বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয় : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পৃথিবীর কোনো দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। মুখপাত্র বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়। বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অনেক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরা হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেহেলী সাবরীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। সরকারের অনেক উন্নতি ও অর্জন থাকার পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে তা স্বীকার করা হয়নি। বরং দেশটির প্রতিবেদনে অনেক বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রতিবেদনের অনেক তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত এনজিও এবং অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নেওয়া হয়েছে। চলমান প্রবণতার অংশ হিসেবে বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ লক্ষ করা গেছে মার্কিন প্রতিবেদনে। সেহেলী সাবরীন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সরকারবিরোধী উপাদানগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির বিষয়টিও প্রতিবেদনে অনুপস্থিত।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলি জাহাজ জব্দের কারণ জানাল ইরান
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করেছে দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নৌসেনারা। এবার সেই জাহাজ জব্দের কারণ জানিয়েছে ইরান। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে সংবাদমাধ্যম ডেকান হ্যারাল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) পর্তুগিজ পতাকাবাহী জাহাজ এমএসসি এআরআইইএসকে জব্দ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সমুদ্রসীমা নীতি লঙ্ঘন করায় জাহাজটিকে জব্দ করা হয়েছে। জাহাজটি ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট এতে কোনো সন্দেহ নেই বলেও জানান তিনি।  কানানি বলেন, হরমুজ প্রণালি ও পারস্য উপসাগরে জাহাজ চলাচলের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে চায় ইরান। জব্দ করা জাহাজটির গতিপথ বদলে ইরানের আঞ্চলিক জলসীমায় পাঠানো হয়েছে।  ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাহাজটি ইরান সরকারের প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। এ ছাড়া সমুদ্রসীমা আইন লঙ্ঘন করেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে জাহাজটিকে জব্দ করা হয়েছে।  এর আগে গত শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট হরমুজ প্রণালি থেকে ইসরায়েলের একটি বিশালাকৃতির কার্গো জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ইরানের চৌকস বাহিনী বিপ্লবী গার্ডের নৌ-কমান্ডোরা।  বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, শনিবার এমএসসি এআরআইইএস নামের জাহাজটি জব্দ করেন বিপ্লবী গার্ডের সেনারা। ইরানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জাহাজটি জোডিয়াক মেরিটাইম শিপিং কোম্পানির। এই কোম্পানিটির মালিক হলেন ইসরায়েলের ধনকুবের ইয়াল ওফার। জাহাজটি পর্তুগালের পতাকাবাহী ছিল। হরমুজ প্রণালি থেকে জব্দ করার পর জাহাজটি এখন ইরানের সমুদ্রসীমায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ওয়ার মনিটরও জাহাজ দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানানো হয়েছে, হরমুজ প্রণালির কাছ থেকে ইরানের সেনারা এমএসসি এআরআইইএস নামের জাহাজটি দখলে নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এক সামরিক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এপিকে এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেটিতে দেখা গেছে, বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডোরা হেলিকপ্টার নিয়ে জাহাজটিতে নামছেন। ভিডিওতে জাহাজটির এক ক্রুকে বলতে শোনা যায়, ‘কেউ বাইরে যাবেন না।’ পরে তিনি সবাইকে জাহাজের ব্রিজে যাওয়ার জন্য বলেন। ভিডিওটিতে আরও দেখা যায়, বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডো হাঁটু গেড়ে বসে অন্যদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। ওই সময় হেলিকপ্টার থেকে অন্য আরও কমান্ডোরা নেমে আসেন। জাহাজটি শুক্রবার দুবাইয়ে ছিল। শনিবার এটি হরমুজ প্রণালিতে আসে। ওই সময় জাহাজটি ট্র্যাকিং ডাটা বন্ধ করা ছিল। নিরাপত্তার জন্য গালফ অঞ্চল দিয়ে চলাচল করা সব ইসরায়েলি জাহাজ গত কয়েক দিন ধরে ট্র্যাকিং ডাটা বন্ধ করে চলছে। তবে পার পাচ্ছে না। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান। এরপর গত শনিবার গভীর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাঁচ ঘণ্টা ধরে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। হামলার একপর্যায়ে চিরশত্রু ইসরায়েলের দিকে কয়েক মিনিটের মধ্যে একযোগে অন্তত ১০০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আইআরজিসির বিমানবাহিনী। ইরানের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহরান। সেগুলোর বেশিরভাগ ইসরায়েল প্রতিহত করলেও অন্তত ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের মাটিতে আঘাত হেনেছে। ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, রেমন ঘাঁটিতে দ্রুতগতির ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে। ইসরায়েলে ইরানের এ হামলায় সমর্থনকারী দেশগুলোকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি বলেন, যদি কোনো দেশ তাদের আকাশসীমা ইসরায়েলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তাহলে আমরা তাদের চূড়ান্ত মোকাবিলা করব। এক্সে হিব্রু ভাষায় এক পোস্টে তিনি বলেন, যদি কোনো দেশ ইরানের ওপর (সম্ভাব্য) আক্রমণের জন্য ইসরায়েলের জন্য তার মাটি বা আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেয়, তাহলে তারা আমাদের পক্ষ থেকে নিষ্পত্তিমূলক প্রতিক্রিয়া পাবে।  
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

