সুজনকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে সুজন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বাবা ও ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানী ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহতের ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বাবাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তার দুজন হলেন নিহতের ছোট ভাই প্রধান আসামি স্বপন তালুকদার ও দ্বিতীয় আসামি বাবা আফজাল তালুকদার। শনিবার (৪ মে) বরিশাল র‌্যাব-৮ এর উপপরিচালক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মুহতাসিম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের দুজনকে ঝালকাঠি সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের গোবিন্দধবল গ্রামে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুজন তালুকদারকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাবা ও ভাই। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠায়।  অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় সুজনের স্ত্রী রিয়া বেগম বুধবার (১ মে) ঝালকাঠি থানায় দেবর, শ্বশুর-শাশুড়িসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করে। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলার দুই আসামিকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করে রাতে থানায় হস্তান্তর করেছে। শনিবার সকালে তাদের ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
০৪ মে, ২০২৪

মাকে গাছে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় টাকা চুরির অভিযোগে নূর মোহাম্মদ (১৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় তার মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নূর মোহাম্মদ নোয়াখালীর সুধারাম থানার আন্দার চর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। তিনি ছাগলনাইয়ার বাথানিয়া গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনের বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে থাকতেন। এ ঘটনায় মঈনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন নূর মোহাম্মদের মা বিবি খোদেজা। মামলার পর রোববার (১৪ এপ্রিল) মঈনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বাথানিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। বিবি খাদিজা বলেন, অভাবের কারণে চার বছর আগে নূর মোহাম্মদকে ছাগলনাইয়ার ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনের বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতে দিয়েছিলাম। প্রতি মাসে তারা দুই হাজার টাকা করে বেতন দিতেন। কিন্তু কখনো ছুটি দিতেন না। সেই ক্ষোভ থেকে ২৭ রমজানের দিন আমার ছেলে ওই বাড়ি থেকে ৮০ হাজার টাকার একটি খাম নিয়ে নোয়াখালীর বাড়িতে চলে আসে। তারপর থেকে ওই পরিবার মোবাইল ফোনে বারবার হুমকি দেন। ঈদের পরদিন আমি ছেলেকে নিয়ে তাদের বাড়িতে হাজির হয়ে ওই টাকাগুলো তাদের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তাতেও তারা ক্ষান্ত হননি। মঈন উদ্দিনের চার ভাই মিলে আমার ছেলেকে মারধর শুরু করেন। বাধা দিলে আমাকেও মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। শনিবার বিকেলে আমার ছেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আমি এ হত্যার বিচার চাই। ছাগলনাইয়া থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তদন্ত করা হচ্ছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
কুমিল্লার দেবিদ্বারে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে পিটিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আয়াকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে পৌরসভার মা-মনি জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম শাহনাজ আক্তার মীম (৪৫)। তিনি পৌরসভার ভোষনা গ্রামের নেহাল কাজী বাড়ির মৃত মো. সেকান্দার আলীর মেয়ে।  নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের মালিক মো. তাজুল ইসলাম সরকার ও কর্মচারী মো. হোসেন মিয়াকে আটক করেছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভোষনা গ্রামের লোকজন একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানায় আসেন।    পুলিশ ও হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, নিহত শাহনাজের মা বাবা, ভাইবোন কেউ নেই। তিনি বিয়েও করেননি। এ জন্য রাতে তিনি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে থাকতেন। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুর্বত্তরা তাকে হাসপাতালের সিলিন্ডার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফ্লোরে ফেলে যায়। পাশেই রক্তমাখা সিলিন্ডার পড়ে ছিল। শাহনাজের কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই।  তবে হাসপাতালের নিচে মা মনি ফার্মেসীর মালিক মো. বাবুল মিয়ার সঙ্গে তার কিছু আর্থিক লেনদেন ছিল। ৮নং ওয়ার্ডের কমিশনার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, নিহত শাহনাজ সম্পর্কে আমার জেঠাত বোন। তিনি কারও সঙ্গে কোনোদিন ঝগড়া-বিবাদ করেনি। তাকে কে বা কারা মেরেছে জানি না। