ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে রাতভর নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে স্বামী আবদুল্লাহ ওরফে রানাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রানাকে ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী নাসিমা বেগমের বড় ভাই আলাউদ্দিন হাওলাদার নলছিটি থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে গত শনিবার যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন চালায় রানা। গুরুতর আহত অবস্থায় রোববার সকালে পালিয়ে যায় নাসিমা বেগম। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকেলে নাসিমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে নাচনমহল ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের তৈয়ব আলী হাওলাদারের প্রবাসী মেয়ে নাসিমা বেগমের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে রানার বিয়ে হয়। এর দুই বছর পর নাসিমা বেগম তার স্বামীকে প্রবাসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গতমাসের ১০ এপ্রিল ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন তারা। দেশে আসার পর নতুন ঘর নির্মাণের কথা বলে নাসিমার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নেন রানা। এরপর আবারও টাকা চাইলে নাসিমা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে রানা ও তার পরিবারের লোকজন নাসিমাকে মারধর করেন এবং একটি কক্ষে আটকে রাখেন।
নাসিমার ভাই আলাউদ্দিন বলেন, রানা আমার বোনকে প্রবাসে বসেও বিভিন্নভাবে অত্যাচার করেছে। টাকা-পয়সা নিয়ে যেত। দেশে এসেও একবার টাকা নিয়েছে জমি ও নতুন ঘর নির্মাণের কথা বলে। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে সে কিছুই করেনি। এখন আমার বোনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা আছে। সেই টাকা আত্মসাত করার জন্য আমার বোনের ওপর তারা অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নলছিটি থানার ওসি মুরাদ আলী বলেন, এ ঘটনায় নাসিমার ভাই আলাউদ্দিন মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পরে অভিযুক্তকে আটক করে ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন