আর মাত্র ২৫ দিন পরেই মাঠে গড়াবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপের নবম আসর। ২০ দলের বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দলগুলো। নিজেদের শক্তিমত্তা মাথায় রেখে দল সাজাতে ব্যস্ত সবাই।
তবে এর মধ্যেও দল সাজাতে বেগ পেতে হচ্ছে টাইগারদের টিম ম্যানেজমেন্টের। তাদের মাথাব্যাথার কারণের নাম টাইগারদের ওপেনিং ব্যাটার ও উইকেটকিপার লিটন দাসের অফফর্ম। শত চেষ্টার পরও ঠিক ফর্মে ফিরতে পারছে না এই ডানহাতি ব্যাটার।
মাত্র দুই বছর আগেই ক্রিকেটে বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটেই ভরসার অন্যতম বড় নাম ছিলেন লিটন কুমার দাস। টাইগারদের এই উইকেটকিপার ব্যাটার অবশ্য গত বছর থেকেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন।
চলতি বছরে বাজে ফর্মের সব সীমা অতিক্রম করে গেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। ২০২৪ সালে খেলা প্রতি ম্যাচেই ব্যাট হাতে হয়েছেন ব্যর্থ। বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সফরে আসে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। লঙ্কানদের বিপক্ষে পুর্ণাঙ্গ এই সিরিজে যথারীতি ব্যর্থ তিনি। তিন টি-টোয়েন্টি, দুই ওয়ানডে ও দুই টেস্টের চার ইনিংসে মিলে ১২০ রান করেছেন তিনি। তার মতো একজন ব্যাটারের কাছ থেকে এরকম ব্যাটিং পাওয়া হতাশার।
এমনকি লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজে টানা ব্যর্থতায় তৃতীয় ওয়ানডের দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তাকে। টেস্ট সিরিজে ফেরানো হলেও যথারীতি ব্যর্থ। এরপরও জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট তার উপর ভরসা রেখে বিশ্বকাপের আগের জিম্ববুয়ে সিরিজে তাকে সুযোগ দেয়ে। তবে এই সুযোগও লুফে নিতে ব্যর্থ তিনি।
অতীতে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলের অফফর্মে থাকা ব্যাটাররা ফর্মে ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের সাথে ম্যাচ খেলে। পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশ দলের বেশির ভাগ ব্যাটারই জিম্বাবুয়ের মতো দলের সাথে খেলা পছন্দ করে। এমনকি দেখা গেছে অনেকেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো খেলে আত্মবিশ্বাসও ফেরত পেয়েছে। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট আশা করছিল লিটনের ক্ষেত্রেও একই দৃশ্য দেখা যাবে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টকে হতাশই করলেন এই ব্যাটার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই দলে জায়গা পেয়েছেন লিটন। তবে তিন ম্যাচের তিন ইনিংসে তার রান এসেছে যথাক্রমে ১,২৩ ও ১২। টানা তিন ম্যাচের ব্যর্থ হওয়ার পাশাশাশি তার আউট হওয়ার ধরণও ভাবিয়ে তুলবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। সফরকারী জিম্বাবুয়ের বোলারদের সামনে রীতিমতো অসহায় মনে হয়েছে লিটনকে। প্রথম ম্যাচে ঢুকে পড়া বলে স্টাম্প হারিয়েছেন আর দ্বিতীয় ম্যাচে টি-টোয়েন্টির জায়গায় ওয়ানডে মেজাজে খেয়ে আউট হয়েছেন। তৃতীয় ম্যাচে তার আউটটি আরও দৃষ্টিকটু।
মুজারাবানির করা চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় বলে স্কুপ খেলতে গিয়ে ব্যাটে পাননি লিটন। চতুর্থ বলে একই চেষ্টা করতে গিয়ে দৃষ্টিকটু ভাবে নিজের স্টাম্প হারিয়েছেন। এতো বাজে ভাবে আউটে বাংলাদেশের এই ওপেনারের রান খড়া আরও দীর্ঘায়িত হলো।
লিটনের এই বাজে ফর্ম নির্ঘাত ভাবে ভাবিয়ে তুলবে জাতীয় দলের নির্বাচকদের। এখনই প্রশ্ন উঠছে অফ ফর্মে থাকা এই ব্যাটারের বোঝা আর কতদিন বইবে বাংলাদেশ দল?
মন্তব্য করুন