চীনের প্রস্তাবিত তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্পে ভারতের আপত্তি থাকলে ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মুখপাত্র বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে তারা সহযোগিতা করে আসছে। তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সহযোগিতা করার ব্যাপারেও চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং ইআরডি বিবেচনা করে দেখবে।’
প্রস্তাবিত প্রকল্পটি শিলিগুড়ির কাছে হওয়ায় ভারতের আপত্তি রয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘এ রকম অনুমাননির্ভর প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা সহজ নয়। তবে এ রকম হলে তখন ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় এগোতে হবে।’
গত ২১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র-সচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক প্রসঙ্গে মুখপাত্র জানান, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বিভিন্ন সময়ে পররাষ্ট্র-সচিব, মন্ত্রী বা বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেন। তারা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। নির্বাচন সামনে। তাই নির্বাচন আলোচনায় থাকতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ৩৫টি দেশ থেকে ১৮০ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে আরও ৩০ জন কর্মকর্তা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশে আসবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
দিল্লির সাংবাদিকরা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। তারা এখনও অ্যাক্রেডিটেশন (অনুমতি) পাননি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেহেলী বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা ইসিতে আবেদন করেছেন। ইসি বিদেশি সাংবাদিকদের আবেদন যাচাইবাছাই করছে। যাদের আবেদন গৃহীত হবে তাদের অনুমতি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন