দীর্ঘ সাত মাসের যুদ্ধের পর গাজায় দ্বিতীয়দফা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের তারা জানিয়েছে, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। সোমবার (০৬ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহের সাথে কথা বলেছেন। তার আলাপের পরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, হানিয়াহ তাকে বলেন, আমরা মিশর এবং কাতারের প্রস্তাব করা চুক্তিতে ইসরায়েলি আক্রমণ বন্ধ করতে, বন্দি বিনিময় এবং অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য সাড়া দিয়েছি। বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। আমরা আমাদের উদ্দেশ্যের প্রতি সৎ রয়েছি।
এর আগে প্রতিরোধ আন্দোলনের একটি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে। এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দা মন্ত্রী আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান।
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পাশাপাশি এখন বল ইসরায়েলের কোর্টে বলে জানান হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতারা। যদিও দ্বিতীয় দফায় এ যুদ্ধবিরতি কতক্ষণ স্থায়ী হবে এবং গাজায় জিম্মিদের মুক্তির ব্যপারে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা বিস্তারিত বলা হয়নি।
হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হওয়া নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কয়েক দিন আগেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন হোক বা না হোক তেলআবিব ফিলিস্তিনের সীমান্তবর্তী শহর রাফহতে স্থল অভিযানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে না।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের রাজি হওয়ার খবর শুনে উল্লাসে রাস্তায় নেমে এসেছে গাজাবাসী। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর সেন্ট্রাল গাজার আল আকসা হাসপাতালের বাইরে মানুষ উল্লাস করছে। এ সময় শিশুরা আনন্দে লাফিয়ে উঠে এবং স্থানীয়রা গান গেয়ে এবং হাঁড়ি-পাতিলের শব্দ করে এটি উদযাপন করে।
মন্তব্য করুন