ভারতে লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে রেকর্ডসংখ্যক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১৮তম এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়। ভারতের নির্বাচন বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক কার্যক্রম হিসেবে স্বীকৃত।
ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচন ৪৪ দিন ধরে হবে। দেশটিতে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে।
প্রথম দফায় ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। এ ছাড়া অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি ও সিকিমের বিধানসভার ৩২টি আসনেও ভোট হয়।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সাত দফা নির্বাচনের প্রথম ও বৃহত্তম ধাপের ভোটগ্রহণ অনেকটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
ভোটাররা বেশিরভাগ অংশে তীব্র গরম সহ্য করে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। কোথাও কোথাও ছিল বৃষ্টির হানা। এ পরিস্থিতিতে সকাল ৭টাতেই বিশ্বের বৃহত্তম নির্বাচনী কাজে অংশ নিতে ভোটকেন্দ্রে ভিড় দেখা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদির অধীনে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠতা চাইছে। তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ইনডিয়া জোটও ভালো ফল আশা করছে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সব পক্ষ নানা ধরনের আশ্বাস দিচ্ছে।
এনডিটিভি ও পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিলনাড়ুতে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। ছত্তিশগড়ে ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে তিনটি (কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার) আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। এ তিন আসনে ভোট পড়েছে ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, কোচবিহারে ৭৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ, আলিপুরদুয়ারে ৭৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং জলপাইগুড়িতে ৭৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
ত্রিপুরায় সর্বাধিক ভোট পড়েছে ৭৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। পুদুচেরিতে ৭৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, আসাম ৭১ দশমিক ৩৮ এবং মেঘালয়ে ৭০ দশমিক ২৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। দেশটিতে পরের দফার ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। এরপর ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও সর্বশেষ সপ্তম দফায় ১ জুন ভোট হবে। ভোট গণনা শেষ করা হবে ৪ জুন।
মন্তব্য করুন