বিদেশিরা প্রকল্প বন্ধ করলে বসে থাকব না: পরিকল্পনামন্ত্রী
বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং এখানে নির্বাচিত সরকার আছে। এখানে যে কেউ এসে মাতব্বরি করে যাবে, এটা হবে নাকি—এমন মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। তিনি বলেছেন, বিদেশিরা আমাদের প্রকল্প বন্ধ করে দেবে—আমরা মুখ বাঁকা করে বসে থাকব নাকি? গতকাল বুধবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে কিছু বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ হওয়ার হুমকি পাওয়া যাচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। যেটা বাস্তব সেটা নিয়ে কথা বলবেন। বিদেশিরা আমাদের প্রকল্প বন্ধ করে দেবে—আমরা মুখ বাঁকা করে বসে থাকব নাকি? আব্দুস সালাম বলেন, যারা (বিদেশিরা) প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে, তাদের কি স্বার্থ নেই? তারা কি নিঃস্বার্থভাবে প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে? তারা কি ঋণের বদলে ইন্টারেস্ট পাচ্ছে না? প্রকল্প যেন সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হয়—এটা আমরা চাই, বিদেশিরাও চায়। প্রকল্প বাস্তবায়নে ফিজিবিলিটি স্টাডি যেন ভালো হয়, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রকল্পে বিলম্ব করা যাবে না। যথাসময়ে বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পে অর্থছাড় তাড়াতাড়ি করা হবে। এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রকল্পের অনিয়ম দুর্নীতি বিষয়ে কোনো ছাড় নয় : পরিকল্পনামন্ত্রী
নতুন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম বলেছেন, আমি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রকল্পগুলোর দিকে নজর দিতে চাই। সেই সঙ্গে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে থাকবে বিশেষ নজর। পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।  রোববার (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের মন্ত্রীর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  আব্দুস সালাম বলেন, স্বাস্থ্য খাত নিয়ে নানা অভাব ও অভিযোগ আছে। সেগুলো কমানোর চেষ্টা থাকবে। গ্রামে যদি স্বাস্থ্যসেবা ভালো থাকে তাহলে মানুষ সেখানেই অন্তত কিছুটা স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। যদি গ্রামেই সেই স্বাস্থ্যসেবা ভালো থাকত তাহলে অন্তত সেখানেই কিছু সেবা পেত। প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সেসব এগিয়ে নিয়ে আমি কাজ করব। একইভাবে শিক্ষার প্রকল্পগুলোও এগিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।  স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ নজর থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামের রাস্তাঘাট যদি ঠিক থাকে। মানুষ যদি সহজেই শহরে যাতায়াত করতে পারে তাহলেই উন্নয়ন টেকসই হবে। আমি যে এলাকায় নির্বাচিত হয়েছি আমার উপজেলায় হেঁটে বেরিয়েছি। আমি মনে করি, দেশের অন্যান্য উপজেলারও একই চিত্র। তাই গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্ব থাকবে।  উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে নতুন মন্ত্রীর ভূমিকা কী থাকবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতি নেই এ কথা বলব না। হুট করে এটি ঠিক করাও যাবে না। এটা শিক্ষার সঙ্গেও যুক্ত। দেখা যায়, প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়। এমন হলে বাচ্চারা কী শিখবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই বাচ্চাদের দুর্নীতিমুক্ত থাকার শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে তারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ঠিক থাকবে।  মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যদিও এটি জাতীয় ইস্যু। এটি রাষ্ট্রীয় ও বৈশ্বিক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত মনে করি। আমি ১৫ বছর এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু একটি লোকও বলতে পারবেন না আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এটা জাতীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যুক্ত। এখানে হাত দেওয়া কঠিন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্নীতি নিরসনে সংগ্রাম চলছে, যুদ্ধ চলছে এবং জেহাদ চলছে। এই যুদ্ধকে এগিয়ে নেব। দুর্নীতি প্রশ্নে কোনো আপস নেই।    এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ বিভিন্ন বিভাগের সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।  
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

