পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি বুয়েট শিক্ষকদের
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ অভিহিত করে তা অতি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষকরা।  রোববার (১৯ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বুয়েট শিক্ষক সমিতি আয়োজন করে এই কর্মসূচির। এ সময় পেনশনসংক্রান্ত জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ছাড়াও অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল সংশোধন, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নতুন পেনশন ব্যবস্থাসংক্রান্ত যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো আমরাও সেট ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এটির নাম ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’। কিন্তু রাষ্ট্রের কিছু ব্যক্তিকে এক ধরনের, বাকিদের অন্যধরনের পেনশন ব্যবস্থার আনা কখনোই সর্বজনীন হয় না। সবার ক্ষেত্রে যদি এই পেনশন ব্যবস্থা প্রযোজ্য হতো, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো অভিযোগ ছিল না। তিনি আরও বলেন, প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারীকে সংবিধানসম্মত সুবিধা প্রদান করা হবে এবং অন্যদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে, সেটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা মনে করি, এর মধ্য দিয়ে শিক্ষকসমাজের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। অনতিবিলম্বে এই পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। এর আগে, পেনশনসংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করে বুয়েট শিক্ষক সমিতি। এতে বলা হয়, শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পেনশন স্কিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে প্রচলিত পেনশন ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা অভ্যস্ত এবং আর্থিক বিষয়ে এক ধরনের নিরাপত্তা অনুভব করে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশাকে গ্রহণ করার জন্য এই পেনশনব্যবস্থা একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। নতুন পেনশন স্কিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় প্রভাব ফেলবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা বহাল রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুবিধা কমানোর প্রচেষ্টার ফলে শিক্ষকদের মধ্যে এক ধরনের হীনম্মন্যতা তৈরি হবে। এটা বিবেচনা করা অপরিহার্য, মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং নতুন এই পেনশন স্কিম মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় আসার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করবে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে এবং ফলস্বরূপ, সমগ্র জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১৯ মে, ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি
গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে 'বৈষম্যমূলক' আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ ও বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার (১২ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে এই কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এতে বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারীরাও অংশ নেন। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদেরকে "নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন করা হোক"; "এক দেশে দুই নীতি মানি না মানবো না"; "স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কালো আইন চাপিয়ে দেয়া, মানিনা মানবো না"; "বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই"; "সর্বজনীন পেনশন স্কীম মানিনা মানবো না"; " ৭৩ এর আদেশে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে"; ইত্যাদি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত সর্বজনীন পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের কারণে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।  তারা আরও বলেন, এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দুরভিসন্ধি রয়েছে কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার। যে মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় এসে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সমাজও তার উন্নয়নযাত্রায় বিপুল উৎসাহ নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে বিদ্যমান সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের পথে ঠেলে দেওয়ার পুরনো কৌশল শুরু হয়েছে বলে আমরা মনে করি। অনতিবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা ও অসন্তোষ লাঘব করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বক্তব্য দেন। এ সময়, বক্তব্য দিতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন অফিসের ব্যবস্থাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিজস্ব পরিচয় রয়েছে, নিজস্ব সিন্ডিকেট রয়েছে, সিনেট রয়েছে। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এটি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। অতএব, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কখনোই যায় না। আমরা আশা করি, আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুঃখের এই ভাষা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছবে এবং বৈষম্যমূলকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে। যদি তা না হয় তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ঠিকই জানে যে, কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়। আমাদের দাবি আদায়ের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার সব ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।  সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুল মোতালেব বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পেনশন সংক্রান্ত যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে সেটি আমাদের জন্য নয়। যারা ১ জুলাই থেকে কাজে যোগদান করবেন তাদের জন্য। আমরা এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি এবং এখানেই বছরের পর বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় হল আমাদের প্রাণ, আমাদের চেতনা। আজকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা এখানে বাস্তবায়ন করা হলে আমাদের চেতনায় আঘাত করা হবে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হবে।  তিনি বলেন, এই নিয়ম বাস্তবায়িত হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালযয়ের কোনো পার্থক্য থাকবে না। 'প্রত্যয়' নামে যে পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছে এটি অবশ্যই সর্বজনীন নয়। এটি গতানুগতিক ধারায় একটি গোষ্ঠীকে নিষ্পেষিত করার ষড়যন্ত্র মাত্র। এটি বাস্তবায়ন করা হলে কোন মেধাবী লোক এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে আসবেন না। মেধাশূন্য হয়ে যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অতএব আমরা চাই, টেনশন সংক্রান্ত এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হোক।  প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এতে বলা হয়, 'সকল স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন ১ জুলাই ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করিবেন, তাহাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করিল।'
১২ মে, ২০২৪

