স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীরা মুখ্য ভূমিকা রাখবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান। আমাদের সরকার সবসময়ই প্রকৌশলীদের পাশে রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীরা অন্যতম মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর ৬১তম কনভেনশন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি’ যথার্থ হয়েছে। এবারের জাতীয় সেমিনারের বিষয়বস্তু হচ্ছে- ‘দি ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফর্মিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’। এটা আমাদের সরকার ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ ও ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়ন সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ, গভীর সমুদ্রবন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, আইসিটি খাতের উন্নয়ন, তেল-গ্যাস-কয়লাসহ প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রকৌশলীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।
৭ মিনিট আগে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট সাংবাদিকদের
সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছেন ব্যাংক রিপোর্টাররা। গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার পরপরই সাংবাদিকরা ওয়াকআউট করেন। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যাংক রিপোর্টাররা। তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে টিআইবি, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ, ইআরএফ, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজে নিন্দা জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে এমন অলিখিত নিষেধাজ্ঞা স্বাধীন সাংবাদিকতা, গণতন্ত্র এবং মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি বলে মনে করছে সংগঠনগুলো। এদিন দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকরা জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য সংগ্রহে প্রবেশ ইস্যুর বিষয়ে সুরাহা হয়েছে কি না। সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে সংবাদ সম্মেলনটি বর্জনের ঘোষণা দেন অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকরা।
৯ ঘণ্টা আগে

তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
শর্ত মেনে নেওয়ায় বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুত ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংস্কার পর্যালোচনা করে ঋণ ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন সংস্থাটির ঢাকা সফররত কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে আইএমএফ কার্যালয়ে ইতিবাচক সুপারিশ পাঠিয়েছেন তারা। সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন পেলে শিগগির বাংলাদেশকে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার দেওয়া হবে। ১৫ দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফ কর্মকর্তা পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আর্থিক খাতে কিছু সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে বিনিময় হারের পুনর্বিন্যাস, ক্রলিং পেগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং খুচরা সুদের হারের সম্পূর্ণ উদারীকরণ পদক্ষেপ রয়েছে। দেশীয় প্রেক্ষাপটে এগুলো বেশ সমালোচনামূলক হলেও দীর্ঘমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নে এই উদ্যোগগুলো সঠিক। তবে দ্রুত কার্যকর সুফল পেতে হলে এসব সংস্কার কর্মসূচির আরও গতি বৃদ্ধি এবং চলমান প্রচেষ্টা বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আইএমএফ আগের মতোই বাংলাদেশের পাশে থাকবে। ক্রিস পাপাজর্জিও দাবি করেন, বাংলাদেশ আইএমএফ সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় কাঠামোগত সংস্কারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর মধ্যে পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আলোকে জ্বালানি মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তা সত্ত্বেও, বৈশ্বিক সংকট, আর্থিক অবস্থার কঠোরতা এবং এখনো উচ্চতর আন্তর্জাতিক পণ্য এবং খাদ্যের দামবৃদ্ধির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নানা দুর্বলতা যোগ হয়েছে। এসবের প্রভাবে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ক্রমাগত উচ্চহারে এবং নিম্নহারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি নিয়ে একটা শঙ্কা রয়েছে। তবে আইএমএফ আশা করছে, সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে এটা আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ শতাংশ এবং তার পরের অর্থবছর ৫.