চবির হলে ছাত্রীর বিরুদ্ধে মাদকসেবনের অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আবারও আবাসিক হলে মাদক সেবনের অভিযোগ উঠেছে। বাইরে থেকে নেশা করে এসে রুমে মাতলামি ও বারণ করায় রুমমেটকে তেড়ে আসারও অভিযোগ উঠেছে।  অভিযুক্ত জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ৫১২ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ও চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ সেশনের ছাত্রী।  শনিবার (৪ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. উদিতি দাশ বরাবর এমনই এক অভিযোগ করা হয়।  অভিযোগকারী জানান, ঐশী নিয়মিত হলে মদ খেয়ে এসে মাতলামি করত। বিড়ি সিগারেট খেয়ে রুমের পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট করত। এগুলো নিয়ে তাকে বাধা দিলে আমাদের বাবা-মা তুলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করত। বলত, আমি যতক্ষণ রুমে সিগারেট খাই না, এটা তোদের জন্য কম্প্রমাইজ করি।   নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঐশী ক্লাস নাইন থেকেই মদ-গাঁজা-সিগারেটের সঙ্গে আসক্ত। ওকে অনেকবার এগুলো ছাড়ার জন্য বলেছি। কিন্তু কে শুনে কার কথা। সে চারুকলাতেও খোলামেলাভাবে এসব মাদক নেয়।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ঐশীকে নিয়ে এর আগেও ঝামেলা হয়েছিল। সে মাদকাসক্ত, বাথরুমে গিয়ে সিগারেট খায়, সবার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। তাকে নিয়ে আমরা এক প্রকার অতিষ্ঠ।  তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী কালবেলাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি এসব মাদকদ্রব্য সেবন করিনা। এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট ড. উদিতি দাশ বলেন, আজকে একটা মেয়ে আমাকে টেলিফোন করে জানিয়েছে যে, ৫১২ নম্বর রুমে নাকি ঐশী নামের একটা মেয়ে মাদক সেবন করে। এই মেয়ের বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ এসেছে। তাকে আমরা তখন ডেকেছিলাম। সে ক্ষমা চেয়ে বলেছে, আর করবে না। তাই, সেবার ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তার নামে আবারও মাদকাসক্তির অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। তার রুম পর্যবেক্ষণ করে তেমন কোনো প্রমাণ পাইনি।  তিনি আরও বলেন, আমার হলে মাদক সেবন একদম নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। যদি প্রমাণ হয় যে হলে কেউ বিড়ি সিগারেটও খায় তাহলে তাকে হল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, ওই ছাত্রীর (ঐশী) ব্যাপারে এ রকম একটা ঘটনার কথা শুনেছি। এ নিয়ে ওই হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টি ওই হলের দায়িত্বশীলরা পর্যবেক্ষণ করছেন।  উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রের (স্বাগত দাশ) সঙ্গে ছেলেদের মেসে এই ছাত্রীর (ঐশী) রাতে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই উপ-গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস ইউথ কেয়ার 'সিএফসি' ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস 'ভিএক্স' এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।
০৪ মে, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা বক্তৃতামালা অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর উদ্যোগে 'এমপাওয়ারিং গার্লস উইদ আইসিটি স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট: চ্যালেঞ্জেস এন্ড অপর্চুনিটিজ' শীর্ষক বঙ্গমাতা বক্তৃতামালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনস্থ অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ বক্তৃতামালায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)-এর গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খান আলোচনায় অংশ নেন।  স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য দেশের নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।  