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।    মা-মনি জেনারেল হাসপাতালের মালিক মো. তাজুল ইসলাম সরকার বলেন, শাহনাজ অত্যান্ত সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ। তার মামাদের সঙ্গে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে মনোমালিন্য হয়েছে জানতে পেরেছি। তবে কারা তাকে মেরে ফেলে গেল বুঝতে পারছি না। হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে ছিল এখন সব নষ্ট হয়ে গেছে। দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহত শাহনাজের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের মালিক ও এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।  
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

কী কারণে বরের দুলাভাইকে পিটিয়ে হত্যা করল কনেপক্ষ
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মেয়ে দেখে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বরের দুলাভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে কনেপক্ষের লোকজন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার আংড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। নিহত আজিজুল হক খুলনার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামের বাসিন্দা। মোল্লাহাট থানার ওসি এসএম আশরাফুল আলম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শাহাদাত মুন্সী নামে একজনকে আটক করেছে। এখনো কোনো পক্ষ মামলা  করেনি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। জানা গেছে, উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের মাতারচর গ্রামের হাফিজুর রহমান গাজী বিয়ে করতে আত্মীয়দের নিয়ে একই উপজেলার আংরা গ্রামের শাহাদাত মুন্সির বাড়িতে যান। কথা ছিল মেয়ে দেখে পছন্দ হলে তারপর বিয়ে হবে। কনেপক্ষ বিয়ে উপলক্ষে প্রায় ১০০ লোকের খাবারের আয়োজন করে। বরপক্ষের লোকজন দেখে কাজি নিয়ে হাজির হয় কনেপক্ষ। পরে মেয়ে দেখে বরপক্ষ অপছন্দের কথা জানায়। তখন মেয়ের বাবা বলে, অনেক টাকা খরচ করে এতবড় আয়োজন করেছি আর আপনারা বিয়ে না করে চলে যেতে চাচ্ছেন। এটা আমাদের সম্মানের ব্যাপার। বরপক্ষ খরচের টাকা কনেপক্ষকে দেওয়ার কথা জানায়। এ নিয়ে দুপক্ষের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বরপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায় কনেপক্ষ। এতে মারধরে বরের দুলাভাই আজিজুর নামে ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন পাঁচজন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মো. মাহিন নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রেলওয়ে দিঘিরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে।  মাহিন উপজেলার নিজগাঁও গ্রামে কাজী আব্দুল মতিনের ছেলে। এবার শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছিল সে। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোবারক হোসেন ভুইয়া কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিন রাত ৮টার দিকে দুই যুবক মাহিনের বাড়িতে এসে তাকে ডেকে শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনের পাশে দিঘির পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে এলোপাতাড়ি মারধর করে ফেলে যায়। পথচারীরা মাহিনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাহিনের মা রোকেয়া বেগম বলেন, কয়েক দিন আগে মাহিনের সঙ্গে মোজাহিদ ও জুনাইদের ঝগড়া হয়। এজন্য মাহিন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেই ক্ষোভে তারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
১২ এপ্রিল, ২০২৪

চুরির অভিযোগে অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা
বগুড়ায় মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ তুলে সাওয়াল হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ওই যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সাওয়াল বগুড়া শহরতলীর ছোট কুমিড়া পশ্চিম পাড়ার আজিজুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন। বগুড়ার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জালাল উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একই এলাকার রেজাউল করিমের বাসা থেকে কয়েক দিন আগে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। ওই ঘটনায় সন্দেহ করে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাওয়ালকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান রেজাউল। এরপর ওই ফোন চুরির অভিযোগে তাকে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতে সাওয়াল গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাওয়াল মারা যান। পুলিশ পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বলেন, ওই ঘটনায় রাতেই রেজাউল, তার স্ত্রী সানু ও মেয়ে আশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত সাওয়ালের বাবা আজিজুল হক বাদী হয়ে গ্রেপ্তার তিনজনসহ পাঁচজনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্তসহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৫ মার্চ, ২০২৪

শেরপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিপ্লব (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় ধর্মসভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিমুলচুরা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞেসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে। নিহত বিপ্লব পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার দড়িপাড়ার কাবিল মিয়ার ছেলে। সে শ্রীবরদীর দহেরপাড়ে তার নানা হাজি আব্দুল মজিদের বাড়িতে থাকত। বিপ্লব স্থানীয় মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থী ছিল। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রোববার রাতে মামদামারি কান্দাপাড়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় ওয়াজ শুনতে যায় বিপ্লব। সেখানে পার্শ্ববর্তী চরশিমুলচুরার মোশাররফ হোসেন নুদার ছেলে ও স্থানীয় কিশোরগ্যাংয়ের নেতা আরিফ হোসেন গংদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওয়াজ শুনে নানার বাড়ি আসার পথে আরিফ ও তার সহযোগীরা বিপ্লবের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে বেধড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত বিপ্লবকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, চরশিমুলচুরায় একটি কিশোর গ্যাং গঠন করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে একটি চক্র। তারা আটককৃত আরিফ হোসেন, মোখলেস, মনির ও ডিপটির বিচার দাবি করেন। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ওসি কাইয়ুম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আশুলিয়ায় নার্সিং কলেজে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
আশুলিয়ার কাইচাবাড়ী এলাকার মাউন্ট ভিউ নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কাইচাবাড়ীর মাউন্ট ভিউ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন কাইচাবাড়ী এলাকার মো. মুসলিম ও সাইফুল শেখ । তারা দুজনই ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী বলে জানা গেছে। নিহতের নাম হান্নান শেখ (৩০)। তিনি পাবনা সদরের ভাড়ারা মধ্যপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী শেখ সচিনের ছেলে। মানসিক ভারসাম্যহীন হান্নান প্রায়ই কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। হান্নানের ভগ্নিপতি মইনুল ইসলাম লিয়াকত বলেন, হান্নানের মানসিক সমস্যার কারণে স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছেন। মাঝে মধ্যেই তার এ সমস্যা দেখা দিত। তখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। তার অনেক চিকিৎসাও করানো হয়েছে; কিন্তু একেবারে সেরে ওঠে না। ৭-৮ মাস আগে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। গত ২১ ফেব্রুয়ারি তারা হান্নানের মৃত্যুর খবর পান। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০ ফেব্রুয়ারি ভোরে হান্নান মাউন্ট ভিউ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভবনের তিন তলায় ঢুকে পড়েন। এ সময় মুসলিম ও সাইফুল তাকে সেখান থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন হান্নান কিছু না বলে পালানোর চেষ্টা করলে চোর সন্দেহে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা। পরে তাকে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল ঘুরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হান্নানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ২২ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া থানায় মামলা করেন ভগ্নিপতি লিয়াকত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউন্ট ভিউ নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার আব্দুল মালেক ফায়েক বলেন, আমি একজন আইনজীবীর চেম্বারে রয়েছি। আপনাকে পরে ফোন দেব। বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভেতরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকার মাউন্ট ভিউ নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভেতরে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকার মাউন্ট ভিউ নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং মাউন্ট ভিউ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো. মুসলিম (৫৫) ও একই এলাকার আলাউদ্দিন শেখের ছেলে সাইফুল শেখ (২৮)। তারা দুজনই ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী বলে জানা গেছে। নিহত যুবকের নাম হান্নান শেখ (৩০)। সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। সে পাবনা সদরের ভাড়ারা মধ্যপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী শেখ সচিনের ছেলে। তিনি প্রায়ই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে যেতেন। নিহত হান্নানের ভগ্নিপতি মইনুল ইসলাম