যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গতকাল শুক্রবার রাত ৩টার ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র রওনা হয়েছেন। আগামী ২৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধান বিচারপতির অবর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির কার্যাভার পালনরত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী ৩১ মার্চ দেশে ফিরে আসবেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান।
২৩ মার্চ, ২০২৪

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিল গৌরবজনক : প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিল গৌরবজনক। তার উল্লেখ ও স্বীকৃতি ব্যতীত ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস পূর্ণতা পায় না। বঙ্গবন্ধুর মহাজীবনের আলোচনায় ভাষা আন্দোলনের পর্বটি বহুকাল অনালোচিত থাকলেও সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শতবর্ষে এ অধ্যায় নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনার পরিসর তৈরি হয়েছে। বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলা একাডেমি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম বজলুর রহমান ফাউন্ডেশনর উদ্যোগে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ‘সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার ও ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, সর্বোচ্চ আদালতসহ দেশের সর্বস্তরে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগে দেশের প্রতিটি নাগরিকের সচেতন অংশগ্রহণ প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর দীপ্র অবদানকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু আজকের তরুণ প্রজন্ম জানে ভাষা আন্দোলনসহ দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ঐতিহাসিক ও অনন্য। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, বাংলা ভাষা-সাহিত্য ও বাঙালি সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূলে রয়েছে মহান ভাষা আন্দোলন, যে আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিল প্রবাদপ্রতিম। এছাড়াও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।  বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম বজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাজমুল হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা সংগ্রামী শেখ মুজিব শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে এ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, একইসঙ্গে সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনের বিষয়টিও বিস্তৃত আলোচনার দাবি রাখে। কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ভাষা আন্দোলনের বীর যোদ্ধা স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু এই বাংলা একাডেমিতেই বলেছেন, ‘আমরা যেদিন ক্ষমতায় যাব সেদিন সর্বস্তরের বাংলা ভাষা চালুর চেষ্টা করব’। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডে চটলেন প্রধান বিচারপতি
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বাণিজ্যিক কার্যক্রমের পরিবর্তে যেন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ নজড় দেয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) কাজী ফয়েজ ঈসা এই আহ্বান জানান। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সামরিক জমির ব্যবহার করার প্রেক্ষিতে তিনি এই আহ্বান জানান। খবর ডনের।  একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর অধিনস্থ সামরিক জমিতে বিবাহহল স্থাপন করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিচারপতি ইসা আশ্বাস চেয়েছেন যেন তারা আর বাণিজ্যিক কার্যক্রম না করেন। এ সময় আদালতকে আশ্বাস দিয়ে পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল মনসুর উসমান আওয়ান বলেছেন, সেনাবাহিনী ব্যবসা পরিচালনা করবে না। ঘটনাটি মূলত করাচি ক্যান্টনমেন্টের। যেখানে সামরিক জমি ব্যবহার করে বিবাহহল ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। পরে ২০২১ সালে বিষয়টি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সেসময়ের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ বিষয়টি নজড়ে আনে। 
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রকাশনা অনুষ্ঠান / বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ মিশেছে ঐতিহাসিক সুতোয় : প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী ও তাকে নিয়ে সরকারি প্রতিবেদন- এই দুটো বাজারে আসার পর বাংলাদেশ অপেক্ষায় ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনী নতুন করে লেখার ও দেখার। বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনই বরাবরের মতো তার কাঁধে সেই গুরুদায়িত্ব নিয়ে একেবারে নতুন আঙ্গিকে বঙ্গবন্ধুকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।’ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মেলনী, বাংলাদেশ চর্চা ও অনন্যার যৌথ আয়োজনে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন রচিত ও সম্পাদিত দুটি গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অন্যান্য জীবনীগ্রন্থের সঙ্গে মুনতাসীর মামুন রচিত জীবনীগ্রন্থের কয়েকটি বড় অমিল আছে। পুনরাবৃত্তির দুষ্টচক্র এড়িয়ে মুনতাসীর মামুন একেবার তরতাজা তথ্য প্রদান করেছেন। কিন্তু তার গ্রন্থের শক্তির জায়গা অন্যত্র। আগের যারাই লিখেছেন তারা বঙ্গবন্ধুকে বৃহত্তর রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে তুলে ধরেছেন। এটা জরুরি কাজ বটে, মুনতাসীর মামুন সেই কাজ নতুন প্রজন্মের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বরঞ্চ প্রশ্ন তুলেছেন উলটো জায়গা থেকে। তৎকালে শেখ মুজিবের মতো আরও অনেক নেতা থাকলেও, কেন আর কেউ ‘বঙ্গবন্ধু’ হতে পারলেন না? কেন শেখ মুজিবই ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে উঠলেন?’ মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ব্যবহৃত হয়। আত্মজীবনী লেখা হয় স্মৃতির ওপর নির্ভর করে এবং যে বয়সে সাধারণত সবাই আত্মজীবনী লেখেন সে বয়সে স্মৃতি বিশ্বাসঘাতকতা করবে না এমন কথা বলা যায় না। ঘটনার সঙ্গে স্মৃতিও বদলে যায়। আত্মজীবনীকার যেভাবে জীবন বা সমাজকে দেখেন, যিনি সামাজিক বা রাজনৈতিক ইতিহাস লিখেছেন তিনিও কি ওইভাবে জীবন বা সমাজেক দেখেছেন? যদি তা-না হয়, তাহলে যত্রতত্র উদ্ধৃতির ব্যবহার বিভ্রমের সৃষ্টি করবে মাত্র।’ শাহরিয়ার কবির মুনতাসীর মামুনের দুটো গ্রন্থের উচ্চকিত প্রশংসা করে বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীরা বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে থাকেন। এগুলোর মোক্ষম জবাব দিতে হলে মুনতাসীর মামুনের এই গ্রন্থগুলোর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।’ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রাক্তন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা বির্নিমাণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।’ ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এখন যেসব গ্রন্থ লেখা হচ্ছে তার খুব কম গ্রন্থই বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু প্রভৃতি উৎস থেকে তথ্যের সন্নিবেশ করা হয়েছে।’ ড. চৌধুরী শহীদ কাদের মুনতাসীর মামুনের দুটো গ্রন্থ সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের ইতিহাসবিদ্যার ইতিহাসে খুব অল্প ব্যক্তি পাওয়া যায় যারা একই সঙ্গে ইতিহাসের দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং ইতিহাস চর্চা দুটো একই সঙ্গে সমানতালে করেছেন। দুই বাংলা মিলিয়ে এই অল্প কয়েকজন ইতিহাসবিদের মধ্যে সর্বাধিক অগ্রগণ্য হচ্ছে মুনতাসীর মামুন।’ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ ড. মো. মাহবুবর রহমান এবং গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবন্ধকার ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রাক্তন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। প্রকাশিত প্রথম বইটির নাম ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন’। দ্বিতীয়টি মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রবিষয়ক সবচেয়ে বড় সংকলন মিডিয়া অ্যান্ড দ্য লিবারেশন ওয়ার গ্রন্থমালার ৩০তম গ্রন্থ। বই দুটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা অনন্যা।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে / ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন-১৯৭৩ সংশোধন হয়েছিল : প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে আমরা ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন-১৯৭৩ সংশোধন করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু সেটা সংসদে করতে হতো। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের কারণে আইনটি সংশোধন হয়েছিল। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা-১৩ আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ’৭১-এর গণহত্যার বিচার : সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ’৭১-এর গণহত্যার বিচার : সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যকার রামেন্দু মজুমদার, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী প্রমুখ। প্রধান বিচারপতি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে প্রথম রায়টি ছিল মওলানা আবুল কালাম আজাদের। দ্বিতীয় রায়টি ছিল কাদের মোল্লার। কাদের মোল্লাকে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কাদের মোল্লার রায়ের পরই শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ হয়। কারণটি ছিল, কেন ট্রাইব্যুনাল এই রায় দিল। নমনীয়তা কেন প্রকাশ করল। এর প্রতিবাদ করতে কিছু মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। আর কিছু মানুষ গিয়েছিলেন আইনের প্রতি একটা চাপ সৃষ্টি করতে। আইনটির মধ্যে একটি ব্যালেন্সের অভাব ছিল। একপক্ষ আপিল করতে পারবেন সাজার বিরুদ্ধে। অপরপক্ষ অপ্রতুল সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন না। শুধু খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। সেদিন আমরা যাবৎজীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলাম। এই আইনে সাজা কতটুকু হবে তা বলা ছিল না। আমরা আইনটিকে সংশোধন করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু সেটা সংসদে করতে হবে। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের কারণে আইনটি সংশোধন হয়েছিল। শাহরিয়ার কবির বলেন, অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে কবীর চৌধুরীর স্মারক বক্তৃতার তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছিল। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতীকী গণ আদালত করা হয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের। সেই আদালতে ৫ লাখের বেশি মানুষের সমাবেশ ঘটেছিল। অধ্যাপক কবীর চৌধুরী এই আদালতের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আরেকজন বিচারক ছিলেন হাবীব। এই বিচারকার্যের জন্য জামায়াত সমর্থিত বিএনপি সরকার অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, অধ্যাপক আহমদ শরীফ, মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডারসহ ২৪ জন উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে তারা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দিয়েছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য শহীদ জননী জাহানারা ইমাম যিনি এই আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ মাথায় নিয়ে ১৯৯৩ সালে মারা গেছেন। এরপর আমরা অভিভাবক হিসেবে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে পেয়েছিলাম। বিভিন্ন ধরনের ঝড়ঝাপটা তিনি সামলিয়েছেন। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, প্রসিকিউশন এবং তদন্ত সংস্থায় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে নতুনভাবে নিয়োগ না দেওয়া হলে। ৪০০ তদন্ত চিহ্নিত করা আছে। সম্পূর্ণ তদন্ত করার মতো লোকবল নেই। প্রায় ১৩ বছর আগে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের বয়স ছিল প্রায় ৬০ এর মতো। এখন তারা প্রবীণ হয়ে গেছেন। এখন তাদের সেই কর্মস্পৃহা নেই। আর যারা তরুণ রয়েছেন তাদের সংখ্যা অপ্রতুল। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে ৫৪টি মামলার রায় প্রদান করেছে। এই মামলাগুলোতে মোট আসামির সংখ্যা ছিল ১৪৮ জন। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ১৪৬ জন। এখন পর্যন্ত বিচার শেষে খালাস পেয়েছেন দুজন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ১০৬। অন্যান্য আসামিরা আমৃত্য থেকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সকল বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটায় মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (৫ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের জারি করা এক নথিতে এ তথ্য জানা গেছে। নথিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে মূল ভবনের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স রুমে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, ফুলকোর্ট সভা বিচারপতিদের কথা বলার নিজস্ব ফোরাম। এতে নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মালদ্বীপ গেছেন প্রধান বিচারপতি
আন্তর্জাতিক একটি সেমিনারে অংশ নিতে মালদ্বীপ সফরে গেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এ সময় তার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। রোববার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার। এর আগে লিগ্যাল এইড নিয়ে একটি সেমিনারে অংশ নিতে ২৬ নভেম্বর ভারত সফরে যান প্রধান বিচারপতি। সে সময়ও প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালন করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
২০ জানুয়ারি, ২০২৪

‘সুপ্রিম কোর্ট আ.লীগ হয়ে গেছে’ মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলেন প্রধান বিচারপতি
আদালত বর্জনের ডাক দিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে দেওয়া লিখিত চিঠিতে আদালত অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপিপন্থি দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় আপিল বিভাগে হাজির হলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলকে এ সময় দেন আপিল বিভাগ। এ সময় প্রধান বিচারপতি তাদের বলেন, চিঠিতে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা কি ঠিক করেছেন? সারা দেশের কোর্টের আইনজীবীদের দায়িত্ব নিয়েছেন। কে দিয়েছে আপনাদের এ দায়িত্ব?  তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগকে যে পক্ষপাতমূলক বলছেন সেটা কি ঠিক হয়েছে? জামিন পাওয়া আপনার অধিকার। না পেলে ওপরের কোর্টে যাবেন, আন্দোলন করার সুযোগ কি আছে?   এ সময় প্রধান বিচারপতি আইনজীবী মহসিন রশীদের দেওয়া একটি বক্তব্যের ভিডিও জায়ান্ট স্ক্রিনে চালাতে বলেন। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের কড়া সমালোচনা করছিলেন মনসিন রশীদ। ভিডিওতে ‘সুপ্রিম কোর্ট আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে’ বলে বক্তব্য দেন তিনি।  পরে প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে আদালত অবমাননামূলক ভাষা ব্যবহার করার ঘটনা ব্যাখ্যা দিতে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে এ চার সপ্তাহ সুপ্রিম কোর্টের কোনো বেঞ্চে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না এই দুই আইনজীবী। আদালতে দুই আইনজীবীর পক্ষে সময় আবেদন করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে আদালত অবমাননামূলক ভাষা ব্যবহার করার ঘটনা ব্যাখ্যা দিতে এই দুই আইনজীবীকে তলব করেন আপিল বিভাগ।
১১ জানুয়ারি, ২০২৪

হাইকোর্টের ৫২ বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ৫২টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) থেকে এসব বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে। এ  বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আমি এতদ্বারা নির্দেশ করিতেছি যে, আগামী ২ জানুয়ারি থেকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার জন্য নিম্নে উল্লিখিত বেঞ্চসমূহ গঠন করা হইলো।’ উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ চলছে। এ সময়ে জরুরি বিচারকাজ ও নির্বাচনী বিষয় নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চ ও আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত খোলা রয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

ট্রেনে নাশকতাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে : প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনার যথাযথ তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে । বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে ১১তলা বিশিষ্ট রেকর্ড ভবনের নির্মাণকাজ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, সবাই তো সবসময় দুষ্কৃতকারীদের বিচার চাই। যারা দুষ্কৃতকারী তাদের বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত। এটা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস বলে কথা নয়। এটা পঞ্চগড় বা নোয়াখালী এক্সপ্রেসে হলেও দুষ্কৃতকারীদের বিচারের কথা বলা হতো। তিনি বলেন, যারা মানুষের ওপর আক্রমণ করে তাদের মনুষ্যত্ব আছে কি না, তাতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। আমি আশা করি সরকার যথাযথ তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনবে। রেকর্ড ভবন সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা স্মার্ট জুডিশিয়ারি গড়ার অন্যতম পদক্ষেপ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী, বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর, বিচারপতি মো. খায়রুল আলম, বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ, রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
X