দেশে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, নারীরা এসব সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী কর্মতৎপরতার ফলে নারীরা এখন ফ্রিল্যান্সিং-এর মাধ্যমে ঘরে বসেই উপার্জন করতে পারেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য তিনি নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের প্রসার ও উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধাসমূহ দূর করতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তি, শিক্ষা, শিল্প, ব্যবসাসহ সকল খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। নারীদের জন্য উপযুক্ত কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

টুকরো খবর / বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল আজ
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুখোমুখি হবে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুই বিভাগের ফাইনাল ম্যাচই আজ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচ দুটি হবে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ২০২৩ সালের এ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রাথমিক পর্বে ৬৫ হাজার ৩৫৪ স্কুল অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ১১ লাখ ১১ হাজার ১৮ ফুটবলার এ পর্বে অংশগ্রহণ করেছে। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের প্রাথমিক পর্বে অংশগ্রহণকারী স্কুল সংখ্যাও সমান, ৬৫ হাজার ৩৫৪। এ বিভাগে অংশগ্রহণকারী ফুটবলার সংখ্যাও ছিল সমান, ১১ লাখ ১১ হাজার ১৮ জন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০১০ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আয়োজন করে আসছে। পরের বছর থেকে শুরু হয় নারী বিভাগের প্রতিযোগিতা—বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বিবেচনায় এ দুটি আয়োজন বিশ্বের সর্ববৃহৎ বলে দাবি করছেন আয়োজকরা। দুটি আসর দিয়ে প্রতি বছর জাতীয় পর্যায়ের পাইপলাইনে প্রচুর তরুণ ফুটবলার উঠে আসছে। বর্তমান নারী জাতীয় দল এবং নানা বয়সভিত্তিক দলে প্রতিনিধিত্ব করা অনেক ফুটবলারের উঠে আসার সিঁড়ি ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা। আয়োজকদের আশাবাদ, ভবিষ্যতেও সে ধারা অব্যাহত থাকবে।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

‘গিনেস বুকে স্থান পাবে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট’ 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামন্ট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফুটবল টুর্নামেন্টে পরিণত হয়েছে। দেশের এ অনন্য কৃতিত্ব ও গৌরবকে ‘গিনেস বুকে’ স্থান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের হল রুমে টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এবং ২০১১ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার নামে এই দুটি টুর্নামেন্ট’ চালু করেছে। ২০২৩ সালে ৬৫ হাজার ৩৫৪ টি স্কুলের ১১ লাখ ১১ হাজার ১৮ জন ছাত্র ও ৬৫ হাজার ৩৫৪টি স্কুলের ১১ লাখ ১১ হাজার ১৮ জন ছাত্রী এ ফুটবল টুর্নামেন্টে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেছে। আগামী ২০ এপ্রিল শনিবার বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্ট দুটির ২০২৩ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ২০ এপ্রিল
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ ফাইনাল বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে আগামী ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় আর্মি স্টেডিয়ামের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বক্তব্য দেবেন।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।  বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্তকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকবেন।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

