নাসিরকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন পরীমণি
আলোচনা-সমালোচনার আরেক নাম যেন নায়িকা পরীমণি। মাদক, প্রেম, একাধিক বিয়ে ও বিচ্ছেদ সবকিছু দিয়েই হয়েছেন খবরের শিরোনাম। অল্প আলোর ক্যারিয়ারে যেতে হয়েছিলো জেলেও। এবার আবারও পুরনো ঘটনা দিয়ে আলোচনায় তিনি। তার বিরুদ্ধে আলোচিত বোট ক্লাব মামলায় ক্লাবটির সভাপতি নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। পরে শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম আদেশ পরে দিবেন বলে জানান। বাদীক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল গণমাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন। আইনজীবী বলেন, ঘটনার দিন রাতে পরী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। মদ পান শেষে একপর্যায় তিনি মদ পার্সেল নিতে চান। মদ না দেয়ায় বোটক্লাবে ভাঙচুর ও উপস্থিত থাকা ক্লাব সভাপতিকে উত্তেজিত হয়ে মারধর করেন। নাসিরকে মেরে ফেলতে ভাঙা গ্লাস ছুড়ে মারেন।    এ বিষয়ে গণমাধ্যমে নাসির উদ্দিন বলেন, শুরু থেকেই নিজের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে। ধর্ষণের মতো ভয়ংকর অভিযোগ এনে মামলা করে আমাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছিল। তবে আমি বিশ্বাস করি সত্যের জয় হবেই। মানুষ এখন জানবে সেদিন আমি নিরাপরাধ ছিলাম। আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ভালো লাগত হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয়েছে। এদিকে তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই বলছে, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে আসামি পরীমনি অসৎ উদ্দেশে বাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে ফাঁদে ফেলে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে তিন লিটারের ব্লু লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করেন। পরীমনি ইচ্ছাপূর্বকভাবে বাদীর দিকে এসট্রে ছুড়ে মেরে তার ডান কানের ওপরে মাথায় আঘাত করে জখম করেন। এ ছাড়া আসামিদের ছোড়া ভাঙা গ্লাসের টুকরায় বাদীর বুকে লাল চিহ্নিত স্ক্র্যাচ মার্কযুক্ত জখম করে ও ক্লাবের বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল এসট্রে ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব করে। যার ফলে আসামি পরীমনির বিরুদ্ধে বাদীর আনা ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বারের ভেতরে তাণ্ডব করতে থাকলে সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকীকে বাদী নাসির আসামিদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমি তেড়ে এসে বাদী নাসির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে এবং হুমকি প্রদর্শনপূর্বক ২/৩টা কিল-ঘুষি মারেন। এতে আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগ মতে ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।  আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বাদীর আনা কোনো অভিযোগের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।  এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে একই বছরের ১৮ জুলাই এ মামলাটি গ্রহণ করে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন দামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।  ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন।  একপর্যায়ে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন।  এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। মামলায় আরও বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।  
৩০ নভেম্বর, ০০০১

৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েও পার্সেল চেয়েছিলেন পরীমণি
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নিয়ে ঢাকা বোট ক্লাবে ঘটে যাওয়া সেই রাতের ঘটনা হয়তো কেউ ভুলে যায়নি। যে ঘটনা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়েছিল মিডিয়াপড়াসহ গোটা দেশজুড়ে। হয়েছিল একাধিক মামলা।  নানা অভিযোগ তুলে বোট ক্লাবের পরিচালক নাছির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন পরীমণি। তবে ছেড়ে কথা বলেনি নাছির উদ্দিনও। মামলা করেছিলেন তিনিও।  পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের করা সেই হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- মামলার সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকি অমির সঙ্গে জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে মাঝে মধ্যে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ হতো এবং একে অপরের বাসায় আসা যাতায়াত ছিল। ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিম অমিকে ম্যাসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরীমণি এবং ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের সাক্ষাৎ হয়। এরপর তারা অমির কাছে জানতে চান এত রাতে উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? উত্তরে অমি জানান, রাত বেশি হচ্ছে তাই এখন উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে না। তখন জিমি জানতে চান যে, তাহলে বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? জবাবে ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে মর্মে জানান অমি। তখন পরীমণির অনুরোধে অমিসহ তারা চারজন অমির কালো রঙের জিপ গাড়িতে করে রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবে আসেন। গাড়ির পেছনে পরীমণির সাদা রঙের খালি জিপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে। ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে সাক্ষী অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাদেরকে স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরীমণি একটি এক লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরীমণি ও তার সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমিষেই সেই বোতলের এ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করে ফেলেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তারা ঐ বোতলের আংশিক মদ পান করেন। একপর্যায়ে পরীমণিকে নিয়ে নাছির মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পুনরায় তাদের টেবিলে এসে বসে মদ্যপানসহ গল্পগুজব করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর নাছির মাহমুদ ও তার সঙ্গে থাকা আরও দুজন যখন বার থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পরীমণি নাছির মাহমুদকে ডেকে বললেন, ‘ভাই আমি আসলাম, আর আপনি এক্ষুনি চলে যাচ্ছেন? আমাদের সঙ্গে আরেকটু বসেন। আসেন কিছুক্ষণ গল্প করি।’ তখন পরীমণির অনুরোধে নাছির মাহমুদ ফিরে এসে পুনরায় তার টেবিলে বসেন। কিছুক্ষণ পর ড্রিংকস শেষে পরীমণি ওয়েটারকে আরও এক লিটারের তিনটি ব্লু লেবেল মদের বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেওয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমণিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লু লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি। তখন পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরীমণি জোর করে ঐ বোতল নিতে চান এবং টেবিলে হট্টগোল করতে থাকেন। পরীমণি উত্তেজিত হয়ে কার্ডহোল্ডার বের করে দুই-তিনটি ব্যাংক কার্ড দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কি ফকিরনি? আমার বিল আমি পরিশোধ করব। আমি এটা নেবই।’ এ সময় পরীমণির সঙ্গে থাকা জিম তাকে শান্ত করতে গেলে তাকেও পরীমণি থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পরীমণি খুবই উত্তেজিত হয়ে টেবিলের উপর থাকা গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ফ্লোরে এদিক ওদিক ছুঁড়তে থাকেন। তখন নাছির মাহমুদ ক্লাবের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীমণিকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এতে পরীমণি আরও ক্ষেপে গিয়ে একটি অ্যাশট্রে নিয়ে তার দিকে ছুড়ে মারেন। যা তার ডান কানের উপরে মাথায় লাগে। তখন নাছির মাহমুদ ক্লাবে পরীমণিকে সঙ্গে করে আনায় অমির উপর রেগে যান এবং বলেন, ‘এরকম বেয়াদব মহিলা নিয়ে কেন ক্লাবে আসেন, কাল আপনার নামে নোটিশ হবে। এক্ষুনি এদেরকে নিয়ে বেরিয়ে যান।’ তখন জিম তেড়ে এসে নাছির মাহমুদকে গালমন্দ করে ২/৩ টা কিলঘুসি মারেন। এরপর আবারও পরীমণি বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস ছুড়ে ভাঙচুর করতে থাকেন। একটি গ্লাস নাছির মাহমুদের বুকে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। তখন নাছির মাহমুদ বোট ক্লাব ত্যাগ করে চলে যান। ক্লাব ত্যাগ করার মুহূর্তে পরীমণিকে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে বলার জন্য ক্লাবের নিচে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশ দিয়ে যান। নাছির মাহমুদ আহত অবস্থায় ঐ রাতে আড়াইটার দিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এরপর দুই বোতল ব্লু লেবেলের দাম ও পার্সেলে নেওয়া দুই বোতল ওয়াইনের দাম পরিশোধ না করেই ক্লাব থেকে চলে যায় পরীমণিরা। এই চারটি বোতলের দাম ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা। এছাড়া ক্লাবের বারের ভেতরে গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ভাঙচুর করায় আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন বলেন, বাদীর অভিযোগের বিষয়ে নিবিড় তদন্ত করে এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী আছে, মেডিকেল রিপোর্ট আছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করেছি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

নাসির উদ্দিনকে ১০০০ টাকা দিতে পরীমণিকে নির্দেশ আদালতের