পরিকল্পনামন্ত্রী হলেন আবদুস সালাম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের জন্য ৩৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত এই মন্ত্রিসভায় পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আবদুস সালাম। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।  ময়মনসিংহ ৯ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের বঙ্গভবনে তাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।  এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।  আবদুস সালাম ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ সালে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার কুমারুলির রসুলপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মেজর জেনারেল পদমর্যাদার অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা। চাকরিজীবনে তিনি ট্রেনিং, ইন্টেলিজেন্স ও লজিস্টিকস সার্ভিসে বিভিন্ন উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬২ সালের ২১ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তান আর্মিতে তিনি কমিশন প্রাপ্ত হন। এরপর ১৯৮২ সালে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন। ১৯৯২ সালে তৎকালীন সরকার তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। 
১১ জানুয়ারি, ২০২৪

লাখো ভোটের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও অভিযোগ ছাড়াই বিপুল ভোটের ব্যবধানে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।  পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে বিশাল ব্যবধানে নির্বাচিত হন। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সোনালি আঁশ) প্রতীকে মাত্র চার হাজার ভোট পান। এম এ মান্নান নৌকা প্রতীকে ৮৯ কেন্দ্রের জগন্নাথপুর উপজেলার বেসরকারি ফলাফলে পান ৬০ হাজার ৭৮৭ ভোট। জগন্নাথপুর উপজেলায় ৩২ দশমিক ৩৬ শতাংশ ভোট প্রয়োগ হয়। শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৫৬ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে পরিকল্পনামন্ত্রী পান ৬৬ হাজার ২০৯ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরী সোনালি আঁশ প্রতীকে জগন্নাথপুর উপজেলায় পান ২ হাজার ৩১৯ ভোট। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পান ১ হাজার ৭৭৬ ভোট। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৪৮.৭৭ শতাংশ ভোট প্রয়োগ হয়।  এসব তথ্য নিশ্চিত করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমাদের কাছে কোনো প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগ করেননি।  এদিকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। নির্বাচনে জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এ বিজয় ভোট বিরোধীদের বিরুদ্ধে উন্নয়নের পক্ষে মানুষের রায়। তিনি উন্নয়ন পক্ষে নৌকায় আস্থা রাখায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষ করে নির্বাচনী এলাকার জনগণকে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।  এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সিদ্দিক আহমেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন প্রমুখ।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকব না, বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, যখন বিদেশিরা নিষেধাজ্ঞা দেবে তখন আমরা মোকাবিলা করব। এর আগে ভয় পেয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকব না। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের ডুংরিয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘যদি স্যাংশন দিতে চায় দেবে, সেটা মোকাবিলা করারও পথ আছে। এগুলো আগে আলোচলার বিষয় নয়। তবে সাবধান থাকা ভালো।’ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন খুবই সুষ্ঠু হবে। তিনি আরও বলেন, আমি আমার কেন্দ্রে এসে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করেছি। জয়ের ব্যপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী।  বিএনপির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। তারা যদি পরিবর্তন চায় তাহলে নির্বাচনে এসে জনরায় নিয়ে সংসদে গিয়ে বৈধভাবে এটি পরিবর্তন করতে পারত। কিন্তু তারা সেটা না করে ভোটের পরিবেশ অশান্ত করছে। গাড়িতে ঢিল মারছে, ভাঙচুর করছে, অগ্নিসন্ত্রাস করছে। অসহযোগের নামে তারা যেটা করছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি এর প্রতিবাদ করি। এরপর শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ভোট বর্জনের ডাকে সাড়া নেই : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকে জনগণ সাড়া দেবে না। আমি গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, জনগণ গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ভোট দিতে চান। ভোট বর্জন, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে জনগণের সমর্থন নেই।  তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এসে চরম ভুল করেছে। জনগণ তাদের ভোট বর্জনের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। ৭ জানুয়ারি জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশের চলমান উন্নয়নের চাকাকে এগিয়ে নিতে ভোটকেন্দ্রে যাবে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে নারীদের মধ্যে জাগরণ তৈরি হয়েছে। পিছিয়ে পড়া নারীদের জীবনমান উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।  তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের অন্যতম সফল রাষ্ট্রনায়ক। তাকে আবারও ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।  জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খানমের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক সংরক্ষিত নারী সদস্য শামসুন্নাহার শাহানা রাব্বানী, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিনা আবেদীন, জেলা পরিষদ সদস্য শাম্মী আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সিদ্দিক আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া প্রমুখ। এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রী উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত কর্মিসভায় বক্তব্য দেন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন উপজেলা যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, এম ফজরুল ইসলাম গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রবাসীদের কষ্টের টাকায় দেশ উপকৃত হয় : পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রবাসীদের দেশের মেরুদণ্ডের সাথে তুলনা করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, যারা বিদেশে কাজ করেন তারা আমাদের দেশের মেরুদণ্ডের মতো। প্রবাসীরা একইসাথে দুটি কাজ করেন। তাদের কষ্টের টাকায় দেশ উপকৃত হয় এবং তাদের নিজের পরিবার উপকৃত হয়। তাই আমাদের উচিত প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের আরও বেশি মনোযোগী হওয়া। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রবাসী দিবসের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি ও সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, যারা নিম্নআয়ের প্রবাসী রেমিট্যান্স পাঠানোর সময় তাঁদের জন্য ১০ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। যারা বেশি রেমিট্যান্স পাঠাবে তাদের বেশি সুবিধা দেওয়া উচিত, তাঁদের সন্তানদের স্কুলে কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রবাসী দিবস চালুর পিছনে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি ও সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের অবদান অনস্বীকার্য। প্রবাসী কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা এখন বিশ্বের ষষ্ঠ। বিশ্বের প্রায় ১৪৭টি দেশে আমাদের প্রবাসীরা রয়েছেন। প্রবাসীদের জন্য আমরা ইতিমধ্যে অনেক সুবিধা চালু করেছি। প্রবাসীদের জন্য আইনটি হালনাগাদ করা হচ্ছে। শিগগিরই আমরা প্রবাসীদের জন্য ইনস্যুরেন্স চালু করবো। বিদেশে আমাদের কনস্যুলার অফিসগুলো প্রবাসীদের সেবা দিতে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, কম সুবিধাভোগী প্রবাসীরা অনেকে নিবন্ধনের বাইরে থাকেন। তাদের তালিকায় নিয়ে আসা উচিত। ফিলিপাইন আমাদের চেয়ে কম প্রবাসী পাঠিয়ে অনেক রেমিটেন্স পাচ্ছেম কারণ তারা যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী পাঠায়। আমাদেরও উচিত যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে কর্মী পাঠানো। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত প্রবাসীদের দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া। একইসঙ্গে প্রবাসীরা যেসব দেশে অবস্থান করছেন সেসব দেশেরও উচিত এসব প্রবাসীদের বেশি করে সম্মান জানানো। কারণ এসব প্রবাসী ছাড়া সেসব দেশও অচল।  ২০০৫ সাল থেকে ‘এনআরবি ডে’ বা প্রবাসী দিবস প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি ও সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে ৩০ ডিসেম্বর নিয়মিত দেশে ও বিদেশে প্রবাসী দিবস উদ্যাপন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি এবারও দুদিনব্যাপী প্রবাসী দিবস আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার দুদিনব্যাপী রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে প্রবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি এবং সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা দূরীকরণ  ও সম্ভাবনাকে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ২০০৫ সালে আমরা প্রথম ‘এনআরবি ডে’ বা প্রবাসী দিবসের দাবি জানিয়ে আসছি ও নিজেরা ২০১৭ সাল থেকে প্রবাসী দিবস উদযাপন করে আসছি। প্রবাসীদের মর্যাদার সংকট ও দেশের উন্নয়নে তাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্রয়াসে বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাদের জন্য একটি বিশেষ দিবস ঘোষণা ও দিনটি উদ্যাপনের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। গত ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৩০ ডিসেম্বর দিনটিকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উদযাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবিত ৩০ ডিসেম্বর দিনটির স্বীকৃতিতে আমরা আনন্দিত। এবার সরকারিভাবে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে উদ্যাপিত হচ্ছে প্রবাসী দিবস। প্রবাসী দিবসের প্রথম দিনের আয়োজনে ছিল প্রবাসী দিবসের থিম সং, লোগো উন্মোচন, আলোচনা অনুষ্ঠান। এ দিনে দেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য জাপানের তাকুশোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল জাপানিজ স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক পেমা গিয়ালপোকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া প্রবাসে কাজ করতে যেয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন এমন ছয়জন প্রবাসীর সন্তানদের হাতে শিক্ষা সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। আগামীকাল শনিবার দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে এনআরবি-পিবিও সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্মেলনের ঘোষণা দেওয়া হবে। একই দিনে ২০২৪ সালের এনআরবি-পিবিও সম্মেলন এবং প্রবাসী দিবস উৎসবের ঘোষণা দেওয়া হবে।এছাড়া প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, প্রযুক্তি, আর্থিক সেবা, কৃষি ও সংস্কৃতিসহ সাত খাতে অবদান রাখা সাতজন সেরা উদ্যোক্তাকে ‘এনআরবি ডে অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে ও জাপানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক নিয়ে প্রবীর বিকাশ সরকারের লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিদেশিদের কাছে নালিশ দিয়ে লাভ নেই : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বিএনপিও সরকারে ছিল, শাসন করেছে দেশ। সেই বিএনপি বলে আমরা নির্বাচনে আসব না। অন্যান্য রাষ্ট্রের কাছে গিয়ে নালিশ দেয়। বিদেশিদের কাছে নালিশ দিয়ে লাভ নেই। কারণ আমরা বিদেশিদের ভাত খাই না। তারা (বিএনপি) বলে আমরা না কি ভোট ডাকাতি করি। জণগন উন্নয়ন চায়। ভোট পাবে না বলে নির্বাচনে আসেনি বিএনপি। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল লেখক সমিতির আয়োজনে নির্বাচনী সভায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আসলে বিএনপি অপবাদ দেয় কারণ তারা নির্বাচনে ভয় পায়। এখন বিএনপি বলে ভোট না কি হতে দেবে না, কী অন্যায় কথা। আপনি ভোটে আসবেন না, ঠিক আছে; কিন্তু আপনি আমাকে ভোট দিতে দেবেন না কোন অধিকারে। এখন বিএনপি বাস, ট্রাক, ট্রেনে আগুন দিয়ে নিরপরাধ মানুষকে মারছে।। জ্বালাও-পোড়াও করছে। পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। যাতে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও কাজ করতে পারেন। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন কাজ করলে উন্নয়ন হয়। আমরা তাকে ভোট দিয়ে আগামীতেও ক্ষমতায় আনব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিকানাহীন মানুষকে ঠিকানা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো মানুষ ঘরহীন থাকবে না। তিনি আরও বলেন, রানীগঞ্জ সেতু দিয়ে সুনামগঞ্জের মানুষ ২ ঘণ্টা কম সময়ে ঢাকায় যেতে পারে। সুনামগঞ্জের সঙ্গে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার যোগাযোগ তৈরি করেছি। আমরা দিরাই-শাল্লা-বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জ সড়ক করছি। এই সরকারের সময়কালে সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সটাইল ইনস্টিউট হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় আসলে দ্রুতই ট্রেন লাইনের কাজ শুরু হবে। সুনামগঞ্জ থেকে ট্রেনলাইন মোহনগঞ্জে নিয়ে যাব আমরা। আমি বেঁচে থাকলে বিমান বন্দরও হবে সুনামগঞ্জ  জেলায়। এ সময় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি বশির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাসির আলীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সিদ্দিক আহমেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু। যুবলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন, পৌরসভা প্যানেল মেয়র সাফরুজ ইসলাম প্রমুখ।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিদেশিদের কাছে নালিশ দিয়ে লাভ নেই : পরিকল্পনামন্ত্রী
