যুক্তরাষ্ট্রের টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের প্রচেষ্টার অভিযোগ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস নোটে এ অভিযোগ জানানো হয়। প্রেস নোটে বাংলাদেশের বন্ধুদের বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য প্রচারের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনায় কংগ্রেসের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
এখানে মার্কিন কংগ্রেসের কোনো সদস্য তাদের উপস্থিতি বা কোনো বিবৃতি, মন্তব্য বা পর্যবেক্ষণ করেননি। ২০২৩ কংগ্রেসনাল ক্যালেন্ডার অনুসারে কংগ্রেস (উভয় সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদ) ২৮ জুলাই থেকে অবকাশে রয়েছে। অবকাশের পর আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সিনেট অধিবেশন শুরু হবে। আর প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশন ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় আহ্বান করা হবে। বেশির ভাগ সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যান অবকাশের সময় তাদের নির্বাচনী এলাকায় যান।
আয়োজকরা বাংলাদেশ সরকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্যানেলিস্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে বলা হয়, কয়েকজন প্যানেলিস্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অপ্রমাণিত তথ্য দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেছিলেন। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের প্রচেষ্টা করেছিলেন।
আরও বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের ১৮ সদস্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছিল। কেন এমন আলোচনার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিলেন আয়োজকরা, তা বোঝা গেল না।
মন্তব্য করুন