৫ শতাংশে নেমে আসবে; কিন্তু চলমান ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় তার জন্য সরকারকে ভিন্ন উপায়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে বাজেটারি ব্যবস্থায় সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যকর পদক্ষেপ জোরদারে পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ স্টাফ মিশন। আইএমএফ মিশন প্রধান আরও জানান, একইভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য ও খাদ্যমূল্যের বর্ধিত দাম এবং বাংলাদেশের চাহিদাযোগ্য বেশিরভাগ পণ্য আমদানিনির্ভর হওয়ায় বেশি করে ডলার খরচ করতে হচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে চাপ পড়ছে। আইএমএফের পর্যবেক্ষণ বলছে, রিজার্ভে এই ঘাটতি পরিস্থিতি আগামী অর্থবছরও অব্যাহত থাকবে। সেক্ষেত্রে কীভাবে রিজার্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশ উন্নতি করতে পারে, সেই পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনায় সেই লক্ষ্যে আইএমএফের মানদণ্ড অনুযায়ী নিট রিজার্ভের শর্তেও বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছুটা রিলাক্স দেওয়া হয়েছে। ব্রিফিংয়ে মিশন প্রধান ক্রিস জোর দিয়ে বলেন, আইএমএফের পলিসি অ্যাকশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হতে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বাস্তবতায় চলমান আমদানি সংকোচন এবং নীতি কঠোরকরণের কারণে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.৪ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে। একইভাবে যা ২০২৪-২৫ অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হতে পারে। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আইএমএফ মনে বাংলাদেশের সামাজিক কল্যাণ ও উন্নয়ন উদ্যোগের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এর জন্য নিম্ন কর থেকে জিডিপি অনুপাত উচ্চতর স্তরে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা জরুরি। এই লক্ষ্যে কর রাজস্ব বাড়ানোর জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে বাস্তবসম্মত করনীতি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। যাতে প্রতি বছর জিডিপির ০.৫ শতাংশ হারে কর জিডিপির বাড়ানো সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে কার্যকর একটি মাধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব কৌশল থাকতে হবে। ভর্তুকি হ্রাস করতে হবে। ব্যয় দক্ষতার উন্নতি ঘটাতে হবে। আর্থিক ঝুঁকিগুলোও চিহ্নিত করতে হবে। এ ছাড়া ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা হ্রাস উদ্যোগকে আইএমএফ সবসময় অগ্রাধিকার দেয়। এর জন্য নন-পারফর্মিং ঋণ হ্রাস কৌশল বাস্তবায়নের উদ্যোগকে আরও সুনির্দিষ্ট ও গতিশীল হওয়া উচিত। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত আর্থিক খাতকে উন্নত করার জন্য ঝুঁকিভিত্তিক কার্যক্রমে নজরদারি অব্যাহত রাখা। এর জন্য সুশাস, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের কাঠামোর উন্নতির জন্য আইনি সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে। একইভাবে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদায় পৌঁছাতে সরকার যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য করার রাখার সংস্কারের গতি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণ, আরও বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নতিরও কথাও বলছে আইএমএফ। উল্লেখ্য, আইএমএফ প্রতিনিধিদলটি ঢাকা সফরের পুরো সময় বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির মূল্যায়ন করেছে। এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে।
৯ ঘণ্টা আগে

৬০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে বুটেক্সের প্রথম দিনের ভর্তি সম্পন্ন
