। যারা ভিসা ছাড়া পর্যবেক্ষণে আসবে তারা আসলেই আমরা ভিসা দিয়ে দেব। দেশি অনেক পর্যবেক্ষক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অনেককিছু ঘটবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে আনিছুর রহমান বলেন, আগামী একসপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অনেককিছু দেখবেন। যারা অবৈধ হস্তক্ষেপ করতে চায় ওইসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে অনেক জায়গায় অনেককিছু ঘটবে। ভোটের পরিবেশ সৃষ্টিতে আমরা কাজ করছি। এখানে ছোট-বড় কেউ না। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবে সবাই প্রার্থী। ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়ার প্রসঙ্গে ইসি আরও বলেন, অসহযোগ বলতে কী বুঝাচ্ছে সেটি আপনি আমি কেউই জানিনা। অসহযোগ, অবরোধে অর্থ আপনার কাছে একরকম আবার আমার কাছে আরেকরকম। কতটুকু অসহযোগ, কী অসহযোগ, দেখা যাক কী হয়। দেখেন কর্মসূচি কোনদিকে কী যায়। সভায় ফেনীর জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ শাহীনা আক্তারের পরিচালনায় তিনটি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ৪ বিজিবি অধিনায়ক রকিবুল হাসান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ করিমসহ জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত তিনি ফেনীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারীদের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, জেলা নির্বাচন অফিসারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনীর ৩টি সংসদীয় আসনে ভোটার ছিল ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭১ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনীতে ভোটার বেড়ে হয়েছে ১২ লাখ ৪৬ হাজার ১২৬। যা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায়  ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। ফেনী তিনটি আসনে ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৯ জন পুরুষ, ৬ লাখ ২ হাজার ৮১৪ নারী ও ৩ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। জেলার ৬টি উপজেলার ৫টি পৌরসভা ও ৪৩টি ইউনিয়নে ৩৯৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা : নির্বাচন কমিশনার
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে যা যা দরকার, আমরা তাই করব। এ নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা, আইনশৃংখলাবাহিনীসহ সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, বিদেশিরা আমাদের বন্ধু, তাদের সাথে আমাদের অর্থনৈতিক, আঞ্চলিকসহ নানা রকম সম্পর্ক রয়েছে, তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। বন্ধু হিসেবে তারা আমাদের পরামর্শ দিতেই পারে। তবে যেটি আমরা ভালো মনে করি, সেটি গ্রহণ করব। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, আমাদের পরিকল্পনার কথা জেনে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, আপনাদের পক্ষ থেকে কোনো ঘাটতি নেই।  নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োজিত রাখার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। অতীতে জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। তবে এবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহেদ পারভেজ। 
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ইসিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাংবিধানিক রীতি-নীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশনকে সাহসিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্বাহী বিভাগসহ জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা।’ তিনি বলেন, দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের মতামতের প্রতিফলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন এবং প্রতিনিধির মাধ্যমেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়ে থাকে।’ মোঃ সাহাবুদ্দিন আশা করেন যে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা করবে। সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এ সময় সিইসি জানান, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাহী বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩

বঙ্গভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ৪ নির্বাচন কমিশনার। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বঙ্গভবনে উপস্থিত হয়েছেন তারা।  দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার জন্যই এ সাক্ষাৎ। এসময় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন-তারিখের সম্মতি নিয়ে আসবে ইসি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সিইসি ব্রিফ করবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। মোট ভোটারের মধ্যে নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২, পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৫ লাখ ৪০ হাজার ১৯৩ জন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে ইসি। এ তালিকা অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, এই দাবি পূরণের বিষয়টি তাদের এখতিয়ারের বাইরে। তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলো ভোটের আয়োজন করা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ৩০ জানুয়ারি। বিধান অনুযায়ী এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর থেকে নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভোটের তপশিল ঘোষণা হতে পারে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩

ভারতসহ ৪ দেশের সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশে সফররত ভারতসহ ৪ দেশের বর্তমান ও সাবেক পাঁচজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। অন্যান্য দেশগুলো হলো- শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ও নেপাল। ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে তারা এসেছেন। আগামী রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ও নেপালের প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা বাংলাদেশে এসেছেন। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এরিয়া হোটেল এসকট প্যালেসে সফররত চার দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের অংশগ্রহণে ‘দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাচন ব্যবস্থা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’- শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।  পরের দিন ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসি ও অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে সফররত দেশের কমিশনারদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে, বলেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই ধরনের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩

প্রধান নির্বাচন কমিশনার সরকারের টুলস হিসেবে কাজ করছে : আমীর খসরু
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সরকারের টুলস (হাতিয়ার) হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার (৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, কাঠামোগত সংস্কার এবং প্রধান অংশীজনদের ভূমিকা’- শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে না গিয়ে সেই আগের মতো চুরি করে ক্ষমতায় (আওয়ামী লীগকে) বসানোর চিন্তা তার মধ্যে। তার কাছ থেকে প্রত্যাশা করার কোনো কারণ নাই। সিইসি সরকারের একটা টুলস হিসেবে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনে ভোটচুরির প্রকল্পের অংশ মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনার ফ্যাসিস্ট রেজিমের একটা অংশ। তাকে বসানোই হয়েছে একটা কারচুপির নির্বাচন করার জন্য। এদের কিছু বলে কোনো লাভ নেই। একটাই উপায় আছে, এই রেজিমকে সরাতে হবে। আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠিত হবে। বিচারকরাও এই প্রক্রিয়ার অংশ জানিয়ে তিনি বলেন, হিটলারের সময় আইন ছিল, যদি নাৎসি পার্টির সঙ্গে আইনের কোনো সংঘর্ষ হয় তাহলে নাৎসি পার্টি প্রাধান্য পাবে। মুসোলিনি, স্ট্যালিনের সময়ও এমনই নীতি ছিল। বাংলাদেশেও এখন এমন। অনেকে ১০ বছরেও জামিন পাচ্ছে না। এর সঙ্গে আইনের কোনো সম্পর্ক নেই। বিচারকরা মাস্টারের আনুগত্য প্রদর্শন করছে মাত্র। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের অধিকার আওয়ামী লীগের নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে হয়েছিল। এটা বাতিল করতে হলেও সবার ঐকমত্যে বাতিল করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এককভাবে এটা বাতিল করল। এটা অবৈধ কাজ, এটা বাতিল করার তার অধিকার নাই। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যাওয়ার পর যে রাজনীতি আসবে তা ভিন্ন রাজনীতি। রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে। শুধু একজন ফ্যাসিস্টকে বিদায় করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না, একটি জ্ঞানভিত্তিক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আন্দোলন। সেমিনারের আয়োজন করে এনডিএম পরিচালিত গবেষণাধর্মী সংস্থা গভর্নেন্স অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ (জিপিআর)। অনুষ্ঠানে এনডিএম’র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের সভাপতিত্বে ও এনডিএমের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মমিনুল আমিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
০৮ অক্টোবর, ২০২৩
X