Mon, 13 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
দুই দিনের সফরে কাল ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
১৪ মিনিট আগে
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় এমপিকে ইসিতে তলব
১৬ মিনিট আগে
ট্রাক থেকে মুরগি নামালেই চাঁদা দিতে হয় : সাঈদ খোকন
২০ মিনিট আগে
খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়াল
২১ মিনিট আগে
৭০ হাজার টাকা বেতনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি
২৬ মিনিট আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
মা দিবসে এক ফিলিস্তিনি মায়ের সংগ্রামের গল্প
বিশ্ব মা দিবস আজ। সারাবিশ্বে যখন এ দিবসটি ঘটা করে পালন করা হচ্ছে ঠিক তখনই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ফিলিস্তিনি মায়েরা। সন্তান হারানোর শঙ্কা প্রতি মুহূর্তেই তাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। গাজার হাসপাতাল ও চিকিৎসাব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়ায় ভয়াবহ দুর্দশায় দিনানিপাত করছেন। রাওয়ান্দ মুশতাহা নামের এক ফিলিস্তিনি মায়ের দুর্দশার গল্প তুলে এনেছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। তিনি গাজার পূর্বাঞ্চলের শহর শেজাইয়ার বাসিন্দা। তার অন্তঃসত্ত্বাকালীন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরু হয়। তখন প্রাণভয়ে তিনি দক্ষিণ গাজায় পালিয়ে যান। যখন তার প্রসব বেদনার সময় হয় তখন তিনি খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ভর্তি হন। মুশতাহা বলেন, হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে তেমন কোনো নার্স ছিল না। চিকিৎসকও হাতেগোনা কয়েকজন ছিলেন। এছাড়া ওষুধে চলছিল চরম হাহাকার। অপারেশনের সময় সাধারণ অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়ার কথা ছিল। তবে চিকিৎসাসামগ্রী সংকটের কারণে সেটি দেওয়া যায়নি। ফলে আংশিক অ্যানেসথেশিয়া দিয়েই তার সিজার করা হয়। একে একে তিনটি সন্তান জন্ম দেন তিনি। তিনি বলেন, আমি হাসপাতালের বেডে শুয়েই শুনলাম আমার শাশুড়ি, দুই বোন এবং স্বামীর পরিবারের অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। আনাদোলু জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মুশতাহার বাড়িও ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে তার আর কোনো ঠিকানা নেই। এমনকি স্বামী বেঁচে আছে কিনা তাও তখনো তার জানা নেই। চারদিকে এমন অনিশ্চতার মাঝে তার চিন্তা কেবল সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখা। মৃত দাদি আর খালাদের নামে সন্তানদের নাম রাখেন তিনি। এরপর আরও ভয়াবহ জীবন শুরু হয় মুশতাহার। কেননা ইসরায়েলি বাহিনী এবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা শুরু করেছে। তিন নবজাতককে নিয়ে কোথায় যাবেন এমন স্বপ্নে যখন তিনি বিভোর তখন তার স্বামী তার খোঁজে খান ইউনিসে চলে আসেন। স্বামীকে ফিরে পেয়ে বাঁধভাঙ্গা কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কেননা ইসরায়েলি হামলায় স্বামী মারা গেছেন বলেই ভেবেছিলেন তিনি। ফলে স্বপ্নেও ভাবেননি যে তিনি স্বামীকে ফিরে পাবেন। মুশতাহা জানান, স্বামী আর সন্তানদের নিয়ে তিনি দেইর আল বালাহ শহরে পালিয়ে যান। সেখানে একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেন তারা। কিন্তু চারদিকে খাবারের হাহাকার। নিজেরা কি খাবেন আর সন্তানদের কি খাওয়াবেন তা নিয়ে শুরু হয় আরেক সংগ্রাম। ফিলিস্তিনি মা জানান, এখানে খাবার নেই, পানিও নেই। নিজের খেতে পাই না বলে বাচ্চারাও ঠিকঠাক দুধ পায় না। বাজার থেকে দুধ কিনে খাওয়াবেন এমন অবস্থাও নেই। তাঁবুতে রাতের বেলা ভয়ানক ঠান্ডা আর দিনের বেলা প্রচণ্ড গরম। এতে করে বাচ্চারা প্রতিদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি জানান, আমি মনে হয় ওদের বাঁচাতে পারব না। মুশতাহা এখনো জানেন না যে, আদৌ তিনি নিজের জন্মভিটায় ফিরে যেতে পারবেন কি না। তার মতো লাখ লাখ ফিলিস্তিনি মা কঠিন দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউয়ের তথ্যমতে, গাজায় অন্তত এক লাখ ৫৫ হাজার অন্তঃসত্ত্বা পানিশূন্যতায় ভুগছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর
ইসরায়েলের রামিয়া সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট ও কামান হামলা চালিয়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এসব রকেট-কামানের গোলা এই ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে লেবাননের জাতীয় বার্তাসংস্থা। আজ শনিবার (১১ মে) সকালে এ হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। তবে রামিয়া সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর এই হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। গতকাল (শুক্রবার), লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরপরের দিনই ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। শুক্রবার চালানো ইসরায়েলের বিমান হামলায় আঘাত হানে একটি মোবাইল ফোন ট্রান্সমিশন সাইটে। যেটি লেবাননের তায়ার হারফাতে অবস্থিত। ওই হামলায় একজন প্যারামেডিক এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী প্রাণ হারান। ওই হামলার পরই প্রতিশোধ নিতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের একটি ‘নজরদারি স্থাপনায়’ হামলা চালিয়েছে এবং তাদের চালানো হামলা সরাসরি আঘাত হেনেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এর পরের দিন থেকে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহও। দখলদার ইসরায়েলি সেনারা যেন গাজার পাশাপাশি লেবানন সীমান্তেও ব্যস্ত থাকে সেজন্য হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো অব্যাহত রাখে। যদিও হিজবুল্লাহ এখনো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দেয়নি তবে যে কোনো সময় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে বড় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
১১ মে, ২০২৪
ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতনের ভয়ংকর তথ্য ফাঁস
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ অভিযানে একের পর এক ফিলিস্তিনিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তারা। এরপর কারাগারে আটকে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েল। কারাগারে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়ংকর নির্যাতনের তথ্য ফাঁস করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। শুক্রবার (১০ মে) ইসরায়েলি দুই হুইসেলব্লোয়ার এবং এক ফিলিস্তিনি বন্দির বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গাজার সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে নেগেভ মরুভূমির একটি বন্দিশালায় তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ব্যাপক মারধরসহ বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এক ইসরায়েলি জানান, গাজার এসব জনসাধারণকে কোনো গোপন তথ্যের জন্য মারধর করা হয়নি। কেবল প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তাদের মারধর করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের হামলার জন্য এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দিশালায় পান থেকে চুন খসার মতো সামান্য কিছু করলেই তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। অপর এক ইসরায়েলি তেইমানের একটি কারাগারের ছবি সিএনএনকে দিয়েছেন। এ এলাকাটি গাজা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ছবিতে দেখা যায়, লোহার তারের বেড়া দেওয়া একটি খাঁচায় কয়েকশ ফিলিস্তিনি রয়েছেন। তাদের সকলের পরনে ধূসর রঙের ট্রাউচার রয়েছে। কারাগারে বন্দি থাকা এক ফিলিস্তিনি চিকিৎসক সিএনএনকে বলেন, তেইমানের বন্দিশালায় প্রায়ই ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর কুকুর ছেড়ে দেওয়া হতো। রাতের বেলা এভাবে নির্যাতন করা হতো। গাজার ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাক্তার মোহাম্মদ আল রানকে আটক করে ইসরায়েলি সেনারা। তবে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি দেখা দেয়। বন্দিরা জানান, তাদের একটি অস্থায়ী হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাদের শরীরের সব জামাকাপড় খুলে নেওয়া হয়। এ সময় তাদের কেবল ডায়পার পরিয়ে রাখা হয়। এছাড়া ছোট পাইপের মাধ্যমে তাদের সেখানে খাবার সরবরাহ করা হয়। এমনকি হাসপাতালে বেডের সঙ্গে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আটকে রাখা হয়। বন্দিদের অনেকে তাদের হাতে হ্যান্ডকাফের কারণে সৃষ্ট ক্ষতচিহ্ন দেখিয়েছেন। এছাড়া হ্যান্ডকাফ পরার কারণে অনেকের হাতে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কয়েকজনের হাতও কেটে ফেলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
১০ মে, ২০২৪
যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলকে ছাড় দিতে নারাজ ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা
গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ইসরায়েলকে আর কোনো ছাড় না দেওয়ার কথা জানিয়েছে হামাস। তারা জানিয়েছে, গত সোমবার তাদের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বাইরে কোনো শর্ত মেনে নেবে না তারা। খবর রয়টার্সের। কাতারে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইজ্জাত এল–রেশিক বুধবার (৮ মে) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। তারা বলে, ইসরায়েল চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ইহুদিরা রাফা আক্রমণ এবং সীমান্ত ক্রসিং দখল করার জন্য আলোচনাকে একটি আবরণ হিসেবে ব্যবহার করছে। মিসরের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত আল–কাহেরা