খাগড়াছড়িতে ব্যালট পেপারে জোর করে সিল, ভোটগ্রহণ স্থগিত
খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলার যতীন্দ্র কার্বারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। ব্যালট পেপারে জোর করে সিল মারার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ কামরুল আলম।  চেয়ারম্যান প্রার্থী সুপার জ্যোতি চাকমা অভিযোগ করে বলেন, ‘সকাল থেকে কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী সাথোয়াইঅং মারমার লোকজন ব্যালটে সিল মেরেছে। এ সময় তার লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয়। কেন্দ্রটি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। পুরোপুরি কেন্দ্রটি স্থগিত করার দাবি জানাচ্ছি।’ এদিকে পাল্টা অভিযোগ করে সাথোয়াইঅং মারমা বলেন, ‘বর্মাছড়ি ইউনিয়ন তিনটি কেন্দ্র এবং সদর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র সুপার জ্যোতি চাকমার সমর্থকেরা দখল করে ভোট দিয়েছে।’ নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী অয়ক্রইপ্রু মারমা অভিযোগ করে বলেন, ‘দেওয়ান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রকাশ্যে অস্ত্রধারীরা আমাকে হুমকি দিয়েছে। আমার নিজের ব্যালট কেড়ে নিয়েছে।’ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আলম বলেন, ব্যালট পেপারে জোর করে সিল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলার তপশিল ঘোষণার পর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতা, স্থগিত ও ধাপ পরিবর্তনের কারণে ১৩টি উপজেলা বাদ দেওয়ার পর বাকিগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে ইসি। এর মধ্যে ৫টি উপজেলায় (হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, পরশুরাম, বাগেরহাট সদর ও শিবচর) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব প্রার্থী বিজয়ী হন। এ ছাড়া ধাপ পরিবর্তন, মামলা ও মৃত্যুজনিত কারণে ৮টি উপজেলায় (নারায়ণগঞ্জ সদর, কুমারখালী, রোয়াংছড়ি, থানচি, গোপালপুর, মহাদেবপুর, নাঙ্গলকোট ও সরিষাবাড়ী) এ ধাপে ভোট হচ্ছে না। বাকি ১৩৯টি উপজেলায় ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৩৯ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে ইসি। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে তারা সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন। পরে ধাপগুলোর জন্যও একইভাবে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেবে ইসি। এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক। সূত্র জানায়, প্রথম ধাপের এ নির্বাচনে ১৩৯ উপজেলায় মোট কেন্দ্র রয়েছে ১১ হাজার ৪০০টি (কমবেশি)। এর মধ্যে দুর্গম এলাকার ৪২৪টি কেন্দ্রে গতকাল রাতেই নির্বাচনী সরঞ্জামসহ ও ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। আর ১১ হাজার কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হলেও ব্যালট পেপার পাঠানো হয় আজ ভোরে। দুর্গম যেসব উপজেলায় গতকাল ব্যালট পাঠানো হয়, তার মধ্যে রয়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী, চর রাজীবপুর; মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া; হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সরাইল, সন্দ্বীপ; রাঙামাটির রাঙামাটি সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি, বরকল; বান্দরবান সদর, আলীকদম; খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়; সুনামগঞ্জের দিরাই, শাল্লা ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা। এদিকে জাতীয় নির্বাচনের পর এবারের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ভোটের বিপক্ষে জনমত তৈরিতে মাঠে রয়েছে বিএনপি। ফলে দলের প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখার কৌশল নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে সারা দেশেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। দলের নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপির আত্মীয়স্বজন। বাকি উপজেলাগুলোতেও রয়েছেন তাদের পছন্দের প্রার্থীরা। ফলে আত্মীয়স্বজন ও পছন্দের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে নির্বাচনে নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে কিছু মন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে। নানা অভিযোগের পর ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন প্রভাবশালী এমপিকে সতর্কও করেছে ইসি। সর্বশেষ গতকাল আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনেক উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী মাঠে লড়ছেন। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলায় সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। আজ ভোটের দিনে সেটি আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে যে কোনো মূল্যে ভোট সুষ্ঠু করতে বদ্ধপরিকর ইসি। সেই লক্ষ্যে এবার সর্বোচ্চসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকছে। ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবেন। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিলেন না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিটি স্বাভাবিক কেন্দ্রে অস্ত্রসহ তিন পুলিশ, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি ও এপিসি থাকবেন তিনজন। প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবেন। ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার সদস্য থাকবেন। এবার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকছেন। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটা সমন্বয় সেল গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনসংক্রান্ত অভিযোগ ৯৯৯-এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর কারা তা দেখবে, তাও ট্র্যাকিং করা হবে। নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে গতকাল থেকেই ৪৭০ প্ল্যাটুন বিজিবি মাঠে নেমেছে। প্রতিটি উপজেলায় দুই থেকে চার প্ল্যাটুন দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ কালবেলাকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতিই নেওয়া হয়েছে। কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি যেন ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে ভোট আদায় করতে না পারে বা ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তায় কোনো আয়োজন কমতি রাখা হয়নি। আমরা আশা করি, ভোটের হার ভালো হবে।