বিএনপিও ক্ষমতায় ছিল, শাসন করেছে দেশ। সেই বিএনপি বলে আমরা নির্বাচনে আসব না। অন্যান্য রাষ্ট্রের কাছে গিয়ে নালিশ দেয়। বিদেশিদের কাছে নালিশ দিয়ে লাভ নেই। কারণ আমরা বিদেশিদের ভাত খাই না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, বিএনপি বলে আমরা না কি ভোট ডাকাতি করি। আপনারা বলেন তো, আমরা কি ভোট ডাকাতি করেছি? আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করে না। আমার কোনো ভাই-বন্ধু ভোট ডাকাতি করে না। আসলে বিএনপি অপবাদ দেয় কারণ তারা নির্বাচনের ভয় পায়। এখন বিএনপি বলে ভোট না কি হতে দেবে না, কী অন্যায় কথা। আপনি ভোটে আসবেন না ঠিক আছে কিন্তু আপনি আমাকে ভোট দিতে দেবেন না কোন অধিকারে। এখন বিএনপি বাস-ট্রাক-ট্রেনে আগুন দিয়ে নিরপরাধ মানুষকে মারছে।   শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জের শানিগঞ্জ উপজেলার বীরগাঁও বাজারের পাশের মাঠে পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।  পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। যাতে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও কাজ করতে পারেন। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন কাজ করলে উন্নয়ন হয়। গ্রামের মানুষ, হাওরের মানুষের প্রকৃত বন্ধু শেখ হাসিনার সঙ্গে আমরা আছি। আমরা তাকে ভোট দিয়ে আগামীতেও ক্ষমতায় আনব।  তিনি বলেন, দেশের ৮ লাখ গৃহহীন ভূমিহীন পরিবারকে শেখ হাসিনা ঘর, বিদ্যুৎ, পানি, টয়লেট বানিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো মানুষ ঘরহীন থাকবে না।
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

পোলাও না পেলেও দরিদ্ররা ডাল-ভাত খেতে পারছে : পরিকল্পনামন্ত্রী
দেশে দরিদ্রের অবস্থাও উন্নত হয়েছে। তাদের বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে। নিরাপদ পানি পাচ্ছে। পোলাও না খেতে পারলেও পাঙাশ মাছ, ভাত-ডাল খেতে পারছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।  তিনি বলেন, আমরা কোনো বৈপ্লবিক সরকার নই। তবে মন্দের ভালো আমরা। বৈষম্য বেড়েছে সত্যি। কিন্তু দরিদ্রের অবস্থাও উন্নত হয়েছে। বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি হোটেলে সরকারি গবেষণা সংস্থা বিআইডিএসের তিন দিনের কনফারেন্সের উদ্বোধনী সেশনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। প্রথম দিনের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সুশীল সমাজ ও গ্রামীণ মানুষের আলোচনার বিস্তার ফারাক আমাকে তাড়িত করে। স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয় না। মালোশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ এবং সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থেকে দেশ দুটিকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখানে কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে স্বৈরাচারী বলা হয়। কিন্তু কীভাবে (নির্বাচিত হয়ে) ক্ষমতায় থাকা হয় তা বলা হয় না।  গ্রামে বসবাসরত দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ আরও উন্নয়ন অর্থাৎ টিউবওয়েল, টয়লেট, ওষুধ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চায়। নাগরিক সমাজ ও গ্রামীণ ভোটারদের আলোচনায় এমন বিস্তর ফারাক নিয়ে অস্বস্তি বোধ করেন বলেও জানান মন্ত্রী। পশ্চিমাদের শ্রমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করা আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপ আমেরিকায় কেন মানুষ কজের জন্য যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হবে? কারা সম্পদ লুণ্ঠন করে কাঁটাতার দিয়েছে এসব প্রশ্ন করা উচিত।  চীনের আদৌ পতন হবে কি না এমন প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, বলা হচ্ছে চীনের উত্থান নিচের দিকে পড়ে যাবে। কিন্তু আদৌ কি তাই হবে? কারণ আমরা ৯০-এর দশক থেকে উত্তর কোরিয়ার কথা শুনে আসছি। তারা নাকি খেতে পায় না। কিন্তু আমরা দেখছি তারা তো খেয়ে পড়ে ভালোই আছে।  গণতন্ত্র, ন্যায্যতা ও স্বাধীনতাকে বাই প্রোডাক্ট উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মূল বিষয় হলো লাইফ। আমরা যদি উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে পারি তাহলে ওসব এমনিতেই এসে পড়বে।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
X