গণবিজ্ঞপ্তির আগেই বদলির প্রজ্ঞাপন চান শিক্ষকরা
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই বদলির প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। গতকাল বুধবার সকালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। ‘ইনডেক্সধারী বদলিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। এর আগে গত ২২ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। গতকাল সকাল ৯টার পর মানববন্ধন শুরু হয়। দুপুর ২টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষকরা। তারা বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সামান্য বেতনে কোনোভাবেই প্রয়োজন মেটানো সম্ভব নয়। তাই শিক্ষকদের নিজের বাড়ির কাছাকাছি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ দিলে সরকারের ব্যয় মেটাতে হবে না। সেজন্য বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান শিক্ষকরা। ইনডেক্সধারী বদলিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, সরকার বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। একের পর এক আশ্বাস দিয়েও তা বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষকরা হতাশ। এখন আমাদের সুস্পষ্ট দাবি, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আগে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে কয়েক লাখ শিক্ষকের বদলির ব্যবস্থা করতে হবে। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম বলেন, মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করি। তাও আবার নিজের বাড়ি থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে। এভাবে চাকরি করা খুব কষ্টসাধ্য। সংগঠনের নেতারা বলেন, বদলির দাবিতে বিভিন্ন সময় শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিত, সরকার বদলির উদ্যোগ নিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুটি কর্মশালার আয়োজনও করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অজ্ঞাত কারণে সে কাজটি থেমে আছে। মানবিক দিক বিবেচনায় দ্রুত বদলির ব্যবস্থা করতে প্রজ্ঞাপন জারির জোর দাবি জানান তারা।
২৮ মার্চ, ২০২৪

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আগে বদলির প্রজ্ঞাপন চান বেসরকারি শিক্ষকরা
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই বদলির প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। ‘ইনডেক্সধারী বদলিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। এর আগে গত ২২ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। বুধবার সকাল ৯টার পরে আন্দোলনকারীরা এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শুরু করেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষকরা এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বর্তমান বাজারে সামান্য বেতনে কোনোভাবেই প্রয়োজন মেটানো সম্ভব নয়। তাই বদলির প্রজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষকদের বাড়ির কাছাকাছি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ দেওয়া হলে সরকারের কোনো আর্থিক অর্থ মেটাতে হবে না। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আগে বদলি বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার জন্য শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। মানববন্ধনে ইনডেক্সধারী বদলিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, সরকার বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। একের পর এক আশ্বাস দিয়েও তা বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষকরা হতাশ। এখন আমাদের সুস্পষ্ট দাবি হলো- পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আগেই বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে কয়েক লাখ শিক্ষকের বদলির ব্যবস্থা করতে হবে। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম বলেন, আমরা মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করি। সেটাও আবার নিজের বাড়ি থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে। এভাবে চাকরি করা খুব কষ্টসাধ্য। কোনো সেক্টরে এমন দুর্বিষহ চাকরিজীবন নেই। বদলির প্রজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষকদের নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতারা। তারা বলেন, বদলির দাবিতে বিভিন্ন সময় শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বদলির উদ্যোগ নিলে বদলির সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুটি কর্মশালার আয়োজন করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অজ্ঞাত কারণে বদলির কাজটি থেমে থাকায় শিক্ষকরা চরম হতাশ। তারা মানবিক দিক বিবেচনায় দ্রুত বদলির ব্যবস্থা করতে প্রজ্ঞাপন জারির জোর দাবি জানান।
২৭ মার্চ, ২০২৪

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত ২৫ মার্চ থেকে তার সাজা স্থগিত কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।  এ ছাড়াও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে নিজ বাসা থেকেই চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না তিনি। এর আগে বুধবার (২০ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে।  তিনি জানান, এ সংক্রান্ত আবেদনে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মতামত দিয়ে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হচ্ছে। আগের শর্তে (বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং দেশে চিকিৎসা নিতে হবে) তার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালত। এরপর একই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এর পর থেকে ৬ মাস করে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এ নিয়ে আটবারের মতো বাড়ানো হচ্ছে।
২৭ মার্চ, ২০২৪

