শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
শ্রীমঙ্গলে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (৫ মে)  শ্রীমঙ্গল শহরের সোনার বাংলা রোড, নতুনবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বাজার তদারকি ও অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযানে দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা না রাখা, প্যাকেটজাত পণ্যের গায়ে মূল্য, উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে জরিমানা করা হয়। সোনার বাংলা রোডে অবস্থিত রাহী আইসক্রিমকে ১৫ হাজার টাকা, নতুন বাজারে অবস্থিত দেবাশীষ স্টোরকে ১ হাজার টাকা, নীলকান্ত স্টোরকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়। অভিযানে মোট ৩টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১৭ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ন্যায্যমূল্যে পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
০৫ মে, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিতে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর অপরাধ ধরা পড়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে  বিভিন্ন গার্মেন্টস, কাপড় ও মিষ্টি বিক্রির দোকানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউমার্কেটর মেসার্স হৃদয় ফ্যাশন নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে নির্ধারিত লাভের অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন কাপড় বিক্রি ও পণ্যের ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধ ধরা পড়ে। তাই ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আকতার হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ও ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া মেসার্স আজিজ বস্ত্রালয়ের মালিক আজিজ মাকসুদকে নির্ধারিত লাভের অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন জামাকাপড় বিক্রির অপরাধে ৪০ ধারায় ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।    অন্যদিকে শহরের প্রিন্স প্লাজায় মেসার্স স্টাইল ওয়ান প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে ৭৫০ টাকা মূল্যের একটি শার্টে ২ হাজার ৮৫০ টাকা ট্যাগ লাগানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৭৫০ টাকা দিয়ে কেনা শার্টে ২ হাজার ১০০ টাকা লাভ করা হয়েছে। ইচ্ছেমতো অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক এ.কে.এম. আলিমুজ্জামানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় সেখানকার ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয়। এ ছাড়া শহরের কবরী রোডে মেসার্স ভাই ভাই ফুসকা হাউসকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রির অপরাধে ৫১ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া খন্দকার সুইটস, মিঠাইবাড়ী, সাম্পানসহ মিষ্টি বিক্রি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঈদে কোনোপ্রকার শর্ত দিয়ে পণ্য বিক্রি ও মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তদারকি কাজে সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা পুলিশের একদল সদস্য।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

বাজার স্বাভাবিকে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মূল্য এবং বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। ব্যবসায়ী ও ভোক্তার সম্মিলিত সহযোগিতা এই উদ্যোগকে আরও টেকসই ও ফলপ্রসূ করবে বলে জানায় সংগঠনটি।    মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর আমদানি, মজুত, সরবরাহ, মূল্য ও বাজার পরিস্থিতিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।  এফবিসিসিআইর উদ্যোগে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার বনলতা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও নিউ সুপার মার্কেট (উঃ) ডি-ব্লক দোকান মালিক সমিতি যৌথভাবে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নিউ সুপার মার্কেট (উঃ) ডি-ব্লক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আতিক উল্যাহ। মতবিনিময় সভায় মো. আমিন হেলালী বলেন, ভোক্তার ভোগান্তি ও ব্যবসায়ীদের যাতে খারাপ অপবাদ না হয় সেজন্য এফবিসিসিআই কাজ করছে। তবে শুধু ভোক্তা কিংবা শুধু ব্যবসায়ীদের পক্ষে একতরফাভাবে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। এজন্য উভয় পক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি। ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে ও বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আগামী ঈদ পর্যন্ত এফবিসিসিআই নিয়মিত রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট মনিটরিং ও সতর্কতামূলক সভা চালাবে বলে।   আমিন হেলালী বলেন, এফবিসিসিআইর অধীন সকল ব্যবসায়ী যাতে ট্রেড লাইসেন্সসহ যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে, সেদিকে আমরা আগাচ্ছি। একদিনে হয়ত সব সমস্যা সমাধান হবে না। কিন্তু এফবিসিসিআই এ ব্যাপারে কাজ করছে। ভোক্তা কিংবা ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির বিষয়গুলো নিয়ে বাস্তবভিত্তিক সুপারিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রদান করা হবে।  তিনি বলেন, শুধু ব্যবসায়ী নয়, সব ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতকারী রয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অসৎ উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করলে সরকারের কাছে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করে শাস্তির আওতায় আনার হুঁশিয়ারি দেন মো. আমিন হেলালী।  রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক থাকবে বলে আশ্বাস দেন ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, শহিদুল হক মোল্লা, কাওসার আহমেদ, নিয়াজ আলী চিশতী, সৈয়দ মো. বখতিয়ার, হাজী মো. আবুল হাসেমসহ নিউ সুপার মার্কেট (উঃ) ডি-ব্লক দোকান মালিক সমিতি ও বনলতা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
২৬ মার্চ, ২০২৪

দিনাজপুরে চালের বাজারে অস্থিরতা, কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা
খাদ্য ভাণ্ডার দিনাজপুরে আবারও চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা। গত এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৬৪ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। গুটি স্বর্ণ গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা। ২৮ চাল এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৪ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা, ২৯ চাল গত সপ্তাহে ছিল ৫২ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। রোববার (২৪ মার্চ) দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় চালের বাজার বাহাদুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কেজিতে প্রতিটি চালের দাম কমপক্ষে বেড়েছে চার টাকা। ২৫ কেজির বস্তাতে দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা। ৫০ কেজির বস্তাতে দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।  পাইকারি চাল ব্যবসায়ী রঞ্জিত জানান, মিলগেট থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে তাদের। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে এ চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন। দিনাজপুরে চালের দাম একবার বাড়লে আর কখনোই কমে না। বাজার মনিটরিং না থাকায় চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।   শ্রমিক দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ চাল কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। চাল কিনতে আসা জহুরুল জানান, সারাদিন অটো চালিয়ে যা আয় রোজগার করি তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে। হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছি।  দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হুমায়ুন রেজা শামীম জানান, দিনাজপুরের হাটবাজারে চালের সরবরাহ নেই। মিল মালিকরা চাল কিনতে পারছেন না। সামনে ইরি ধান উঠলে চালের দাম কিছুটা কমবে। ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।   দিনাজপুর জেলায় যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়। তা জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে সরবরাহ হয়ে থাকে। ভোক্তারা বলছেন, চালের বাজার অস্থির হয়েছে। বেশ কিছুদিন চালের বাজার স্থিতিশীল থাকার পর আবারও চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন।   ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা গেলে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে এমন অভিমত করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। জেলার যে সমস্ত মিল মালিক ও মজুদদার রয়েছেন তাদের গুদামে অভিযান চালালে বাজারে স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে চালের দাম বৃদ্ধিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন খুচরা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম।   