চিত্রনায়িকা পরীমণির জীবন ঘটনাবহুল। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার। বড় পর্দায় একের পর এক সিনেমা মুক্তি পেলেও ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিতে পারেননি পরী। একাধিক বিয়ে করলেও কারও সঙ্গেই থিতু হতে পারেননি এই নায়িকা।
মাদককাণ্ডে জেলেও যেতে হয়েছে এই সুন্দরীকে। এবার মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় আসামিদের যাতায়াত ভাড়া দিতে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহানা হক সিদ্দিকার আদালত এ আদেশ দেন।
এ দিন পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য থাকলেও এদিন পরীমণি আদালতে হাজির হননি। পরে পরীর আইনজীবী জয়া রাণী দাশ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময় আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, পরীমণি শুটিংয়ের জন্য ভারতে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।
অন্যদিকে আসামি নাসির উদ্দিনের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল পরীমণির অসমাপ্ত সাক্ষ্য শেষ করার আবেদন করেন। এ সময় তিনি বলেন,
২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর পরীমণি সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এরপর ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি, ৬ মার্চ ও ২৩ মে সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে পরীমণি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। ২৪ জুলাই আংশিক সাক্ষ্য দেন। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর ও চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অবশিষ্ট সাক্ষ্য দিতে পরীমণির অবহেলায় আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। আসামিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করার আদেশ প্রার্থনা করেন।
উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত পরীমণিকে শেষবারের মতো সময় দেন। পাশাপাশি আসামিদের যাতায়াত ভাড়া এক হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেন। মামলার আসামি হলেন- নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন। ২০২২ সালের ১৮ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মন্তব্য করুন