নানান সমস্যায় জর্জরিত খুবির বঙ্গমাতা হল, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আবাসিক ছাত্রীহল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নানা সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যান্টিন সমস্যা, অনিরাপদ খাবার পানি, পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংকটসহ নানা অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা জানান, চারটি আবাসিক হলে সেহরি ও ক্যান্টিনের ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নেই ক্যান্টিনের ব্যবস্থা। ফলে রমজান মাসে শেষ রাতে সেহরিতে বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই হলে নামে মাত্র রয়েছে ক্যান্টিন, সেখানে নেই শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা। রমজান মাস ছাড়া সকালে শুধুমাত্র রুটি ও ডালভাজি বিক্রি করা হয়। তবে এখন রমজান মাসে শুধুমাত্র দুই-তিন ধরনের ইফতারি পাওয়া যায়, সেটিও প্রয়োজনের তুলনায় অল্প। কর্মী রয়েছে মাত্র একজন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর রোডে গিয়ে ইফতারি কিনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।  এছাড়াও ছয় তলা বিশিষ্ট দুটি সুউচ্চ ভবন থাকলেও রয়েছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংকট। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীরা অভিযোগ জানালেও হয়নি সুরাহা। নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা, মাঝে মাঝেই পাওয়া যায় পোকা এবং ড্রেনের গন্ধ। এছাড়াও রয়েছে কুকুরের উপদ্রব। প্রায় প্রতিদিনই হলের ৫-৬ তলা পর্যন্ত কুকুর উঠে যায়। প্রায়ই কুকুর আতঙ্কে থাকেন শিক্ষার্থীরা।  এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা খাওয়ার। মিলের খাবারের মান কোনোকিছু করেই খুব একটা ভালো হচ্ছে না। তার চেয়ে বড় সমস্যা ক্যান্টিন সিস্টেম না থাকা। এতে মিল দিতে না পারলে খাবার কিনতে দুই বেলা বাইরে যেতে হয়। আর রোজার সময় সমস্যা তো অনেক বেশি, একবেলার খাবার দেয় ৪টায় আর একবেলার ৮টায়। যারা রোজা রাখে তারা এই ৪টার খাবার দিয়ে কী করবে? আর যারা অন্য ধর্মাবলম্বী তারাও-বা ৪টার সময় খাবার দিয়ে কী করবে? আর রাত ৮টায় দেওয়া খাবার ভোর রাত পর্যন্ত ভালো থাকে না। এভাবে রোজা রাখতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। সম্পূর্ণ রোজা এভাবে গেলে অনেকই অসুস্থ হয়ে পড়বে।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সালমা বেগম বলেন, হলের মেয়েরা ক্যান্টিনে খাবার না খাওয়ায় ক্যান্টিন চলে না এবং আইটেম বাড়ানো যায় না। হলে যখন কাজ চলে তখন খোলা রাখতে হয়েছিল সে সময় হলের ভেতরে কুকুর ঢুকে পড়ে তবে পরে তাদের বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়েরা সেই কুকুরগুলোকে খাবার দেয়, খাবারের লোভে ভেতরে চলে আসে। কুকুর এর ব্যাপারে হলের কর্মচারীদের কড়াকড়ি নির্দেশনা দেওয়া আছে। কর্মচারী সঙ্কট নিরসনের জন্য জন্য ইতোমধ্যে দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, খুব শিগগিরই তারা যোগদান করবে। আর পানিতে যে গন্ধ পাওয়া যায় এই গন্ধ দূর করার জন্য প্লাস্টিকের ট্যাংকের পরিবর্তে স্টিলের স্থাপন করা হবে। 
৩১ মার্চ, ২০২৪

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন কাল
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ চূড়ান্ত পর্বের খেলা আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হতে যাচ্ছে। সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এর উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। এ সময় বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। উদ্বোধন অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করবেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।  বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় ময়নমনসিংহ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বরিশাল বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ভোলা সদর উপজেলার ব্যাংকেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় চট্টগ্রাম বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুখোমুখি হবে বরিশাল বিভাগের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এবারের প্রতিটি টুর্নামেন্টে ৬৫ হাজার ৩৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। উভয় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ লাখ ২২ হাজার ২৬। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় শেষে এখানে চূড়ান্ত পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে উভয় টুর্নামেন্টের বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন স্কুলগুলো চূড়ান্তপর্বের খেলায় অংশ নিচ্ছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকল্পে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহিষ্ণুতা, মনোবল বৃদ্ধিসহ খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সাল থেকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করা হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বরিশালে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
বরিশালে বিভাগীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব-১৭ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নগরীর বান্দ রোড এলাকায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় পতাকা এবং বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী ম্যাচে বালক এবং বালিকা গ্রুপে পিরোজপুর বনাম পটুয়াখালী জেলা মুখোমুখি হয়। এ ছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ের এ টুর্নামেন্টে বিভাগের ৬টি জেলা থেকে বালক ও বালিকাদের ছয়টি করে মোট ১২টি দল অংশগ্রহণ করছে। এদিকে, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও বরিশাল জেলা ক্রীড়া অফিসের যৌথ আয়োজনে বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) পারভেজ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহ, বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান হোসেন। 
০২ নভেম্বর, ২০২৩

শেখ ফজিলাতুন নেছা ‘নারীদের শক্তি’
‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। সিনেমাটিতে বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন তিনি। গত ১৩ অক্টোবর থেকে দেশের নানা প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি চলছে সগৌরবে। ঢাকার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ ঘুরে দেখা যায় টিকিট না পেয়ে অনেক দর্শক ফিরে যাচ্ছেন। সম্প্রতি সিনেমাটি নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় তিশার চরিত্রটি নিয়ে বেশ শঙ্কা ছিল বলে জানান তিনি। বললেন, ‘এটা পিরিয়ডিক্যাল কাজ নয়। আগে যখন প্রীতিলতা, ডুব, ফাগুন হাওয়া, হালদা রিলিজ পেয়েছে তখনো নিজের মধ্যে একটা আশঙ্কা কাজ করেছে। সব শিল্পীরই একটা নার্ভাসনেস কাজ করে তার চরিত্র নিয়ে। কারণ আমরা একটা ক্যারেক্টার প্লে করেছি, সেটা দর্শক পছন্দ করবে কি না। দর্শক ইমোশনালি অ্যাটাচ হবে কি না। আমারও এই সিনেমায় ফজিলাতুন নেছা চরিত্রটি করার পর আশঙ্কা কাজ করেছে। দর্শক পছন্দ করেছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় বিষয়।’ বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছাকে ‘নারীদের শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। আলাপকালে জানালেন, ‘যখন এই সিনেমার শুটিং শুরু করি, তখন আমাদের বলা হয়েছিল ফজিলাতুন নেছার নজরেই বঙ্গবন্ধুকে দেখানো হবে। ফজিলাতুন নেছার নজরে বঙ্গবন্ধু কেমন ছিল সেটাই কিন্তু সিনেমায় উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর পেছনে তার পরিবারের বড় সাপোর্ট আছে এবং অবশ্যই বঙ্গবন্ধু যে সব কাজ করেছেন, যেভাবে এগিয়ে গিয়েছেন, তার স্ত্রীর যদি সাপোর্ট না থাকত, তাহলে কেউই আসলে এত এগিয়ে যেত না। এটাই দেখানো হয়েছে এখানে।’ চরিত্রটি করতে গিয়ে কখনো কি মনে হয়েছে যে, আমাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত বা আমি পারছি না—প্রশ্নের জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘অবশ্যই না। ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। যারা আমাকে ছোট থেকে চেনেন, তারা জানেন আমি কখনো ছেড়ে দেওয়া শিখিনি। কাজেই ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। চরিত্রটি নিজের মধ্যে ধারণ করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। শ্যাম বেনেগালের মতো এত ভালো একজন ডিরেক্টর সঙ্গে ছিলেন, তার একটা সাপোর্টিভ টিম ছিল। যে টিম আমাদের সবসময় সাপোর্ট করে গেছে, চরিত্রে থাকতে সাহায্য করেছে। পারিপার্শ্বিকতা এমন ছিল যে, আমার কাছে মনে হয়নি যাত্রাটা এত সুগম হতে পারে।’ ‘শেখ ফজিলাতুন নেছার চরিত্রটির শুটিং করার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের মায়ের কথা জেনেছি, তখন একটু সারপ্রাইজ হয়েছি। কারণ, সেসময় এমন একটা মানুষ বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী হিসেবে পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। যিনি এতটা স্ট্রং, এতটা বুদ্ধিমত্তা রাখেন—একই সঙ্গে অনেক গুছানো একজন মানুষ। তিনি নারীদের শক্তি। যিনি রাজনীতি এবং সংসার দুটিই বুঝেন। তিনি জানেন, কোন মানুষের সামনে কীভাবে উপস্থাপন করতে হবে এবং কী কথা বলতে হবে। অনেক অজানা কথা আমরা জানতে পেরেছি এ সিনেমা করতে গিয়ে। এমন একটি চরিত্রে কাজ করতে পেরে অবশ্যই অনেক ভালো লাগছে। এ ছাড়া এই চরিত্রে অভিনয় করতে অনেক বই পড়তে হয়েছে আমাকে’ বললেন পর্দার শেখ ফজিলাতুন নেছা। এই সিনেমায় নুসরাত ইমরোজ তিশা মাত্র এক টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমি আসলে পারিশ্রমিক প্রসঙ্গ সবসময় অ্যাভয়েড করে গিয়েছি। কখনো এ প্রসঙ্গটা তুলতে চাইনি। কিছু বিষয় নিজের কাছে থাকাই ভালো। এটা একটা ভালোবাসার ছবি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইতিহাস জানানোর ছবি। এতেই আমি অনেক খুশি। কত টাকা নিচ্ছি, না নিচ্ছি এটা মুখ্য নয়। যেটাই নিয়েছি তাতে আমি ভীষণ খুশি।’
২২ অক্টোবর, ২০২৩

বঙ্গমাতা : দেশের তরে উৎসর্গিত মহীয়সী মহাপ্রাণ
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার পেছনে যে মানুষটির অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুর সব কাজের অনুপ্রেরণাদায়ী, পরামর্শদাতা, সংগ্রামের সাথী, আমরণ সহযাত্রী, জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর রেণু।  ৮ আগস্ট ১৯৩০ সালে জন্ম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের। উনার পিতার নাম শেখ জহুরুল হক। মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম।  বঙ্গমাতা সম্পর্কে জানার জন্য সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজনামচা। এই বইগুলোতে বঙ্গবন্ধু তার সফলতার পেছনের কারিগর বঙ্গমাতা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য লিখে গেছেন। এই বই লেখার পেছনেও অবদান শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের।  এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘‘আমার সহধর্মিণী একদিন জেলগেটে বসে বলল, ‘বসেই তো আছ, লিখো তোমার জীবনের কাহিনি।’ বললাম, ‘লিখতে যে পারি না; আর এমন কী করেছি যা লেখা যায়! আমার জীবনের ঘটনাগুলো জেনে জনসাধারণের কি কোনো কাজে লাগবে?’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার স্ত্রী যার ডাক নাম রেণু, আমাকে কয়েকটা খাতাও কিনে জেলগেটে জমা দিয়ে গিয়েছিল। জেল কর্তৃপক্ষ যথারীতি পরীক্ষা করে খাতা কয়টা আমাকে দিয়েছেন। রেণু আরও একদিন জেলগেটে বসে আমাকে অনুরোধ করেছিল। তাই আজ লিখতে শুরু করলাম।’ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বঙ্গমাতার বিয়ে সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘‘একটা ঘটনা লেখা দরকার, নিশ্চয়ই অনেকে আশ্চর্য হবেন। আমার যখন বিবাহ হয় তখন আমার বয়স বারো-তেরো বছর হতে পারে। রেণুর বাবা মারা যাবার পরে ওর দাদা আমার আব্বাকে ডেকে বললেন, ‘তোমার বড় ছেলের সাথে আমার এক নাতনির বিবাহ দিতে হবে। কারণ, আমি সব সম্পত্তি ওদের দুই বোনকে লিখে দিয়ে যাব।’’ রেণুর দাদা আমার আব্বার চাচা। মুরব্বির হুকুম মানার জন্যই রেণুর সাথে আমার বিবাহ রেজিস্ট্রি করে ফেলা হলো। আমি শুনলাম আমার বিবাহ হয়েছে। তখন কিছুই বুঝতাম না, রেণুর বয়স তখন বোধহয় তিন বছর হবে। রেণুর যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তার মা মারা যান। একমাত্র রইল তার দাদা। দাদাও রেণুর সাত বছর বয়সে মারা যান। তারপর সে আমার মা'র কাছে চলে আসে। আমার ভাইবোনদের সাথেই রেণু বড় হয়। রেণুর বড় বোনেরও আমার আর এক চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিবাহ হয়। এরা আমার শ্বশুরবাড়িতে থাকল। কারণ আমার ও রেণুর বাড়ির দরকার নাই। রেণুদের ঘর আমাদের ঘর পাশাপাশি ছিল, মধ্যে মাত্র দুই হাত ব্যবধান। অন্যান্য ঘটনা আমার জীবনের ঘটনার মধ্যেই পাওয়া যাবে। বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা যেহেতু একই পরিবার, পরিবেশে বড় হয়েছেন তাই দুজনের মানসিক অবস্থান, চিন্তা-চেতনাও একই রকম ছিল। বঙ্গবন্ধু দেশ ও জাতির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। উনার পড়াশোনা, রাজনীতি ও হাত খরচার টাকাও উনার বাবা-মা দিতেন। বঙ্গমাতাও উনার নিজের জমানো টাকা বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দিতেন। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘আব্বা ছাড়াও মায়ের কাছ থেকে আমি টাকা নিতে পারতাম। আর সময় সময় রেণুও আমাকে কিছু টাকা দিতে পারত। রেণু যা কিছু জোগাড় করত বাড়ি গেলে এবং দরকার হলে আমাকেই দিত। কোনোদিন আপত্তি করে নাই। নিজে মোটেই খরচ করত না। গ্রামের বাড়িতে থাকত, আমার জন্যই রাখত।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘রেণু জানত, আমি সিগারেট খাই। টাকা-পয়সা নাও থাকতে পারে, টাকার দরকার হলে লিখতে বলেছিল।’ বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের সবচেয়ে বড় অবলম্বন ও প্রেরণা। এ সম্পর্কে একটি সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, আমার স্ত্রীর মতো সাহসী মেয়ে খুব কমই দেখা যায়। আমাকে যখন পিন্ডির ফৌজ বা পুলিশ এসে জেলে নিয়ে যায়, আমার ওপর নানা অত্যাচার করে, আমি কবে ছাড়া পাব বা কবে ফিরে আসব ঠিক থাকে না, তখন কিন্তু সে কখনো ভেঙে পড়েনি। আমার জীবনের দুটি বৃহৎ অবলম্বন- প্রথমটি হলো আত্মবিশ্বাস, দ্বিতীয়টি হলো আমার স্ত্রী আকৈশোর গৃহিণী। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু এভাবেই তার অবদান লিখছেন- ‘আমার জীবনেও আমি দেখেছি যে, গুলির সামনে আমি এগিয়ে গেলেও কোনোদিন আমার স্ত্রী বাধা দেয় নাই। এমনও দেখেছি যে, অনেকবার, আমার জীবনের ১০-১১ বছর আমি জেল খেটেছি। জীবনে কোনোদিন মুখ কালা কিংবা আমার ওপর প্রতিবাদ করে নাই। তাহলে বোধহয় জীবনে অনেক বাধা আমার আসত। এমনও সময় আমি দেখেছি যে, আমি যখন জেলে চলে গেছি, আমি একআনা পয়সাও দিয়ে যেতে পারি নাই আমার ছেলে-মেয়ের কাছে। আমার সংগ্রামে তার দান যথেষ্ট রয়েছে।’ শৈশবে পিতা-মাতা হারানো বঙ্গমাতার একমাত্র অবলম্বন ছিল বঙ্গবন্ধু। উনার কিছু হলে বঙ্গমাতা জীবনের শেষ অবলম্বনও হারাবেন। এটা জেনেও তিনি কখনো দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা থেকে বঙ্গবন্ধুকে এগিয়ে যেতে বাধা দেননি। কারণ তিনি নিজের চাইতেও দেশ ও মানুষকে বেশি ভালোবাসতেন। ১৯৪৬ সালে যখন ভয়ংকর দাঙ্গা চলছে, সে সময় বঙ্গমাতা নিজে অসুস্থ থাকলেও স্বামীকে দাঙ্গা এলাকায় যেতে বারণ করেননি। ওই সময় স্বামীকে লেখা বেগম মুজিবের একটি চিঠি আমরা দেখতে পাই। তিনি লিখেছেন, ‘আপনি শুধু আমার স্বামী হবার জন্য জন্ম নেননি, দেশের কাজ করার জন্য জন্ম নিয়েছেন। দেশের কাজই আপনার সবচাইতে বড় কাজ। আপনি নিশ্চিন্ত মনে সেই কাজে যান। আমার জন্য চিন্তা করবেন না। আল্লাহর ওপর আমার ভার ছেড়ে দিন।’ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন এবিএম মুসার ভাষ্যমতে, ‘সেই কাহিনি নেহাত কিংবদন্তি নয়, হলেও সেই কিংবদন্তি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ভেস্তে যাওয়ার ইতিহাসভিত্তিক ক্যান্টনমেন্টে বসে শেখ সাহেব কী ভাবছেন, কেউ তা জানে না। সারা দেশের মানুষও কিছুটা বিভ্রান্ত। তারা প্রাণ দিচ্ছে, রক্ত দিচ্ছে প্রিয় নেতাকে মুক্ত করে আনার জন্য, মুচলেকা দিয়ে আইয়ুবের দরবারে যাওয়ার জন্য নয়। কিন্তু এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন যিনি, তিনিও ছিলেন দ্বিধাগ্রস্ত। সেদিন মুচলেকা দিয়ে নাকি নিঃশর্ত মুক্তি- এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন একজন নারী। মুজিবের সহধর্মিণী, যিনি রাজনীতি বুঝতেন না; কিন্তু নিজের স্বামীকে জানতেন। বুঝতে পেরেছিলেন তার স্বামীর মানসিক দ্বন্দ্ব। বন্দি স্বামীকে চিরকুট পাঠালেন। হাতে বঁটি নিয়ে বসে আছি; প্যারোলে মুচলেকা দিয়ে আইয়ুবের দরবারে যেতে পারেন; কিন্তু জীবনে ৩২ নম্বর আসবেন না। বঙ্গমাতা যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধুকে সুন্দর পরামর্শ দিয়ে কাজকে সহজ করে দিতেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ ও আওয়ামী লীগের নেতা আঃ রহমান লিখেছেন, ২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবসে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হতো। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের পতাকার পরিবর্তে সারা দেশে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আগের দিন ২২ মার্চ রাতে খেতে বসে বঙ্গবন্ধুকে চিন্তাক্লিষ্ট দেখে বেগম মুজিব জানতে চেয়েছিলেন- ‘পতাকা ওড়ানোর ব্যাপারে কী কোনো সিদ্ধান্ত নিলেন?’ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘না, নিতে পারিনি। আমি পতাকা ওড়াতে চাই। একটাই ভয়, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া এখনো ঢাকায়। পাকিস্তানিরা বলবে, আলোচনা চলা অবস্থাতেই শেখ মুজিব নতুন পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। এ অজুহাত তুলেই তারা নিরস্ত্র বাঙালির ওপর সামরিক হামলা চালাবে।’ এ অবস্থায় বেগম মুজিব পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘আপনি ছাত্রনেতাদের বলুন আপনার হাতে পতাকা তুলে দিতে। আপনি সেই পতাকা বত্রিশ নম্বরে ওড়ান। কথা উঠলে আপনি বলতে পারবেন, আপনি ছাত্রজনতার দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন।’ বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে জাতির অভিভাবক হয়ে গৃহিণী থেকে একজন কৌশলী, অভিজ্ঞ, সচেতন নেতা হয়ে দিকনির্দেশনা দিতেন বঙ্গমাতা। ছয় দফার সমর্থনে লিফলেট বিতরণ করতেন, নিজের অলংকার বিক্রি করে দলের তহবিল জোগাতেন, নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিতেন, তাদের সমস্যা শুনতেন।  বঙ্গমাতার জ্যেষ্ঠ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়গুলো কারান্তরালে কাটিয়েছেন বছরের পর বছর। তার অবর্তমানে মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করা, দলকে সংগঠিত করা, আন্দোলন পরিচালনা করা- প্রতিটি কাজে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বেগম মুজিব। তিনি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের বলিষ্ঠ সংগঠক ছিলেন নেপথ্যে থেকে। বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও সংগ্রামের সব অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।’ তিনি বলেন, ‘আমার মা ৭ জুন হরতাল (ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচির সমর্থনে ১৯৬৬ সালে দেশব্যাপী হরতাল) সফল করার পেছনে অবদান রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে, কীভাবে আন্দোলন করতে হয় এবং সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হয় তা তিনি জানতেন।’ বাঙালির স্বাধীনতার ঘোষণা- ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গমাতার অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’ বইয়ে লিখেছেন– বাসায় গিজগিজ করছে মানুষ। বেগম মুজিব সবাইকে তাদের ঘর থেকে বাইরে যেতে বললেন। ঘরে তখন বঙ্গবন্ধু বেগম মুজিব আর হাসিনা। তিনি বললেন, তুমি দশটা মিনিট শুয়ে রেস্ট নাও। শেখ হাসিনার ভাষায়– ‘আমি মাথার কাছে, মা মোড়াটা টেনে নিয়ে আব্বার পায়ের কাছে বসলেন। মা বললেন, মনে রেখো, তোমার সামনে লক্ষ মানুষের বাঁশের লাঠি। এই মানুষগুলোর নিরাপত্তা এবং তারা যেন হতাশ হয়ে ফিরে না যায় সেটা দেখা তোমার কাজ। কাজেই তোমার মনে যা আসবে তাই তুমি বলবা। কারও কোনো পরামর্শ দরকার নেই। তুমি মানুষের জন্য সারাজীবন কাজ করো, কাজেই কী বলতে হবে তুমি জানো। এত কথা, এত পরামর্শ কারও কথা শুনবার তোমার দরকার নেই। এই মানুষগুলোর জন্য তোমার মনে যেটা আসবে সেটা তুমি বলবা।’ একজন পরিপূর্ণ ও সর্বগুণসম্পন্না মহীয়সী নারী ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। মাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তার কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা লিখেছেন- জ্ঞান হওয়ার পর থেকে দেখে আসছি, আমার বাবা কারাবন্দি। মা তার মামলার জন্য উকিলদের সঙ্গে কথা বলছেন, রাজবন্দি স্বামীর জন্য রান্না করে নিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামের শ্বশুর-শাশুড়ি ও আত্মীয়স্বজনের খবরাখবর রাখছেন। আবার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। যারা বন্দি তাদের পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে টাকাও পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কারাগারে দেখা করতে গিয়ে স্বামীর কাছে বাইরের সব খবর দিচ্ছেন এবং তার কথাও শুনে আসছেন। কাউকে জানানোর থাকলে ডেকে জানিয়েও দিচ্ছেন। এরপর আছে তার ঘর-সংসার। এরমধ্যে ছেলেমেয়েদের আবদার, লেখাপড়া, অসুস্থতা, আনন্দ-বেদনা সবকিছুর প্রতিও লক্ষ্য রাখতে হয়। এতকিছুর পরও তার নিজের জন্য সময় খুঁজে নিয়ে তিনি নামাজ পড়ছেন, গল্পের বই পড়ছেন, ছেলেমেয়েদের সঙ্গে গল্প করছেন। কী ভীষণ দায়ভার বহন করছেন! ধীরস্থির এবং প্রচণ্ডরকম সহ্যশক্তি তার মধ্যে ছিল। বিপদে, দুঃখ-বেদনায় কখনো ভেঙে পড়তে দেখিনি। বরং সেখান থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজতে চেষ্টা করেছেন- এটাই ছিল তার চরিত্রের দৃঢ়তা, তার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ। শত বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও বঙ্গমাতার অতুলনীয় অবদানে বাঙালি জাতির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আসলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে মনোযোগ দেন বঙ্গবন্ধু। আর তাকে সবসময় পাশে থেকে পরামর্শ দিতেন বঙ্গমাতা।রাষ্ট্রপতির স্ত্রী হয়েও তিনি সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। সুতি কাপড় পরতেন। নিজেই সংসারের সব কাজ করতেন। কারণ তিনি ভোগবিলাসে বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি ছিলেন ত্যাগে বিশ্বাসী। দেশ যখন এগিয়ে চলছিল তখনই ’৭১-এর পরাজিত শক্তি চক্রান্ত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে জাতির পিতাকে হত্যা করতে, ১৫ই আগস্টের কালো রাতে মীরজাফরের প্রেতাত্মা, ’৭১-এর পরাজিত হায়েনাদের এ দেশীয় দোসররা সপরিবারে হত্যা করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তারই সাথে হত্যা করা হয় মহীয়সী নারী, বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী, রত্নগর্ভা, বাঙালি জাতির মা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে। ঘাতকরা জানত বঙ্গমাতাকে বাঁচিয়ে রাখলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। বঙ্গবন্ধুর জেলজীবনে যেভাবে বঙ্গমাতা দেশকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বঙ্গমাতা তার লাখো কোটি সন্তানকে নিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আর তাই বঙ্গমাতাকেও হত্যা করে অভিশপ্ত মীরজাফরের উত্তরসূরিরা।  
২২ আগস্ট, ২০২৩
X