সরকারের পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির
বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক দাবি করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি জানায়, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে সকল স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তার অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহে আগামী ১ জুলাই ও তার পরবর্তী সময়ে নুতন যোগদানকৃত সকল চাকরিজীবীকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সারাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে, এই পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন কাম্য নয়। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে যে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেই গুরুত্ব এবং শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। একইসঙ্গে মেধাবীরা শিক্ষকতায় নিরুৎসাহিত হবেন। বৈষম্যমূলক এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনের দাবি জানায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপনপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদাকে সমুন্নত করার জোর দাবিও জানায় শিক্ষক সমিতির নেতারা।
২২ মার্চ, ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি শাবি শিক্ষক সমিতির
সম্প্রতি জারি করা সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো.আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃবিতে এ দাবি করা হয়। বিবৃবিতে বলা হয়, এমন বৈষম্যমূলক ও একচোখা প্রজ্ঞাপনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি চরম উদ্বিগ্ন ও গভীরভাবে মর্মাহত। জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের ফলে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মাঝে চরম অসন্তুষ্টি, গভীর উৎকণ্ঠা ও ভীষণ হতাশ্য কাজ করছে। শাবি শিক্ষক সমিতি মনে করে, শিক্ষকদের অমর্যাদা, অবজ্ঞা ও অবহেলা করে কোনো জাতির উন্নতি হয়েছে এমন নজির সভ্যতার ইতিহাসে নেই। কেননা, জ্ঞানের চেয়ে বড় শক্তি পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই, এবং শিক্ষক বিদ্যা ও জ্ঞানের সেবক। আর বিশ্বায়নের এই যুগে জ্ঞানভিত্তিক, তথ্যসমৃদ্ধ ও প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। শিকড় কেটে বৃক্ষের কাছে ফল প্রত্যাশা করা আর শিক্ষকদের অবহেলা করে উন্নত জাতি গঠনের চিন্তা সমান্তরাল। বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একই বেতন স্কেলে ভিন্ন ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত, সমৃদ্ধশালী, আধুনিক, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন গভীর অন্তরায় বলেও শাবি শিক্ষক সমিতি মনে করে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূন্য করার কোন দূরভিসন্ধি এবং সরকার ও শিক্ষকদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর কোনো ষড়যন্ত্র কিনা শাবি শিক্ষক সমিতি তাতে সন্দিহান। তাই শাবি শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা এবং গৌরব রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে বিরাজমান উৎকণ্ঠা, অসন্তুষ্টি দূর করার জন্য অনতিবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক, অবান্তর এবং অগ্রহণযোগ্য প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তারা যে নামেই অভিহিত হোন না কেন, ১ জুলাই, ২০২৪ ও তার পরবর্তী সময়ে নুতন যোগদান করবেন, তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হলো।’
১৯ মার্চ, ২০২৪

জ্বালানি তেলের দাম কমছে, প্রজ্ঞাপন শিগগিরই
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সায় মিলেছে। শিগগিরই কমবে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে চলতি সপ্তাহেই জ্বালানি তেলের দাম পুনঃনির্ধারণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে দাম সমন্বয় করতে গিয়ে বাংলাদেশে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কিছুটা কমবে। সেটা আমরা এ সপ্তাহে গেজেট আকারে প্রকাশ করব। তিনি আরও বলেন, জ্বালানির দাম সাশ্রয়ী পর্যায়ে রাখতে ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এরইমধ্যে আমরা ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাচ্ছি। চলতি সপ্তাহ থেকেই জ্বালানির দাম ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাবে। জ্বালানির ক্ষেত্রে একটা সাশ্রয়মূল্যে আমরা সমন্বয় করতে পারব। দাম কতটা কমতে পারে এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ার আগে বলতে পারছি না। আমরা অপেক্ষায় আছি যেন, মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্য তেল দিতে পারি। সমন্বয়ের ফলে সব ধরনের তেলের দামই কমবে বলে আশা করছি। বাংলাদেশে ডিজেলের দাম এখনো ভারতের চেয়ে কম জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতে তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ওই দেশের রুপিমূল্যকে বাংলাদেশি টাকায় পরিবর্তন করলে দেখা যায় সেখানে ডিজেলের লিটার ১৩৩ টাকা; আর বাংলাদেশে সেটা ১০৯ টাকা। বড় একটা ফারাক আছে। আমাদের এখানে আরও সাশ্রয়ী হলে পাচার হওয়ার আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে। কাজেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। ২০২২ সালের ৩০ আগস্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

