‘আলুর বেপারিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়ে শিক্ষকদের নির্যাতনের চেষ্টা করে’
আলুর বেপারিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়ে শিক্ষকদের নির্যাতনের চেষ্টা করেন বলে মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির একাংশের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, কিছু কিছু মানুষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদকে ব্যবসা হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের দ্বারা আমাদের সম্মানিত শিক্ষকরা অনেক অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়। দেখা গেছে, আলুর ব্যাপারীও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়ে শিক্ষকদের নির্যাতন করার চেষ্টা করছে। অথচ তিনি শিক্ষার ‘শ’ও জানেন না। সেই তিনি চেয়ারে বসে আমাদের শিক্ষকদের ওয়াজ-নসিয়ত করেন। অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, অনেক কষ্টের পরে ইতোমধ্যে নীতিমালা করেছি যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে হলে অন্তত উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে। ভবিষ্যতে এটা মাস্টার্স ডিগ্রি করা হবে।  মাউসির মহাপরিচালক অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই, কিন্তু কেউ কেউ টাকার জোরে ম্যানেজিং কমিটিতে চলে আসছেন। এরপর তিনি শিক্ষকদের ধমক দিয়ে কথা বলেন। এটা তো শিক্ষকরা মেনে নেবেন না। শিক্ষায় যখন টাকা গ্রাস করে, তখন শিক্ষার মান নিচের দিকে নামতে থাকে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পারভীন জামান কল্পনা এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জামান প্রমুখ।
৩ ঘণ্টা আগে

পায়ুপথে ব্রাশ দিয়ে কিশোরকে নির্যাতন করলো বখাটেরা
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মসজিদে নামাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তারভীর নামে এক কিশোরের পায়ুপথে টয়লেট ব্রাশ ঢুকিয়ে নির্যাতন করেছে বখাটেরা। গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ছাগলনাইয়া বাজারের আহমেদ শপিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।  ভুক্তভোগী কিশোরের বরাতে আহত কিশোরের বড় ভাই আল আমিন কালবেলাকে বলেন, আমার ভাই বাজারের একটি দোকানে কাজ করে। শনিবার দুপুরে বাজারের পাশে একটি মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে ফেরার পথে অপরিচিত এক লোক তাকে ডাক দিয়ে দোতলায় একটি বস্তা মাথায় তুলতে সহযোগিতা চায়। সরল মনে ভাই উপকার করতে আহমেদ শপিং সেন্টারের দোতলায় ওঠে। এ সময় পেছন থেকে আরও এক অপরিচিত ব্যক্তি ওঠেন। তিনি বলেন, ওই দুই ব্যক্তি তার ভাইকে মারধর করে তিনতলায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি টয়লেটে নিয়ে তার দুই হাত-মুখ বেঁধে পায়ুপথে ব্রাশ ঢুকিয়ে দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তারা টয়লেটের দরজার বাইরে লাগিয়ে চলে যায়। তারভীরের ভাই আরও বলেন, প্রায় ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর বাঁধা হাতটি খুলতে পারে তানভীর। এদিকে দোকানের মালিক তার নম্বরে বারবার ফোন দিলেও হাত বাঁধা থাকায় ফোন ধরতে পারেনি। হাত খুলে দোকান মালিককে ফোন ধরে ঘটনা জানায়। পরে দোকানের মালিক টয়লেট থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রবিবার (১৯ মে) তার পায়ুপথ থেকে ব্রাশ বের করেন চিকিৎসকরা। আল আমিন বলেন, আমার ভাইয়ের কোনো শত্রু নেই। হয়তো কোনো খারাপ কাজ করতে না পেরে তারা ভাইকে মেরে ফেলতে পায়ুপথে ব্রাশ ঢুকিয়ে দিয়েছে। বাজারের উত্তর পাশের মার্কেটগুলোতে লোকসমাগম না থাকায় সবসময় বখাটে ও নেশাগ্রস্ত লোকদের আনাগোনা থাকে বেশি। হয়তো কোনো মাদকসেবীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে।  ছাগলনাইয়া থানার ওসি হাসান ইমাম কালবেলাকে জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ। ছেলেটা নির্যাতনকারীদের চিনতে পারেনি। তারপরও পুলিশ তদন্ত করছে, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে।
২০ মে, ২০২৪

পেঁয়াজ চুরির অভিযোগে সাবেক ইউপি সদস্যকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন
লক্ষ্মীপুরে পেঁয়াজ চুরির অপবাদে এক ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি সদস্যকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে কথিত সালিশী বৈঠকের নামে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি সদস্যের নাম মো. ফারুক। তিনি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দশঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি দশঘরিয়া বাজারের মুদি দোকানদার স্থানীয় ৩ নম্বর পরকোট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।  স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ীকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে দুই হাত পিছমোড়া করে বেঁধে রাখা হয়। একই সঙ্গে লৌহার শিকল দিয়ে পা পিলারের সঙ্গে তালা দিয়ে আটকে রাখে। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা মিলে ভুক্তভোগীকে নির্যাতন করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, বাজারের বাবুলের দোকানের ১ কেজি পেঁয়াজ চুরির সময় দোকানের লোকজন চোরকে আটক করেছে বলে শুনেছি। জানা গেছে, পোদ্দার বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে কথিত সালিশ বৈঠকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। স্বজনদের কাছ থেকে জরিমানা তাৎক্ষণিক আদায় করে নেন তারা। একই সঙ্গে এ ঘটনা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করবে না মর্মে একটি মুচলেকা নিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে হারুনুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে জরিমানা আদায়ের বিষয়ে এড়িয়ে গেলেও মুচলেকা আদায়ের কথা স্বীকার করেন। হারুনুর রশিদ আরও বলেন, বাজারের মসজিদ মার্কেট এলাকায় চারটি দোকানে পেঁয়াজ, রসুন চুরির সময় লোকজন তাকে আটক করে পিলারে বেঁধে রেখেছিল বলে শুনেছি। পরবর্তীতে খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে বাজারে এসে ব্যবস্থাপনা কমিটির অফিসে এনে আটক ব্যক্তিকে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেই। তবে কার কার দোকানে চুরি করেছিল জানতে চাইলে তাদের নাম-পরিচয় কিছুই জানাতে পারেননি তিনি। বাজারে বিদ্যুতের পিলারের সঙ্গে ৩ ঘণ্টা ধরে কথিত চোরকে বেঁধে রেখে নির্যাতনের ঘটনা এবং কথিত সালিশ বৈঠকের ঘটনা ঘটলেও পোদ্দার বাজার পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে জানিয়েছেন ক্যাম্পের এসআই মাহবুবুর রহমান। দশঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বিমাকর্মী সোহাগ বলেন, ভুক্তভোগী মো. ফারুকের ছেলেরা বিদেশে থাকেন। তিনি এলাকায় সম্ভ্রান্ত লোক বলে পরিচিত। ব্যবসায়ী ফারুককে তার স্বজনরা নিয়ে চাটখিল শহরের হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। যতটুকু শুনেছি তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) তারেক বিন রশিদ কালবেলাকে বলেন, নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখে পুলিশকে বিস্তারিত জানাতে বলেছি। নির্যাতিত ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। অভিযোগ না পেলে আমার কোনো কিছু করার সুযোগ নেই।
১৮ মে, ২০২৪

ধর্ষণের ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কারিগরি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে এ বিষয়ে কাজিপুর থানায় এক‌টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নিজেই। অভিযুক্তের নাম- আব্দুর রশিদ। তিনি প্রতিবেশী তফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ভবানীপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সহকারী শিক্ষক। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মা মারা যাওয়ার পর অসুস্থ বাবাকে দেখভাল করার জন্য স্বামীর অনুমতি নিয়ে বাবার বাড়িতে যান মেয়ে। বাবাকে সুস্থ করতে চিকিৎসার পাশাপাশি সেবা করতে থাকেন তিনি। বাবার বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ আসা-যাওয়া শুরু করেন। বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যান তিনি। এরই মাঝে একদিন তার বাবা ওষুধ আনতে বাজারে গেলে, ওঁৎ পেতে থাকা রশিদ তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। ভুক্তভোগী তখন বাড়ির উঠান ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। সে সময় তাকে ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণ করেন রশিদ এবং মোবাইল ফোনে তা ভি‌ডিও ধারণ করে রাখেন।  সেই ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল করতে থাকে আব্দুর রশিদ। আর গোপন ভি‌ডিওর ভয় দেখিয়ে একের পর এক ধর্ষণ করতে থাকে ভুক্তভোগীকে।  একপর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে তার অভিভাবকরা এলাকার মুরুব্বিদের জানিয়েও বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল ফোন নম্বরে বারবার কল করলেও ফোন রিসিভ হয়নি।  ভবানীপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে পাপ যে করেছে তার শাস্তি হবে। আমিও চাই এ ঘটনার সঠিক বিচার হোক। কাজিপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৭ মে, ২০২৪

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন, কারাগারে স্বামী