চিত্রনায়িকা পরীমণির জীবন ঘটনাবহুল। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার। বড় পর্দায় একের পর এক সিনেমা মুক্তি পেলেও ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিতে পারেননি পরী। একাধিক বিয়ে করলেও কারও সঙ্গেই থিতু হতে পারেননি এই নায়িকা। মাদককাণ্ডে জেলেও যেতে হয়েছে এই সুন্দরীকে। এবার মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় আসামিদের যাতায়াত ভাড়া দিতে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহানা হক সিদ্দিকার আদালত এ আদেশ দেন। এ দিন পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য থাকলেও এদিন পরীমণি আদালতে হাজির হননি। পরে পরীর আইনজীবী জয়া রাণী দাশ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময় আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, পরীমণি শুটিংয়ের জন্য ভারতে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। অন্যদিকে আসামি নাসির উদ্দিনের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল পরীমণির অসমাপ্ত সাক্ষ্য শেষ করার আবেদন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর পরীমণি সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এরপর ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি, ৬ মার্চ ও ২৩ মে সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে পরীমণি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। ২৪ জুলাই আংশিক সাক্ষ্য দেন। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর ও চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অবশিষ্ট সাক্ষ্য দিতে পরীমণির অবহেলায় আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। আসামিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করার আদেশ প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত পরীমণিকে শেষবারের মতো সময় দেন। পাশাপাশি আসামিদের যাতায়াত ভাড়া এক হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেন। মামলার আসামি হলেন- নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম।  উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন। ২০২২ সালের ১৮ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২২ মার্চ, ২০২৪

আমি নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই: পরীমণি
দেশীয় সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। ফের অভিনয়ে ব্যস্ততা বাড়ছে তার। সম্প্রতি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা রেজা ঘটকের ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন। এর মধ্যেই তিনি হাতে নিয়েছেন বেশকিছু নতুন কাজ। ধারণা দিয়েছেন বছরটি কাজের মধ্যেই নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন ‘স্বপ্নজাল’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। বছরজুড়ে নিজের ব্যস্ততা নিয়ে পরী মুখোমুখি হন কালবেলার। নানা প্রশ্নের মধ্যে তিনি জানান, তার হাতে এখন বেশ কিছু কাজ রয়েছে। যার গল্প এরই মধ্যে নির্বাচিত হয়েছে। এখন আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে শুটিং শুরু হবে। এ সময় ঈদে ভক্তদের জন্য কোনো চমক থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদ আসতে এখনো অনেক দেরি। সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। চমক থাকলেও থাকতে পারে।’ এরপর নতুন গল্পগুলোতে তার চরিত্র কেমন হবে জানতে চাইলে পরী আরও বলেন, ‘আমি সবসময়ই পরিশ্রমী একজন মানুষ। কাজের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমি নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই। সামনে আমাকে তেমনই কিছু গল্পে দেখবে দর্শক। এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনই কিছু বলতে পারছি না। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরই দর্শক সবকিছু জানতে পারবে।’ সবশেষ পরীমণিকে ছোট পর্দার অন্যতম সফল নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘বুকিং’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করতে দেখা যায়। ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাওয়া এই ফিল্মে পরীর বিপরীতে অভিনয় করেন অভিনেতা এ বি এম সুমন।
০২ মার্চ, ২০২৪

ওয়ালটন পণ্য কিনে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ
‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানো সারা দেশে শুরু হলো ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। প্রতিবারের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক। সিজন-২০ এ ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের জন্য ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক সুবিধা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।  ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এর আগেও ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন ৩০ জন ক্রেতা। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে আবারও এই সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং নির্দিষ্ট মডেলের ফ্যান কিনে আবারও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এ ছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।   বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়।  অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী সিজন-২০ এর উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। পাশাপাশি সিজন-২০ এর লোগো উন্মোচন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) নজরুল ইসলাম সরকার। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের এএমডি মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. তানভীর রহমান, আরিফুল আম্বিয়া, দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), ফিরোজ আলম, আমিন খান, শাহজালাল হোসেন লিমন, তোফায়েল আহমেদ, সোহেল রানা ও মোস্তফা কামাল প্রমুখ। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সদ্য নিযুক্ত চিত্রনায়িকা পরীমণি বলেন, ওয়ালটন পণ্য এখন আমাদের সবার ঘরে ঘরে। আমার ঘরেও আছে ওয়ালটন ফ্রিজ সহ নানা পণ্য। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ওয়ালটন পণ্য এখন রপ্তানি হচ্ছে ৪০টিরও বেশি দেশে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ওয়ালটন পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।   পরীমণি আরও বলেন, ওয়ালটন শুধু বলার জন্যই বলে না; ওয়ালটন করেও দেখায়। ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ইতোমধ্যে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩০ জন ক্রেতা। ওয়ালটন এদের জীবন পুরো পাল্টে দিয়েছে। ওয়ালটনের এই উদ্যোগ সত্যিই খুবই প্রশংসনীয়। এই কার্যক্রমের সঙ্গে এবার আমাকে যুক্ত করায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।  অনুষ্ঠানে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত তুলে ধরে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান জানান, সারা দেশে ইতোমধ্যে ক্যাম্পেইনের ১৯টি সিজন বেশ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের কাছ থেকে পেয়েছি অভূতপূর্ব সাড়া। এরই প্রেক্ষিতে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে শুরু করা হয়েছে সিজন-২০। এর আওতায় ক্রেতাদের জন্য ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। পূর্বের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনও শতভাগ সফল হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।  অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিজন-২০ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পেতে পারেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ। এ ছাড়াও পাবেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম ক্রেতাদের উপহার বুঝিয়ে দিবে। বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ‘ডিজিটাল কাস্টমার ডাটাবেজ’ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য দেশব্যাপী চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যে কোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। 
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নতুন পরিচয়ে পরীমণি
চিত্রনায়িকা পরীমণির জীবন ঘটনাবহুল। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার। বড় পর্দায় একের পর এক সিনেমা মুক্তি পেলেও ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিতে পারেননি পরী। একাধিক বিয়ে করলেও কারও সঙ্গেই থিতু হতে পারেননি এই নায়িকা। মাদককাণ্ডে জেলেও যেতে হয়েছে এই সুন্দরীকে। তবে ব্যক্তিজীবনের সব বিষাদ পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন ‘অন্তর জ্বালা’র নায়িকা। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসায় নামছেন পরী। আসছে ঈদুল ফিতর সামনে রেখে প্রসাধনী পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। পরীমণি জানালেন, বর্তমানে বিভিন্ন ক্লোন ও নিম্নমানের পণ্যের কারণে অনেকেই স্কিনের সমস্যায় পড়ছেন। এমন সব সমস্যার সমাধান নিয়েই স্কিন ভালো রাখতে অরিজিনাল ব্যান্ডের পণ্য বাজারে আনবেন তিনি।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ব্যবসায় নামছেন পরীমণি