টিভি জানায়, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার থেকে কায়রোয় বৈঠকে বসেছেন হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিরা। বুধবার সারা দিন ও রাতেও আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যেই ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা প্রকাশ করল হামাস। এদিকে গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া বুধবারও ট্যাংক থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখলে নেয় আইডিএফ। সেখানে বিপুল ইসরায়েলি সেনা অবস্থান করছে। যেকোনো সময় রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা প্রয়োজন বলে মনে করে মধ্যস্থতাকারীরা। বহু প্রাণহানির পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের পর তারা জানিয়েছে, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। তবে ইসরায়েল বলছে, হামাস রাজি হলেও তাদের দাবি-দাওয়া এখনো পূরণ হয়নি। যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাবে গাজায় জিম্মি ইসরায়েলিদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে। তেমনি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ছেড়ে দেওয়ার শর্তও আছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিকে নতুন করে হামাসের কড়া বিবৃতির কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরায়েল।
০৯ মে, ২০২৪
আবারও ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের রকেট হামলা
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে তিন সেনা নিহতের দুই দিনের ব্যবধানে আবারও একই ধরনের রকেট হামলা হয়েছে। তবে এবার কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর (আইডিএফ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৭ মে) গভীর রাতে রাফা এলাকা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের কারাম সালেম ক্রসিং ও রেইমের বসতি লক্ষ্য করে প্রায় ১৮টি রকেট ছোঁড়া হয়। এ সময় সাইরেন বেজে উঠলে ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে উঠে। আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা হলো। হামলাকারীরা সেনা ফাঁড়ি ও ত্রাণবাহী যানের অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট ছুড়ছে। এতে ক্রসিংয়ের কার্যক্রম বন্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এ ধরনের রকেট নিক্ষেপ গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। (আইডিএফ) বলছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য কারাম সালেম ক্রসিং পুনরায় চালু করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ চলছে। এর আগে রোববার (৫ মে) হঠাৎ গাজার সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের কারাম আবু সালেমে একটি ফাঁড়িতে মুহুর্মুহু রকেট হামলা হয়। এতে ইসরায়েলি তিন সেনা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। হামাস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ নিয়ে চলমান গাজা যুদ্ধে ২৬৬ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হলেন। আনাদুলু এজেন্সি জানায়, এসব হামলার সঙ্গে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জড়িত। তারা দক্ষিণ ইসরায়েলের জনবসতির দিকে অন্তত ৩০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে। এতে অনেক স্থানে আগুন লেগে যায়। ইসরায়েল দাবি করে আসছে, রাফায় শরনার্থীদের আড়ালে হামাস ঘাঁটি গেড়েছে। এ অভিযোগে সেখানে প্রাথমিক স্থল অভিযান শুরু করে তারা। মঙ্গলবার (৭ মে) গাজার ‘লাইফলাইন’ খ্যাত রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখলের পর সেখানে আর্টিলারিসহ বিপুল ইসরায়েলি সেনা অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের অভিযানের উদ্দেশ্যে সেনাবহরটি জনবসতির দিকে এগোনোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের ফাঁড়িতে হামাস হঠাৎ হামলা শুরু করেছে। এতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাফায় হামলার যুক্তি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে।
০৮ মে, ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতি : ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা রাজি হলেও ইসরায়েলের তালবাহানা