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে রাতভর নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে স্বামী আবদুল্লাহ ওরফে রানাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রানাকে ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী নাসিমা বেগমের বড় ভাই আলাউদ্দিন হাওলাদার নলছিটি থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গেছে, উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে গত শনিবার যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন চালায় রানা। গুরুতর আহত অবস্থায় রোববার সকালে পালিয়ে যায় নাসিমা বেগম। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকেলে নাসিমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে নাচনমহল ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের তৈয়ব আলী হাওলাদারের প্রবাসী মেয়ে নাসিমা বেগমের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে রানার বিয়ে হয়। এর দুই বছর পর নাসিমা বেগম তার স্বামীকে প্রবাসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গতমাসের ১০ এপ্রিল ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন তারা। দেশে আসার পর নতুন ঘর নির্মাণের কথা বলে নাসিমার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নেন রানা। এরপর আবারও টাকা চাইলে নাসিমা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে রানা ও তার পরিবারের লোকজন নাসিমাকে মারধর করেন এবং একটি কক্ষে আটকে রাখেন। নাসিমার ভাই আলাউদ্দিন বলেন, রানা আমার বোনকে প্রবাসে বসেও বিভিন্নভাবে অত্যাচার করেছে। টাকা-পয়সা নিয়ে যেত। দেশে এসেও একবার টাকা নিয়েছে জমি ও নতুন ঘর নির্মাণের কথা বলে। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে সে কিছুই করেনি। এখন আমার বোনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা আছে। সেই টাকা আত্মসাত করার জন্য আমার বোনের ওপর তারা অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে নলছিটি থানার ওসি মুরাদ আলী বলেন, এ ঘটনায় নাসিমার ভাই আলাউদ্দিন মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পরে অভিযুক্তকে আটক করে ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভে পুলিশের নির্যাতন বাড়ছে
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এতে মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে পুলিশ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমাতে শুরু থেকেই দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তার করছে নির্বিচারে। স্থানীয় সময় শুক্রবার আরও কয়েকটি ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ফিলিস্তিনপন্থিদের তাঁবু ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার অন্তত তিনটি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের তাঁবু গুঁড়িয়ে দিয়ে অবস্থানকারীদের হটিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ভোরে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তাঁবু ভেঙে দেয় তারা। এ সময় ৩৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বলেন, অভিযানের আগে বিক্ষোভকারীদের বেশ কয়েক দফায় সতর্ক করা এবং নিরাপদে স্থান ত্যাগের অনুরোধ করা হয়েছিল। পরে কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ। এরও আগে অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়েও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয় এবং তাঁবুগুলো ভেঙে দেয়। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা দাবি জানাচ্ছেন, যেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায়ও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁবু টানিয়ে বিক্ষোভ চলছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি জানাচ্ছেন। পাশাপাশি ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধের জন্য চাপ দেওয়ার দাবি জানান তারা। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ হিসাব করা হয়েছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ চলাকালে এ পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি পুলিশ প্রতিবেদন, আদালতের নথি ও স্থানীয় সংবাদ বিশ্লেষণ এ তথ্য জানিয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের বাড়াবাড়ি: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হলেও কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে। সম্প্রতি আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট নামের একটি অলাভজনক মার্কিন প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, ১৭ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হওয়া ৫৫৩টি বিক্ষোভ বিশ্লেষণ করেছে তারা। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশ বিক্ষোভ ছিল একেবারে শান্তিপূর্ণ। এরপরও পুলিশ আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, শান্তিপূর্ণ হওয়ার পরও বিক্ষোভে পুলিশের বাধা দেওয়ার অন্তত ৭০টি ঘটনা ঘটেছে। সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন।
