পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা, শিক্ষককে গাছে বেধে গণধোলাই
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন গোলাম রব্বানী বকুল (৫০) নামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনার ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।  রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গণধোলাইয়ের শিকার গোলাম রব্বানী বকুল ওই ইউনিয়নের আরাজি দহবন্দ গ্রামের নিয়ামতুল্লাহ সরকারের ছেলে এবং বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক চলছিল গোলাম রব্বানী বকুলের। ফলে প্রায় রাতে তিনি ওই নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতেও ওই নারীর কাছে যান। একপর্যায়ে তাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওই নারীর ছেলে গোলাম রব্বানীকে আটক করে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা এসে তাকে বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।  পরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ছোটভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল কালবেলাকে বলেন, নির্বাচন করছি বলে এসব ষড়যন্ত্র। তবে ওই নারী ও তার বাবার কোনো অভিযোগ নেই।  এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবু বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা গোলাম রব্বানী বকুলকে সুপারি গাছে বেঁধে রেখেছেন। পরে তার ছোট ভাই গোলাম কবির মুকুল ও ভাতিজারা এসে নিয়ে যায়। এর আগেও কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল।  সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে এখনো আমাদেরকে বিষয়টি জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা কালবেলাকে বলেন, এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার সময় গোলাম রব্বানী বকুলকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছে বলে শুনেছি। সকালে মেয়ের আপনজন আমার কাছে এসেছিল। তাদেরকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। এমন কিছু পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪ মে, ২০২৪

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর থানায় স্বামী!
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিল্পী বেগম নামে প্রবাসফেরত স্ত্রীকে নিজ হাতে গলাকেটে হত্যার পর রক্তমাখা অস্ত্র নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন স্বামী সফর আলী।  রোববার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে কমলগঞ্জ সদর ইউপির বাঘমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সফর আলী বাঘমারা গ্রামের কুদ্দুছ আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের রমজানের চার দিন আগে সৌদি আরবে যান এক সন্তানের জননী শিল্পী বেগম। শনিবার রাতে সৌদি আরব থেকে দেশের উদ্দেশ্যে ফেরত এসে রোববার সকালে বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়ি ফেরার পরপরই পরকীয়ার অভিযোগ এনে স্বামী সফর আলী দেশীয় দা দিয়ে গলাকেটে স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। কমলগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছেন।
০৫ মে, ২০২৪

মেয়েকে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিকসহ মায়ের যাবজ্জীবন
এক যুগ আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আড়াই বছরের মেয়ে ইসরাত জাহান রিয়াকে হত্যার দায়ে মা রোজিনা আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক সুলতান মাহমুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ রায় দেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।  এদিন কারাগারে আটক আসামি সুলতান মাহমুদকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে আসামি রোজিনা আক্তার পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। জানা যায়, আড়াই বছরের মেয়ে ইসরাত জাহান রিয়াকে নিয়ে রোজিনা আক্তার ২০১২ সালের ৩ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগে গাইনি ডাক্তার দেখানোর জন্য যান।  ডাক্তারের রুমে প্রবেশ করার সময় ডাক্তারের রুমের সামনে আয়া সেলিনা বেগম তার মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের রুমের মধ্যে প্রবেশ করতে বাধা দেন। রিয়াকে তিনি আয়ার কাছে রেখে ডাক্তারের রুমে প্রবেশ করেন। ২০ মিনিট পর রোজিনা আক্তার ডাক্তারের রুম থেকে বের হয়ে মেয়ে রিয়াকে দেখতে না পেয়ে আয়ার কাছে জিজ্ঞাসা করেন রিয়া কোথায়। আয়া তার মেয়েকে দেখেননি বলে জানান।  রোজিনা আক্তার তার মেয়েকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে অন্য এক রোগী জানান, কালো খাটো কোর্ট পরা এক ব্যক্তি তার মেয়েকে বাবা পরিচয় দিয়ে নিয়ে গেছে। নিয়ে যাওয়ার সময় তার মেয়ে অনেক কান্নাকাটি করেছে। রোজিনা আক্তার বিষয়টি তার স্বামী নুরুল ইসলামকে জানান। নুরুল ইসলাম সঙ্গে সঙ্গে ঢামেক হাসপাতালে এসে মেয়েকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে দুপুর পৌনে ২টার দিকে হাসপাতালের নিউক্লিয়ার আলট্রাসাউন্ড সেন্টার, ১২ তলা দালানের তৃতীয় তলায় মেয়ের লাশ দেখতে পান।  এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি নুরুল ইসলাম অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকালে সুলতান মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।  তিনি আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি জানান, পরকীয়া প্রেম ও অনৈতিক সম্পর্কের কারণে রিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ বিভাগের পরিদর্শক তপন চন্দ্র সাহা। পরের বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
২১ মার্চ, ২০২৪

পরকীয়া করায় ২ ইউপি সদস্য বরখাস্ত
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পরকীয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিস্বরূপ এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ওই ইউপি সদস্যরা হলেন- ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেন মোল্লা ও ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য নাজমা আক্তার। স্থানীয় সরকার বিভাগের (ইউপি-১ শাখা) সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়। রোববার (১৭ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান। চিঠিতে বলা হয়, বিয়ে-বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের অপরাধ করায় কেন তাদের চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তার জবাব চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, মো. সাদ্দাম হোসেন মোল্লার সঙ্গে নাজমা আক্তারের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। একপর্যায়ে ২০২৩ সালের ২ জুলাই সাদ্দামের সঙ্গে দুই সন্তানের জননী নাজমা আক্তার পালিয়ে যান।
১৮ মার্চ, ২০২৪

স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১১ মার্চ) জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরূল ইসলাম এ রায় দেন। আদালতে ওই দুই আসামির উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর পুলিশ পাহারায় তাদেরকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।  ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর (দূর্গাপুর) গ্রামের বগা মিয়ার মেয়ে জোৎস্না বেগম এবং একই উপজেলার দাশড়া খানপাড়া গ্রামের বুলু মিয়ার ছেলে মো. শাহিন মিয়া ওরফে বাবু। মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১২ বছর আগে মহব্বতপুর (দুর্গাপুর) গ্রামের বগা মিয়ার মেয়ে জোৎস্না বেগমের সঙ্গে আক্কেলপুর উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে জামিরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জামিরুল ইসলাম শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করতে থাকেন। বিয়ের পর জোৎস্না বেগম দাশড়া খাঁপাড়া গ্রামের শাহিন ওরফে বাবুর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি পরে জানাজানি হয়। এ ঘটনার পর থেকে জোৎস্নার স্বামী জামিরুলকে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল আসামি শাহিন। ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর বেলা ৩টার দিকে জামিরুল ইসলামকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শাহিন ও জোৎস্না।  এ ঘটনায় আক্কেলপুর উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের নিহত জামিরুলের চাচা ছানাউল ইসলাম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্ষেতলাল থানার উপরিদর্শক (এস আই) নজরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২ মার্চ দুই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।   সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
১১ মার্চ, ২০২৪

