বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনে মেয়র পদে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। এদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি। তবে নারী ভোটারদের কারও কারও আঙুলের ছাপ স্পষ্ট না উঠায় ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন।
শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া ছিল ধীর।
দুপুর ১২টার দিকে আঁচলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র রোদের মধ্যে নারী ও পুরুষের দীর্ঘ সারি। বেশ ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ হওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
রফিকুল ইসলাম নামের একজন ভোটার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোট দিতে ওই কেন্দ্রে আসেন। তিনি বলেন, ‘খুব আস্তে আস্তে ভোটার টানে। একটি ভোট দিতে ৭ থেকে ১০ মিনিট সময় লাগছে। তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু ভোট দিতে পারছি না।’
বগুড়ার জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, সকাল ৮টা থেকে ১১টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ১০টার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পৌরসভার ১১টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
উপনির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুবারের সাবেক মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক (নারিকেল গাছ প্রতীক) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুর রহমান রাজু (হ্যাঙ্গার প্রতীক)। এ ছাড়া ওষুধ ব্যবসায়ী হামদান মণ্ডল (জগ) ও আব্দুল খালেক (মোবাইল ফোন) মাঠে রয়েছেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) স্নিগ্ধ আখতার জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন।
প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মানিক ও রিজ্জাকুল রহমান রাজু উভয়েই নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন।
মন্তব্য করুন