দীর্ঘ সাত মাসের যুদ্ধের পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের পর তারা জানিয়েছে, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। তবে ইসরায়েল বলছে, হামাস রাজি হলেও তাদের দাবি-দাওয়া এখনো পূরণ হয়নি। এমনকি দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে স্থল হামলা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। ফলে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা এত দূর আগালেও ইসরায়েলের তালবাহানায় গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্সের। সোমবার (৬ মে) হামাসের একটি সূত্র জানায়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান। হামাসের এমন বার্তার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ইসরায়েলের সব দাবি পূরণ করেনি। তবে চুক্তি আলোচনা অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছে তেল আবিব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে তা মিসরীয় প্রস্তাবের কাটছাঁট। তবে এতে এমন বিষয়ও রয়েছে যাতে ইসরায়েল রাজি হবে না। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪
ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা বলল, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে
দীর্ঘ সাত মাসের যুদ্ধের পর গাজায় দ্বিতীয়দফা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের তারা জানিয়েছে, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। সোমবার (০৬ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহের সাথে কথা বলেছেন। তার আলাপের পরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, হানিয়াহ তাকে বলেন, আমরা মিশর এবং কাতারের প্রস্তাব করা চুক্তিতে ইসরায়েলি আক্রমণ বন্ধ করতে, বন্দি বিনিময় এবং অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য সাড়া দিয়েছি। বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। আমরা আমাদের উদ্দেশ্যের প্রতি সৎ রয়েছি। এর আগে প্রতিরোধ আন্দোলনের একটি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে। এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দা মন্ত্রী আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পাশাপাশি এখন বল ইসরায়েলের কোর্টে বলে জানান হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতারা। যদিও দ্বিতীয় দফায় এ যুদ্ধবিরতি কতক্ষণ স্থায়ী হবে এবং গাজায় জিম্মিদের মুক্তির ব্যপারে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা বিস্তারিত বলা হয়নি। হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হওয়া নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কয়েক দিন আগেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন হোক বা না হোক তেলআবিব ফিলিস্তিনের সীমান্তবর্তী শহর রাফহতে স্থল অভিযানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে না। এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের রাজি হওয়ার খবর শুনে উল্লাসে রাস্তায় নেমে এসেছে গাজাবাসী। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর সেন্ট্রাল গাজার আল আকসা হাসপাতালের বাইরে মানুষ উল্লাস করছে। এ সময় শিশুরা আনন্দে লাফিয়ে উঠে এবং স্থানীয়রা গান গেয়ে এবং হাঁড়ি-পাতিলের শব্দ করে এটি উদযাপন করে।
০৭ মে, ২০২৪
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সিদ্ধান্তে গাজায় উল্লাস
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামীদের সংগঠন হামাস। দলটির এমন সিদ্ধান্তে উৎসবে মেতেছে গাজাবাসী। সোমবার (০৬ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা হামাসের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হওয়ার সংবাত শুনে উচ্ছ্বাসিত। রাফাহ সীমান্তে আসন্ন স্থল অভিযানের আশঙ্কার সময়ে হামাস এ প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা তারেক আবু আজম আলজাজিরাকে বলেন, আমরা আশা করি আল্লাহ এটি সহজ করে দেবেন এবং আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারব। অপর এক ফিলিস্তিনি বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যে তারা রাফাহ আক্রমণ করেনি। যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং গাজার পাশে দাঁড়িয়েছেন আমরা তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আরেক ফিলিস্তিনি বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধান চাই, শুধু সামরিক সমাধান নয়। তিনি বলেন, এর জন্য আমাদের অবশ্যই ইসরায়েলি দখলদারিত্ব থেকে স্বাধীনতা পেতে এবং গাজা ও পশ্চিম তীরে আগ্রাসন বন্ধ করতে সংগ্রাম করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ করুক। আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চাই। আমাদের পরিবারগুলি খুব ব্যাথিত অবস্থায় রয়েছে। তবে আজ সন্ধ্যায় এই ঘোষণার পরে আমরা আমাদের বেশিরভাগ লোককে খুশি দেখতে পাচ্ছি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর সেন্ট্রাল গাজার আল আকসা হাসপাতালের বাইরে মানুষ উল্লাস করছে। এ সময় শিশুরা আনন্দে লাফিয়ে উঠে এবং স্থানীয়রা গান গেয়ে এবং হাঁড়ি-পাতিলের শব্দ করে এটি উদযাপন করে। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা
গাজায় আবারও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিনিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। সোমবার রাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিরোধ আন্দোলনের একটি সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে। এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পাশাপাশি এখন বল ইসরায়েলের কোর্টে বলে জানান হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতারা। যদিও দ্বিতীয় দফায় এ যুদ্ধবিরতি কতক্ষণ স্থায়ী হবে এবং গাজায় জিম্মিদের মুক্তির ব্যপারে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা বিস্তারিত বলা হয়নি। হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হওয়া নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কয়েক দিন আগেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন হোক বা না হোক তেলআবিব ফিলিস্তিনের সীমান্তবর্তী শহর রাফহতে স্থল অভিযানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে না। এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের রাজি হওয়ার খবর শুনে উল্লাসে রাস্তায় নেমে এসেছে গাজাবাসী। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর সেন্ট্রাল গাজার আল আকসা হাসপাতালের বাইরে মানুষ উল্লাস করছে। এ সময় শিশুরা আনন্দে লাফিয়ে উঠে এবং স্থানীয়রা গান গেয়ে এবং হাঁড়ি-পাতিলের শব্দ করে এটি উদযাপন করে।
০৬ মে, ২০২৪
সংহতি সমাবেশ আয়োজনের জন্য ছাত্রলীগকে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশাল ‘পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ’ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে যুক্ত হয়ে ছাত্রলীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি দুই শিক্ষার্থী। সোমবার (৬ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল এক মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সমাবেশ আয়োজন করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে ফিলিস্তিনি নাগরিক ইসহাক আহমেদ নামে একজন বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং আমাদের সঙ্গে সংহতি পোষণ করার জন্য আপনাদের সবাইকেই ধন্যবাদ জানাই। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য পুরো বিশ্বের যে বা যারা কথা বলছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশে ফিলিস্তিনি এক ছাত্র সংগঠনের প্রধান নেতা ও বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ অধ্যয়নরত আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বাদাওয়ী বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিনিয়ত আমাদের ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, আমাদের স্বপ্নগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য বাংলাদেশকে, ছাত্রলীগকে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ সংবলিত ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রা ও সমাবেশে অংশ নিতে দেখা যায়। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড’; ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’; ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জয় জয় ফিলিস্তিন’; ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের এই ছাত্র আন্দোলন আর দেশীয় গণ্ডির ভিতর সীমাবদ্ধ নেই। সীমান্ত বেরিকেড, ভাষার ব্যবধান সবকিছু মুছে দিয়ে একাকার হয়ে গেছে যুদ্ধ-মুক্ত, ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। আমাদের এই ছাত্র আন্দোলনে সমবেত হয়েছেন নির্যাতিত নিষ্পেষিত ফিলিস্তিনের বন্ধুরাও। আমাদের পূর্বপুরুষরা নিজেদের দেশের মুক্তির জন্য বীরত্বের সঙ্গে যেভাবে লড়াই করেছে ঠিক তেমনি আমরাও ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের পাশে দাঁড়াব। তাছাড়া, এসময় সাদ্দাম হোসেন ইংরেজিতে একটি শান্তি স্মারক পড়ে শোনান। এর একাংশে বলা হয়, সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের সঙ্গে ন্যায়বিচার, শান্তি এবং সংহতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকারে অটুট আশার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে। আজ, যখন ফিলিস্তিনের ভূমিতে সূর্য অস্তমিত হচ্ছে, এর জনগণের হৃদয়ে অন্যায়ের ছায়া ফেলেছে, আমরা ইসরায়েলের গণহত্যামূলক শাসনের যুদ্ধের অবসান এবং প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। দীর্ঘ সময় ধরে, ফিলিস্তিনি জনগণ একটি নৃশংস দখলদারত্বের শিকার হয়েছে, তাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন নিপীড়নের শৃঙ্খলে বেঁধেছে। গাজার ধ্বংসস্তূপযুক্ত রাস্তা থেকে পশ্চিম তীরের জলপাই গাছ পর্যন্ত, ক্ষমতার করিডোরে নিপীড়িতদের আর্তনাদ প্রতিধ্বনিত হয়, যা তাদের যন্ত্রণার জন্য প্রায়শই বধির একটি বিশ্ব শুনতে চায়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর সৈকত এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
০৬ মে, ২০২৪
আরও
X