স্থলভাগের পিএসসি হালনাগাদ করছে পেট্রোবাংলা
স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিদ্যমান উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) হালনাগাদ করছে পেট্রোবাংলা। চলতি মাসে পিএসসির হালনাগাদ খসড়া চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ১৯৯৭ সালের পর স্থলভাগের পিএসসি আর হালনাগাদ করা হয়নি। সম্প্রতি তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দেওয়ার পর বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ২৭ বছর পর স্থলভাগের পিএসসি হালনাগাদের উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রোবাংলা। প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এ প্রসঙ্গে কালবেলাকে বলেন, স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিদ্যমান পিএসসি হালনাগাদ করা হচ্ছে। খসড়া চূড়ান্তকরণের কাজ প্রায় শেষ। শিগগির আমরা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ের পাঠাব। তিনি বলেন, অফশোর (সাগরে অনুসন্ধানের জন্য) পিএসসির মতো অনশোর (স্থলভাগ) পিএসসিও আর্কষণীয় করা হচ্ছে। যাতে করে আমাদের অনশোরেও আইওসিগুলো (আন্তর্জাতিক অয়েল কোম্পানি) বিনিয়োগে আগ্রহী হয়। জানা গেছে, গত এক দশকে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত গ্যাসের উত্তোলন দিন দিন কমছে। দেশে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এই সময় আমদানির ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। বড় বড় গ্যাসক্ষেত্রগুলোরও মজুত ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। এ অবস্থায় স্থালভাগে গ্যাস অনুসন্ধানের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে স্থলভাগের পিএসসি হালনাগাদ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পরিত্যক্ত গ্যাসকূপগুলোকে ফের খনন ও সংস্কারের (ওয়ার্কওভার) মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে পেট্রোবাংলা। বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রের ৯৮টি কূপ সাময়িক বন্ধ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে ৬৭টি ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে উৎপাদনে আনা সম্ভব। বাকিগুলোতেও কাজ করার সুযোগ আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গত মাসে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এজন্য পিএসসিও হালনাগাদ করে আকর্ষণীয় করা হয়েছে। কিন্তু সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তার চেয়ে কম সময়ের ভেতর স্থলভাগের অনুসন্ধান কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। ওই কর্মকর্তা জানান, পিএসসি হালনাগাদের পাশাপাশি আকর্ষণীয়ও করা হচ্ছে। গ্যাস পেলে উৎপাদিত গ্যাসের অংশীদারত্বে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দ্বিমাত্রিক জরিপের ভিত্তিতে উচ্চ সম্ভাবনাময়, মাঝারি সম্ভাবনাময় ও ন্যূনতম সম্ভাবনাময় এই তিন ক্যাটাগরিতে ব্লকগুলোকে ভাগ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক দরপত্রে দেশীয় অনুসন্ধান কোম্পানিগুলোকে অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর টেকনিক্যাল, ফিন্যান্সিয়াল ও দক্ষ মানবসম্পদের ওপর ভিত্তি করে কাজ পাওয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে তিনটি রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি হলো বাপেক্স, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, স্থলভাগে মোট ২২টি ব্লক রয়েছে। এর মধ্যে ১১টিতে এখনো কোনো ধরনের অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হয়নি। খালি থাকা ব্লকগুলো হচ্ছে ১, ২এ, ২বি, ৩এ, ৪এ, ৪বি, ৫, ৬এ, ২২এ, ২২বি এবং ২৩ নম্বর। এসব ব্লকে কাজ করতে যোগ্যতম বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ কোম্পানি গঠন করে দরপত্রে অংশ নিতে পারবে। এ ছাড়া এ খাতের কোনো কোম্পানিকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে কাজ করানোর সুযোগ রাখা হচ্ছে হালনাগাদ পিএসসিতে। স্থলভাগের গ্যাসের দামও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশের স্থলভাগে প্রথম পিএসসি করা হয় ১৯৯১ সালে। এর অধীনে শেভরন বিবিয়ানা, জালালাবাদ এবং মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের কাজ পায়। পরে ১৯৯৭ সালে সংশোধিত পিএসসির অধীনে কুমিল্লার বাঙ্গুরায় তাল্লো কাজ পায়। তবে কানাডিয়ান কোম্পানিকে টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রের কাজ দেওয়া হয় পিএসসি ছাড়াই। বর্তমানে দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্রের ১১৩টি কূপ দিয়ে দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুটের কিছু বেশি গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। গতকাল পেট্রোবাংলার গ্যাস উৎপাদনের চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এদিন এসব কূপ থেকে ১ হাজার ৭১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হয়েছে। এর সঙ্গে আমদানি করা ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি যোগ করে জাতীয় গ্রিডে মোট ২ হাজার ৭১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সবচেয়ে বেশি গ্যাস উত্তোলন করা হয় সিলেটের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে। মার্কিন কোম্পানি শেভরনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই গ্যাসক্ষেত্রের ২৬টি কূপ দিয়ে দৈনিক ৭৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া শেভরনের নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্য দুটি গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে জালালাবাদ ফিল্ডের সাতটি কূপ দিয়ে দৈনিক ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পাঁচটি কূপ দিয়ে দৈনিক সাড়ে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এককভাবে শেভরন সবচেয়ে বেশি গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ করছে। অন্য বহুজাতিক কোম্পানি তাল্লো বাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্রের পাঁচটি কূপ দিয়ে দৈনিক ২১ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ করছে। দেশীয় কোম্পানি বাপেক্স আটটি গ্যাসক্ষেত্রের ১৫টি কূপ দিয়ে ১১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ করছে। এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো হচ্ছে সালদা, ফেঞ্চুগঞ্জ, শাহবাজপুর, সেমুতাং, শ্রীকাইল, বেগমগঞ্জ ও রূপগঞ্জ। সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি (এসজিএফএল) সিলেট, কৈলাশটিলা-১, কৈলাশটিলা-২, রশিদপুর ও বিয়ানীবাজার এই পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রের ১১টি কূপ দিয়ে দৈনিক ১১৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ করছে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি (বিজিএফসিএল) পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রের ৪৪টি কূপ দিয়ে দৈনিক ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ করছে। গ্যাসক্ষেত্রগুলো হচ্ছে তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ, নরসিংদী এবং ম্যাগনামা। এর মধ্যে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রটি সবচেয়ে পুরোনো।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