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৮ মে) প্রথম দিনের ভর্তি কার্যক্রম শেষে ৬০ শতাংশ আসন ফাঁকা রয়েছে। দশটি বিভাগের অধীনে মোট ৬১০ আসন পূরণের জন্য মেধাক্রম ১ থেকে ২০০০ পর্যন্ত এবং মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতি কোটায় শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য ডাকা হয়। যার মধ্যে ভর্তি হয় ২৪১ জন শিক্ষার্থী। এতে আসন ফাঁকা রয়েছে ৩৬৯টি। এদিকে আশানুরূপ শিক্ষার্থী না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে চলছে সমালোচনার ঝড়। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ, ভর্তির দিন নির্ধারণ, এক দিনে অনেক বেশি শিক্ষার্থী ডাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। ভর্তিচ্ছুদের অনেকে দোটানায় পড়ে আসন পাওয়ার অনিশ্চয়তায় ভর্তি হতে পারেনি। একাধিক সূত্র হতে জানা গেছে, অন্যান্য বছরে ১৫০০ থেকে ১৮০০ মেরিট লিস্টের মধ্যে আসন সম্পন্ন হয় বুটেক্সে। যদিও তখন একাধিক দিনে ভর্তি কার্যক্রম চলত। এ বছর একাধিক দিন ভর্তি কার্যক্রম যেন না হয়ে প্রথম দিনে ৬০০ আসন পূরণ হয় সেজন্য ২ হাজার শিক্ষার্থী ডাকা হয়। কিন্তু একই দিনে প্রকৌশল গুচ্ছে (চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট) দ্বিতীয় পর্যায়ে ভর্তি কার্যক্রম চলায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা বুটেক্সে আসন পাবে কিনা সন্দিহানে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়। আসন ফাঁকা থাকা এবং কম শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার আপডেট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানার পর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যারা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে তারাও বুটেক্সে ভর্তি হতে না পেরে এবং একই দিনে কেন এত বেশি শিক্ষার্থী ডাকা হলো তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বুটেক্স ও প্রকৌশল গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিনে ভর্তি কার্যক্রম চলায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক হয়রানির শিকার হয়েছেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ফাহাদ বলেন, আমার বুটেক্সে মেধাক্রম ১৮শ এর কাছাকাছি। আবার প্রকৌশল গুচ্ছেও ২য় পর্যায়ে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আগের বছরগুলোয় বুটেক্সে সাধারণত মেধাক্রম ১৫০০-১৬০০ তে প্রায় শেষ হয়ে যেত তাই বুটেক্সে সাবজেক্ট আসবে না মনে করে চুয়েটে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু এখন দেখছি যদি বুটেক্সে উপস্থিত থাকতে পারতাম এখানেই সাবজেক্ট পেতাম। পড়ার ইচ্ছা ছিল বুটেক্সে কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে ভর্তি হতে পারলাম না। উল্লেখ্য, বুটেক্সের ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ১৭ এপ্রিল এবং প্রকৌশল গুচ্ছের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ৩০ এপ্রিল।
১৬ ঘণ্টা আগে

বাজে ফর্মে থাকা লিটন-শান্তর র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনতি
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন কুমার দাস যে বাজে ফর্মের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তা বোঝার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হতে হয়না। বারবার ব্যর্থ হওয়া এই ব্যাটার কোন যুক্তিতে দলে আছেন এই নিয়েও প্রশ্ন তুলছে অনেকেই। এত সমালোচনার মধ্যে আরও একটি দুঃসংবাদ পেলেন এই ব্যাটার আইসিসির সদ্য প্রকাশিত টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন হয়েছে ডানহাতি এই ব্যাটারের। এর আগের মাসের প্রকাশিত আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে লিটনের অবস্থান ছিল ২৯ নম্বরে। তবে লঙ্কানদের সাথে সিরিজের পর চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ব্যর্থতার বৃত্তে থাকায় সেই জায়গা থেকেও দুই ধাপ অবনমন হয়ে তিনি নেমে গেছেন ৩১ নম্বরে। একই অবস্থা হয়েছে এই সিরিজে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের দলপতি নাজমুল হোসেন শান্তরও। দুই ধাপ পিছিয়ে ৩২ নম্বর থেকে ৩৪ নম্বরে নামতে হয়েছে টাইগারদের অধিনায়ককে।     তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতার এই সিরিজে ব্যতিক্রম তাওহীদ হৃদয়। জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাকিরা ব্যর্থ হলেও দারুণ ব্যাটিং করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। সিরিজে সর্বোচ্চ রানের মালিকও তিনি। দারুণ ব্যাটিংয়ের প্রভাব পড়েছে তার র‍্যাঙ্কিংয়েও। বড় লাফে প্রথমবারের মতো ব্যাটারদের তালিকায় সেরা ১০০ এর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন হৃদয়। নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে ২৬ ধাপ এগিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। অস্ট্রেলিয়ার বেন ম্যাকডারমটের সঙ্গে যৌথভাবে ৯০ নম্বরে আছেন তিনি। দুই ধাপ এগিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৮১ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। এছাড়াও দুই ধাপ পিছিয়েছেন দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা সাকিব আল হাসানও। কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে ৭২তম স্থানে রয়েছেন তিনি। তবে অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছেন সাকিব। এদিকে ব্যাটারদের ব্যর্থতার মধ্যেও বোলাররা দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন । বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ তার বোলিং দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। বোলারদের নৈপুণ্যেই বলতে গেলে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়েও যার প্রভাব পড়েছে। জিম্বাবুয়ে সিরিজে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ৩ ম্যাচে ৮.৮ গড়ে ৬ উইকেট শিকার করা তাসিকন আহমেদ টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারসেরা রেটিং অর্জন করেছেন। নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে ছয় ধাপ এগিয়েছেন তিনি। হালনাগাদকৃত র‍্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি বোলারদের তালিকার ২৬ নম্বরে উঠে এসেছেন তাসকিন। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার সেরা র‍্যাঙ্কিং। তাসকিনের মতো মেহেদীও সুখবর পেয়েছেন। প্রথম দুই ম্যাচে ৩ উইকেট শিকার করায় তিনিও ছয় ধাপ এগিয়েছেন। নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদির সঙ্গে যৌথভাবে ২২ নম্বরে আছেন মেহেদী।
১৭ ঘণ্টা আগে

২০২৬ সালে অর্থনৈতিক সংকট প্রকট হতে পারে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
২০২৬ সালে অর্থনীতির সংকট আরও প্রকট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এর কারণ সরকারকে বৈদেশিক ঋণ ও স্থানীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে। মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর মুনাফা ও বিদেশি এয়ারলাইন্সের পাওনা দিতে পারছে না। একের পর এক সিদ্ধান্তহীনতা ও অনিশ্চয়তায় পুরো ব্যাংক খাত ভুগছে। সিপিডির এই ফেলো বলেন, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশে সরকার অনেক বেশি সংবেদনশীল। এটা সরকারের জন্য ভালো নয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশে বাধ্য। কিন্তু সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তথ্যে প্রবেশাধিকার কমে যাওয়ায় নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের তথ্য দেওয়া হলে বাজারে প্রভাব পড়ে, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। আগে দেশে তথ্য-উপাত্তের নৈরাজ্য ছিল, এরপর শুরু হয় অন্ধত্ব। এখন দেখা যাচ্ছে, তথ্য-উপাত্তের অপঘাত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে সম্প্রতি যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, এটা তারই প্রমাণ।  তিনি বলেন, সুবিধাভোগীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি অনেক বেশি। তাই তাদের মোকাবিলা করা যাচ্ছে না। একদিকে তথ্য লুকিয়ে রাখা হবে, আরেক দিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চিন্তা করা হবে, এ দুটি সাংঘর্ষিক।  তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির আয়তনের তুলনায় বাজেটে বরাদ্দ বাড়েনি। মুদ্রানীতি এবং আর্থিক নীতির মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। সমন্বয় পদ্ধতি অনেকটা বিকল হয়ে গেছে। বিদেশি ঋণ পরিশোধে দেশের গর্বের জায়গায় ফাটল ধরিয়েছে সরকার। গত কয়েক মাসে ৫ বিলিয়ন টাকা পরিশোধ করতে পারছে না।  