পাইকারি ব্যবসায়ী এরশাদ জানান, হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার দোকানে চালের বিক্রি অনেক কমে গেছে।  আরেক চাল বিক্রেতা সুরেশ চন্দ্র জানান, সুগন্ধি জাতের চাল ব্যতীত সব ধরনের চালের দাম মিল গেটেই বেশি। বাজারে ধানের সংকটের কারণে সব মিল চাহিদা মতো চালও দিতে পারছে না। দাম বাড়লেও বাজারে চালের ক্রেতা কম বলে জানান এই চাল বিক্রেতা।  চালকল মালিকরা বলছেন, ধানের সংকট এবং বেশি দামে তাদের ধান কিনতে হচ্ছে। ধানের অভাবে অনেক মিলে উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

জরিমানার ভয়ে অর্ধেক দামে তরমুজ
ফরিদপুর জেলা শহরে তরমুজের বিভিন্ন আড়ত ও খুচরা দোকানে অভিযানে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় জরিমানার ভয়ে মুহূর্তেই এর দাম অর্ধেকে নেমে যায়। ৫০০ থেকে ৪০০ টাকার এক একটা তরমুজ ৩০০-২০০ টাকায় বিক্রি শুরু করেন বিক্রেতারা। বুধবার (২০ মার্চ) বিকাল ৩টায় শহরে নিউমার্কেট ও টেপাখোলা এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ অভিযান চালায়। অধিদপ্তরের ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখের নেতৃত্বে অভিযানের সময় দাম বেশি রাখা ও ভাউচার না থাকায় তরমুজ ব্যবসায়ী মেসার্স আলম ফল ভান্ডারকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় জেলা পুলিশের একটি টিম এবং সংশ্লিষ্ট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতারা উপস্থিত থেকে অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন। ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ কালবেলাকে বলেন, আমরা দেখেছি যেখানেই অভিযান চালানো হয় সেখানে পণ্যের দাম কিছুটা কমে। অভিযানের আগে বাজারে এক একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছিল আকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পিস। অভিযানের পর  প্রতিটি তরমুজের দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকা কমে যায়। এভাবে রমজান মাসজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।   
২১ মার্চ, ২০২৪

ম্যাজিস্ট্রেট আসতেই অর্ধেক হয়ে গেল তরমুজের দাম
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর বন্দরে (কাজীরহাট) প্রথম রমজান থেকেই তরমুজ বিক্রি হচ্ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর অভিযানে দৃশ্য পাল্টে ৮০০ টাকার তরমুজ হয়ে যায় ৪০০ টাকা। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর এর সহকারী পরিচালক সুজন কাজীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দেখা যায়, সকল তরমুজ ব্যবসায়ীরা কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি বন্ধ করে পিস হিসেবে বিক্রি করছেন। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাপার যন্ত্র সরিয়ে ফেলেছেন।  এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানিক দলটি তরমুজ বিক্রেতাদের তরমুজ কেনার রশিদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ন্যায্য দামে ব্যবসায়ীদের তরমুজ বিক্রয়ের পরামর্শ দেন। এ ছাড়া বাজারের অন্যান্য ফলের দোকানে পণ্যের মূল্য টানানোসহ ক্রেতাদের পাকা ভাউচার প্রদানের জন্য সতর্ক করেন। এ সময় ‘ভাই ভাই বাণিজ্যলয়’ নামে একটি ফলের আড়তে রশিদ না থাকায় বেশি দামে ফল বিক্রির অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও আরেকটি ফলের দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সফিক নামে এক ক্রেতা কালবেলাকে বলেন, গত দুদিন আগেও কেজি দরে যে তরমুজ ৮০০-৯০০ টাকায় কিনেছি, তা এখন ৪০০ টাকা পিস হিসেবে নিলাম। নিয়মিত এরকম অভিযান পরিচালনা করা হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের ঠকাতে পারবে না। আরেক ক্রেতা রমজান আলী কালবেলাকে বলেন, তরমুজ ওজন দিয়ে বিক্রি হওয়াতে একটি ছোট তরমুজ কিনতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লেগেছে। যা আমার মতো দিনমজুরের পক্ষে কেনা অসম্ভব ছিল। আজ অভিযান হওয়ায় বড় একটি তরমুজ ৩০০ টাকায় কিনতে পারলাম। শরীয়তপুরের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী কালবেলাকে বলেন, এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে পণ্য বিক্রি না করেন, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে ক্রেতাদেরও সচেতন হতে হবে। যদি কেউ অন্যায্য দামে পণ্য বিক্রয় করে সেক্ষেত্রে ভোক্তাদের উচিৎ পণ্য ক্রয় হতে বিরত থাকা ও আমাদের কাছে অভিযোগ জানানো।