পিএসসি সদস্য অধ্যাপক প্রদীপ শপথ নিলেন
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। গত ১৯ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক ড. প্রদীপকে পিএসসির সদস্য হিসেবে নিয়োগের তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদে তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এর আগেই বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হলে তখনই সদস্য পদের মেয়াদ শেষ হবে। ড. প্রদীপ ১৯৯৪ সালে রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৯৫ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ২০০০ সালে এ বিভাগেই প্রভাষক হিসেবে অধ্যাপনা শুরু করেন। ২০১০ সালে ব্রিটিশ সরকারের বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

৪৩তম বিসিএসে ৭০১ পদে যোগ্য প্রার্থী পায়নি পিএসসি
যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে মোট ৭০১টি পদে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে মোট ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয়সংখ্যক যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় বিভিন্ন ক্যাডারের মোট ৫৫টি পদে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। এ ছাড়া যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় নন-ক্যাডারে ৬৪৬টি পদে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। নবম গ্রেডের ৫৭টি এবং ১০ম গ্রেডের ৫৮৯টি পদ ফাঁকা রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের নম্বরপত্রের মাধ্যমে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তরের ৯ম গ্রেডের সহকারী পরিচালকের ১৪টি, ১১তম গ্রেডের জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার ৬টি এবং ১২তম গ্রেডের শ্রম কর্মকর্তার ৫টিসহ মোট ২৫টি পদ ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে প্রত্যাহার করায় ওই পদগুলোয় পিএসসি মনোনয়ন করতে পারেনি। এ ছাড়া অর্থ বিভাগের অধীন বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয়ের এসএএস সুপারিনটেনডেন্টের ২৯টি পদ ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে প্রত্যাহার করায় ওই পদগুলোয় মনোনয়ন করা হয়নি। এ বছরের ২০ আগস্ট ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন। গত নভেম্বরে এসব প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া শেষ করে তারা। গত বছরের জুলাইয়ে পিএসসি এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করেছিল। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরীক্ষায় ৪ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থী অংশ নিয়েছিল। এতে মোট ১৫ হাজার ২২০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধির পাঁয়তারায় পিএসসি
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ৪৩তম বিসিএসের কিছু ফলপ্রার্থী। তাদের অভিযোগ, পিএসসির এমন কর্মকাণ্ডের ফলে বিসিএসের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে চাকরিপ্রত্যাশীরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা। ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের বিজ্ঞপ্তি বাতিল এবং পদসংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মুখপাত্র হিসেবে লিখিত বক্তব্যে নাসির উদ্দিন বলেন, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার পর আমরা যখন চাকরি পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর, তখনই জানতে পারি এই বিসিএস থেকে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশ করতে যাচ্ছে পিএসসি। তড়িঘড়ি করে নেওয়া অপরিকল্পিত এ সিদ্ধান্তের আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। তারপরও ১৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে কতগুলো অকার্যকর পদসহ মাত্র ১ হাজার ৩৪২টি পদের একটি নন-ক্যাডার পছন্দ তালিকা প্রকাশ করেছে পিএসসি। জানা গেছে, ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে একসঙ্গে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে পিএসসি। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে যারা নন-ক্যাডারে চাকরিপ্রত্যাশী, শূন্য পদে তাদের পছন্দক্রম নিচ্ছে কর্ম কমিশন। তবে অল্পসংখ্যক পদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাল পিএসসি
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২৭ নভেম্বরই শুরু হচ্ছে। ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১২ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী। হরতাল বা অবরোধের মতো চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে আসছিল প্রার্থীরা। তবে, সব দিক বিবেচনা করে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।  পিএসসি চেয়ারম্যান কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আজ (২৩ নভেম্বর) আমাদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছি।  তিনি বলেন, অনেকেই পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে চায়। তাছাড়া সামনে পরিস্থিতি কী হবে কেউ জানে না। সে কারণে কমিশনের সবাই নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে মত দিয়েছেন।  চলতি বছরের ১৯ মে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ১ হাজার ২২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৪৫তম বিসিএসে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারি ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে নিয়োগ পাবেন ৫৩৯ জন। এ ছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে ৪৩৭ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৮০, কাস্টমস ক্যাডারে ৫৪ এবং প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানায় পিএসসি।
২৩ নভেম্বর, ২০২৩

