কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রবীন্দ্র পুরস্কার পেলেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব এবং অধ্যাপক লাইসা

পুরস্কার গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। ছবি : কালবেলা
পুরস্কার গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। ছবি : কালবেলা

রবীন্দ্র সাহিত্যের গবেষণা, সমালোচনা, অনুবাদে প্রকাশিত গ্রন্থের মান বিবেচনায় অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী এবং রবীন্দ্রসংগীত চর্চায় অধ্যাপক লাইসা আহমদ লিসা ‘রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৪’ পেয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) ড. মুহম্মদ এনামুল হক ভবনের ২য় তলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একক বক্তৃতা, রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৪ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকের হাতে পুষ্পস্তবক, সনদ, সম্মাননা-স্মারক ও পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। একক বক্তৃতা দেন মঞ্চ নির্দেশক ও রবীন্দ্র-গবেষক মঞ্চসারথি আতাউর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

শুরুতে সদ্যপ্রায়ত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ স্মরণে দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির প্রতীক। তার জীবনব্যাপী সাধনা বাঙালিকে সৃষ্টিশীলতার নতুন নতুন মাত্রা আবিষ্কারে পথ দেখিয়েছে, স্বপ্নের সহস্র সড়ক খুলে দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যে খুঁজে পাওয়া যায় সোনার বাংলার কথা যা উত্তরকালে পরিণত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে।

আতাউর রহমান বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলা ও বাঙালির গর্ব, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি আমাদের সাহিত্যকে যেমন নতুন উচ্চতা দান করেছেন তেমনি জীবনের নানা ক্ষেত্রে রেখেছেন নতুন পথের দিশা।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, যে পূর্ববঙ্গের কথা রবীন্দ্রভাষ্যে ওঠে এসেছে তা আজকের বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জাতি অর্জন করেছে স্বাধীনতা। এ জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। তিনি তাকে বরণ করেছেন গভীর শ্রদ্ধায়, দীপ্ত চেতনায়, জ্ঞানের মাহাত্ম্যে, সাহসের বলিষ্ঠতায়, মননের শাণিত প্রভায় এবং দিব্যলোকের অনিঃশেষ যাত্রায়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী এবং শিমুল মুস্তাফা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী লিলি ইসলাম এবং চঞ্চল খান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাড়িভাড়ার কথা বলে ঘরে প্রবেশ, হাত-পা বেঁধে লুটের পর বৃদ্ধাকে হত্যা

লরি উল্টে প্রাইভেটকারের ওপর, নিহত ৪

‘২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে সাদা পাথর এলাকা’

তোপের মুখে স্বাধীন খসরু

দুটির বদলে একটি মিষ্টি পেয়ে মন্ত্রীকে ফোন, অতঃপর...

টানা ১০ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

জাহান্নামের দরজা শিগগির খুলবে : ইসরায়েল

আ.লীগ কর্মীর বাড়িতে মিলল যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ 

ক্রিকেট ইতিহাসে এই রেকর্ড করতে পারেনি আগে কেউ

সিনেমা বানিয়ে তাক লাগাতে চান জয়

১০

জাতীয় দলেও নেই, ক্লাবেও নেই—গারনাচোর ভবিষ্যৎ অন্ধকার

১১

বৈরী আবহাওয়াও আটকাতে পারেনি তাদের

১২

দেয়াল টপকে সংসদে ঢোকার চেষ্টা, অভিযুক্ত আটক

১৩

উদ্বোধনের পরদিনই ৯২৫ কোটি টাকার সেতু থেকে ল্যাম্পপোস্টের তার চুরি

১৪

বাড়ল আকরিক লোহার দাম 

১৫

মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে বিপিএল খেলা পাক ক্রিকেটারের নামে স্ট্যান্ড

১৬

কাঁচা মাছ চিবিয়ে খান তিনি

১৭

যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী বহুমাত্রিক যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

১৮

পারমাণবিক অস্ত্রাগার উন্নত করছে চীন, নেপথ্যে কী?

১৯

কিউবা মিচেল-তপুদের দায়িত্বে আর্জেন্টাইন কোচ

২০
X