Thu, 09 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ব্যবসায় মানোন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার’
৮ ঘণ্টা আগে
বিয়ের দাবিতে জুয়েলের বাড়িতে ২ সন্তানের জননীর অনশন
৯ ঘণ্টা আগে
২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
৯ ঘণ্টা আগে
নানা আয়োজনে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড সেন্ট দিবস’ পালিত
৯ ঘণ্টা আগে
৩৪০ টাকার জন্য লাথি মেরে গর্ভের সন্তান হত্যা
৯ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
সদ্যপ্রাপ্ত
পাবনায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেলযোগাযোগ বন্ধ।
অনুসন্ধান
বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর (স্লো লরিস) উদ্ধার করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পাখিপ্রেমিক সোসাইটি’র সদস্যরা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে উপজেলা চৌমুহনী ইউপির সীমান্তবর্তী কমলপুর গ্রাম থেকে বানরটি উদ্ধার করা হয়। সংগঠনটির সদস্য কায়েম মিয়া বলেন, অত্যন্ত সাবধানতা ও ঝুঁকি নিয়ে প্রাণীটিকে আমরা নিরাপদে খাঁচা বন্দি করি। পরে বন বিভাগের লোকজনকে খবর দেই। বানরটিকে ঈগল এবং কাক আক্রমণ করেছিল। সেখান থেকে আমরা এটিকে উদ্ধার করি। হবিগঞ্জের বিভাগীয় কর্মকর্তা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, কিছুদিন আগেও পাখিপ্রেমিক সোসাইটির সদস্যরা সংগঠনের একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছিল। বুধবার আরও একটি বানর উদ্ধার করেছে তারা। আমরা তাদের সহযোগিতা নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহিন বনে বানরটিকে অবমুক্ত করেছি। অবমুক্ত করার আগে বানরটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, লজ্জাবতী বানর বাংলা লজ্জাবতী বানর (Bengal Slow Loris) নামেও পরিচিত। মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা কালেঙ্গা বনবিটসহ সিলেট ও চট্টগ্রামের ঘন গহীন বনে মূলত এদের বাস। নিশাচর এই প্রাণীটি গাছের উঁচু ডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে ও খুব ধীরে চলাচল করে। বানরের অন্য প্রজাতির মতো যত্রতত্র ঘোরাঘুরি না করে সব সময় নিজেকে আড়াল রাখতে পছন্দ করে। মূলত গাছের কচিপাতা, আঠা, ফলমূল, ছোট পোকামাকড়, পাখির ডিম খেয়ে থাকে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে খাওয়ার জন্য এরা হাত ব্যবহার না করে সরাসরি মুখ লাগিয়ে খায়। বছরে একবার মাত্র একটি বাচ্চা দেয় এই প্রাণীটি। তিনি বলেন, দেশের বনাঞ্চলে ঠিক কতটি লজ্জাবতী বানর রয়েছে তার সঠিক কোনো হিসাব নেই। তবে বন উজাড় এবং খাদ্য ও আবাসস্থল সংকটের কারণে সুন্দর এই প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) লজ্জাবতী বানরকে ‘সংকটাপন্ন’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। বন্যপ্রাণী আইন-১৯৭৪ ও বন্যপ্রাণী আইন-২০১২-এর তফসিল-১ অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এই প্রাণীটি হত্যা, শিকার বা এর যে কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪
স্বামী ঈদের নামাজে, গৃহবধূকে হত্যা করলেন প্রেমিক
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ঈদের দিনে প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছেন শাহনাজ পারভীন নামে এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মতিয়ারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ শাহনাজ পারভীন চিলাহাটি ইউনিয়নের মতিয়ারপাড়ার আব্দুল মজিদের স্ত্রী। দেবীগঞ্জ থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি ছুরি ও রক্তমাখা প্যান্ট জব্দ করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত রাজুকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহত গৃহবধূর স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, রাজুর সঙ্গে আমার