০৮ মে, ২০২৪

এক উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপের নির্বাচনে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের বৈধ প্রার্থী মরিয়ম আক্তারের মৃত্যুতে সকল পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে পুনঃ তফসিলের মাধ্যমে আগামী ৫ জুন ৪র্থ ধাপে সকল পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব নির্বাচন (পরিচালনা-২) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রার্থী নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা সমীকরণ। চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল মোমেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কে এম গিয়াসউদ্দিন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. শামসুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. খাইরুল ইসলাম, হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক রওশন খান আইয়ুব মনোনয়নপত্র জমা দেন। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন গোপালপুর সরকারি কলেজের সাবেক জি এস মো. মারুফ হাসান, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আল মামুন এবং সার্ভার জটিলতার কারণে সময়মতো মনোনয়নপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মৃত লতিফ সিটির পূত্র মো. আপন সিটি।  মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মরিয়ম আক্তার ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোছা. হোসনে আরা বেগম। মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইকালে ব্যাংক ঋণের কারণে চেয়ারম্যান প্রার্থী রওশন খান আইয়ুব ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী মরিয়ম আক্তারের মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে প্রার্থিতা ফেরৎ পেতে আপিল করলে, আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক উভয়ের বাতিলের আদেশ বহাল রাখেন। উভয় প্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে প্রার্থীতা ফেরৎ পান এবং প্রতীক বরাদ্দ পান। এর মধ্যেই শুক্রবার অসুস্থতার কারণে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী মরিয়ম আক্তারের মৃত্যু হয়। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মো. শামীম আল মামুন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় অপর প্রার্থী মো. মারুফ হাসান দাবি করেন। রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মতিউর রহমান তাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন। প্রার্থী কে এম গিয়াসউদ্দিন বলেন, গোপালপুরের নির্বাচন পরিস্থিতি খুবই ভালো। এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীর প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ রয়েছে। আমি জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। মো. খাইরুল ইসলাম জানান, তীব্র তাপদাহে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঠিকমতো প্রচারণা করতে পারছি না। বোরো ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় ভোটারদের ঠিকমতো বাড়ি পাওয়া যায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আব্দুল মোমেন বলেন, আমি চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন। সকল ভোটার ভোটকেন্দ্রে গেলে আমিই বিজয়ী হবো।  চেয়ারম্যান প্রার্থী কে এম গিয়াসউদ্দিন দোয়াত কলম, আব্দুল মোমেন ঘোড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম আনারস, রওশন খান আইয়ুব হেলিকপ্টার, মো. খাইরুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ব্যালটের মাধ্যমে গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ইউপি নির্বাচন / লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকালে এসব ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় উৎসবের আমেজ। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫নং লাহারকান্দি ও ১৯নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।  জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি ও র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে।  জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের কোনো স্থান দেওয়া হবে না। তারা যাতে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে জন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জাল ভোট ও বহিরাগত কাউকে ভোটকেন্দ্র এলাকায় দেখলে তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হবে। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভারতে প্রথম দফায় রেকর্ড ভোটগ্রহণ