তথ্যের অপঘাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনামের হানি হচ্ছে উল্লেখ করে দেবপ্রিয় বলেন, তথ্য-উপাত্তের বড় উৎস বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যের আগে রপ্তানি-আমদানিসহ আর্থিক সূচকের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম আমরা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরা তথ্য পাচ্ছে অথচ সাংবাদিকরা পাচ্ছে না। এ সময় তিনি বলেন, এখন শোনা যাচ্ছে রেমিট্যান্সের টাকা দিয়ে স্থানীয় শিল্প মালিকরা বিদেশে শিল্পের কাঁচামাল কিনছেন। এভাবে ২ বা ৩ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে রেমিট্যান্স বাড়ানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে আরও নমনীয় হতে হবে। সুদহারেও নমনীয়তা আনতে হবে। মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতি সমন্বয় করার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা রয়েছে, সেটা দূর করতে হবে অর্থনীতির স্বার্থে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ। 
০৭ মে, ২০২৪

জিম্বাবুয়েও ফর্মে ফেরাতে পারছে না লিটনকে 
আর মাত্র ২৫ দিন পরেই মাঠে গড়াবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপের নবম আসর। ২০ দলের বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দলগুলো। নিজেদের শক্তিমত্তা মাথায় রেখে দল সাজাতে ব্যস্ত সবাই। তবে এর মধ্যেও দল সাজাতে বেগ পেতে হচ্ছে টাইগারদের টিম ম্যানেজমেন্টের। তাদের মাথাব্যাথার কারণের নাম টাইগারদের ওপেনিং ব্যাটার ও উইকেটকিপার লিটন দাসের অফফর্ম। শত চেষ্টার পরও ঠিক ফর্মে ফিরতে পারছে না এই ডানহাতি ব্যাটার। মাত্র দুই বছর আগেই ক্রিকেটে বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটেই ভরসার অন্যতম বড় নাম ছিলেন লিটন কুমার দাস। টাইগারদের এই উইকেটকিপার ব্যাটার অবশ্য গত বছর থেকেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। চলতি বছরে বাজে ফর্মের সব সীমা অতিক্রম করে গেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। ২০২৪ সালে খেলা প্রতি ম্যাচেই ব্যাট হাতে হয়েছেন ব্যর্থ। বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সফরে আসে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। লঙ্কানদের বিপক্ষে পুর্ণাঙ্গ এই সিরিজে যথারীতি ব্যর্থ তিনি। তিন টি-টোয়েন্টি, দুই ওয়ানডে ও দুই টেস্টের চার ইনিংসে মিলে ১২০ রান করেছেন তিনি। তার মতো একজন ব্যাটারের কাছ থেকে এরকম ব্যাটিং পাওয়া হতাশার।    এমনকি লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজে টানা ব্যর্থতায় তৃতীয় ওয়ানডের দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তাকে। টেস্ট সিরিজে ফেরানো হলেও যথারীতি ব্যর্থ। এরপরও জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট তার উপর ভরসা রেখে বিশ্বকাপের আগের জিম্ববুয়ে সিরিজে তাকে সুযোগ দেয়ে। তবে এই সুযোগও লুফে নিতে ব্যর্থ তিনি। অতীতে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলের অফফর্মে থাকা ব্যাটাররা ফর্মে ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের সাথে ম্যাচ খেলে। পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশ দলের বেশির ভাগ ব্যাটারই জিম্বাবুয়ের মতো দলের সাথে খেলা পছন্দ করে। এমনকি দেখা গেছে অনেকেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো খেলে আত্মবিশ্বাসও ফেরত পেয়েছে। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট আশা করছিল লিটনের ক্ষেত্রেও একই দৃশ্য দেখা যাবে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টকে হতাশই করলেন এই ব্যাটার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই দলে জায়গা পেয়েছেন লিটন। তবে তিন ম্যাচের তিন ইনিংসে তার রান এসেছে যথাক্রমে ১,২৩ ও ১২। টানা তিন ম্যাচের ব্যর্থ হওয়ার পাশাশাশি তার আউট হওয়ার ধরণও ভাবিয়ে তুলবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। সফরকারী জিম্বাবুয়ের বোলারদের সামনে রীতিমতো অসহায় মনে হয়েছে লিটনকে। প্রথম ম্যাচে ঢুকে পড়া বলে স্টাম্প হারিয়েছেন আর দ্বিতীয় ম্যাচে টি-টোয়েন্টির জায়গায় ওয়ানডে মেজাজে খেয়ে আউট হয়েছেন। তৃতীয় ম্যাচে তার আউটটি আরও দৃষ্টিকটু।  মুজারাবানির করা চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় বলে স্কুপ খেলতে গিয়ে ব্যাটে পাননি লিটন। চতুর্থ বলে একই চেষ্টা করতে গিয়ে দৃষ্টিকটু ভাবে নিজের স্টাম্প হারিয়েছেন। এতো বাজে ভাবে আউটে বাংলাদেশের এই ওপেনারের রান খড়া আরও দীর্ঘায়িত হলো। লিটনের এই বাজে ফর্ম নির্ঘাত ভাবে ভাবিয়ে তুলবে জাতীয় দলের নির্বাচকদের। এখনই প্রশ্ন উঠছে অফ ফর্মে থাকা এই ব্যাটারের বোঝা আর কতদিন বইবে বাংলাদেশ দল?         