স্ত্রী মোবাইলে কথা বলত। একবার চলেও গেছিল তার সঙ্গে। পরে আমার নামে মামলা করে। আমি সন্তানদের দিকে তাকিয়ে আবার সংসার করি। পরে তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাই। রাজু দীর্ঘদিন ধরেই আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল, আমাকে শাহনাজের সঙ্গে সংসার করতে দিবে না। আজ আমরা সবাই নামাজে গেলে আমার স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করেছে সে। আমি খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। স্থানীয়রা জানান, শাহনাজের স্বামী আব্দুল মজিদ ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করে। এর মধ্যে প্রতিবেশী রাজুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে শাহনাজ। ৮/৯ মাস আগে কিছুদিন নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছিল। পরে বাড়ি ফিরলে তার স্বামী তাকে গ্রহণ করতে রাজি হননি। পরে মামলা করলে দুজনের সমঝোতায় আবারও সংসার শুরু করেন তারা। গত ৪ মাস আগে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় চলে যান তিনি। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরেন তারা। বৃহস্পতিবার সকালে শাহনাজের স্বামীসহ পরিবারের লোকজন ঈদের নামাজ পড়তে গেলে প্রেমিক রাজু ঘরে ঢুকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে শাহনাজকে হত্যা করে। এ সময় শাহনাজের মেয়ে মাইশা আক্তার চিৎকার করলে রাজু পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত শাহনাজের মেয়ে মাইশা আক্তার বলেন, আমার মাকে ছুরি দিয়ে মেরে পালিয়ে গেছে রাজু।
১১ এপ্রিল, ২০২৪
প্রেমিক যুগলের একসঙ্গে বিষপান
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় প্রেমিক যুগল একযোগে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে প্রেমিক মুরাদ শেখ (১৮) জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এদিকে ওই দিন রাতেই প্রেমিকা তাজমিন আক্তার (১৬) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। নিহত মুরাদ শেখ উপজেলার খাঁড়িতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবাবের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। অন্যদিকে নিহত প্রেমিকা তাজমিন আক্তার একই গ্রামের তোজাম খাঁর মেয়ে এবং বাঁকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরাদ শেখের সঙ্গে একই গ্রামের তাজমিন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু দুই পরিবারের কেউই এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি। একপর্যায়ে মুরাদকে তার পরিবার মালেশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ২১ এপ্রিলই তার ফ্লাইট ছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারকে চাপে ফেলতে তারা দুজনেই পরিকল্পনা করে বিষপানের সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৪ এপ্রিল তারা বিষপান করে। পরে তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মুরাদকে ফের জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওই রাতেই প্রেমিকা তাজমিন আক্তারও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকেও রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটায় প্রেমিকা তাজমিন আক্তারেরও মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের মাতম বইছে। ক্ষেতলাল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, প্রেমিক মুরাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রেমিকা তাজমিনের মৃত্যুর বিষয়টিও শুনেছি। মুরাদের মৃত্যু বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪
প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার চেষ্টা, প্রেমিকের মৃত্যু
