অ্যাসেট ট্রিপল এ অ্যাওয়ার্ডে তিন পুরস্কার প্রাইম ব্যাংকের
বাংলাদেশে টেকসই অর্থায়নে অবদান রাখায় গ্লোবাল অ্যাসেট ট্রিপল এ অ্যাওয়ার্ড-২৩-এ তিনটি পুরস্কার জিতেছে প্রাইম ব্যাংক। টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্র কান্ট্রি ক্যাটাগরিতে ব্যাংকটি-মাইক্রোফাইন্যান্স এবং এগ্রি বিজনেস খাতে বেস্ট সিন্ডিকেট লোন, জ্বালানি সক্ষমতায় বেস্ট সিন্ডিকেট লোন এবং বেস্ট লোন অ্যাডভাইজারের স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রাইম ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়সাল রহমান এসব পুরস্কার অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে টেকসই ফাইন্যান্সের প্রতি ব্যাংকের অবদান এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের ভূমিকায় গুরুত্বারোপ করেন। একই সঙ্গে ব্যাংকের ২৯ বছরের যাত্রায় সঙ্গে থাকার জন্য গ্রাহক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং স্টেকহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন।
২০ ঘণ্টা আগে

ইউএস ট্রেড শো ২০২৪ / সেরা প্যাভিলিয়নের পুরস্কার জিতে শেষটা রাঙিয়ে তুলল রিমার্ক-হারল্যান
জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্দা নামল ইউএস ট্রেড শো-২০২৪ এর। বাংলাদেশ ও আমেরিকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হওয়া এ মেলার শেষ দিনের জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে, সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল শ্রেষ্ঠ স্টলের পুরস্কার প্রাপ্ত রিমার্ক এলএলসি ইউএসএর অ্যাফিলিয়েটেড প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যান।  রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর, মেগাস্টার শাকিব খান এবং বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও রিমার্ক-হারল্যানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সাকিব আল হাসানের উপস্থিতিতে মেলার শুরু থেকেই দর্শনার্থীদের মাঝে সাড়া ফেলা রিমার্ক-হারল্যান শেষটাও করে নিল সমান রঙিন। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর, মেগাস্টার শাকিব খানের হাতে শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়নের পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি অথেনটিক পণ্যের সমাহার নিয়ে রিমার্ক এলএলসি ইউএসএর অ্যাফিলিয়েটেড প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যান প্রথম থেকেই ছিল দর্শকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জনপ্রিয় কালার কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড নিওর, সিওডিল, লিলি, ব্লেইজ ও’ স্কিন, হারল্যান, ক্যাভোটিন, ম্যাক্স বিউ ও হোম অ্যান্ড পার্সোনাল কেয়ার ব্র্যান্ড অ্যাকনল, অরিক্স, সানবিট ও টাইলক্স ব্র্যান্ডের কালার কসমেটিকস, স্কিনকেয়ার, হোম ও পার্সোনাল কেয়ার পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে রিমার্ক-হারল্যানের গ্র্যান্ড প্যাভিলিয়ন।  এরই মাঝে শেষ দিন রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর, মেগাস্টার শাকিব খানের আগমনে, পুরো মেলায় যোগ হয় এক ভিন্ন আবহ। দীর্ঘদিন শুটিংয়ের জন্য দেশের বাইরে থাকা হিরো নম্বর ওয়ানকে এক নজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে মেলায় আগত দর্শকরা।  ‘অথেনটিক মানেই রিমার্ক-হারল্যান। নিজের ও পরিবারের সুরক্ষায় ব্যবহার করুন সর্বাধুনিক টেকনোলজিতে প্রস্তুত রিমার্ক-হারল্যানের অথেনটিক পণ্য’। উপস্থিত দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে নিজের কোম্পানি সম্পর্কে এভাবেই তার বক্তব্য তুলে ধরেন কিং খান।  ওই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও রিমার্ক-হারল্যানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সাকিব আল হাসান। লেড, মার্কারি, নীরব ঘাতক প্যারাবেন এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান মুক্ত রিমার্ক-হারল্যানের অথেনটিক ও অত্যাধুনিক পণ্যের সঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষা হবে নিশ্চিত, বলেন সাকিব।   উল্লেখ্য, রিমার্ক-হারল্যানের সঙ্গে এর আগে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম, পরিমনি, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নাজিফা তুষি, সাবিলা নূর ও চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনের মতো জনপ্রিয় ও দর্শকনন্দিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।   রিমার্ক এলএলসি ইউএসএর অ্যাফিলিয়েটেড প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া। তিনি আরও বলেন, নকল ও ভেজালমুক্ত পণ্য ব্যবহার করে দেশের মানুষ যাতে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অব লিভিং অনুযায়ী সবরকম সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে তাই রিমার্কের লক্ষ্য। এরই ধারাবাহিকতায় রিমার্ক প্রতিষ্ঠিত করেছে দেশের সবচেয়ে বড় রিটেইল চেইন শপ হারল্যান স্টোর যেখানে পাওয়া যাচ্ছে শতভাগ নির্ভেজাল কালার কসমেটিকস, স্কিনকেয়ার, হোমকেয়ার ও পার্সোনাল কেয়ার পণ্য।