১২ মে, ২০২৪

মোবাইল চুরির অপবাদে নারীকে বেঁধে নির্যাতন
মোবাইল চুরির অপবাদে পঞ্চগড়ে এক নারীর কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে।  এ ঘটনার মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই নারীর নাম মজিদা বেগম (২৬)। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বামনহাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের স্ত্রী। দুই সন্তানের জননী হলেও, সাংসারিক কলহের জেরে একই উপজেলার ঝলঝলি গ্রামে দিনমুজুর বাবা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে থাকেন তিনি। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভ্যানগাড়িতে এক নারীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন কয়েকজন নারী। এর মাঝে এক ব্যক্তি ওই নারীকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। আর তা দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন উৎসুক জনতা। তবে তর্কে জড়ানো নারী ও পুরুষের পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও তারা উপজেলার ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।  স্থানীয়রা বলছেন- ঝলঝলি গ্রামের কয়েকজন নারী ও পুরুষ মোবাইল চুরি নিয়ে তার সঙ্গে তর্কে জড়ান। এর মাঝে এ ঘটনাটি ঘটে। জেমজুট বাজারের ভাই ভাই হোটেল ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা বলেন, সকালে দোকানের কাজ করছিলাম। হঠাৎ পঞ্চগড় থেকে একটি ভ্যানে দুইটা মহিলা ও একটা পুরুষ আমার দোকানের সামনে আসে। এর মাঝে তারা তর্কে জড়ায়। ওই নারী পুরুষটাকে একপর্যায়ে গালাগাল করে আমার দোকানে চলে আসে। তার সঙ্গে থাকা ছেলেটি আমার পাশের দোকান থেকে লাঠি নিয়ে তাকে মারতে গেলে ওই নারীও তাকে মারতে যায়। এর মাঝে ৮-১০ জন মহিলা এসে তাকে ধরে-বেঁধে ভ্যানে করে নিয়ে যায়। জানতে পেরেছি তারা ঝলঝলি থেকে এসেছে।  ওষুধ ব্যবসায়ী হাবিবুল্লাহ বলেন, আমি হঠাৎ অনেক লোকজনকে দেখতে পাই। এর মাঝে এক নারীকে ৮-১০ জন নারী আক্রমণ করছে। তাদের কাছে জানতে গেলে বলেন, মোবাইল চুরি করেছে, তাই তাকে ধরতে এসেছে সবাই। পরে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমার কাছেও খুব খারাপ লেগেছে। তাই মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করি। ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান বাবুল বলেন, ওই মেয়েটি কারও কথা শোনে না। বাড়িতেও থাকে না। চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে। সর্বশেষ মোবাইল চুরি করায় লোকজন তাকে ধরে নিয়ে এসেছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে একটি সালিশ করে তার বাবার হাতে মেয়েটিকে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। তার এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সবাই।  বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত না। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।
১০ মে, ২০২৪

ভোট না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পিটুনি, অবরুদ্ধ একটি গ্রাম
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ভোট না দেওয়ায় চান মোহাম্মদ নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পেটানোর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও একই বাজারের আরও কয়েক ব্যবসায়ীর দোকানপাট তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অপরদিক কম ভোট পাওয়ার কারণে উপজেলার রয়নাপাড়া গ্রামকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে দোয়াত কলম প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সমর্থক মোকলেস ও আল আমিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তামাই বাজারের মাছ ব্যবাসয়ী মো. সিদ্দিক, মোহাম্মদ আলী ও চান মোহাম্মদের মাছ লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। এ সময় চান মোহাম্মদকে বেদম পেটানো হয়।  ওই বাজারের হাফিজুল ইসলামের কাঁচামালের দোকান আব্দুল মান্নানের মুদি দোকান ও আসাদুলের রঙের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।  ভুক্তভোগীরা জানান, রয়না পাড়া ও কালিয়াপাড়া গ্রাম নিয়ে তামাই বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। এ কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতিকে বদিউজ্জামান ফকির ১ হাজার ১৭১ ভোট পান ও আমিনুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীকে পান ৪৬৮ ভোট।  