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে প্রেমিক যুগল একযোগে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় প্রেমিক মুরাদ শেখ (১৮) মারা গেলেও বেঁচে গেছে প্রেমিকা তাজমিন (১৬)। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুরাদের মৃত্যু হয়। নিহত মুরাদ উপজেলার খাঁড়িতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবাবের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। অন্যদিকে প্রেমিকা একই গ্রামের তোজাম খাঁর মেয়ে এবং বাঁকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরাদ শেখের সঙ্গে একই গ্রামের তাজমিন আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু দুই পরিবারের কেউই এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি। একপর্যায়ে মুরাদকে তার পরিবার মালেশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ২১ এপ্রিলই তার ফ্লাইট ছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারকে চাপে ফেলতে তারা দু’জনেই পরিকল্পনা করে বিষপানের সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৪ এপ্রিল তারা বিষপান করে। পরে তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মুরাদকে ফের জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের মাতম ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষেতলাল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে। রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪
লিভ টুগেদার করা সেই প্রেমিক গ্রেপ্তার
লিভ টুগেদার করা অভিযুক্ত সেই প্রেমিককে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর আগে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করা তরুণী প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে পাবনা শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার বিকেলে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত সেলিম রেজা (২৯) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মশুরিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক তরুণীর (১৮) সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয় সেলিম রেজার। এরপর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা বসবাস করতেন। এরপর বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে বিয়ে না করে সেখান থেকে পালিয়ে নিজ গ্রামে চলে যান অভিযুক্ত সেলিম। শুধু তাই নয়, বাড়িতে গিয়ে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে গত ২২ মার্চ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এ ঘটনা শুনে ভুক্তভোগী ওই তরুণী গত ২৩ মার্চ অভিযুক্ত সেলিম রেজার বাড়িতে যান। তাদের সম্পর্কের কথা পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা তরুণীকে জানিয়ে দেন সেলিম রেজারকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আর তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এ কথা শোনার পর বিয়ের দাবিতে সেলিমের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে বিয়ে না করলে তিনি এই বাড়ি থেকে যাবেন না। প্রয়োজনে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেলিমের পরিবার থেকে কোনোরূপ সমাধান না পেয়ে পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তরুণী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর প্রতারক সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পাবনা র্যাবের একটি দল। কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খানের নেতৃত্বে র্যাবের দলটি ২৪ ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ অভিযান পরিচালনা করে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সেলিম ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২৮ মার্চ, ২০২৪
নেইমারের বোনের সাবেক প্রেমিক নিষিদ্ধ