১২ মে, ২০২৪

বৈষম্যে নোবেল পুরস্কার থাকলে সরকার পেত
জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে কোনো সময় এত বৈষম্য ছিল না। বৈষম্য সৃষ্টির জন্য যদি নোবেল পুরস্কার থাকত, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার তা পেত। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আজ প্রজাদের মালিকানা ছিনতাই হয়ে গেছে। এখন জনগণের ইচ্ছায় সরকার পরিবর্তন হয় না। জনগণের কথা বলার অধিকার নেই। সরকারের ইচ্ছায় জনগণকে চলতে হয়। দেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ছে। বেশিরভাগ মানুষ যা আয় করছে, তা দিয়ে সংসার চলছে না। খরচ দিন দিন বাড়ছেই। সরকার বিভিন্নভাবে আমদানি সংকুচিত করেছে, তাতে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। আর আস্তে আস্তে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হচ্ছে, সেই মন্দায় দেশ ভেসে যাচ্ছে। দেশের এই করুণ অবস্থায়ও একটা শ্রেণি বিশাল অর্থের মালিক হচ্ছে। ইউরোপিয়ান স্টাইলে জীবন যাপন করছে। আরেক শ্রেণির মানুষ প্রয়োজনীয় ওষুধ পর্যন্ত কিনতে পারছে না। বৈষম্য দিন দিন বেড়েই চলছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের বুঝতে হবে আমরা জনগণের পক্ষে থাকব নাকি সুযোগ-সুবিধার পক্ষে থাকব। জনগণের পক্ষে থাকতে গেলে ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, জিএম কাদেরের উপদেষ্টা মো. খলিল উর রহমান খলিল ও জাহিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল হক প্রমুখ।
১২ মে, ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধে মুহসীন হলের শহীদদের স্মরণে বিতর্ক প্রতিযোগিতা 
মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর স্মরণে মুহসীন হল ডিবেটিং ক্লাব প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ‘শহীদ স্মারক অন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪’। শুক্রবার (১০ মে) রাতে মুহসীন হলের টিভি কক্ষে এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল বিতর্ক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতাটি এশিয়ান পার্লামেন্টারি ফরমেটে স্পিকার ব্রেক পর্বের মাধ্যমে শুরু হয়। তিন রাউন্ড ট্যাব পর্বে ৮টি দল বিতর্ক শেষে দুটি দলকে ফাইনালের জন্য নির্বাচন করা হয়। এরপর ফাইনাল বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হয় শহীদ জাহাঙ্গীর বিতর্ক দল এবং রানার আপ হয় শহীদ মিরাজ বিতর্ক দল। চ্যাম্পিয়ন দলে বিতর্ক করেন, সাফওয়ান, মেহেদী, মাইনুদ্দীন এবং রানার আপ দলের হয়ে বিতর্ক করেন সাদমান, হাসিব, রাতুল। আন্তঃহল এ প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হন রাফিদ হাসান সাফওয়ান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, উন্নয়নের সূচকে দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আমাদের স্মরণ করাই হলো তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উপায়। সে প্রেক্ষিতে এ আয়োজনের জন্য তিনি মুহসীন হল ডিবেটিং ক্লাবকে ধন্যবাদ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্লাবটি অবদান রেখে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া তিনি তার ভাষণে বিতার্কিকদের ভালো ও সৎ মানুষ হিসেবে তৈরি হওয়াকেই মূল লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণের তাগিদ দেন। মুহসীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্তিত ছিলেন- ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অর্পিতা গোলদার, ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান শাহেদীন, রুবায়েত ইসলাম ও ফুয়াদ হোসেন, হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাদিক হোসেন। উল্লেখ্য, ঢাবির সুইমিংপুলে অকাল মৃত্যুবরণকারী মুহসীন হল ডিবেটিং ক্লাবের বিতার্কিক মো. সোহাদ হককে স্মরণ করে এ বিতর্ক আয়োজনটির থিম সাদা-কালো করা হয়।
১১ মে, ২০২৪