০৭ মে, ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা / ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাকে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’ বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, অনেক তথ্য-উপাত্ত আগে অন্য কোথাও না পাওয়া গেলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে পাওয়া যেত। এখন সেটাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার বর্তমান পরিস্থিতিতে তথ্য-উপাত্তের ক্ষেত্রে আমি আগে বলেছিলাম বাংলাদেশে তথ্য উপাত্তের নৈরাজ্য চলছে। তথ্য-উপাত্তের অন্ধত্ব এসেছে। এখন আমি বলব তথ্য উপাত্তের অপঘাত হয়েছে। এটার সর্বশেষ প্রমাণ হলো বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। অনেকেই বলেন বাংলাদেশের অনেক বড় গর্বের জায়গা আমরা কোনোদিন ঋণ খেলাপি হইনি। তাহলে পাঁচ বিলিয়ন তো দিতে পারছেন না দীর্ঘদিন হচ্ছে। তেল আমাদানি করেছেন তার টাকা দিতে পারছেন না, বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন তাদের মুনাফার টাকা দিতে পারছেন না। তিনি বলেন, আপনার সেই গর্বের জায়গা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছেন। অথচ এই তথ্য-উপাত্তগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আসত, অথচ সেখানে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। এখন ডালটা মুশুরের ডাল না কি মুগের ডাল বুটের ডাল না কি সব ডালেই সমস্যা হয়েছে সেটা বুঝতে হবে। আপনারা ডিজিটাল বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন তার থেকে এটা সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, এর আগে দেশের মধ্যে তথ্য-উপাত্তের নৈরাজ্য ছিল। এখন তথ্য-উপাত্তের অপঘাত হয়েছে। সবশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তারই প্রমাণ। জনমানুষ প্রত্যাশার জায়গা, তথ্য-উপাত্তের বড় স্তম্ভ বাংলাদেশ ব্যাংক। আমরা বিবিএসর তথ্যের আগেই রপ্তানি-আমদানিসহ আর্থিক সূচক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের ওপরে নির্ভর ছিলাম। এখন কেনো তথ্যের অপঘাত করা হলো, এতে সুনাম হানি ঘটবে বাংলাদেশ ব্যাংকের। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, তথ্য কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না। আজ ব্যবসায়ীরা তথ্য পাচ্ছে অথচ সাংবাদিকরা পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীকে তথ্য দিলেতো বাজার এর প্রভাব পড়ে, দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। তার প্রবিধি দিয়ে সচ্ছতা-জবাবদিহিতা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করতে পারে। তবে সাংবাদিকদের সেখানে প্রবেশ করতেই দেওয়া হচ্ছে না। কেনো তথ্য প্রকাশ হলে বড় ধরনের নাশকতা হবে? নাশকতাকারী কি অর্থনৈতিক সাংবাদিক?  তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য-উপাত্তের শক্তিশালী জায়গা ছিল। বিশ্বাস যোগ্যতার বড় স্তম্ভ ছিল এটা। আমরা আমদা-রপ্তানিসহ অনেক তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপরে নির্ভর ছিলাম। তথ্য কেনো দেওয়া হবে না, আবার দেওয়া হতেও পারে। হয়তো এক মাসের আগের তথ্যটা ৬ মাস পর দেওয়া হতে পারে। আগে তথ্য দেওয়া হতো আর এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করছে, না কি তারা কোনো উচ্চপর্যায় থেকে নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনামহানী হবে।  সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন স্মরণে তিনি বলেন, ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সদ্যপ্রয়াত সম্পাদক এএইচএম মোয়াজ্জেম হোসেন পুরোপুরি পেশাদার ও পরিশুদ্ধ সাংবাদিক ছিলেন। সততা, নৈতিকতার সঙ্গে পুরোপুরি পক্ষপাতহীনভাবে সবসময় দায়িত্ব পালন করেছেন। আর অর্থনীতির সাংবাদিকতায় তিনি পুরোধা ছিলেন।
০৭ মে, ২০২৪

ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী
চাল, শাকসবজি, আমসহ অনেক ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অব্যাহত কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে ২০০৯ সাল থেকে কৃষি উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে এবং কিছু শাকসবজি, ফলমূল ও মাছ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। কৃষিখাতে বিশাল ভর্তুকি প্রদান, গবেষণার মাধ্যমে কৃষিতে উদ্ভাবন, আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।  সোমবার (০৬ মে) সন্ধ্যায় নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চে ‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এখন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগারের অভাব ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বা ভ্যালু চেইন ব্যবস্থা শক্তিশালী না হওয়ায় ফসল তোলার পর অনেক অপচয় হচ্ছে। এতে কৃষকরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।  তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৃষিখাত আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বাংলাদেশের কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে টেকসই ও লাভজনক করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের কিছু যুগান্তকারী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশে প্রবর্তন করা হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাস কৃষি উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক অংশীজন ও কৃষি ব্যবসায়ীদের নিকট বাংলাদেশের কৃষিখাতের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি এ অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, কৃষি বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি খাতের ২০০ এর বেশি প্রতিনিধি এ আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কৃষিখাতকে ঝুঁকিমুক্ত, টেকসই, লাভজনক এবং প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য টেকসই করতে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান বৈশ্বিক অংশীদাররা। নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ গোলটেবিল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন। কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য রেন্স বোচওয়াল্ড, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।   বাংলাদেশের কৃষিতে ফসলের আরও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এবং গবেষণায় দক্ষতার ঘাটতি পূরণ- এই চারটি বিষয়ের উপর আলোচনা সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনা শেষে ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা হয়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে পাইলট ভিত্তিতে কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে।
০৭ মে, ২০২৪

ভারতের টি-টোয়েন্টির জবাবে বাংলাদেশের ‘ওয়ানডে’
চলতি বছর অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। সেই প্রস্তুতির লক্ষ্যে বাংলাদেশের নারী দল পাঠিয়েছে ভারত। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে সিলেটে রয়েছে হারমানপ্রিত করের দল। তবে একের পর এক ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভেস্তে যাচ্ছে ভারতীয় নারী দলের প্রস্তুতি। তবে নিজেদের প্রস্তুতির ধারটা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় নারী দল। দুই দিক থেকে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগছে বাংলাদেশের নারী দল। কোনো ব্যাটার নিয়মিতভাবে পাচ্ছেন না রান। আরও কারও ব্যাটে উঠছে না ঝড়। ভারতীয় দলের টি-টোয়েন্টির জবাবটা ওয়ানডে ক্রিকেটে দিচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। টানা তিন হারে আগেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের। সোমবার বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ ম্যাচে দেখা মেলে একই চিত্রের। ১৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১২২ রান করে ভারত। ওভার প্রতি ৮.৭২ গড়ে রান তোলে ভারতীয় ব্যাটাররা। অন্যদিকে পুরো ১৪ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ তুলে মাত্র ৬৮ রান। এই রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেরে জ্যোতিরা। বাংলাদেশের রান তোলার গতি ছিল ৪.৮৫। বৃষ্টির মতো চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। চতুর্থ ম্যাচে সব মিলিয়ে ১৪ চারের বিপরীতে ছক্কা হয়েছে ৩টি। অন্যদিকে বাংলাদেশের ইনিংসে সব মিলিয়ে ৭টি চারের মার থাকলেও ছক্কার নেই একটিও। এর আগের তিন ম্যাচেও ছিল একই চিত্র। চতুর্থ ম্যাচে ৫৬ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় বাংলাদেশ নারী দল। আগামী বৃহস্পতিবার সিলেটেই হবে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
০৭ মে, ২০২৪
X