শ্রম ইস্যুতে মার্কিন তদন্ত / রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দেশের তৈরি পোশাক শিল্প শ্রম ইস্যুতে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং কম্বোডিয়ার শ্রম পরিস্থিতি বিষয়েও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের অনুরোধে তদন্তে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (ইউএসআইটিসি)। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিযোগী এসব দেশের শুনানি আজ বৃহস্পতিবার হচ্ছে। বাংলাদেশ আগামী ১১ মার্চ শুনানিতে অংশগ্রহণ করবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সরকার ও কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এটাকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে দেখছেন। এ নিয়ে প্রস্তুতিও রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ। এই অনুসন্ধানের পেছনে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই বলে মনে করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মূলত গত বছর তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠনের পর থেকে দেশি ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন বিষয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর মধ্যে মালিক, শ্রমিক ও সরকার পক্ষ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণের পর তা বাস্তবায়ন করা হয়। যদিও এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে কিছু শ্রমিক সংগঠনের। জানা গেছে, শুনানির পর আগামী ২২ মার্চ পর্যন্ত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে। আর আগামী ৩০ আগস্ট কমিশন তাদের তদন্ত প্রতিবেদন বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করবে। শুনানির প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম কালবেলাকে বলেন, ১১ মার্চ আমরা ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নেব। এখানে তাদের সঙ্গে কার্যকরী ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে তারা জানতে চাইতে পারে। গত ডিসেম্বর থেকে আমাদের শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে। অথচ আমাদের ক্রেতারা সেই অনুযায়ী পোশাকের মূল্য বাড়াচ্ছেন না। এসব বিষয় নিয়ে আমরা এরই মধ্যে মার্কিন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গত ডিসেম্বরে মার্কিন একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের অনুরোধে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে তদন্ত শুরু করে ইউএসআইটিসি। এখানে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও চারটি দেশ তদন্তের আওতায় রয়েছে। শুনানিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএ মৌখিক ও লিখিতভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির শীর্ষ দেশগুলোর কোনো অসুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে কি না, সেটিই এই তদন্তে দেখা হবে। বাংলাদেশ স্বচ্ছতার মাধ্যমেই এ বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছে। আমাদের মতে, এটি একটি নিয়মিত কাজের অংশ। এখানে কোনো ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার কথা নয়। এর আগে গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৈশ্বিক শ্রমনীতি ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে, তাদের ওপর বাণিজ্য ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সরকারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি ও সর্বশেষ গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি কালবেলাকে বলেন, আমরা যখন শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে আলাপ-আলোচনা শুরু করি, তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ক্রেতা দেশ শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সজাগ ছিল। আমরাও চেষ্টা করেছি শ্রমিকরা যেন মজুরি এবং সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে পায়। কিন্তু ক্রেতাদের পক্ষ থেকে আমরা তেমন সাড়া পাইনি। তারা পণ্যের মূল্য বাড়াচ্ছে না। তবে আমরা শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সবসময় মালিকপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ২০২৪ সালের বাণিজ্যনীতি এজেন্ডায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আবারও শ্রম আইন আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার আহ্বান জানায়।
০৭ মার্চ, ২০২৪

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ দুজনের মৃত্যুর ঘটনাসহ চলমান পরিস্থিতির জেরে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে কে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকা। কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। পরে সোয়া ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে আসেন রাষ্ট্রদূত। সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মুহাম্মদ মাইনুল কবির তাকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানান। মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) সংঘাতের জে‌রে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নি‌য়ে‌ছে বিজিপির সদস্যসহ মোট ২২৯ জন। মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্যধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তিস্তা প্রকল্পের সিদ্ধান্ত ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চীনের প্রস্তাবিত তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্পে ভারতের আপত্তি থাকলে ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। মুখপাত্র বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে তারা সহযোগিতা করে আসছে। তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সহযোগিতা করার ব্যাপারেও চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং ইআরডি বিবেচনা করে দেখবে।’ প্রস্তাবিত প্রকল্পটি শিলিগুড়ির কাছে হওয়ায় ভারতের আপত্তি রয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘এ রকম অনুমাননির্ভর প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা সহজ নয়। তবে এ রকম হলে তখন ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় এগোতে হবে।’ গত ২১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র-সচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক প্রসঙ্গে মুখপাত্র জানান, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বিভিন্ন সময়ে পররাষ্ট্র-সচিব, মন্ত্রী বা বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেন। তারা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। নির্বাচন সামনে। তাই নির্বাচন আলোচনায় থাকতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ৩৫টি দেশ থেকে ১৮০ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে আরও ৩০ জন কর্মকর্তা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশে আসবেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। দিল্লির সাংবাদিকরা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। তারা এখনও অ্যাক্রেডিটেশন (অনুমতি) পাননি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেহেলী বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা ইসিতে আবেদন করেছেন। ইসি বিদেশি সাংবাদিকদের আবেদন যাচাইবাছাই করছে। যাদের আবেদন গৃহীত হবে তাদের অনুমতি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।  
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের কলাবরেটর হিসেবে কাজ করছে : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের কলাবরেটর হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা নব্য রাজাকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে রাজধানীর উত্তরায় লিফলেট বিতরণ গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।  ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের কাঁচাবাজারে লিফলেট বিতরণ করেন তিনি।  এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা জামান, থানা বিএনপির নেতা হারুনুর রশিদ খোকা, রিপন হাসান, সোলাায়মানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  রুহুল কবির রিজভী বলেন, একতরফা ডামি নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করলেও গতকাল দেখলাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা এবং লক্ষ্য অর্জনে অবরোধ কার্যকর করতে তারা সমুদয় প্রচেষ্টা জোরদার করেছে’।  তিনি বলেন, বর্তমানে যে নির্বাচন বাংলাদেশে হচ্ছে তা হলো তামাশা আর প্রতারণার নির্বাচন। আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা ছাড়া দেশের প্রায় ৬৩ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। সরকার রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে, গ্রেপ্তার করে, গায়েবি সাজা দিয়ে দেশজুড়ে এক আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। একইসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরকার পতনের একদফা দাবিতে ভোট বর্জনের আহ্বানের পাশাপাশি অসহযোগ আন্দোলনের যে ডাক দিয়েছেন, দেশবাসীকে সব ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স, ইউটিলিটি বিল প্রদান স্থগিত ও মামলার হাজিরা না দিয়ে সরকারকে অসহযোগিতার যে আহ্বান জানিয়েছেন তা সফল করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান রিজভী।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : ড. মোমেন
অর্থনৈতিক কূটনীতি, জনকূটনীতি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। সীমিত সম্পদ ও নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাফল্য (২০১৯-২০২৩)’ শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও এদেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে অনেকের ধারণা সুস্পষ্ট না। বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের জন্য জীবন দেওয়া নাই। বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিটি মিশনে বঙ্গবন্ধুকর্নার স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের মিডিয়া, থিংক ট্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেমিনার ও ওয়ার্কশপ আয়োজন করে আমাদের অভাবনীয় অর্থনৈতিক সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কর্নার দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জনের কথা তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি মেনে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ অসামান্য কূটনৈতিক সাফল্যের নজির রেখেছে। সবার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকার ব্যবস্থা করা অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ ছিল। বর্তমানে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর কমানোর চেষ্টা করা হবে। যাতে নির্বাচনের আগে তিনি দেশে দলীয় কর্মসূচিগুলোতে অংশ নিতে পারেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে দুটো কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। সেগুলো হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবাসন এবং বিদেশে পালিয়ে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ফিরিয়ে আনা। এই দুটি কাজ খুবই জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশের ওপর পরাশক্তিগুলোর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অর্থনীতি এগিয়েছে। বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বও বেড়েছে। অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়তে চায়। বর্তমান সরকারের সময়ে বন্ধুত্বের বৈচিত্র্য ও ভারসাম্য বজায় রেখেছে সরকার। একইসঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এতো ভালো করেছে, যার ফলে বাংলাদেশ বহু ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পেয়েছে। বক্তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত ৫ বছরের সাফল্য তুলে ধরার প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আগের চেয়ে বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের উপস্থিতি বেড়েছে। অর্থনৈতিক কূটনীতিও শক্তিশালী হয়েছে। তবে আগামীতে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য নতুন বাজারও খুঁজে বের করতে হবে। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) বিশিষ্ট ফেলো ফারুক সোবহান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, জাতিসংঘের ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিশেষ দূত ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান, গবেষক ও কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

ইইউ পার্লামেন্টে রেজুলেশন গ্রহণ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
