প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের শিশু ফারিয়া আক্তারকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা-মা পলাতক রয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার পর অসুস্থ ফারিয়াকে নিয়ে তার বাবা রাশেদ মিয়া ও মা শাপলা বেগম হাসপাতালে রউনা হন।হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা গেলে বাড়ি ফিরে গোপনে দাফনের চেষ্টা করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা দেখে ফেলায় তারা দাফনের কাজ শেষ না করেই পালিয়ে যায়। শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাচ্চাটিকে বিষ প্রয়োগ করা হয়। বিষ প্রয়োগের পর প্রথমে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সেখান থেকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। শিশুটির নানা ওয়াসিত মিয়া বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে সেখানে যায়। এ বিষয়ে আমি থানায় মামলা করব। শ্রীমঙ্গল থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট লিপিবদ্ধ করেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিশুটির বাবা-মা পলাতক আছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে মারধর, থানায় অভিযোগ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় সু না পরায় সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গনি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের বিরদ্ধে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে মারধর অভিযোগ উঠেছে।  গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে সসরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গনি কলেজের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিক্ষার্থী ফেরদৌস আলম সাঈদ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফেরদৌস আলম সাইদ (১৮) উপজেলা ঘোনাবাড়ী সফিকুল ইসলামের ছেলে। জানা গেছে, শিক্ষার্থী সাইদ সু না পরে পরীক্ষার কক্ষে আসে এ কারণে অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান পরীক্ষা চলাকালীন সবার সামনে ওই শিক্ষাথীকে দার করে সু না পরার কারণ জানতে চায়।  এ সময় শিক্ষার্থী ফেরদৌস আলম সাইদ জানান, পায়ের সমস্যার কারণে সু পরি নাই বলামাত্র অধ্যক্ষ তাকে প্রতিবন্ধী বলে গালিগালাজ করে এবং সব ছাত্রছাত্রীদের সামনে গলায় চেপে ধরে এলোপাতাড়ি থাপ্পর ও কিলঘুষি মারতে থাকে বলে জানায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। এমনকি পরবর্তীতে সু ছাড়া কলেজে প্রবেশ করলে কলেজ হতে বের করে দেওয়া, মারপিট, বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি প্রদান করে অধ্যক্ষ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গনি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও কল রিসিভ করেনি। পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৭ মে, ২০২৪

শিক্ষকতার চাকরি খুঁজছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাইফুল
মায়ের অনুপ্রেরণা ও নিজের প্রবল ইচ্ছেশক্তির মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্স মাস্টার্স শেষ করা চাঁদপুরের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাইফুল ইসলাম এখন চাকরি খুঁজছেন শিক্ষকতার। সমাজের বোঝা না হয়ে চাকরির মাধ্যমে বেকারত্ব ঘুচিয়ে নিজে সাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সমাজে তিনি শিক্ষার আলো ছড়াতে চান। তাই তাকে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে সবার সুদৃষ্টি চেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৪ মে) এ প্রতিবেদককে এসব তথ্য জানিয়েছেন সাইফুল নিজেই। জানা যায়, সাইফুল ইসলাম হচ্ছেন আবুল কালাম ও রাশেদা বেগম দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে ২য় সন্তান। তিনি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের বাসিন্দা। জন্মের ২ বছর আর্থিক জটিলতায় চিকিৎসার অভাবে চোখের আলো নিভে যায় সাইফুলের। পরে মায়ের পরিশ্রম আর বিশ্বাসে পুরো পরিবারে সাইফুলই এখন একমাত্র উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। সাইফুলের পিতা কালাম বলেন, ছেলে বড় হয়েছে এবং শিক্ষিতও হয়েছে। চাষাবাদ করে ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছি। এখন বৃদ্ধ হয়েছি। আমি জীবিত থাকতে থাকতে যদি ছেলেটার একটা চাকরি হয়, তাহলে বিয়ে দিয়ে সংসারটা গুছিয়ে দিতে পারতাম। সাইফুলের মা রাশেদা বলেন, ছেলেকে নিয়ে অনেকেই নানা মন্তব্য করেছে। এখন ছেলে উচ্চশিক্ষিত হওয়ায় আমি মনে করি নিন্দাকারীদের মুখে ঝামা ঘষে দেওয়া হয়েছে। ওর যদি একটা চাকরি হতো তাহলে আমি আরও অনেক খুশি হতাম। পরিবার সূত্র জানায়, নানা জটিলতায় সাইফুলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষাজীবন কেটেছে লক্ষ্মীপুর জেলার দালাল বাজার স্কুলে। আর উচ্চ মাধ্যমিক ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজ থেকে। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে অনার্স করেন। সম্প্রতি সেখান থেকেই মাস্টার্স শেষ করে এখন সাইফুল তার ইচ্ছানুযায়ী শিক্ষকতার চাকরি খুঁজছেন। এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, এগিয়ে যেতে প্রয়োজন মনোবল এবং একটু সাপোর্ট। আর সেটা আমি পেয়েছি বলেই নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নিজেকে আমি উচ্চশিক্ষিত করতে পেরেছি। সোশ্যাল মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তির অপার ব্যবহারের সুযোগকে কাজে লাগিয়েই আমি শিক্ষাজীবনে পেয়েছি সফলতা। এখন আমার জীবনে আর্থিক সংকট ঘোচাতে একটা চাকরি খুব দরকার। সেটা শিক্ষকতা হলে ভালো হয়। এসব বিষয় অবগত করা হলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেন, সমাজের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অনুপ্রেরণা দিতে সাইফুলের পাশে চাকরিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যদের উৎসাহ ও সাহস জোগানোর জন্য হলেও সাইফুলের ব্যাপারে নমনীয় হয়ে একটি চাকরির পথ করে দিতে সংশ্লিষ্টরা তার প্রতি উদার হবেন এমনটাই মনে করছি।
১৫ মে, ২০২৪

প্রতিবন্ধী পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করল প্রতিবেশীরা
নওগাঁর ধামইরহাটে এক প্রতিবন্ধী পরিবারের বাড়ি থেকে বাইরে চলাচলের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। রাস্তা বন্ধ হওয়ায় পরিবারের দুই শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ পুরো বাড়ির সবাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ধামইরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। থানার অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ফতেপুর (চকবদন) গ্রামের মোকলেছুর রহমানের ছেলে খালেকুজ্জামান বাড়ি নির্মাণের প্রায় ২০ বছর যাবত প্রতিবেশী নজরুল ইসলামের খলিয়ান দিয়ে যাতায়াত করতেন। সামাজিক বিরোধ থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশী আব্দুর রহমানের ছেলে প্রভাবশালী নজরুল ইসলাম অসহায় খালেকুজ্জামানের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয়। স্থানীয়দের কোনো পরামর্শ কর্ণপাত করেন না প্রভাবশালী নজরুল ইসলাম। ভুক্তভোগী খালেকুজ্জামান বলেন, আমি ও আমার মা শ্রবণ প্রতিবন্ধী, আমাদের ২০ বছরের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা এখন কীভাবে বাড়ির বাইরে যাব, যেদিক দিয়েই হোক একটা রাস্তা আমাদের চাই। ফতেপুর গ্রামের প্রবীণ আব্দুস সামাদ বলেন, ভুক্তভোগীরা নজরুলের বাড়ির খলিয়ান দিয়েই যাতায়াত করতেন, রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের কষ্ট বেড়ে গেছে। নজরুল ইসলাম বলেন, আমিও আমার বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা ৬ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছি। তাই খালেকুজ্জামানকেও রাস্তা কিনে বের হতে হবে। আর তারা এখন যে জমির আইল দিয়ে হাঁটছে, সেটিও আমারই জায়গা, ধান কেটে সেটিও বন্ধ করে দিব। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ বলেনি, তবে কারও রাস্তা বন্ধ করা উচিত নয়। ধামইরহাট থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম রাস্তা বন্ধ করে যে দেড় ফিট ছেড়েছে, সেই আইল দিয়ে চলাচল অসম্ভব, বিষয়টি নিরসনে জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের এগিয়ে আসা উচিত। আড়ানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি নিরসনের নির্দেশনা দিব।
১১ মে, ২০২৪

আত্মনির্ভরশীল হতে চায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী লিজা
অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছেন লিজা আক্তার। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও স্বপ্ন জয় করে ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান তিনি। শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত গুচ্ছ 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাবার সঙ্গে এসে  ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন লিজা আক্তার। শ্রুতি লেখকের সাহায্যে পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। লিজার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লিজার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়। তারা দুই বোন। ৬ বছর বয়সে চোখের ছানি অপারেশন করার পর ধীরে ধীরে একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে যায়। একটি চোখে খুব কমই দেখতে পান। লিজা এবার সিনহা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এইচএসসি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। লিজার বাবা বলেন, আমার কোনো ছেলে নেই; দুই মেয়ে। আমি বেশি দিন থাকব না। আমার স্বপ্ন মেয়ে একদিন সরাসরি চাকরিজীবী হবে। যাতে পরনির্ভরশীল হতে না হয়। লিজা জানান, প্রশ্ন সহজ হয়েছে। তবে সব প্রশ্নের উত্তর দেইনি। ৬০টির মতো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। শ্রুতি লেখক ভালো ছিল স্পষ্ট করে পড়ে শুনিয়েছে। পরনির্ভরশীল যাতে না হতে হয় সেজন্য প্রতিবন্ধকতা স্বত্ত্বেও চেষ্টা করে যাচ্ছি। এবার গুচ্ছের 'সি' ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১২ হাজার ৫১৩ জন। আজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগ (সি ইউনিট) এর ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
১০ মে, ২০২৪

জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতায় নিচ্ছেন ১২৩ প্রতিবন্ধী
জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা ২০২৪ এ অংশ নিতে যাচ্ছেন ১২৩ জন মেধাবী প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ৮ম বারের মতো এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে।  আগামী শনিবার (১১ মে) সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজ্যাবিলিটি (সিএসআইডি) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)-এর সহযোগিতায় রাজধানীর রূপনগরে বিইউবিটি ক্যাম্পাসে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।  এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারা দেশ থেকে ১২৩ জন প্রতিযোগী প্রতিবন্ধিতার ৪টি ক্যাটাগরিতে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। ক্যাটাগরিগুলো হলো- ক. দৃষ্টি প্রতিবন্ধী খ. শারীরিক প্রতিবন্ধী গ. বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এবং ঘ. নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি (এনডিডি)।  সবগুলো ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগীরা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ও ইন্টারনেট এবং প্রোগ্রামিং (স্ক্রাচ) বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। প্রতি ক্যাটাগরিতে সেরা প্রথম তিনজনকে পুরস্কৃত করা হবে। ৪টি ক্যাটাগরি থেকে সেরা চারজন প্রতিযোগী আগামী অক্টোবরে ফিলিপাইনে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।  যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাটির মাধ্যমে তাদের মাঝে আইসিটি চর্চার ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ ঘটানো সম্ভব বলে মনে করেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।  
০৯ মে, ২০২৪

বিপুল ভোটে বিজয়ী হলেন সেই প্রতিবন্ধী সুইটি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন মাত্র ৩ ফুট উচ্চতার শারীরিক প্রতিবন্ধী মোছা. ইশরাত জাহান সুইটি। তিনি প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭৪৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. রেহেনা বেগম পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৯৫ ভোট। অপর প্রার্থীদের মধ্যে মোছা. জরিনা বেগম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ২২ ভোট, মোছা. মাহমুদা বেগম হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৬৭৫ ভোট, বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আফরোজ কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৯ ভোট ও মোছা. শারমিন আক্তার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮১ ভোট। বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলা অডিটরিয়াম থেকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ইশরাত জাহান সুইটির বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অনন্তরাম গ্রামে। জন্মের পর পাঁ বেকে যাওয়ায় অন্য ৮-১০টা শিশুর মতো শারীরিক বৃদ্ধি হচ্ছিল না তার। শিশু বয়সেই হয় বাবা-মার বিচ্ছেদ। ঠিকমত বাবা-মার আদর পাননি। হয়নি ঠিকঠাক চিকিৎসা। জীবনে এতসব প্রতিবন্ধকতার মাঝেও সুইটি মাস্টার্স পাশ করেছেন। নির্বাচনে লড়ে হয়েছেন বিজয়ী। এর আগে ইশরাত জাহান সুইটিকে নিয়ে কালবেলার মাল্টিমিডিয়া, অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে প্রতিবেদন করা হয়। বিজয়ী হওয়ার পর ইশরাত জাহান সুইটি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার এ বিজয় আমি পীরগাছা উপজেলাবাসীকে উৎসর্গ করলাম। তারা যে ভালোবাসা আমাকে দেখিয়েছে তার মান যেন আমি রক্ষা করতে পারি, সকলের কাছে সেই দোয়া চাই। সেই সঙ্গে আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
০৯ মে, ২০২৪

এক পরিবারে পাঁচজনই প্রতিবন্ধী
পাঁচজনের একটি পরিবার। একজন নয় দুজন নয় পরিবারের পাঁচ সদস্যই প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা করে চালান সংসার। পরিবারের দুজনের প্রতিবন্ধী ভাতা আর ভিক্ষার আয় দিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে পরিবারটির। তাদের কাছে চিকিৎসা করা এখন স্বপ্নের মতো। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালি ইউনিয়নের হারজি নলবুনিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের পাঁচজনের পরিবার। পরিবারের তিন সদস্য দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী। উন্নত চিকিৎসা তো দূরের কথা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকাই দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের। স্থানীয়রা জানান, জন্মলগ্ন থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আলতাব হোসেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম তিনি। তার মা, স্ত্রী আয়েশা বেগম, দুই সন্তানসহ পাঁচজনই প্রতিবন্ধী। এ পাঁচজন প্রতিবন্ধীর সংসার চলে ভিক্ষার আয় দিয়ে। বসবাস করার জায়গাটুকু একমাত্র সম্বল। বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামগঞ্জে গিয়ে ভিক্ষা করেন তারা। পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছে। দুজন ভাতা পাচ্ছেন। দুজনের ভাতা ও ভিক্ষার আয় দিয়ে পাঁচজনের সংসার চালানো খুবই কষ্ট হচ্ছে তাদের।  