১৭ মার্চ, ২০২৪

খুলনায় বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত
বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালন উপলক্ষে সেমিনার ও আলোচনা সভা করেছে খুলনার কয়রা উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম তারিক-উজ-জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. ইস্তিয়াক আহমেদ, সমবায় অফিসার মো. তানভির মাসুদ হাসান।  এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. আ. ছালাম, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন, কয়রা বাজার কমিটির সভাপতি সরদার জুলফিকার আলম, ইউএনও অফিসের সিএ মো. নাজমুল হাসান প্রমুখ।
১৫ মার্চ, ২০২৪

‘নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সাপ্লাই চেইন মজবুত ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। পেঁয়াজ আমাদনি প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসবে।  তিনি বলেন, বাজার পরিচালনা কমিটির সহযোগিতা না থাকলে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। শিগগিরই বাজারের সকল ব্যবসায়ীকে নিয়ে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হবে। তিনি আরও বলেন, বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে ছোলা ও চিনির সরবরাহ আছে। কৃষিপণ্য বাজারে আসার আগে হাতবদলসহ সর্বক্ষেত্রে তদারকি বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সাপ্লাই চেইন মজবুত ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে। সাপ্লাই চেইনের কোথাও যেন কোনো ঘাটতি না থাকে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।  তিনি বলেন, ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় শুধু রমজান মাসে নয়, সারা বছরই অভিযান চলমান থাকবে। যৌক্তিক কর ব্যবস্থাপনা না থাকলে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না। নিত্যপণ্যের যৌক্তিক কর নির্ধারণ করা গেলে ভোক্তারা উপকৃত হবেন। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান প্রমুখ। 
১৫ মার্চ, ২০২৪

দশ টাকা কেজি দুধ বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকারের সম্মাননা
দেশের ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সব জিনিসপত্রের বাজারদর যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখনই বিপাকে পড়তে হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। ঠিক এ সময়ে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন মো. এরশাদ উদ্দিন। যেখানে পুরো রমজান মাসজুড়ে ১০ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছেন তিনি। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্রেস্ট প্র্যাকটিস সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি। এরশাদ উদ্দিন এ বছর নিয়ে চার বছর ধরে নামমাত্র মূল্য ১০টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি করছেন। এবার এই মানবিক উদ্যোগটি প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আলহাজ মো. এরশাদ উদ্দিনকে এ সম্মাননা প্রদান করেছে। মো. এরশাদ উদ্দিন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর রৌহা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেসি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। জানা গেছে, চার বছর আগে এরশাদ উদ্দিন নিজ এলাকায় জে সি অ্যাগ্রো ফার্ম নামে একটি খামার গড়ে তোলেন। বর্তমানে ২৫টি গরু দুধ দিচ্ছে। প্রতিদিন খামার থেকে ৭০-৭৫ কেজি দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। প্রতি রমজান মাসে সাধারণ মানুষের পুষ্টি চাহিদার কথা মাথায় রেখে নাম মাত্রমূল্য ১০ টাকা কেজিদরে দুধ বিক্রি করে আসছেন তিনি। রমজানের প্রথম দিন থেকেই প্রতিদিন সকাল ১১টায় খামার থেকে উৎপাদিত দুধ বিক্রি করা হয়। যেখানে নিজ এলাকা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিম্ন আয়ের মানুষজন দুধ নিতে আসেন। সাধারণত বাজারে প্রতি লিটার দুধ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। যে কেউ তার খামার থেকে মাত্র ১০ টাকা কেজি  দরে সর্বোচ্চ  ১ কেজি দুধ কিনতে পারবেন। এরশাদ উদ্দিন বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ব্রেস্ট প্র্যাকটিসের জন্য আমাকে সম্মাননা দেওয়ায় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে আমার দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসার গল্প। আমি খুব দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমি মুসলিম আমাকে মরতে হবে। তিনি বলেন, কোন স্বীকৃতি বা সম্মাননার প্রত্যাশায় আমি এ উদ্যোগ নেইনি। আমি সবসময় চেষ্টা করি গরিব অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য। ভালো কাজ করার জন্য যদি রাষ্ট্র বা সমাজ থেকে স্বীকৃতি পাওয়া য়ায় তাহলে সেই মানুষজনের আরও ভালো কাজ করার আগ্রহ বেড়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। তাহলে দেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেত পারব। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আমাকে এই উদ্যোগটির জন্য ব্রেস্ট প্র্যাকটিস সম্মাননা প্রদান করেছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভোক্তা অধিকারের সকলের প্রতি। এই সম্মাননা আমাকে পরবর্তী দিনে আরও ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতি তারা আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের কাজগুলো দেশের মানুষের সামনের তুলে ধরার জন্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
১৫ মার্চ, ২০২৪

দশ টাকা কেজি দুধ বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকারের সম্মাননা
দেশের ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সব জিনিসপত্রের বাজার দর যখন ঊর্ধ্বমুখী। এ কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। ঠিক এ সময়ে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নিয়েছেন মো. এরশাদ উদ্দিন। যেখানে পুরো রমজান মাস জুড়ে ১০ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছেন তিনি। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্রেস্ট প্র্যাকটিস সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি। এরশাদ উদ্দিন এ বছর নিয়ে চার বছর যাবত নাম মাত্র মূল্য ১০টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি করছেন। এবার এই মানবিক উদ্যোগটি প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আলহাজ মো. এরশাদ উদ্দিনকে এ সম্মাননা প্রদান করেছে। মো. এরশাদ উদ্দিন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর রৌহা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেসি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। জানা গেছে, চারবছর আগে এরশাদ উদ্দিন নিজ এলাকায় জে সি অ্যাগ্রো ফার্ম নামে একটি খামার গড়ে তোলেন। বর্তমানে ২৫টি গরু দুধ দিচ্ছে। প্রতিদিন খামার থেকে ৭০-৭৫ কেজি দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। প্রতি রমজান মাসে সাধারণ মানুষের পুষ্টি চাহিদার কথা মাথায় রেখে নাম মাত্র মূল্য ১০ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি করে আসছেন তিনি। রমজানের প্রথমদিন থেকেই প্রতিদিন সকাল ১১টায় খামার থেকে উৎপাদিত দুধ বিক্রি করা হয়। যেখানে নিজ এলাকা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিম্ন আয়ের মানুষজন দুধ নিতে আসেন। সাধারণত বাজারে প্রতি লিটার দুধ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। যে কেউ তার খামার থেকে মাত্র ১০ টাকা কেজি  দরে সর্বোচ্চ  ১ কেজি দুধ কিনতে পারবেন। এরশাদ উদ্দিন বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ব্রেস্ট প্র্যাকটিসের জন্য আমাকে সম্মাননা দেওয়ায় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে আমার দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসার গল্প। আমি খুব দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমি মুসলিম আমাকে মরতে হবে। তিনি বলেন, কোন স্বীকৃতি বা সম্মাননার প্রত্যাশায় আমি এ উদ্যোগ নেইনি। আমি সবসময় চেষ্টা করি গরিব অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য। ভালো কাজ করার জন্য যদি রাষ্ট্র বা সমাজ থেকে স্বীকৃতি পাওয়া য়ায় তাহলে সেই মানুষগুলো আরো ভালো কাজ করার আগ্রহ বেড়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভাল কিছু করার চেষ্টা করি। তাহলে দেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেত পারব। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আমাকে এই উদ্যোগটির জন্য ব্রেস্ট প্র্যাকটিস সম্মাননা প্রদান করেছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভোক্তা অধিকারের সকলের প্রতি। এই সম্মাননা আমাকে পরবর্তি দিনে আরো ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতি তারা আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের কাজ গুলো দেশের মানুষের সামনের তুলে ধরার জন্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
৩০ নভেম্বর, ০০০১
X