‘অধিকার’ সংস্থাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেন্টে আলোচনা ও রেজুলেশন গ্রহণের বিষয়টি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো। আশা করি সবাই কমনসেন্সের ওপর ভিত্তি করে কাজ করবে। এর আগে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্টে রেজুলেশনটি নিয়ে আলোচনা হয় এবং পরের দিন গৃহীত হয়। প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা মনে করি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের পরিপক্ব সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কের জায়গা থেকে আমাদের অভ্যন্তরীণ কোনও বিষয়ে এবং সেটাও আবার আদালতে বিচারাধীন। এ সময় তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমে আশা করি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নাক গলাবে না, ইউরোপিয়ান কাউন্সিল এটি আমলে নেবে না। বুধবারের আলোচনায় ৮ জন বক্তব্য দিয়েছেন জানিয়ে তিনি জানান যে তাদের মধ্যে দুই জন পরিষ্কার করে বলেছেন তারা এটির পক্ষে নয়। এরমধ্যে একজন এরকমও বলেছেন, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের এ ধরনের আচরণ নতুন কলোনিয়ালিজমকে উসকে দিতে পারে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি এ ধরনের আচরণ করা ঠিক নয়। আরেকজন বক্তা এরকমও বলেছেন, এ ধরনের উদ্যোগ ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট থেকে নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একদিক থেকে এটি আমলে নেবো, কারণ এটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এরকম কোনও কার্যক্রম হলে আমরা চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে থাকতে পারি না।’
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা / গুজবের জবাব দিতে ব্যর্থ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সরকারের বিরুদ্ধে দেশের বাইরে নানা ধরনের মিথ্যা, অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব অপপ্রচারের যথাযথ জবাব দিতে পারছে না। সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এসব গুজবের জবাব দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আব্দুল মজিদ খান এবং হাবিবে মিল্লাত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী প্রচারের জবাব দিতে কমিটি আগেই মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছিল। সেটির অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, অপপ্রচারগুলো মোকাবিলার জন্য এবং বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে কার্যক্রম চলমান আছে। অপপ্রচার প্রতিরোধে তারা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন, টুইটারে জবাব দিচ্ছে বলেও জানানো হয়। তবে কমিটি বলেছে, যে পরিমাণ গুজব সরকারের বিরুদ্ধে রটানো হচ্ছে, অসত্য কথা বলা হচ্ছে, সেই পরিমাণ জবাব দিতে দেখা যাচ্ছে না। পরে সংসদীয় কমিটি বলেছে, আমাদের দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও আরও কিছু মন্ত্রণালয় গুজবের জবাব দিয়ে থাকে। সেগুলো খুঁজে দেখে ওই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের সুপারিশ করে। কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে যেসব গুজব এবং মিথ্যা তথ্য রটানো হচ্ছে তার জবাব দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছি। একই সঙ্গে বলেছি, তাদের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) যদি জনবলের অভাব থাকে তাহলে অন্য যেসব মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে। সেইসঙ্গে দেশের বাইরে অবস্থান করে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, অপপ্রচারকারী, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানকারী এবং তালিকাভুক্ত দুষ্কৃতকারীদের বিষয়েও সচেতন রয়েছে এবং তাদের নিবৃত্ত করতে মন্ত্রণালয় নানাবিধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। বৈঠকে ব্রিকস নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটিকে বলেছে, ব্রিকসের যে নিয়মনীতি আছে সে মোতাবেক এগোলে, বাংলাদেশ সদস্য হতে চাইলে হতে পারবে। সংসদীয় কমিটি ব্রিকস নিয়ে মন্ত্রণালয়কে আরও পর্যালোচনা ও গবেষণা করার জন্য সুপারিশ করে।
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ল্যানটস কমিশনের আলোচনা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের প্রচেষ্টা : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
যুক্তরাষ্ট্রের টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের প্রচেষ্টার অভিযোগ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস নোটে এ অভিযোগ জানানো হয়। প্রেস নোটে বাংলাদেশের বন্ধুদের বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য প্রচারের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনায় কংগ্রেসের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।  এখানে মার্কিন কংগ্রেসের কোনো সদস্য তাদের উপস্থিতি বা কোনো বিবৃতি, মন্তব্য বা পর্যবেক্ষণ করেননি। ২০২৩ কংগ্রেসনাল ক্যালেন্ডার অনুসারে কংগ্রেস (উভয় সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদ) ২৮ জুলাই থেকে অবকাশে রয়েছে। অবকাশের পর আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সিনেট অধিবেশন শুরু হবে। আর প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশন ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় আহ্বান করা হবে। বেশির ভাগ সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যান অবকাশের সময় তাদের নির্বাচনী এলাকায় যান।  আয়োজকরা বাংলাদেশ সরকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্যানেলিস্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে বলা হয়, কয়েকজন প্যানেলিস্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অপ্রমাণিত তথ্য দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেছিলেন। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের প্রচেষ্টা করেছিলেন। আরও বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের ১৮ সদস্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছিল। কেন এমন আলোচনার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিলেন আয়োজকরা, তা বোঝা গেল না।
২০ আগস্ট, ২০২৩
X