চার প্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করল পিএসসি
মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় ৪১তম বিসিএসে সাময়িকভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত চার প্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বৃহস্পতিবার কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪-এর ১৫(১) অনুযায়ী মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় কমিশনের ২০২৩ সালের দ্বিতীয় সাধারণ সভা ও অষ্টম বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪১তম বিসিএস থেকে সাময়িকভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে আব্দুল্লাহ-আল-আমিন সরকার (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১১৭০১০৬), বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) প্রভাষক (গণিত) পদে মিঠুন হাওলাদার (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১১০৮৭৪১), বিসিএস (খাদ্য) সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী/সমমানের পদে প্রীতম কুমার মণ্ডল (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১০৪৬৪৭১) এবং বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে মো. আলী আকবার সোহেলের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১০৭৭০২৩) সুপারিশ বাতিল করা হলো এবং এ চার প্রার্থীকে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হলো।
০৩ নভেম্বর, ২০২৩

মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় চার প্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করল পিএসসি
মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় ৪১তম বিসিএসে সাময়িকভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত চার প্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।  বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ এর ১৫(১) অনুযায়ী মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় কমিশনের ২০২৩ সালের ২য় সাধারণ সভা ও ৮ম বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪১তম বিসিএস থেকে সাময়িকভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে আব্দুল্লাহ-আল-আমিন সরকার (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১১৭০১০৬), বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) প্রভাষক (গণিত) পদে মিঠুন হাওলাদার (রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ১১১০৮৭৪১), বিসিএস (খাদ্য) সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী/সমমানের পদে প্রীতম কুমার মন্ডল (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১০৪৬৪৭১) এবং বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে মো. আলী আকবার সোহেলের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ১১০৭৭০২৩) সুপারিশ বাতিল করা হলো এবং এই চারজন প্রার্থীকে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হলো।
০২ নভেম্বর, ২০২৩

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা তারিখ জানাল পিএসসি
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৭ নভেম্বর শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাসে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়- ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২২ এর লিখিত পরীক্ষা (আবশ্যিক ও পদসংশ্লিষ্ট বিষয়) আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- পরীক্ষার হল, আসনব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যথাসময়ে সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। চলতি বছরের ১৯ মে অনুষ্ঠিত ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৭৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নিয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। ৬ জুন ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মাত্র ১৭ দিন পর ১৯ মে ফল প্রকাশ করে পিএসসি। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।  চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে নিয়োগের অগ্রগতি জানাল পিএসসি
৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগের সুপারিশ শেষ হলে ৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ ছাড়া ৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে নিয়োগে কত দিন লাগতে পারে, সেটিও ঠিক করা হয়েছে।  পিএসসির একাধিক সূত্র জানায়, এখন ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে নিয়োগের কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত পিএসসি। এতে ছয় হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। পিএসসি আবেদনকারীদের তথ্য বিশ্লেষণ করছে। বিশ্লেষণ শেষে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। এ কাজ শেষ হতে এই সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। এরপরই মূলত ৪১তম বিসিএসের কার্যক্রম শুরু হবে। তখন পিএসসি নন-ক্যাডারে ৪০তম বিসিএসের মতোই ৪১তম বিসিএসে পদসংখ্যা প্রকাশ করে তাতে পছন্দের পদ বাছাই করার সময় দেবে চাকরিপ্রার্থীদের। সেটি পাওয়ার পর আবেদন বিশ্লেষণ করে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। পিএসসি চলতি বছরের ৩ আগস্ট ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে। ৪১তম বিসিএসে ২ হাজার ৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। পেশাগত ১৬টি ক্যাডারে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কাউকে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। এ ছাড়া নন-ক্যাডারে ৯ হাজার ৮২১ জন প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন চার লাখের বেশি প্রার্থী। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২১ হাজার ৫৬ জন উত্তীর্ণ হন। তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। গত বছরের ১০ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ১৩ হাজার জন উত্তীর্ণ হন। ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৬ জুন শেষ হয় ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা।  
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X