ভারতে লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে রেকর্ডসংখ্যক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১৮তম এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়। ভারতের নির্বাচন বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক কার্যক্রম হিসেবে স্বীকৃত। ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচন ৪৪ দিন ধরে হবে। দেশটিতে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে।  প্রথম দফায় ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। এ ছাড়া অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি ও সিকিমের বিধানসভার ৩২টি আসনেও ভোট হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সাত দফা নির্বাচনের প্রথম ও বৃহত্তম ধাপের ভোটগ্রহণ অনেকটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটাররা বেশিরভাগ অংশে তীব্র গরম সহ্য করে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। কোথাও কোথাও ছিল বৃষ্টির হানা। এ পরিস্থিতিতে সকাল ৭টাতেই বিশ্বের বৃহত্তম নির্বাচনী কাজে অংশ নিতে ভোটকেন্দ্রে ভিড় দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির অধীনে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠতা চাইছে। তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ইনডিয়া জোটও ভালো ফল আশা করছে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সব পক্ষ নানা ধরনের আশ্বাস দিচ্ছে। এনডিটিভি ও পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিলনাড়ুতে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। ছত্তিশগড়ে ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।  পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে তিনটি (কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার) আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। এ তিন আসনে ভোট পড়েছে ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।  নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, কোচবিহারে ৭৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ, আলিপুরদুয়ারে ৭৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং জলপাইগুড়িতে ৭৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ত্রিপুরায় সর্বাধিক ভোট পড়েছে ৭৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। পুদুচেরিতে ৭৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, আসাম ৭১ দশমিক ৩৮ এবং মেঘালয়ে ৭০ দশমিক ২৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। দেশটিতে পরের দফার ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। এরপর ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও সর্বশেষ সপ্তম দফায় ১ জুন ভোট হবে। ভোট গণনা শেষ করা হবে ৪ জুন।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনের ভোটগ্রহণ শুরু
রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আজ রোববার তৃতীয় ও চূড়ান্ত দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতা আরও ছয় বছর দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে। খবর রয়টার্সের।  গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) তিন দিনব্যাপী রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণের মধ্যেই পুতিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বিরোধীরা। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১১ কোটি ২৩ লাখ ভোটার রয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন ১৯ লাখ প্রবাসী ভোটার। প্রথম দুদিনে অর্ধেকের বেশি রুশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। আজ তৃতীয় ও চূড়ান্ত দিনে বিরোধীদের শক্তি পরীক্ষা হবে। আজকের দিনে ‘পুতিনের বিরুদ্ধে দুপুর’ নামে একটি কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বিরোধীরা। আজ দুপুরে একই সময়ে সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এদিকে নির্বাচনের মধ্যে রাশিয়ায় বিক্ষোভের মতো ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের ছাপও এই নির্বাচনে পড়েছে। গত শুক্রবার রাশিয়ার ভেতরে এবং ইউক্রেনে রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে তীব্র ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে কিয়েভ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলেন পুতিন। এ অপরাধের দায়ে ইউক্রেনকে শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। রোববার ভোরে স্থানীয় রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রুশ অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে জেলেনস্কি বাহিনী। তবে গতকাল শনিবার নৈশকালীন ভাষণে এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
১৭ মার্চ, ২০২৪

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতা আরও ছয় বছর দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  রাশিয়ার এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণের মধ্যে বিরোধীরা পুতিনবিরোধী বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাশিয়ার এ নির্বাচনকে প্রহসন বলে উল্লেখ করেছে ইউক্রেন। ভোট শুরুর আগে তারা রুশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে।  ক্রেমলিন জানিয়েছে, এ ভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণে পুরো দেশের সমর্থনের বিষয়টি প্রমাণিত হবে। এ ছাড়া রুশ কর্মকর্তারা ভোটের সময়ে যেকোনো বিক্ষোভের বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করেছে।   ভোটগ্রহণ শুরুর আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে আপনারা বুঝতে পারছেন আমাদের দেশ কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রায় সব ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি।  পুতিন বলেন, সফলভাবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে এবং মর্যাদার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে রুশদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।  রয়টার্সের তথ্যমতে, রাশিয়ার এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১১ কোটি ২৩ লাখ ভোটার রয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন ১৯ লাখ প্রবাসী ভোটার।  নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, নির্বাচনের জন্য ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০টি ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত আগাম ভোট দিয়েছেন ২০ লাখ ভোটার।  এএফপির তথ্যমতে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৮টায় সকাল রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপদ্বীপে ভোটগ্রহণের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন শুরু হয়। আগামী সোমবার রাত ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের কালিনিনগ্রাদে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম শেষ হবে। 