দোয়াত-কলম সমর্থকরা বলছেন, রয়নাপাড়া গ্রামের লোকজন তাদের ভোট দেয়নি। এ কারণে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থীর নিকট আত্মীয় ফজল তালুকদারের নেতৃত্বে রয়নাপাড়ার লোকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। গ্রামের কেউ বাইরে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না।  ওই গ্রামের ইউপি সদস্য বাবলু প্রামাণিকও অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বলে জানান। দোয়াত-কলম সমর্থক এরশাদ ও বাবুর নেতৃত্বে মোটরসাইকেল বহর তাকে ধরার জন্য রয়নাপাড়া এসে ঘুরছে। তারা বলছে, তোরা তামাই গ্রামের মুরুব্বিদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেসনি। তোদের তামাই বাজারে আসতে দেব না।  এদিকে ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সৌভিক ইসলাম শোসন জানায়, বুধবার দোয়াত-কলম বিজয়ী হওয়ার পর বিজয় মিছিল নিয়ে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে।   এসব বিষয়ে বেলকুচি থানা ওসি মো. আনিসুর রহমান জানান, তামাই বাজারের বিষয়ে মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কিছু জানা যায়নি। ছাত্রলীগের সভাপতির বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়েও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এসব বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।  সিরাজগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (বেলকুচি সার্কেল) মি. জন রানা বলেন, ঘটনাগুলো আমাদের কেউ জানায়নি। বিষয়টি জানলাম। প্রয়োজনীয় পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবেন।
০৯ মে, ২০২৪

স্ত্রীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে ভিডিও নিয়ে থানায় স্বামী
স্বামীর হাতে স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। তবে এবার সামনে এসেছে বিচিত্র ঘটনা। স্ত্রীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন স্বামী। কেবল তাই নয়, স্ত্রীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে রীতিমতো পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই স্বামী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রীর নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে পুলিশের হাতে সিসিক্যামেরার ফুটেজ দিয়েছেন স্বামী। সেখানে দেখা গেছে, স্বামীর হাত-পা বেঁধে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দিচ্ছেন স্ত্রী।  চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোর এলাকায়। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভুক্তভোগী স্বামী বাগির সিসিটিভি পুলিশে দিয়ে অভিযোগ করেন। ফুটেজে স্ত্রীকে স্বামীর হাত-পা বেঁধে বুকের ওপর বসে শ্বাসরোধের চেষ্টাও করতে দেখা গেছে।  অভিযুক্ত ওই স্ত্রীর নাম মেহের জাহান। আর নির্যাতনের শিকার স্বামীর নাম মান্নান জাইদি। অভিযোগের পর পুলিশ ওই স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে।  পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার নির্যাতিত স্বামীর কাছ থেকে সেওহারা জেলা পুলিশ একটি অভিযোগ পায়। অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার ওই মেহেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  অভিযুক্তের স্বামীর অভিযোগ, গত ২৯ এপ্রিল মেহের দুধে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাকে পান করতে বাধ্য করেন। এরপর তার হাত-পা বেঁধে সিগারেট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাকা দেন। এমনকি গোপনাঙ্গ কাটার চেষ্টা করেন তিনি।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভুক্তভোগী স্বামী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।  স্থানীয় পুলিশের এসপি ধরমপাল সিং জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এই বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম চলছে। 
০৮ মে, ২০২৪

৩ হাজার টাকার জন্য কুকুরের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন
পাওনা ৩ হাজার টাকার জন্য কুকুরের সঙ্গে শিকল দিয়ে রিকশাচালককে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ভরালি এলাকায় রিকশাচালক রবিউলকে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম একসময় মামুনের সঙ্গে ব্যবসা করলেও বর্তমানে অটোরিকশা চালান। রবিউল বলেন, আমার কাছে ৩ হাজার টাকা পেত মামুন। সেই টাকার জন্য আমাকে মঙ্গলবার মারধর করে পায়ে শিকল পরিয়ে বেঁধে রাখে। সাভার থানার ওসি শাহ জামান বলেন, পুলিশ যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত মামুন পালিয়ে যায়।
০৮ মে, ২০২৪
X