লিয়াকত জানান, হান্নান শেখ প্রায়ই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতেন। এ কারণে তার স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। মানসিক ভারসাম্য হারালে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। পরবর্তীতে অনেকেই তাকে বাড়িতে রেখে যেত। তখন তার চিকিৎসা করলে তিনি সুস্থ হয়ে যেতেন। একইভাবে গত ৭-৮ মাস আগে হান্নান শেখ ভারসাম্য হারিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে গত ২১ ফেব্রুয়ারি জানতে পারি হান্নানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভোরে মানসিক ভারসাম্যহীন হান্নান মাউন্ট ভিউ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতরে ভবনের তিন তলায় প্রবেশ করেন। পরে গ্রেপ্তাররা হান্নানকে তিন তলা থেকে নিচে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় হান্নান কিছু না বলে পালানোর চেষ্টা করলে চোর সন্দেহে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন মুসলিম ও সাইফুল। পরে হান্নানকে উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে নিলে কর্তব্য চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  গত ২১ ফেব্রুয়ারি হান্নানের মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার। পরে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ভগ্নিপতি মইনুল ইসলাম লিয়াকত। অভিযোগ দায়েরের পর শুক্রবার সকালে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাউন্ট ভিউ নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার আব্দুল মালেক ফায়েক বলেন, আমি একজন আইনজীবীর চেম্বারে রয়েছি। আপনাকে পরে ফোন দেব। এ কথা বলেই তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ১নং আসামিকে ২ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দূরে গিয়ে সিগারেট খেতে বলায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা
দূরে গিয়ে সিগারেট খেতে বলায় সালমান নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর ক্যানেলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় এ হত্যাকাণ্ডটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্য বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউপি সদস্যের হুমকিতে নিহতের পরিবার ভয়ে গোপনে লাশ দাফনের চেষ্টা করে। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।  নিহত সালমান (১৭) খুলনা জেলার শাহারাবাদ থানার জিনারতলা গ্রামের ভ্যানচালক মোফাজ্জল মিয়া ও খুকু বেগমের ছেলে। তারা সপরিবারে ফতুল্লার কুতুবপুর চিতাশাল কুসুমবাগ এলাকার ২নং গলির শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। নিহতের মা খুকু বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ক্যানেলপাড় এলাকায় সাদ্দাম মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে সালমান দাঁড়িয়েছিল। তখন জাহিদ নামে এক ছেলে সিগারেট ধরায়। এতে সালমান তাকে দূরে গিয়ে সিগারেট খেতে বলে। এ জন্য দলবল নিয়ে এসে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে সালমানকে এলোপাতাড়ি মারধর করে জাহিদ ও তার দল। এরপর সালমান সেখান থেকে আহত অবস্থায় বাসায় এসে পড়ে যায়। রাত ৪টায় অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে সালমান মারা যায়। তিনি আরও বলেন, লাশ নিয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বাসায় অপেক্ষা করছিলাম। তখন বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় জামান মেম্বার আমাদের বাসায় এসে বলেন, তোমাদের ছেলে নেশাপানি করে মারা গেছে। এ বিষয় নিয়ে থানা পুলিশ করলে লাশটা পুলিশ নিয়ে যাবে এবং ময়নাতদন্তের জন্য কাটাছেঁড়া করবে। ছেলে মারা গেছে সে আর ফিরে আসবে না। লাশটা দাফন করে ফেল। পরে যাদের সঙ্গে মারামারি হয়েছে তাদের ডেকে মীমাংসা করে দেব। যখন মেম্বার এসব কথা বলেছে, তখন তাকে আমি চিনতে পারিনি। পরে স্থানীয় লোকজন বলছে সে আমাদের এলাকার জামান মেম্বার। তখন আমার স্বামী কয়েকজনের কাছ থেকে দাফন কাফনের টাকা তুলে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। এ সময় পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য জামান বলেন, এক ছেলে ফোন করে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ক্যানেলপাড় সাদ্দাম মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে একদল ঝগড়া করেছে। এতে মারধরে একজন মারা গেছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে নিহত ছেলের বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তখন নিহতের বাবাকে বলেছি, আপনি ইচ্ছে করলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে পারেন। আমি সহযোগিতা করব। আর যদি তা না চান তাহলে মামলা করতে পারেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলিনি আর তাদের বাসায়ও যাইনি।  ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম মিয়া জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হবে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X