ব্রাজিল ফুটবলে প্রতিভার অভাব কোনো কালেই ছিল না। পেলে থেকে শুরু করে বর্তমানের এনড্রিক এরকম অগনিত প্রতিভা ব্রাজিল ফুটবলে এসেছে। একের পর এক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ফুটবল বিশ্বকে তাদের প্রতিভা দিয়ে মুগ্ধ করে এসেছেন। এরকম এক প্রতিভা ছিলেন গ্যাব্রিয়েল বারবোসাও। ব্রাজিলের অন্যতম সেরা নেইমারের মতো তার ক্যারিয়ারও শুরু হয়েছিল সান্তোসে।
নেইমারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইউরোপেও এসেছিলেন তবে সেভাবে নিজের নামকে পরিচিত করতে পারেননি। আরেকটি পরিচয়ও তখন বেশ সরব হয়ে উঠছিল গাব্রিয়েল ‘গাবিগোল’ বারবোসার। নেইমারের
এরপর ইউরোপেও এসেছিলেন ‘গাবিগোল’ বা ‘গাবি’ নামে পরিচিত বারবোসা। কিন্তু বেশি দিন দেশের বাইরে থাকা হয়নি। ইন্টার মিলান ও বেনফিকা ঘুরে আবারও ধারে চলে যান সান্তোসে। কিন্তু ২৭ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারেননি। নেইমারের ছোট বোন রাফেয়ালা সান্তোসের সঙ্গে ২০১৭ সালে সম্পর্কে জড়ান বারবোসা। পরে যদিও সেই সম্পর্ক টিকেনি।
এখন গাবিগোলের ক্যারিয়ারই হুমকির মুখে। সোমবার (২৫ মার্চ) ডোপিং পরীক্ষায় জালিয়াতির চেষ্টায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। ব্রাজিলের ক্রীড়া আদালতও তা বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। রিও ডি জেনিরোর ক্লাব সদর দপ্তরে ডোপিং পরীক্ষার সময় অসহযোগিতার অভিযোগও করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে ঘটনাটি এ বছরের নয়। ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিলে করা অভিযোগে আদালতের দেওয়া রায়ে নিষিদ্ধ হলেন এই ফুটবলার। তবে এএফপি জানিয়েছে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ থাকছে তার।
এএফপি ব্রাজিলিয়ান মিডিয়ার তথ্যের বরাত দিয়ে আরও জানিয়েছে, বারবোসা সময়সূচি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছেন। ডোপিং অফিসারদের অসম্মান করেছেন এবং তাদের নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেছেন। তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবোসার বক্তব্য, ‘আমি কখনো কোনো পরীক্ষায় বাধা বা প্রতারণা করার চেষ্টা করিনি। আমি আত্মবিশ্বাসী, আমি সর্বোচ্চ আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হবো।’
যে প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে বারবোসা ফুটবলে আগমন করেছিলেন সেটির প্রমাণ তিনি দেখাকে পারেননি। ২০১৬ সালে ইন্টারে গেলেও সান সিরোতে বেশি দিন থাকা হয়নি তার। একে একে ধারে বেনফিকা, সান্তোস ও ফ্লেমেঙ্গোতে যেতে হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে স্বদেশি ক্লাব ফ্লেমেঙ্গোতেই আছেন।
ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলে খেলে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে। ২০২২ সালের পর বারবোসাকে ব্রাজিলের জার্সিতে আর দেখা যায়নি। এই সময়ে ১৮ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৫ গোল। তবে ফ্লেমেঙ্গোর হয়ে ২০১৯ ও ২০২২ সালে কোপা লিবার্তোদোরেসের ফাইনাল গোল করে সমর্থকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পান বারবোসো।
মন্তব্য করুন