ব্রাজিল ফুটবলে প্রতিভার অভাব কোনো কালেই ছিল না। পেলে থেকে শুরু করে বর্তমানের এনড্রিক এরকম অগনিত প্রতিভা ব্রাজিল ফুটবলে এসেছে। একের পর এক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ফুটবল বিশ্বকে তাদের প্রতিভা দিয়ে মুগ্ধ করে এসেছেন। এরকম এক প্রতিভা ছিলেন গ্যাব্রিয়েল বারবোসাও। ব্রাজিলের অন্যতম সেরা নেইমারের মতো তার ক্যারিয়ারও শুরু হয়েছিল সান্তোসে। নেইমারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইউরোপেও এসেছিলেন তবে সেভাবে নিজের নামকে পরিচিত করতে পারেননি। আরেকটি পরিচয়ও তখন বেশ সরব হয়ে উঠছিল গাব্রিয়েল ‘গাবিগোল’ বারবোসার। নেইমারের এরপর ইউরোপেও এসেছিলেন ‘গাবিগোল’ বা ‘গাবি’ নামে পরিচিত বারবোসা। কিন্তু বেশি দিন দেশের বাইরে থাকা হয়নি। ইন্টার মিলান ও বেনফিকা ঘুরে আবারও ধারে চলে যান সান্তোসে। কিন্তু ২৭ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারেননি। নেইমারের ছোট বোন রাফেয়ালা সান্তোসের সঙ্গে ২০১৭ সালে সম্পর্কে জড়ান বারবোসা। পরে যদিও সেই সম্পর্ক টিকেনি। এখন গাবিগোলের ক্যারিয়ারই হুমকির মুখে। সোমবার (২৫ মার্চ) ডোপিং পরীক্ষায় জালিয়াতির চেষ্টায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। ব্রাজিলের ক্রীড়া আদালতও তা বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। রিও ডি জেনিরোর ক্লাব সদর দপ্তরে ডোপিং পরীক্ষার সময় অসহযোগিতার অভিযোগও করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে ঘটনাটি এ বছরের নয়। ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিলে করা অভিযোগে আদালতের দেওয়া রায়ে নিষিদ্ধ হলেন এই ফুটবলার। তবে এএফপি জানিয়েছে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ থাকছে তার। এএফপি ব্রাজিলিয়ান মিডিয়ার তথ্যের বরাত দিয়ে আরও জানিয়েছে, বারবোসা সময়সূচি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছেন। ডোপিং অফিসারদের অসম্মান করেছেন এবং তাদের নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেছেন। তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবোসার বক্তব্য, ‘আমি কখনো কোনো পরীক্ষায় বাধা বা প্রতারণা করার চেষ্টা করিনি। আমি আত্মবিশ্বাসী, আমি সর্বোচ্চ আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হবো।’ যে প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে বারবোসা ফুটবলে আগমন করেছিলেন সেটির প্রমাণ তিনি দেখাকে পারেননি। ২০১৬ সালে ইন্টারে গেলেও সান সিরোতে বেশি দিন থাকা হয়নি তার। একে একে ধারে বেনফিকা, সান্তোস ও ফ্লেমেঙ্গোতে যেতে হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে স্বদেশি ক্লাব ফ্লেমেঙ্গোতেই আছেন। ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলে খেলে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে। ২০২২ সালের পর বারবোসাকে ব্রাজিলের জার্সিতে আর দেখা যায়নি। এই সময়ে ১৮ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৫ গোল। তবে ফ্লেমেঙ্গোর হয়ে ২০১৯ ও ২০২২ সালে কোপা লিবার্তোদোরেসের ফাইনাল গোল করে সমর্থকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পান বারবোসো।
২৬ মার্চ, ২০২৪
নায়িকার কোটিপতি প্রেমিক (ভিডিওসহ)
‘নায়ক’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় চিত্রনায়িকা অধরা খানের। দেশ-বিদেশে ভ্রমণ নিয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন এই সেনসেশনাল নায়িকা। বছরজুড়েই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে দেখা যায় তাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন খোলামেলা ছবি। ব্যক্তিগত ফটোশুটের জন্য ভারত ও মালদ্বীপে উড়ে গিয়েছেন তিনি। ভারতীয় ফটোগ্রাফার সেন্ডি—অধরার সব আবেদনময়ী ছবি তুলেছেন। যিনি কিনা কলকাতার দেব, কোয়েল মল্লিক ও শুভশ্রীদের ফটোশুট করে থাকেন। নানা সময়ে অধরার অর্থের উৎস নিয়েও হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছেন মাতালে-এর নায়িকা। ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রেমিককে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চুম্বনরত ছবি পোস্ট করেন অধরা। ওইদিন ছিল তার বাগদত্তা ফয়সাল খানের জন্মদিন। অধরার প্রেমিক কাম বাগদত্তার পরিচয় অনুসন্ধানে কালবেলার কাছে এসেছে বেশকিছু তথ্য। কানাডার টরেন্টোতে বসবাস করেন ফয়সাল। পেশায় তিনি নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার। নেটওয়ার্কিংয়ের ওপরে বইও লিখেছেন। যেটি মানুষ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য কিনে থাকেন। এ ছাড়া শিক্ষকতা পেশার সঙ্গেও জড়িত তিনি। প্রবাসী ফয়সালের কানাডায় বাড়ি-গাড়ি সবই রয়েছে। সেখানে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন তিনি। বিশ্বব্যাপী আইটি বিষয়ে হাই প্রোফাইল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেন ফয়সাল। কালবেলার কাছে তথ্য রয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশি ফয়সাল আমেরিকান আর্মিদেরও নেটওয়ার্কিংয়ের ওপরে ট্রেনিং করিয়েছেন। এছাড়া আরও অন্যান্য ব্যবসা রয়েছে তার। সব মিলে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক ফয়সাল। এদিকে অধরার দাবি, ২০১৩ সালে ফয়সালের সঙ্গে বাগদান হয়েছে তার। দুজনের ছবি আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে। তবে এতদিন ফয়সাল ইস্যুতে সব সময়ই এড়িয়ে গেছেন তিনি। নায়িকাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোটিপতি প্রেমিকের টাকায়ই কি দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ান? জবাবে কালবেলাকে জানালেন, তার পরিবার থেকেই বিদেশ ভ্রমণের অর্থ দেওয়া হয়ে থাকে। আর বিদেশে ঘোরাঘুরি সিনেমায় নাম লেখানোর আগে থেকেই করেন তিনি। তবে সূত্রের খবর, আমেরিকা, দুবাই, মেক্সিকো, কাতার, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড প্রতিটি দেশেই নায়িকার সফর সঙ্গী ছিলেন এই ফয়সাল খান। অধরা খান অভিনীত নায়ক, মাতাল, পাগলের মতো ভালোবাসি, সুলতানপুর ছবিগুলো মুক্তি পেয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সময়ের সম্ভাবনাময়ী এই নায়িকা বিয়ে করে মিডিয়া ছেড়ে দেবেন কিনা। এমনও শোনা যাচ্ছে, হবু স্ত্রীর সিনেমায় নিজেই অর্থ লগ্নি করবেন ফয়সাল। ভবিষ্যতে এই নায়িকা অধরা কোন পথে হাঁটেন তা সময়ই বলে দেবে।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
জেল খেটে, চাকরি হারিয়ে অবশেষে সফল প্রেমিক জুটি
ভালোবাসায় প্রথম প্রয়োজন আস্থা ও বিশ্বাস। যাদের সম্পর্কে এই দুটো সম্বল ছিল তাদের ভালোবাসাতে এসেছে পূর্ণতা। আর যাদের ছিল না তাদের প্রেম হারিয়ে গেছে অতলে। ঠিক তেমনই শূন্যতার প্রেম পূর্ণতায় সমাপ্তি হয়েছে এমনই এক জুগল আব্দুল আজীম ও মাইমুনা জান্নাত রাইসার গল্প তুলে ধরেছেন আবু সালেহ মুসা। প্রথমে ভালো লাগা- শুরুটা ২০১৮ সালে, কোনো এক প্রোগ্রামে উপস্থাপনা করতে ছিলাম। সেই প্রোগ্রামে ছিল সে। কে উপস্থাপনা করছিল দূর থেকে তা দেখার সুযোগ হয়নি। শুধু কণ্ঠ শুনেই প্রেমে পরেছিল। কার কণ্ঠের প্রেমে সে পরেছে, সে বিবাহিত নাকি অবিবাহিত, মানুষটা সাদা নাকি কালো কিছুই জানা নেই তার। আরও মজার বিষয়, এভাবে ভালোবাসা মনের মধ্যে পুষে রেখে কেটে যায় বছর। তখনো জানে না মানুষটা কে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে নানা বিষয়ে বিশেষ করে সাংবাদিকতা করার সুবাদে আমার নামটি শুনতে থাকায় ওর আরও কৌতূহল তৈরি হয়। ওই সময়ে আমি সাংবাদিকতার পাশাপাশি নানা প্রোগ্রামে অংশ নিতাম। যার কারণে কোনো একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্দেশে আমিই ওর বাসায় গিয়েছিলাম। তখনই সে আমায় প্রথমবার দেখতে পায়। আর হ্যাঁ, সে আমায় পছন্দ করে এটা আমিও জানতাম না। তার সাথে কখনো আমার দেখা বা কথাও হয়নি। ওই দিন প্রথম দেখায় ওর কথা বলা, তাকানোর মধ্যে কিছুটা ভালোবাসার প্রকাশ পায় আমার কাছে। তবে তখন আমি অন্য একটা