নতুন ৭ জনকে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন
নতুন সরকারের দেড় মাস অতিক্রম হতে না হতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভায় যুক্ত হচ্ছেন আরও সাত প্রতিমন্ত্রী। তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদের সচিব মাহবুব হোসেন এক প্রজ্ঞাপনে সাত প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের কথা জানান।  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আজ ১ মার্চ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তারা হলেন-শহীদুজ্জামান সরকার, আবদুল ওয়াদুদ, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, রোকেয়া সুলতানা, শামসুন নাহার, ওয়াসিকা আয়শা খান ও নাহিদ ইজহার খান। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গবভনের দরবার হলে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা শপথ নেবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যাদের ফোন করা হয়েছে তাদের মধ্যে চারজনই নারী সংসদ সদস্য।  মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা প্রথমবারের মতো সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেয়ে এবার সংসদ সদস্য হয়েছেন।  উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ১১ জানুয়ারি শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা। বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী বাদে পূর্ণমন্ত্রী রয়েছেন ২৫ জন এবং প্রতিমন্ত্রী ১১ জন। ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যদের দুই দফায় (৪৮ ও ২ জন) শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর থেকে মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানোর বিষয়টি নেতাকর্মীদের মুখে মুখে আলোচিত হতে থাকে। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৪টি, জাতীয় পার্টি ১১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসন পেয়েছে। একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
০১ মার্চ, ২০২৪

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন হতে পারে আজ 
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এতে করে গ্রাহক পর্যায়েও বাড়বে বিদ্যুতের দাম। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন হতে পারে। এর আগে সকালে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বাড়তে পারে। মার্চ থেকেই নতুন দর কার্যকর হবে। তিনি বলেন, উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয়। ঘাটতি মেটাতে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। আগামী তিন বছর ধাপে ধাপে দাম সমন্বয় করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লাইফলাইন গ্রাহক (০ থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহক) আছে ১ কোটি ৪০ লাখ। তাদের বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা, আর উপরের দিকে এই দাম ৭ টাকা। কিন্তু উৎপাদন খরচ ১২ টাকা। এতে সরকারকে একটা বড় অংশ এই খাতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এই ভর্তুকির আরও বাড়ছে কারণ ডলারের দাম বাড়ছে। এই পার্থক্যটা হঠাৎ বড় রকমের লাফ দিয়েছে গত বছর থেকে। আমরা এখন থেকে অ্যাডজাস্টমেন্টে যাচ্ছি। যা আগামী তিন বছরে মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। তবে এটি যাতে সহনীয় পর্যায়ে হয়, সে বিষয়টি আমরা দেখছি। তিনি বলেন, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সময় মার্কিন ডলারের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা ধরে হিসাব করা হয়েছিল। এখন ডলারের দাম ৪০ টাকা বেড়ে গেছে। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। জ্বালানি খরচের ওপর ভিত্তি করে সারা বিশ্বেই দাম সমন্বয় করা হয়। বিদ্যুতে ভর্তুকির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বছর আমাদের বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা, আর জ্বালানির ক্ষেত্রে ৬ হাজার কোটি টাকা। এগুলো আমরা কয়েক বছরে ধীরে ধীরে অ্যাডজাস্টমেন্টে যাব। আমরা এরইমধ্যে কুইক রেন্টাল থেকে বেরিয়ে এসেছি, ডিজেল থেকে বেরিয়ে এসেছি। এখন আমাদের বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো (কয়লাভিত্তিক) চলে এসেছে। আগামী বছর থেকে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে আসবে (চালু হবে)। ভারত থেকে আমরা কম রেটে বিদ্যুৎ পাচ্ছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে ২ হাজার মেগাওয়াট সোলার থেকে বিদ্যুৎ পাব আমরা। তারপরও যে ভর্তুকিটা রয়ে যাবে, তা ডলার রেটের কারণে। এ কারণে আমাদের প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে হবে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহ্নত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন দাম হবে ঘনমিটার প্রতি ১৪ দশমিক ৭৫ টাকা। অন্যদিকে শিল্পের ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘনমিটার প্রতি দাম হবে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা। সর্বশেষ গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X