মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

উদ্ধার করা লজ্জাবতী বানর। ছবি : কালবেলা
উদ্ধার করা লজ্জাবতী বানর। ছবি : কালবেলা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর (স্লো লরিস) উদ্ধার করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পাখিপ্রেমিক সোসাইটি’র সদস্যরা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে উপজেলা চৌমুহনী ইউপির সীমান্তবর্তী কমলপুর গ্রাম থেকে বানরটি উদ্ধার করা হয়।

সংগঠনটির সদস্য কায়েম মিয়া বলেন, অত্যন্ত সাবধানতা ও ঝুঁকি নিয়ে প্রাণীটিকে আমরা নিরাপদে খাঁচা বন্দি করি। পরে বন বিভাগের লোকজনকে খবর দেই। বানরটিকে ঈগল এবং কাক আক্রমণ করেছিল। সেখান থেকে আমরা এটিকে উদ্ধার করি।

হবিগঞ্জের বিভাগীয় কর্মকর্তা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, কিছুদিন আগেও পাখিপ্রেমিক সোসাইটির সদস্যরা সংগঠনের একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছিল। বুধবার আরও একটি বানর উদ্ধার করেছে তারা। আমরা তাদের সহযোগিতা নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহিন বনে বানরটিকে অবমুক্ত করেছি। অবমুক্ত করার আগে বানরটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, লজ্জাবতী বানর বাংলা লজ্জাবতী বানর (Bengal Slow Loris) নামেও পরিচিত। মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা কালেঙ্গা বনবিটসহ সিলেট ও চট্টগ্রামের ঘন গহীন বনে মূলত এদের বাস। নিশাচর এই প্রাণীটি গাছের উঁচু ডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে ও খুব ধীরে চলাচল করে। বানরের অন্য প্রজাতির মতো যত্রতত্র ঘোরাঘুরি না করে সব সময় নিজেকে আড়াল রাখতে পছন্দ করে। মূলত গাছের কচিপাতা, আঠা, ফলমূল, ছোট পোকামাকড়, পাখির ডিম খেয়ে থাকে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে খাওয়ার জন্য এরা হাত ব্যবহার না করে সরাসরি মুখ লাগিয়ে খায়। বছরে একবার মাত্র একটি বাচ্চা দেয় এই প্রাণীটি।

তিনি বলেন, দেশের বনাঞ্চলে ঠিক কতটি লজ্জাবতী বানর রয়েছে তার সঠিক কোনো হিসাব নেই। তবে বন উজাড় এবং খাদ্য ও আবাসস্থল সংকটের কারণে সুন্দর এই প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) লজ্জাবতী বানরকে ‘সংকটাপন্ন’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। বন্যপ্রাণী আইন-১৯৭৪ ও বন্যপ্রাণী আইন-২০১২-এর তফসিল-১ অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এই প্রাণীটি হত্যা, শিকার বা এর যে কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় জীবন শঙ্কায় ইসরায়েলি বন্দিরা

বার্নাব্যুতে মনোযোগ আনেচেলত্তি-টুখেলের

বৃষ্টি নয়, কড়া রোদ চান কৃষকরা

ইউনাইটেড গ্রুপে চাকরি, কর্মস্থল ঢাকা

পাঁচ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফার্মেসি ইনচার্জ নেবে ব্র্যাক, আবেদনের বয়স ২৫-৪৫

ইসরাইলের কারাগারে বসে লেখা / ফিলিস্তিনি লেখকের উপন্যাস জিতল সেরার খেতাব

ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

বিশ্বজয়ী তারকাদের দিয়ে দল ঘোষণা অজিদের

কী কারণে ধনকুবেরের মৃত্যুদণ্ডের রায় পাল্টাল ইরান

১০

মে দিবস / পাথর ভাঙার শ্রমিকদের ঝুঁকি বেশি, মজুরি কম

১১

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২১

১২

আ.লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

১৩

শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে : খাদ্যমন্ত্রী

১৪

‘ফেল করেছি, তাই বাঁচতে পারলাম না’

১৫

বিএমডিসি ছাড়া ভুল চিকিৎসা দাবির অধিকার কারও নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১৬

তাপপ্রবাহে শিশু একাডেমির ছুটি বাড়ল ৫ মে পর্যন্ত

১৭

রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বললেন জাতিসংঘ প্রধান

১৮

বোরোর বাম্পার ফলন, তীব্র গরমেও কৃষকের মুখে হাসি

১৯

কুকুর বিক্রি করে আয় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা

২০
*/ ?>
X