রিলেশনে আবদ্ধ। বলে রাখি, আমার তখন অন্য আরেকজনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ওর বিষয়টি জানার পর একদিন কৌশলে আমার বর্তমান প্রেমিকাকে নিয়ে ওর বাসায় যাই। যাতে আমার প্রতি ওর আসক্তি কমে যায়। যেই বলা সেই কাজ। ওই দিন আমার সাথে অন্য আরেকটি মেয়ে দেখে ও ব্যথিত হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ভালোবাসাটা রেখে দিয়েছিল। যার কারণে গোপনে খোঁজখবর রাখত আমার সম্পর্কে। এরপর প্রথম সম্পর্কের অবনতি- ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি আমার প্রথম ভালোবাসার বিচ্ছেদ ঘটে। এদিকে এটা শোনা মাত্রই সময় নষ্ট করেনি সে। আমার এখনো মনে আছে, ১০ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠানের ভেতর কৌশলে প্রোপোজ করে ফেলে আমাকে। তবে প্রোপোজের ধরনটা ছিল ভিন্ন। এসেই জানতে চাইল, আপনার নাকি ব্রেকাপ হয়েছে? এদিক ঐদিক তাকিয়ে আস্তে করে বললাম হ্যাঁ। কিছুটা বিব্রত আমি। তখন ও বলে উঠে আমি কি আপনার সাবেক প্রেমিকার থেকে খুব বেশি ছোট? আমি বললাম, কেন বলুন তো? সে বলল, আপনি আমাকে প্রোপোজ করেন, সাত দিন পর আমি রাজি হয়ে যাব। মজার সুরে জিজ্ঞেস করলাম, তা সাত দিন পর কেন? বলল, মেয়ে মানুষ কি প্রোপোজ করে? করে ছেলেরা, তাই আপনি আমাকে প্রোপোজ করবেন। আর প্রোপোজ করার সাথে সাথে মেয়েরা তা গ্রহণ করে না, একটু সময় নেয়। তাই সাত দিন পরে রাজি হব। এরপর ওর চেষ্টার ওপর নির্ভর করে মাঝে মাঝে কথা হতো আমাদের। এ দিলে আমারও আগের সম্পর্কটার পুরোপুরি সমাপ্তি ঘটে। ফলে ওর সাথে প্রতিনিয়ত এসএমএসএ কথা বলা শুরু হয় আমার। এরপর ১৩ এপ্রিল আমাদের সম্পর্কটা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। নানা বাধা : আমাদের সম্পর্ক নিয়ে ওর বাবা-মায়ের কোনো সমস্যা ছিল না। তারা ভালো-মন্দ কিছুই বলতেন না। তবে ওর কিছু নিকট আত্মীয় বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা নানাভাবে আমাদের সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা করে। একদিন আমরা দুজন কুয়াকাটায় ঘুরতে যাই। সেই সুযোগে ওর চাচা ও মামারা একটি অপহরণ মামলা দিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার করায়। আমার গ্রেপ্তারের ঘটনায় ও প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে। টানা সাত দিন কোনো খাবার মুখে নেয়নি। স্যালাইন লাগিয়ে কোনো রকম বাঁচিয়ে রাখে ওর পরিবার। এদিকে মামলার পর কতিপয় মানুষ আমাকে চাকরিচ্যুত করতে চক্রান্ত শুরু করে। চালায় নানা মিথ্যাচার। বিভিন্ন ধরনের চাপ আসতে থাকে আমার পরিবারের ওপরেও। সবকিছুর মধ্য দিয়ে শুধু ওর একক প্রচেষ্টায় তারা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন দিতে বাধ্য হয়েছিল। জেলে কাটাতে হয়েছে প্রায় ২ মাস ১৬ দিন। সেই সময়টাতে জেলের মধ্যেও অনেক বাধা আসে। দীর্ঘ সাংবাদিকতায় বিভিন্ন আসামির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এদের অনেকেই জেলবন্দি। আমি জেলে আসতে দেখা হয় তাদের সাথে। পরে তাদের চক্রান্তের কারণে আমাকে রাখা হয় ফাঁসির আসামিদের সেলে। পরবর্তীতে আমাকে মুক্ত করতে আমার পরিবারের সাথে ওর পরিবারও ছুটতে থাকে দিগ্বিদিক। আমাকে মুক্ত করতে গিয়ে চাকরি হারায় আমার ভাই, বন্ধ হয়ে যায় তার নিজের গড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিও। কিছুদিন পরে জানতে পারি আমার চাকরটিও আর নেই। সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসতে থাকে। চেনা মানুষগুলো ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকে। নিজের পকেটও শূন্য হতে শুরু করে। জীবিকার তাগিদে চাকরি খুঁজতে ঢাকায় আসি। কিন্তু মামলা আর নানা অপবাদের বোঝা মাথায় থাকায় কোথাও মিলছে না চাকরি। শূন্য পকেটে মানবেতর জীবন কাটতে থাকে আমাদের। এরপর দিনরাত এক করে চেষ্টার পর স্বপ্ন যেন ধরা দিতে শুরু করে। আবারও ফিরি আপন ঠিকানায়। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে মিলে যায় চাকরি। প্রথমেই ওকে ফোন দিয়ে সুরে সুরে বলেছিলাম- চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো! এখন আর কেউ আটকাতে পারবে না। শূন্যতার গল্পটা এবার পূর্ণতায় সমাপ্তি- এত ঝড়ঝাপটার মধ্যেও ওর কোনো পরিবর্তন আসেনি। যেন ভালোবাসাটা আরও বেড়েছে। চাকরি হবার পর ঘুরতে থাকে জীবনের মোড়। পরিবর্তন আসে অবস্থার। শূন্য পকেটে আসতে শুরু করে টাকা। এখন আর বাধা কোথায়। সবই যেহেতু ঠিকঠাক তাবে পূর্ণতা আসুক সম্পর্কে। বিয়ে করি আমরা। এখন প্রতিটি শীতল নিশ্বাসে আমরা ভালোবাসার স্বপ্ন বুনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে স্কুলছাত্রীর অনশন, পালিয়েছে প্রেমিক
বরগুনার তালতলীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। এ অবস্থায় বাড়ি থেকে পালিয়েছেন প্রেমিক সোলাইমান। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তাঁতিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক মো. সোলাইমান তাঁতিপাড়া এলাকার মো. হাবিব মুন্সীর ছেলে ও তালতলী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। অনশনরত স্কুলছাত্রী একই এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। অনশনরত ওই স্কুলছাত্রী বলেন, ৬ মাস ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। সোলাইমান তাকে বিয়ে না করলে এ বাড়িতেই তিনি অবস্থান করবেন। এ বিষয়ে প্রেমিক সোলায়মানের পরিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ছেলে-মেয়ের আপত্তিকর অবস্থার খবর পেয়ে আমি ওখানে গিয়ে দুজনের কাউকেই পাইনি। তবে পরে মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ের সততা মেলে। নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাকিল খান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনে মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইনগত যে কোনো সহযোগিতা নিতে চেইলে আমি সহযোগিতা করব। তালতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
আমার কোনো প্রেমিক নেই : ভাবনা
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। বাংলা নাটকে কাজের পরিমাণ বেশি থাকলেও, বড় পর্দায়ও সরব উপস্থিতি দেখা মিলছে এ অভিনেত্রীর। ২০১৭ সালে ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন ভাবনা। ‘পায়েল’ সিনেমার শুটিং শেষ করে, সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন ‘চারুলতা’ নামে নতুন একটি সিনেমায়। এ ছাড়াও মুক্তির অপেক্ষায় আছে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘যাপিত জীবন’। ছবি আঁকার পাশাপাশি নাচে বেশ পারদর্শী তিনি। লেখালেখিতেও ভাবনার হাতেখড়ি হয়েছে অনেক আগেই। এতকিছুর ভিড়ে জীবন নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন বলে জানান তিনি। ভাবনার সমসাময়িক সময়ের অনেক তারকাই বিয়ে করে সংসারে মন দিলেও সিঙ্গেলই রয়ে গেছেন এ অভিনেত্রী। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো বর্তমানে তার কোনো প্রেমিকও নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ভাবনা। অবশ্য কয়েক বছর আগে এক নির্মাতার সঙ্গে তার প্রেমের খবর জানা যায়। প্রেম করছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ভাবনা বলেন, প্রেমের সময় কোথায়? আমার কোনো প্রেমিক নেই। কারণ, বর্তমানে সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত। নতুন বছরে দুটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, মুক্তির অপেক্ষায় আরও চারটি সিনেমা। এখন থেকে সিনেমা নিয়েই ব্যস্ত থাকব। বিয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে জানতে চাইলে ভাবনা বলেন, ভাগ্যে যেদিন লেখা থাকবে, সেদিনই বিয়ে হবে। বিয়ে তো করতেই হবে, তবে আপাতত নয়। তাছাড়া পরিবার থেকেও এখন বিয়ে নিয়ে কোনো চাপ নেই।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪
আরও
X