পরকীয়া করতে গিয়ে যুবলীগ কর্মী খুন
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জিয়াউর রহমান (৩৬) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার কারণ উদ্‌ঘাটনের দাবি করেছে র‍্যাব। বাহিনীটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়া ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ হত্যা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‍্যাব-৫ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। ফলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সূত্র জানায়, উপজেলার তালন্দ ইউপির বিলশহর গ্রামের সুমি খাতুনকে বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে করেন মামলার ১ নম্বর আসামি মো. আবুল হাসান মেম্বার। তার আগে থেকেই সুমি খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল যুবলীগ কর্মী জিয়াউর রহমানের। বিষয়টি হাসান মেম্বার বুঝতে পেরে তাকে সতর্ক করেন। পরে টিউবওয়েলের অপারেটর নিয়োগ নিয়ে উভয়ের মধ্যে শত্রুতা আরও বেড়ে যায়। এ ছাড়া হাসান মেম্বারের সার-বিষের দোকানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে মামলাও করেন হাসান মেম্বার। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিয়াউর রহমানের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন হাসান মেম্বার। এ অবস্থায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জিয়াউরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে তানোর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- তানোর উপজেলার লালপুর এলাকার মো. হাবিবুরের ছেলে মো. হাকিম বাবু (৩৪) ও একই এলাকার মো. সাইদুলের ছেলে মো. সুফিয়ান (৩৬), মো. হাবিবুরের ছেলে মূলহোতা মো. আবুল হাসান মেম্বার (৪২), একই এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. শাহীন (২৫) ও মৃত লুৎফরের ছেলে মো. রাশেল (৩০)।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পরকীয়া করতে গিয়ে মারধরের শিকার আ.লীগ কর্মী
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন পারভেজ নামের এক যুবক। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পৌর ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় পৌরসভার বাউসী চন্দনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করে চড় থাপ্পড় দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার বাউসী চন্দনপুর এলাকার হেলাল ফকিরের ছেলে এক সন্তানের জনক মো. পারভেজ মিয়া একই এলাকার মৃত তাজুল ইসলাম তাজুর (বিধবা) স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। মঙ্গলবার রাতে সেই বিধবার ঘর থেকে এলাকাবাসী তাদের হাতেনাতে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।  এ ঘটনায় ওই বিধবা নারী দাবি করে বলেন, পারভেজ তাদের এলাকার ছেলে এবং সম্পর্কে তার দেবর হয়। তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর পারভেজ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পারভেজ আমার সম্মান নষ্ট করেছে। এখন আমাকে তার বিয়ে করতে হবে। তা না হলে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারব না।  এদিকে অভিযুক্ত পারভেজ মিয়া বলেন, এ ঘটনা পরিকল্পিত এবং সাজানো। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। সে সময় আমাকে ডেকে নিয়ে ঘরে আটকে রেখে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হয়। আমার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। আমি ওই নারীকে কখনোই বিয়ে করব না। প্রয়োজনে আমি জেল খাটব।  এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে বিধবা নারীর ঘরে সংগোপনে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। রুজুকৃত মামলায় আজ বিকেলে আদালতে আসামিকে সোপর্দ করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পরকীয়া প্রেমিকার ঘরে মিলল আ.লীগ নেতার লাশ
ঝালকাঠিতে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে স্থানীয় সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেনের স্ত্রী শিরিন বেগমের  ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ মো. আল আমিন তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। নিহত রিপন মল্লিক (৫০) ঝালকাঠি পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি পৌর এলাকার মৃত আবদুল মল্লিকের ছেলে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে বলেও মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ, নিহতের স্বজন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষ্ণকাঠি মল্লিক বাড়ির বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা রিপন মল্লিক প্রায়ই শিরিন বেগমের ঘরে আসা-যাওয়া করতেন। ঘটনার দিন প্রবাসীর স্ত্রী তার ঘরে একা ছিলেন। আর প্রবাসীর ছেলে ইমন হোসেন চার দিন আগে ঢাকায় যায়। প্রতিবেশী হারিছ হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টায় শিরিন তার ঘরের ভেতর থেকে চিৎকার করছিলেন। এ সময় আমিসহ আশপাশের মানুষ ঘরে ঢুকে দেখি রিপন মল্লিক অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল। সবাই মিলে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আমরা রিপনের লাশ তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেই।’ নিহত রিপনের ভাই সমির মল্লিক বলেন, ‘আমাকে স্থানীয়রা ফোনে জানায়, আমার ভাইকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে আমি শিরিনের ঘরে এসে মেঝেতে রক্ত দেখতে পাই।’ ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. মুহিতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার সঙ্গে পরকীয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে। ৯৯৯ এর মাধ্যমে তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

পরকীয়া সন্দেহে খুন হয় মুন্নি
পাবনার আটঘরিয়ায় মোবাইল ফোনে পরকীয়া সন্দেহে স্বামী লিটনের হাতে খুন হয় মুন্নী খাতুন (২৫)। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে আসামি মো. লিটন হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলে তার জবানবন্দি থেকে এ তথ্য জানা যায়। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর রাতে উপজেলার একদন্ত বারুইপাড়া গ্রামের মো. শহিদুল্লাহ মোল্লার ছেলে লিটন মিয়া ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার মুন্নির মধ্যে মোবাইলে কথা বলা ও পরকীয়া সন্দেহে ঝগড়া হয়। তারা স্থানীয় চন্ডিপাশা সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাস করতো। একপর্যায়ে রাতের খাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। পরে ওই রাতেই লিটন তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আটঘরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মুন্নী হত্যা মামলার আসামি লিটনকে গত মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার জুমাইখিরি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করলে স্বেচ্ছায় ১৪৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করে ও হত্যাকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করেন।
২২ নভেম্বর, ২০২৩

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর হাতে স্ত্রীর খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্বামী হককে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ওসি মো. আহসান উল্লাহ। এর আগে শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে আড়াইহাজার পৌরসভার মুকুন্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।    নিহত জাহানারা বেগম (৪৫) ওই এলাকার মৃত ওসমানের মেয়ে।  পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তি ডাকাতির মামলায় প্রায় ৮ বছর কারাগারে ছিলেন। জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরলে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী জাহানারা পরকীয়ায় লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে ঘাতক ব্যক্তি তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে কাঁচি দ্বারা এলোপাতাড়ি ১৫-২০টি আঘাত করে। এ সময় তার স্ত্রী গুরুতর জখম হলে তাকে ওই অবস্থায় বাড়ির লোকজন চিকিৎসার জন্য দ্রুত আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক স্বামী হককে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়।  এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ওসি মো. আহসান উল্লাহ জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য ভিকটিমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
১২ নভেম্বর, ২০২৩
X