১৫ মার্চ, ২০২৪

শিবগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচন / শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হলো ভোটগ্রহণ
বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনে মেয়র পদে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। এদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি। তবে নারী ভোটারদের কারও কারও আঙুলের ছাপ স্পষ্ট না উঠায় ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন।  শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া ছিল ধীর। দুপুর ১২টার দিকে আঁচলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র রোদের মধ্যে নারী ও পুরুষের দীর্ঘ সারি। বেশ ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ হওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। রফিকুল ইসলাম নামের একজন ভোটার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোট দিতে ওই কেন্দ্রে আসেন। তিনি বলেন, ‘খুব আস্তে আস্তে ভোটার টানে। একটি ভোট দিতে ৭ থেকে ১০ মিনিট সময় লাগছে। তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু ভোট দিতে পারছি না।’ বগুড়ার জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, সকাল ৮টা থেকে ১১টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ১০টার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পৌরসভার ১১টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। উপনির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুবারের সাবেক মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক (নারিকেল গাছ প্রতীক) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুর রহমান রাজু (হ্যাঙ্গার প্রতীক)। এ ছাড়া ওষুধ ব্যবসায়ী হামদান মণ্ডল (জগ) ও আব্দুল খালেক (মোবাইল ফোন) মাঠে রয়েছেন। বগুড়ার  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) স্নিগ্ধ আখতার জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন।  প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মানিক ও রিজ্জাকুল রহমান রাজু উভয়েই নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন।
০৯ মার্চ, ২০২৪

কুমিল্লা সিটির উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এবারের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে লড়ছেন ৪ প্রার্থী। এর মধ্যে ঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, ঘোড়া প্রতীকে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন কায়সার, বাস প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার ও হাতি প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সকাল থেকেই নগরীর ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি ভোটকক্ষে ১০৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৬৪০ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ১ হাজার ২৮০ জন পোলিং এজেন্ট, ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনকালে নিরাপত্তার জন্য ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি প্রতিপালনে ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৭ টিমে ৯৩৯ জন র‍্যাব সদস্য, পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিমে ১ হাজার ৩৩৯ জন ও ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে আছে।
০৯ মার্চ, ২০২৪

ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ সিটিতে ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯০টি ভোটকক্ষে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭২ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন এবং নয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। এই সিটিতে মেয়র পদে পাঁচজন, ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  মেয়র প্রার্থীরা হলেন- ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু (টেবিল ঘড়ি), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম (ঘোড়া), উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাদেক খান মিল্কী টজু (হাতি), কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য রেজাউল হক (হরিণ) এবং জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল (লাঙল)।  নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ১২৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ৫০টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়েছে। ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। এছাড়া রয়েছে মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ব্যাটালিয়ন, বিজিবি ও র‌্যাব।  ভোটের পরদিন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১১ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। ১ হাজার ৫৩৬ জন আনসার, ৭ প্লাটুন বিজিবি, ১৭ টিম র‌্যাব কাজ করছে।
০৯ মার্চ, ২০২৪
X