আলতাব হোসেন বলেন, ভিক্ষা করলে পেটে ভাত জোটে, না হলে উপোষ থাকতে হয়। জীবনের অনেক রাত না খেয়ে থাকতে হয়েছে। আমাকে স্থায়ীভাবে স্বাবলম্বী করার পথ করে দিতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ জানাই। স্থানীয় খান মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, তাদের পরিবারের সবাই জন্মগতভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। গ্রামের ভিক্ষাবৃত্তি করে চাল নিয়ে এসে সেগুলো বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। সরকারি ভাতার ব্যবস্থা করে দিলে তাদের কিছুটা উপকার হবে। মঠবাড়িয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ইদ্রিস কালবেলাকে বলেন, দুজন ভাতা পান। বাকি তিনজনকেও ভাতার আওতায় নিয়ে আসব। ওই এলাকার ইউপি সদস্য আমাদের জানালে তাদের ভাতার আওতায় নিয়ে আসতে পারতাম। তিনি বলেন, এখন অনলাইনে আবেদন করা খুবই সহজ। শতভাগ প্রতিবন্ধীকে সমাজসেবার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
জামালপুরের সরিষাবাড়িতে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে হানু শেখ (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের হোসনাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মহাদান ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের মৃত মহর শেখের ছেলে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান কালবেলাকে জানান, সোমবার (৯ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে হানু শেখকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তার বিরুদ্ধে ২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং-২০২০) এর ৯(১) ধারা মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।  ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মোছা. ঝর্না বেগম জানান, গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে তার বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে প্রতিবেশী হানু শেখের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ সময় হানু শেখের বাড়িতে কোনো লোকজন না থাকায় প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে ডেকে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে হানু শেখ। পরে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ইশারায় ঘটনাটি খুলে বলে। পরে তার মা বিষয়টি হানু শেখের বাড়িতে গিয়ে জানতে চাইলে সে উল্টো গালাগালাসহ ঝর্না বেগমকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ঝর্না বেগম থানায় গিয়ে হানু শেখের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। সোমবার রাতে (৮ এপ্রিল) পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামির বসতবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করে কিশোরীর মা। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হানু শেখকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।  
১০ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতিবন্ধী মনিরুল ইসলামের পাশে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর প্রেসক্লাব
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর উপজেলার শাজাহানপুর ইউপির নরেন্দ্রপুর গ্রামের পক্ষাঘাতগ্রস্ত প্রতিবন্ধী মনিরুল ইসলামের (৩৫) পাশে দাঁড়িয়েছে নবগঠিত ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর প্রেসক্লাব’। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ চত্বরে প্রেসক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাকে হুইলচেয়ার দেওয়া হয়।    জানা গেছে, সদর উপজেলার শাজাহানপুর ইউপির নরেন্দ্রপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী মনিরুল ইসলাম টাকার অভাবে হুইলচেয়ার কিনতে পারছিলেন না। আবার হুইলচেয়ার না থাকায় চলাচলেও বেশ কষ্ট হতো। সকালে তাকে একটি হুইলচেয়ার উপহার দেন বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর প্রেসক্লাব চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং কালবেলা প্রতিনিধি মহা. আবুল হায়াত শাহীন।  তিনি বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। সমাজের সম্ভাবনা ও সমস্যার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি আমারাও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াব।‌ আমাদের এ প্রেসক্লাবের যাত্রার শুরুতে একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত প্রতিবন্ধীকে একটি হুইলচেয়ার উপহার দিয়েছি। আগামী দিনেও এ প্রেসক্লাবের সদস্যরা মানবিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও যায়যায়দিন এর প্রতিনিধি সেলিম রেজা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, কোষাধাক্ষ মো হাফিজুর রহমান, খাইরুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা।  প্রসঙ্গত, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত একটি নাম। এখানে তার নাম স্মরণীয় করে রাখতে এবার ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে গঠিত ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর প্রেসক্লাব চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের‌ বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে আত্মপ্রকাশ করে অন্যতম বৃহত্তর একটি প্রেসক্লাব।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪
X