বছর পেরোলেও পুরস্কার পাননি শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ বাড়াতে ও ভালো ফল অর্জনে উৎসাহ দিতে ২০০৫ সালে প্রবর্তন করা হয় ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ পুরস্কার। অনার্স স্তরে বিভিন্ন অনুষদে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় এই পদক। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রতি বছর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৮’ প্রদান করেন। কিন্তু গত বছর ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৯’ ঘোষণার পর এক বছর পার হলেও মনোনীতরা এখনো পদক পাননি। এ নিয়ে হতাশ শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, গত বছরের ৩০ এপ্রিল ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৯’ প্রাপ্তদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে ইউজিসি। সেই তালিকায় দেশের ৩৭টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ৩২টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছেন ১৭৩ জন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন করে মোট তিন শিক্ষার্থী এই স্বর্ণপদকের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত হন। তা ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুজন শিক্ষার্থীও প্রাথমিকভাবে মনোনীত হন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মনোনীতদের কাছ থেকে ইউজিসি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রথম এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ তথ্যাদি সংগ্রহ করে। এরপর গত বছরের মার্চ থেকে স্বর্ণপদকের তালিকা ও অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এপ্রিলের শেষে তালিকা প্রকাশ হয়। পদক প্রদান অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ ছিল ২১ মে। কিন্তু অজানা কারণে তা স্থগিত করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদক প্রদান অনুষ্ঠান স্থগিত করার পর গত বছরের শেষের দিকে মনোনীতরা ইউজিসিতে যান। তাদের জানানো হয়, জাতীয় নির্বাচনের কারণে এটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পর পদক প্রদান অনুষ্ঠান হবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর খোঁজ নিতে গেলে ইউজিসি জানায়, তারাও জানেন না কবে হবে এই অনুষ্ঠান। জানতে চাইলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতারা মুন কালবেলাকে বলেন, যখন বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য আবেদন করি, তখন ভাইভায় প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক যে পেয়েছি তার সত্যতা চায়। কিন্তু দেখাতে পারি না। খুবই খারাপ লাগে। সম্প্রতি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে শিক্ষক হিসেবে আবেদন করি। এর আগে গত এক বছরে চারটি জায়গায় আবেদন করে একই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। তিনি বলেন, আমার চাকরির বয়স শেষের দিকে। শিগগির না পেলে সম্মানসূচক পদকের এই তথ্য কোথাও ব্যবহার করতে পারব না। বর্তমানে একটি প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করি। সেখানে পদক দেখাতে না পারায় শুনতে হয়েছে আমি মিথ্যা বলছি। ওই ব্যাংকে জুলাইয়ে পদোন্নতির আবেদন করতে হবে। পদকটা থাকলে কিছুটা হলেও সম্মান যোগ হতো। ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওসমান আলী বলেন, আমরা ২০১৯ সালে পাস করে বের হয়েছি। এরপর ২০২৩ পর্যন্ত চারটি নিয়মিত ব্যাচ বেরিয়ে গেছে। চলতি বছরও একটি ব্যাচ বের হওয়ার পথে। কিন্তু পদক প্রদান অনুষ্ঠান না হওয়ায় মনোনীত প্রার্থীরা হতাশ। এর মধ্যে অনেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন। অনেকে দেশের বাইরে চলে গেছেন। শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই পিএইচডির জন্য দেশের বাইরে গেছেন। অনেকে শুধু এই পদকের জন্য অপেক্ষা করছেন। জানতে চাইলে ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালের পদক অনুষ্ঠান একসঙ্গে হবে। সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সিদ্ধান্ত দেবে। কেন এই কালক্ষেপণ—জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
১১ মে, ২০২৪

রাজশাহীতে বই পড়ে পুরস্কার পেল ২২১২ শিক্ষার্থী
