পাঁচজনের একটি পরিবার। একজন নয় দুজন নয় পরিবারের পাঁচ সদস্যই প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা করে চালান সংসার। পরিবারের দুজনের প্রতিবন্ধী ভাতা আর ভিক্ষার আয় দিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে পরিবারটির। তাদের কাছে চিকিৎসা করা এখন স্বপ্নের মতো।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালি ইউনিয়নের হারজি নলবুনিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের পাঁচজনের পরিবার। পরিবারের তিন সদস্য দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী। উন্নত চিকিৎসা তো দূরের কথা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকাই দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের।
স্থানীয়রা জানান, জন্মলগ্ন থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আলতাব হোসেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম তিনি। তার মা, স্ত্রী আয়েশা বেগম, দুই সন্তানসহ পাঁচজনই প্রতিবন্ধী। এ পাঁচজন প্রতিবন্ধীর সংসার চলে ভিক্ষার আয় দিয়ে। বসবাস করার জায়গাটুকু একমাত্র সম্বল।
বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামগঞ্জে গিয়ে ভিক্ষা করেন তারা। পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছে। দুজন ভাতা পাচ্ছেন। দুজনের ভাতা ও ভিক্ষার আয় দিয়ে পাঁচজনের সংসার চালানো খুবই কষ্ট হচ্ছে তাদের।
আলতাব হোসেন বলেন, ভিক্ষা করলে পেটে ভাত জোটে, না হলে উপোষ থাকতে হয়। জীবনের অনেক রাত না খেয়ে থাকতে হয়েছে। আমাকে স্থায়ীভাবে স্বাবলম্বী করার পথ করে দিতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ জানাই।
স্থানীয় খান মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, তাদের পরিবারের সবাই জন্মগতভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। গ্রামের ভিক্ষাবৃত্তি করে চাল নিয়ে এসে সেগুলো বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। সরকারি ভাতার ব্যবস্থা করে দিলে তাদের কিছুটা উপকার হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ইদ্রিস কালবেলাকে বলেন, দুজন ভাতা পান। বাকি তিনজনকেও ভাতার আওতায় নিয়ে আসব। ওই এলাকার ইউপি সদস্য আমাদের জানালে তাদের ভাতার আওতায় নিয়ে আসতে পারতাম।
তিনি বলেন, এখন অনলাইনে আবেদন করা খুবই সহজ। শতভাগ প্রতিবন্ধীকে সমাজসেবার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
মন্তব্য করুন