চিত্রনায়িকা পরীমণির জীবন ঘটনাবহুল। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার। বড় পর্দায় একের পর এক সিনেমা মুক্তি পেলেও ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিতে পারেননি পরী। একাধিক বিয়ে করলেও কারও সঙ্গেই থিতু হতে পারেননি এই নায়িকা। মাদককাণ্ডে জেলেও যেতে হয়েছে এই সুন্দরীকে। তবে ব্যক্তিজীবনের সব বিষাদ পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন ‘অন্তর জ্বালা’র নায়িকা। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসায় নামছেন পরী। আসছে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রসাধনীর পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। পরীমণি জানালেন, বর্তমানে বিভিন্ন ক্লোন ও নিম্নমানের পণ্যের কারণে অনেকেই স্কিনের সমস্যায় পড়ছেন। এমন সব সমস্যার সমাধান নিয়েই স্কিন ভালো রাখতে অরিজিনাল ব্যান্ডের পণ্য বাজারে আনবেন তিনি।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আগে কখনো এতটা অসহায় অনুভব করিনি : পরীমণি
সয়মটা ভালো যাচ্ছে না ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণির। কেননা তার ছেলে পদ্ম অসুস্থ। কিছুদিন আগে মা ও ছেলে এক সঙ্গেই অসুস্থ হয়েছিলেন। পরে পরী অনেকটা সুস্থ হলেও তার ছেলের অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাই ছেলেকে নিয়ে কলকাতায় গেছেন চিত্রনায়িকা। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে কলকাতায় পৌঁছান পরীমণি। কিন্তু এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন নায়িকা। সেটি দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন তার ভক্তরা। পোস্টে পরী লিখেছেন, ‘জীবনে আগে কখনো এতটা অসহায় অনুভব করিনি। আল্লাহ সহায়।’ কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে পোস্টটি দেন তিনি। সেটি দেখে ভক্তরা ধারণা করছেন নায়িকা বেশ বিপদে আছেন। তাই মন্তব্যের ঘরে অনেকেই দোয়া করেছেন। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পরীমণি ও তার ছেলের কিছু ছবি পোস্ট করে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘হাসপাতালে টানা সাত দিন থাকার পর ছেলের চিকিৎসার জন্য কলকাতার পথে পরীমণি। পদ্ম খুব অসুস্থ। তার দুইটা ভাইরাস ধরা পড়েছে। পরীও পুরোপুরি সুস্থ না। কিন্তু কিছুই করার নেই। আপনারা সবাই পদ্ম ও পরীর জন্য দোয়া করবেন। যেন আমাদের আদরের সন্তানটা সুস্থ হয়ে ফিরে আসে। পদ্ম খুব কষ্ট পাচ্ছিল।’
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

ছেলের চিকিৎসার জন্য ভারত গেলেন পরীমণি
কয়েকদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে পরীমণি জানিয়েছিলেন, রাস্তার পাশের দোকানের ফল খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। গত ৩ জানুয়ারি পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য পিরোজপুর গিয়েছিলেন। এরপর ১১ জানুয়ারি ঢাকায় ফেরেন। আর ফেরার আগে রাস্তার পাশের এক দোকান থেকে খাবার খেয়ে অসুস্থ হন ছেলে পদ্মসহ পাঁচজন। ছেলেসহ সবাই অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন তারা। এ ব্যাপারে নায়িকা জানিয়েছিলেন, সবাই সুস্থ হলেও দেড় বছর বয়সী ছেলে হাসপাতালে ভর্তি এখনো। আর এবার জানা গেল নতুন খবর। অভিনেত্রীর ছেলে এখনো সুস্থ হয়ে ওঠেনি। তাই তার চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে ভারতের কলকাতায়। নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ফেসবুকে এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অভিনেত্রী পরীমণি ও তার ছেলে পদ্মর কয়েকটি ছবি আপলোড করে দীর্ঘ এক পোস্ট দেন চয়নিকা চৌধুরী। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘হাসপাতালে টানা সাত দিন থাকার পর ছেলের চিকিৎসার জন্য কলকাতার পথে পরীমণি। পদ্ম খুব অসুস্থ। তার দুইটা ভাইরাস ধরা পড়েছে। পরীও পুরোপুরি সুস্থ না। কিন্তু কিছুই করার নেই। আপনারা সবাই পদ্ম ও পরীর জন্য দোয়া করবেন। যেন আমাদের আদরের সন্তানটা সুস্থ হয়ে ফিরে আসে। পদ্ম খুব কষ্ট পাচ্ছিল।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘ইন্ডিয়ান ভিসা থাকলে সত্যি তোমার আর পদ্মর পথের সঙ্গী হতাম, আমাকে বলতে হতো না। তুমি তা জানো। আমি জানি, আমি সঙ্গে গেলে তোমার অনেক রিলিফ লাগত। তোমাকেও এভাবে ছেড়ে দিতে আমার ভালো লাগেনি। অনেক কান্না পাচ্ছে তোমাদের এয়ারপোর্টে বিদায় দেবার সময়।’ এই নির্মাতা আরও লিখেছেন, ‘পরী, আমি জানি তুমি ফাইটার। তুমি অনেক বুদ্ধিমতি, তুমি অনেক ধৈর্যশীল। তুমি একাই সব পারবে। আমি শিউর। তুমি জয়ী হয়েই আসবে। তোমার ছেলে বড় হয়ে তোমার এই জীবনের গল্প মনে রাখবে আর প্রাউড ফিল করবে। মা এত্ত ভালোবাসা আর আশীর্বাদ তোমার আর পদ্মর জন্য।’ এদিকে আগামী ১৯ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে পরীমণি অভিনীত সিনেমা ‘কাগজের বউ’। এ সিনেমার পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। কয়েকদিন আগেই সিনেমাটির প্রচার উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন হয়। কিন্তু অসুস্থতার কারণে সেই সংবাদ সম্মেলনেও থাকতে পারেননি পরীমণি।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪
X