বই পড়ে পুরস্কার পেল রাজশাহীর ২ হাজার ২১২ শিক্ষার্থী। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মহানগরীর ৫১টি স্কুলের প্রায় ৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রী বই পড়া কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এসব স্কুলের যেসব ছাত্র-ছাত্রী মূল্যায়নপর্বে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে আজ তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ পুরস্কার বিতরণীতে সহযোগিতায় ছিল গ্রামীণফোন। এক বর্ণাঢ্য উৎসবের মধ্য দিয়ে চারটি পর্বে মোট ২ হাজার ২১২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ১ হাজার ৬৬০ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে এবং ৫৫২ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক পুরস্কার গ্রহণ করেন।  দিনব্যাপী পুরস্কার বিতরণ উৎসবে প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া, বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক ও অনুবাদক খায়রুল আলম সবুজ, গ্রামীণফোনের সার্কেল মার্কেটিং হেড শাহিনুর রহমান এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।  এ ছাড়া অন্যান্য পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নাটোর শাখার সংগঠক অধ্যাপক অলোক মৈত্র, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক জুলফিকার মতিন, লেখক, উপন্যাসিক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শহীদ ইকবাল, বিশ্ব-পরিব্রাজক ও লেখক তারেক অণু, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ  ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং সুজন এর সভাপতি ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র রাজশাহী শাখার সাবেক সংগঠক আহমেদ শফিউদ্দিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন তার স্বাগত বক্তব্যে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং এই বিশাল আয়োজনে ও পুরস্কারের বই স্পন্সরের জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, বই মানুষের মনঃস্তাত্ত্বিক বিকাশে সহায়তা করে। বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে জীবনে সার্বিক উন্নয়ন অনেকটাই সহজতর হয়। সে জন্য তিনি বেশি বেশি বই পড়তে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বিগত ৪৫ বছর ধরে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের নেতৃত্বে সারা দেশে বইপড়া আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বই পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানা যায়। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থেও বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। একটি উন্নত ও সুশৃঙ্খল জাতি গঠনে বই পড়ার গুরুত্ব অপিরসীম বলে উল্লেখ করেন এবং সবাইকে বইপড়ার আহবান জানান। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীসহ আগত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি আরও বলেন, একটি দেশের জাতিসত্ত্বা নির্মাণ করার জন্য বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বই পড়ার গুরুত্ব আমরা সবাই যদি অনুধাবন করি তাহলে আগামীতে আমাদের সন্তানরা নৈতিক ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ বলেন, পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের বই পড়ে চিন্তার জায়গায় সৎ হওয়ার পরামর্শ দেন কারণ আলোকিত মানুষ হতে হলে সৎ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান। গ্রামীণফোনের সার্কেল মার্কেটিং হেড শাহিনুর রহমান তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই গ্রামীণফোন সবসময়ই তরুণদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগী। এরই ধারাবাহিকতায় বই পড়ার সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই মহতী উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে তারা আনন্দিত বলে জানান। এদিকে আজকের উৎসবে প্রতিটি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরাপাঠক পুরস্কার শিরোনামে চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। আজকে ৫১টি স্কুলের ২ হাজার ২১২ জন ছাত্রছাত্রী পুরস্কার প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ৭৫৫ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ৫৭৫ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৭২৬ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ১৫৬ জন। বিজয়ী ১৬৬০ জন শিক্ষার্থীকে সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং ৫৫২ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেরা পাঠক বিজয়ীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রতি ১০ জনে একটি হিসেবে মোট ১৫টি বিশেষ পুরস্কারও প্রদান করা হয়। বিশেষ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ১০টি  মূল্যবান বইয়ের একটি করে সেট।  অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।
১০ মে, ২০২৪

রবীন্দ্র পুরস্কার পেলেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব এবং অধ্যাপক লাইসা
রবীন্দ্র সাহিত্যের গবেষণা, সমালোচনা, অনুবাদে প্রকাশিত গ্রন্থের মান বিবেচনায় অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী এবং রবীন্দ্রসংগীত চর্চায় অধ্যাপক লাইসা আহমদ লিসা ‘রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৪’  পেয়েছেন। বুধবার (৮ মে) ড. মুহম্মদ এনামুল হক ভবনের ২য় তলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একক বক্তৃতা, রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৪ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকের হাতে পুষ্পস্তবক, সনদ, সম্মাননা-স্মারক ও পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।  অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। একক বক্তৃতা দেন মঞ্চ নির্দেশক ও রবীন্দ্র-গবেষক মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। শুরুতে সদ্যপ্রায়ত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ স্মরণে দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির প্রতীক। তার জীবনব্যাপী সাধনা বাঙালিকে সৃষ্টিশীলতার নতুন নতুন মাত্রা আবিষ্কারে পথ দেখিয়েছে, স্বপ্নের সহস্র সড়ক খুলে দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যে খুঁজে পাওয়া যায় সোনার বাংলার কথা যা উত্তরকালে পরিণত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে। আতাউর রহমান বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলা ও বাঙালির গর্ব, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি আমাদের সাহিত্যকে যেমন নতুন উচ্চতা দান করেছেন তেমনি জীবনের নানা ক্ষেত্রে রেখেছেন নতুন পথের দিশা। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, যে পূর্ববঙ্গের কথা রবীন্দ্রভাষ্যে ওঠে এসেছে তা আজকের বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জাতি অর্জন করেছে স্বাধীনতা। এ জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। তিনি তাকে বরণ করেছেন গভীর শ্রদ্ধায়, দীপ্ত চেতনায়, জ্ঞানের মাহাত্ম্যে, সাহসের বলিষ্ঠতায়, মননের শাণিত প্রভায় এবং দিব্যলোকের অনিঃশেষ যাত্রায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী এবং শিমুল মুস্তাফা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী লিলি ইসলাম এবং চঞ্চল খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ।
০৮ মে, ২০২৪

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকার জন্য পুরস্কার পেল ‘সানশাইন ব্রিকস’
সানশাইন ব্রিকস লিমিটেড, হবিগঞ্জে অবস্থিত মিরপুর সিরামিক এবং খাদিম সিরামিকের সর্বশেষ সংযোজন, জ্বালানি সংরক্ষণকারী টানেল কিলন প্রযুক্তির সফল সংযোজন ও ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মাণসামগ্রী তৈরির জন্য ‘গ্রিন চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছে। গ্লোবাল ক্লাইমেট পার্টনারশিপ ফান্ড (জিসিপিএফ) ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি), ২৫ এপ্রিল রাজধানীর এক হোটেলে বাংলাদেশে জলবায়ু সংরক্ষণে আর্থিক অংশীদারত্ব বৃদ্ধি সম্পর্কিত এক অনুষ্ঠানে সানশাইন ব্রিকস লিমিটেডকে ‘গ্রিন চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে পুরস্কৃত করে। সানশাইন ব্রিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আসিফ আরিফ তাবানী, ভাইস-চেয়ারম্যান সাকিফ আরিফ তাবানী ও পরিচালক আয়েশা সানা আসিফ তাবানী এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। বর্তমানে সানশাইন ব্রিকসে অটোমেটেড ইউরোপিয়ান প্রযুক্তিতে কম জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে সিরামিক ব্রিক ও ব্লক তৈরি হচ্ছে। এই পণ্যের অনেকগুলোই দেশে প্রথমবারের মতো উৎপাদন হচ্ছে। নান্দনিকতার উৎকর্ষের জন্য এই পণ্যগুলো দেশের বাইরে অনেক জনপ্রিয়। তা ছাড়া এই কারখানাতে কয়লার বদলে ব্যবহার হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। কারখানায় উপরের স্তরের মাটি না ব্যবহার করে শুধু নির্দিষ্ট মাটির খনি থেকে ভেতরের দিকে ৮০ থেকে ১০০ ফিট পর্যন্ত মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, টানেল কিলন টেকনোলজির মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পাদন হওয়ার কারণে দেশের একই ধরনের অন্যান্য কারখানার তুলনায় এখানে ২০ ভাগ কম জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে। কারখানায় উৎপাদিত তাপ বের হতে না দিয়ে টানেল দিয়ে আবার পুনরায় সিরামিকের কাঁচা ব্রিক ও ব্লক ড্রাই করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে করে এই তাপ পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশকে উত্তপ্ত না করে ফেলে। সবদিক দিয়ে নির্মাণ পণ্য উৎপাদনকে পরিবেশবান্ধব করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে এই কারখানা সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ ভূমিকায় চলছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিসিপিএফ কম জ্বালানি ব্যবহার ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকে উৎসাহিত করে আসছে। এজন্য ‘গ্রিন চ্যাম্পিয়ন’ নামে সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন কলকারখানাগুলোকে পরিবেশবান্ধব করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে তারা। তারই ফলশ্রুতিতে সানশাইন ব্রিকস লিমিটেড বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কারখানা হিসেবে প্রথমবারের মত এই পুরস্কার পেয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪

রবীন্দ্র ও নজরুল পুরস্কার পাচ্ছেন তিন অধ্যাপক
রবীন্দ্র-সাহিত্যের গবেষণা ও নজরুল-সাহিত্যের গবেষণায় অবদান রাখায় রবীন্দ্র ও নজরুল পুরস্কার পাচ্ছেন তিন অধ্যাপক। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক সমীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র-সাহিত্যের গবেষণায় অবদানের জন্য অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরীকে এবং রবীন্দ্রসংগীত-চর্চায় অবদানের জন্য অধ্যাপক লাইসা আহমদ লিসাকে রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৪-এ ভূষিত করেছে। আগামী ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১/৮ মে ২০২৪ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হবে। এতে আরও বলা হয়, বাংলা একাডেমি নজরুল-সাহিত্যের গবেষণায় অবদানের জন্য অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানাকে নজরুল পুরস্কার ২০২৪-এ ভূষিত করেছে। আগামী ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১/২৩ মে ২০২৪ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নজরুল পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

গ্রিন ফ্যাক্টরি পুরস্কার পেল ওয়ালটনসহ ২৯ প্রতিষ্ঠান
গ্রিন ফ্যাক্টরি পুরস্কার পেয়েছে দেশের ১২ খাতের ২৯ প্রতিষ্ঠান। গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কারখানাগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতে পুরস্কার পেয়েছে এআর জিনস প্রডিউসার, মাহমুদা অ্যাটার্স, ইভিটেক্স ড্রেস শার্ট, ডিজাইনার ফ্যাশন ও সাউদার্ন গার্মেন্টস। তৈরি পোশাক (নিট) খাতে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, পাকিজা নিট কম্পোজিট, ইপিলিয়ন নিটওয়্যারস,লায়লা স্টাইল, জিএমএস টেক্সটাইল, জেনেসিস ফ্যাশনস ও অকো টেক্স। টেক্সটাইল খাতে ফোরএইচ ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং, এনভয় টেক্সটাইলস, পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস পুরস্কার পেয়েছে। চা খাত পুরস্কার পেয়েছে মির্জাপুর চা বাগান, চাতলাপুর চা কারখানা, জেরিন চা বাগান, গাজীপুর চা বাগান। চামড়া (ফিনিশড গুডস) খাতে পুরস্কার পেয়েছে বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ), এপেক্স ফুটওয়্যার ও এফবি ফুটওয়্যার। চামড়া (ট্যানারি) খাতে যশোরের এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ পুরস্কার পেয়েছে।সিমেন্ট খাতের পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছে, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ। প্লাস্টিক খাতে বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস পেয়েছে গ্রিন ফ্যাক্টরি পুরস্কার। ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের পুরস্কার গেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ঝুলিতে। আর টাইলস অ্যান্ড সিরামিক খাতে শাইনপুকুর সিরামিকস। ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক খাতে পুরস্কার পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে অ্যাওয়ার্ড-গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ইভা রিজওয়ানা নিলু। এ সময় ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (এসইডি) শরীফ হারুনুর রশীদ ছনি। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে পুরস্কার পেয়েছে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। অনুষ্ঠানে ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আইএলওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪
X